#তুই আমার ২
#পর্বঃ১২
#Tanisha Sultana
মিষ্টি দরজা একটু ফাঁক করে দেখলো একটা ছেলে একটা মহিলাকে বকছে
“মা আমার গাছের ফুল কে ছিঁড়েছে??
” আমি দেখিনি। তাছাড়া তোর বোন তো বাসায় নেই কে ছিঁড়বে?
“যে ছিঁড়েছে তাকে সামনে পেলে আলু ভর্তা বানাতাম।
মিষ্টি ওদের কথা শুনে ঢোক গিলে। ছেলেটা আর মহিলাটা পেছন ঘুরে আছে যার ফলে মিষ্টি চেহারা দেখতে পাচ্ছে না। মিষ্টি তারাহুরো করে দরজা বন্ধ করে দেয়।
” উফ জোর বাঁচা বেঁচে গেছি। আর একটু হলেই আলু ভর্তা হয়ে যেতাম। তবে ছেলেটার ভয়েজ কেমন চেনা চেনা লাগলো।
মিষ্টি
রুশার ডাকে মিষ্টির ঘোর কাটে
“আসছি মামনি জাস্ট পাঁচ মিনিট
মিষ্টি তারাহুরো করে রেডি হয়ে একটু সাজুগুজু করে নিচে যায়।
জীম মোবাইলে গেমস খেলছে। আর রুশ খাবার রেডি করছে।
মিষ্টি টেবিলে বসে।
” মামনি তারাতাড়ি দাও তো আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে
“একদম তারাহুরো করবে না। চুপচাপ খাও।
কি আর করা যাবে আস্তে আস্তে খেতে হবে মায়ের অর্ডার বলে কথা।
জীম মিষ্টিকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দেয়। জীম বলেছিলো মিষ্টিকে ক্লাস পর্যন্ত দিয়ে আসতে কিন্তু মিষ্টি জেদ ধরেছে একাই যাবে।
ভার্সিটির মাঠের মাঝখান দিয়ে মিষ্টি হেটে যাচ্ছে। সব ছেলেমেয়েরা মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে। এতে মিষ্টির নিজেকে জোকার জোকার লাগছে। তিথি আর তাওহিদকে ফোন করেছিলো ওরা বলেছে ২০৯ নম্বর রুমে যেতে। কিন্তু ২০৯ নম্বর রুম কোন দিকে মিষ্টি এটাই জানে না।
একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করে
” এক্সকিউজ মি ২০৯ নম্বর রুমটা কোন দিকে একটু বলতে পারবেন
“সোজা গিয়ে ডান দিকের ক্লাসরুমটা
Tnx
Wlc
ছেলেটার দেখানো রুমটাতে গিয়ে দেখে দুইটা ছেলে আর তিনটা মেয়ে বসে আছে। মিষ্টিকে দেখে একটা মেয়ে বলে
” তুমি কে??
“আফরা ইবনাত মিষ্টি
মিষ্টি নামটা শুনে সবাই মিষ্টির দিকে তাকায়। সামনে তাকা মানুষ গুলোর দিকে তাকাতেই মিষ্টি বলে
” ময়দা সুন্দরীর বফ তুমি
অভি কিছু না বলে মিষ্টিকে দেখছে ধবধবে ফর্সা গায়ের রং ব্রাউন কলার কোমর ওবদি চুল, পরনে জিন্স আর শার্ট কাধে ব্যাগ একদম বিদেশীদের মতো
“আচ্ছা আমায় একটা কথা বলো তো সবাই আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে কেনো আছে।
ওদের মাঝথেকে একটা মেয়ে মিষ্টির গাল টেনে বলে
” তুমি একটা কিউটের ডিব্বা তাই সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।
“হুম বুঝলাম। কাকু তুমি আমার সাথে কথা বলছো না কেনো
অভি কিছু না বলে মিষ্টি কে টেনে কলেজের বাইরে নিয়ে আসে।
” ও কাকু এভাবে টেনে আনলে কেনো??
“আগে ময়দা সুন্দরী র বফ বলতে ঠিক ছিলো কিন্তু এখন কাকু কেনো
” আগে তুমি আনমেরিড ছিলে বাট এখন তো মেরিট। তা বলছিলাম কি বাচ্চাকাচ্চা কয়জন হয়েছে।
অভি বিরক্তি হয়ে জবাব দেয়
“চারজন
মিষ্টি মাথায় হাত দিয়ে বলে
” প্রতিবছর একটা করে ও গড। কাকু এটা কিন্তু ঠিক না এতো গুলো বাচ্চার বাবা হলে আর আমাকে মিষ্টি খাওয়ালে না। চলো এখনই মিষ্টি খাওয়াবে
মিষ্টি অভির হাত ধরে টেনে মিষ্টির দোকানে যায়।তারপর আরাম করে বসে মিষ্টি অর্ডার দেয়
“কাকু তারপর বলো
” কি বলবো
“তা ভালোই তো আছো ময়দা সুন্দরীকে নিয়ে?
” সেটা তোমার না জানলেও চলবে
“ওকে না জানলাম। জানো আমি না আমার বফের কছে তোমার কথা গল্প করেছি
” তোমার বফ আছে
“হ্যাঁ আছে কোনো রকম কয়েকটা
” কোনো রকম তাও আবার কয়েকটা?
“হ্যাঁ। তোমার সিরিয়াস কোনো ব্যাপার নেই জাস্ট লোক দেখানোর জন্য
” লোককে দেখানোর কি আছে??
“কি আছে মানে। সবাই যাদি জানতে পারে আমি সিঙ্গেল আমার পেসটিস থাকবে। থাকবে না।
” মানুষ হলে না আর
“বাপিও তাই বলে।
মিষ্টি চলে আসে। মিষ্টি মন প্রাণ দিয়ে মিষ্টি খাচ্ছে। সামনে যে অভি বসে আছে তার দিকে কোনো খেয়াল নেই। খাওয়া শেষে
“এবার কি আমি যেতে পারি??
” যাবে মানে বিলটা কি তোমার ময়দা সুন্দরী দেবে
“বিল দিয়েই যাচ্ছি।
বিল দিয়ে অভি চলে যায়। তাওহিদ এসে মিষ্টি কে ক্লাসে নিয়ে যায়।
তাওহিদ আর তিথির মাঝখানে বসেছে মিষ্টি।
” ধুর ধুর প্রথম ক্লাসটা মিছ করলাম।
“মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি গিললে তো মিছ করবেই।
মিষ্টি রাগী দৃষ্টিতে তাওহিদের দিকে তাকাতেই তাওহিদ চুপ করে যায়।
একটু পরেই according টিচার আসে ক্লাসে
চলবে