#তুই আমার ২
#পর্বঃ১০
#Tanisha Sultana
রিনি মন প্রাণ দিয়ে ভাবতে থাকে।
“কিউটি তুমি ভাবো আমি আসি
রিনিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিষ্টি চলে যায়।
” রিনি
অভির ডাকে রিনির ধান ভাঙে
“হ্যাঁ বলো
” রিনি তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসো??
“কি বলতে চাইছো তুমি?
” আমি সোজা কথা পছন্দ করি। আমি শপিং মলে দেখেছি তোমাকে। তুমি রেহানের সাথে ছি
রিনি ভয় পেয়ে যায়। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। অভি আবার বলে
“তুমি দু নৌকায় পা দিয়ে চলবে ভেবেছিলে। কেনো রিনি? কি করি নি তোমার জন্য। তুমি তার প্রতিদান এইভাবে দিলে। তুমি যেদিন থেকে রেহানের সাথে রিলেশন করতে শুরু করো আমি সেদিন থেকেই জানি। কিন্তু তোমাকে কিছু বলি নি
আমি ভেবে ছিলাম তুমি হয়ত একদিন বুঝবে কিন্তু না। রিনি তো রিনিই তাই না।
যাই হোক আজ থেকে তুমি মুক্ত যাও
রিনি কিছু বলতে যায় কিন্তু অভি থামিয়ে দেয়
” কোনো এক্সকিউজ চাই না আমার চলে যাও।
রিনি চলে যায়। অভি নিরবে দুফোটা চোখের পানি ফেলে। ভালোবাসা এমনই কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়।
হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। সবাই এক এক করে সাথিকে হলুদ লাগায়। মিষ্টি আর অভি বাকি আছে।
মিষ্টি অভিকে খুজতে বের হয়। দেখে যেখানে রিনি আর অভি কথা বলেছিলো অভি সেখানেই বসে আছে
“হ্যাঁ গো শুনছো
অভি ভ্রু কুচকে বলে
” তুমি এরকম ডাক কোথায় শিখেছো??
“সাবানার কাছে থেকে
” এই সাবানাটা আবার কে??
“এমা আপনি সাবানা দিদিমারে চেনেন না
” ওহহ তোমার দিদিমার নাম সাবানা
“ধুর না। ১৯৮৫ সালের নায়েকার নাম সাবানা। উনি আলমগীর মানে ওনার নায়ক রে ওগো হ্যাঁ গো বলে ডাকতো। তাই ওনার কাছে থেকে শিখেছি
” এই তুমি কে?
“কেনো আমি মিষ্টি, তোমার বেষ্ট ফ্রেন্ড জীমের বোন, তোমার বাবার ফ্রেন্ডের ম
মিষ্টিকে থামিয়ে হাত জোর কোরে
” চিনছি তোমাকে। এখন বলো এখানে কি চাই
“তোমাকে
” মানে
“মানে সাথি আপুকে সবাই হলুদ লাগাইছে এখন শুধু তুমি আর আমি বাকি। তাই তোমায় নিতে এলাম
” আমি যাবো না৷ তুমি যাও
“তোমার মনে হয় তোমাকে না নিয়ে আমি এখান থেকে যাবো
” এতো জালাও কেনো আমাকে
“আপনি ছাড়া জ্বালানো মতো আর তো কেউ নেই। এখন কথা বাদ দিয়ে চলো
মিষ্টি অভিকে নিয়ে সাথিকে হলুদ দেয়। তারপর অভিকে হলুদ দিয়ে ভুত বানিয়ে দেয়। অভি মিষ্টিকে হলুদ দিতে যাবে তার আগেই মিষ্টি দৌড়ে চলে যায়।
রুমে মিষ্টি শাড়ি পড়েই শুয়ে পড়ে আর মাইসা আয়নার সামনে বসে চুলের ক্লিচ খুলছে।
” মিষ্টি ফ্রেশ হয়ে নাও
“একটু পড়ে
অভি হলুদের বাটি হাতে নিয়ে মিষ্টিদের রুমে এসে মিষ্টিকে হলুদ লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। কোনো কথা বলে না।
” মিষ্টি এটা কি হলো?
মিষ্টি রেগে বলে
“তোমার ভাই একটা গরু।
পরেরদিন
আজ সৌরভের বোনের বিয়ে। সারাদিন অভির সাথে মিষ্টির দেখা হয় নাই। জীম আর অভি কোথায় যেনো গেছে। মিষ্টি মাইসা বিয়ের পেন্ডেল থেকে কিছুটা দুরে বসে আছে। হঠাৎ একটা ছেলে মিষ্টির সামনে একটা ফুল এগিয়ে দেয়
” ফুলটা জাস্ট ওসাম। তো ভাই কত টাকা দিয়ে কিনেছো?
মিষ্টির কথা শুনে ছেলেটা ভেবাচেকা খায়
“মানে
” কতো টাকা দিয়ে কিনেছো না কি বিয়ে বাড়ি থেকে টুকিয়ে এনেছো। এনিওয়ে তুমি কি আমাকে প্রপোজ করতে এসেছো।
ছেলেটা একটু লাজুক হেসে বলে
“হ্যাঁ
” এমা এতে লজ্জা পাওয়ার কি আছে। ভালো লাগছে প্রপোজ করছো। কিন্তু ভাই আমার যে বফ আছে। যদি বফ না তাকতো না তাহলে তোমাকে এক্সেপ্ট করতাম। এখন তুমি যাও
ছেলেটা মিষ্টির দিতে হাবলার মতো একটু তাকিয়ে চলে যায়।
“বাহ মিষ্টি তুমি কি সুন্দর করে ছেলেটাকে বললে
মিষ্টি একটু ভাব নিয়ে বলে
” মিষ্টি সব পারে
তখন অভি আসে
“এই যে ময়দা সুন্দরীর এক্স বফ ফুলটা নাও
” কেনো??
“কেনো আবার এই ফুলটা দিয়ে তুমি আমাকে প্রপোজ করবে
” শক কতো
“করবি কি না বল
” করবো না
“শিওর
” হ্যাঁ
“আপনি যদি এখন আমাকে প্রপোজ না করেন তাহলে সেদিন আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরছিলেন সেটা সবাইকে বলে দেবো
মাইসা একটু কাশি দেয়। অভি তো অবাক
” এই সেদিন না তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরছিলে
“সেটা তো তুমি জানো আর আমি জানি বাকিরা তো আর জানে না
” মিষ্টি বারাবাড়ি হয়ে যাচ্চে কিন্তু
“বারাবাড়ি এখনো হয় নি তবে প্রপোজ না করলে হবে।
” ঠিক আছে ফুলটা দাও
“গুড বয়। মিষ্টি অভিকে ফুলটা দেয়। অভি মিষ্টির দিকে ফুলটা এগিয়ে দিয়ে বলে
” ভালোবাসি তোমাকে। তুমি কি আমায় ভালোবাসবে?? সারাজীবন আমার পাশে থাকবে??
মিষ্টি আর মাইসা তো অবাক। মিষ্টি কিছু না বলে ফুলটা নেয়।
“এইভাবে রিনিকে ভালোবাসার কথা বলেছিলাম। আমার প্রথম ভালোবাসা
চলবে