#তুই আমার ২
#পর্বঃ১১
#Tanisha Sultana
“আমি তো তোমার কাছে জানতে চাই নি তুমি ময়দা সুন্দরীকে কিভাবে প্রপোজ করেছিলে। তাহলে আগ বাড়িয়ে বললে কেনো?? না কি বুঝাতে চাইলে আমার গার্লফ্রেন্ড ছিলো তোমার নেই
” এতো বেশি কথা বলো কেনো তুমি।
“বেশি কথা বলা একটা আর্ট যেটা সবাই পারে না।
” আমি চাইও না বেশি কথা বলতে। যারা বেশি কথা বলে তাদের বাঁচাল বলে
“তাহলে যারা ছ্যাকা খায় তাদের কি বলে??
” তোমার মাথা বলে
“ভুল বললে তাদেরকে ব.ল.দ বলে।
” ইডিয়েট
“ইডিয়েট হতে পারি
মিষ্টিকে থামিয়ে
” থাক বুঝেছি তুমি ইডিয়েট হতে পারো কিন্তু ময়দা সুন্দরী না তাই তো
“এই না হলো আমার বফ। মনের কথা কত সহজে বুঝে যায়। এই জন্যই তো তোমাকে এতো ভালোবাসি।
” তোমার আলগা পেছাল বাদ দাও
“ওকে দিলাম এখন চলো সেলফি তুলি
অভির হাজার অনিচ্ছা স্বত্বেও মাইসা আর মিষ্টি জোরাজোরিতে সেলফি তুলতে হয়।
সন্ধায় বিয়ে শুরু হয়ে যায়। সবাই বিয়ে দেখছে। মিষ্টি একপাশে একটা চেয়ার টেনে বসে আছে। মিষ্টি বেশি মানুষ পছন্দ না।
সৌরভ মিষ্টির কাছে আসে
” কি বেপার মিষ্টি তুমি একা একা বসে আছো কেনো??
“এমনিতেই। বেশি মানুষ দেখলে আমার আবার মাথা ব্যাথা করে।
” ওহহ। আচ্ছা মিষ্টি তুমি কাউকে ভালোবাসো
সৌরভের এরকম কথায় মিষ্টি একটু ঘাবড়ে যায়। তারপর হাসিমুখে বলে
“না তো। আমি তো একনো ছোট বড় হলে ভালোবাসবো প্রেম করবো বিয়ে করবো
” হ্যাঁ তাই তো। তুমি কবে বড় হবে
বিরবির করে বলে সৌরভ।
“কিছু বললে সৌরভদা
” কই না তো। তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে
“আমারও তোমাকে খুব ভালো লাগে। আর লাগবেই না কেনো তুমি আমার সৌরভদা বলে কথা।
মিষ্টির কথা শুনে সৌরভ হাসবে না কি কাদবে বুঝতে পারছে না।
অভিকে বেশ খুশি খুশি লাগছে। তাই মিষ্টি এক দৌড়ে অভির কাছে চলে যায়।
“কি বেপার এতো খুশি খুশি লাগছে
” মিষ্টি আজ আমি খুব খুশি।
অভি খুশিতে মিষ্টির হাত ধরে।
“জানো রিনি আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে। ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে। ও বলেছে খুব তারাতারি আমাকে বিয়ে করবে।
অভির কথা শুনে মিষ্টির মনটা খারাপ হয়ে যায়।
” এতো কিছুর পরেও ওকে হ্মমা করে দিলে
“হুম দিলাম কারণ ভালোবাসি ওকে। জানো কাউকে ভুলে যাওয়ার অনেক কারণ থাকবে কিন্তু কাউকে মনে রাখার কারন একটাই। ভালোবাসা।
মিষ্টি অভির কাছে থেকে চলে যায়। অভি পেছন থেকে অনেক ডাকে কিন্তু কোনো সারা দেয় না।
সৌরভদের বাড়ি থেকে চলে এসেছে দু’দিন হলো। দু-দিন মিষ্টি কারো সাথে তেমন কথা বলে নি। নিজের রুম থেকেও বের হয় নি।
তিথি আর তাওহিদের অনুরোধে আজ মিষ্টি স্কু যায়।
ক্লাস শেষে প্রতিদিনকার মতো আজও নদীর পাড়ে যায়।
তিথি তাওহিদ আর মিষ্টি নদীর পাড়ে বসে বাদাম খাচ্ছে আর হাসাহাসি করছে।
” মিষ্টি
কারো ডাকে পেছনে তাকায় মিষ্টি। পেছনে তাকিয়ে দেখে রিনি আর অভি। ওদের একসাথে দেখে বুকের বা পাশে ফাঁকা ফাঁকা লাগে মিষ্টি। তবুও হাসি মুখে জিজ্ঞেস করে
“আরে তোমরা এখানে??
” হ্যাঁ ঘুড়তে এসেছিলাম। (রিনি)
“তা তুমি এখানে??(অভি)
” আমি তো সব খানেই থাকি। তো তোমাদের সাথে দেখা হয়ে ভালোই হলো। আজ না দেখা হলে হয়ত আর কোনোদিনও দেখা হতো না।
“কেনো??
” আজ সন্ধায় আমরা লন্ডন চলে যাচ্ছি।
মিষ্টির কথা শুনে অভির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
“লন্ডন যাচ্ছো মানে। কই জীম তো কিছু বললো না।
” কেনো বলবে?? যায় হোক আসি। ভালো থেকো তোমরা।
মিষ্টি চলে যায়। যাওয়ার সময় চোখ দিয়ে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে।
“ভালো থেকো অভি। তোমার সুখের পথে বাধা হয়ে দাড়াবো না।
চার বছর পরে
এই তিন বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। মিষ্টিও অনেক বড় হয়ে গেছে। আগের চেয়েও আরও বেশি পাজি হয়েছে। দুদিন হলো মিষ্টিরা বাংলাদেশে ফিরেছে।
মিষ্টি মিষ্টির রুমের বেলকনিতে বসে আছে। হঠাৎ চোখ যায় সামনে বাড়ির বেলকানিতে খুব সুন্দর কয়েকটা ছোট ছোট ফুল গাছ। তাতে আবার দুইটা সাদা গোলাপ ফুল ফুটে আছে।
ওই বাড়ির বালকানি থেকে মিষ্টি বেলকানির দুরুত্ব মাএ কয়েক ইঞ্চ। মিষ্টি আর দেড়ি না করে চট ফুল দুটো ছিড়ে খোপায় গুজে। তারপর রুশে এসে আয়নায় দেখতে থাকে
ওই বাড়ি থেকে চেচামেচির আওয়াজ পেয়ে মিষ্টি বেলকানির দরজাটা একটু ফাঁকা করে দেখার চেষ্টা করে কাহিনিটা কি
তার যা দেখলো তাতে মিষ্টির হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়
চলবে