#তুই আমার ২
#পর্বঃ১
#Tanisha Sultana
ক্লাস টিচারের সামনে দিয়ে ভরা ক্লাস থেকে একটা মেয়েকে হাত ধরে টেনে হিচরে নিয়ে যাচ্ছে অভি। হইচইয়ে শব্দে পুরো স্কুলের সব টিচার স্টুডেন্ট জড়ো হয়েছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। কিছু বলার মতো সাহস নেই কারো।
স্কুল থেকে বের করে একটা বড় গাড়িতে করে মেয়েটা নিয়ে যায়।
“আমাকে এভাবে তুলে আনার মানে কী? তোমরা জানো না আমি কে একবার যদি আমার বাপি বা দাভাই জানতে পারে না সব কটাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে।
অভি বিরক্ত হয়ে বলে
” এই মেয়ে চুপ করো থাকো না হলে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবো
“মিষ্টি ভালোভাবে অভিকে পর্যবেক্ষণ করে বলে
” দেখতে তো মাশাল্লাহ। তো মুখের কথা এতো তেতো কেনো। জন্মের সময় কি আন্টি মুখে মধু দেয় নাই??
এই আশিক ওর মুখ বেধে দে
মিষ্টির মুখ বেধে দেওয়া হয়। মিষ্টিকে একটা পুরোনো বাড়িতে বেধে রাখে।
কিছুখন পরে অভি সাথে আরও দুটো ছেলে কে নিয়ে মিষ্টি র কাছে আসে। মিষ্টি ওদের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়। একটা ছেলে দৌড়ে মিষ্টির কাছে এসে বাধন খুলতে খুলতে বলে
“ওই শালা তুই আমার বোনকে কেনো ধরে এনেছিস।
অভি অবাক হয়ে বলে
” তোর বোন মানে কি তুই তো এই মেয়ের কথা ছবি দিয়েছিলি আমাকে
“আমি তো তোকে বলেছিলাম বোরকা পড়া মেয়েটার কথা আর তুই ড্রেস পড়া মেয়েকে তুলে এনেছিস।
মিষ্টি এতোখন ওদের কথা বোঝার চেষ্টা করছিলো ওরা আসলে কি বলছে কিন্তু বুঝতে না পেরে জোরে জোরে কান্না শুরু করে দেয়
এই বোন কাঁদছিস কেনো কি হয়েছে ওই ছেলেটা কি তোকে বকেছে
মিষ্টি মনে মনে বলে
” আমার মুখ বেধে দিয়েছিলে তাই না এবার মজা দেখো
মিষ্টি কান্না করতে করতে বলে
“দাভাই এই ছেলেটা আমাকে খুব কবেছে আবার মেরেছেও।
অভি অবাক হয়ে বলে
” কি মিথ্যে বাদি মেয়েরে বাবা, আমি তোমাকে কখন মারলাম আর কখন বকলাম
মিষ্টি কান্নার ডোজ আরও বারিয়ে দেয়
“দাভাই দেখছো কত মিথ্যা কথা বলে। (হাত দেখিয়ে) দেখো আমার হাতটা লাল হয়ে গেছে তাহলে তুমি বুঝো কতো মেরেছে
মিষ্টিকে অভি হাত ধরে টেনে আনছিলো তাই হাত লালা হয়ে গেছে।
জীম রাগি চোখে অভির দিকে তাকায়। জীমের চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। অভি বুঝতে পারে জীম খুব রেগে গেছে
” সরি জীম আমি জানতাম না ও তোর বোন আর ওকে টেনে আনার সময় হাতে বেথা পায়ছে
অভি মাথা নিচু করে বলে।
মিষ্টি উঠে দাড়িয়ে চোখ মুছে বলে
“ব্যাথা পেলাম আমি আর তুমি দাভাই কে সরি বলছো
আমার সামনে দাড়িয়ে মাথা নিচু করে সরি বলো (ভাব নিয়ে)
” অভি চোখ গরম করে বলে
“আমি তোমাকে সরি বলবো অসম্ভব
মিষ্টি আবার কান্না করে ভাইকে বলে
” দাভাই ও সরি বলছে না।
সৌরভ বলে
“উফ ও তোমাকে পরে সরি বলে দেবে। এখন তোরা ভাব ওই মেয়েটাকে কি করে আনবো
” রাতে ডিরেক্ট মেয়েটার বাড়িতে তোকে নিয়ে যাবো। তারপর ভালোভাবে বলবো তোর সাথে বিয়ে দিতে না মানলে তুলে নিয়ে আসবো।
অভির কথা শুনে মিষ্টি জীমকে টেনে একটু দুরে নিয়ে যায়।
“দাভাই কেচটা কি
” ওই যে অভির পাশে ছেলেটাকে দেখতে পাচ্ছিস না ওর নাম সৌরভ। তোদের ক্লাসের রিমিকে ভালোবাসে। তো অভিকে বলেছিলো রিমিকে তুলে আনতে ও ভুল করে তোকে তুলে আনছে
মিষ্টি মুখে হাত দিয়ে ভাবার ভঙ্গিতে বলে
“ওহহহ তার মানে আমাকে তুলে আনার পেছনে তোমারও হাত আছে
” হ্যাঁ মানে না
“বুঝতে পেরেছি আর কিছু বলার দরকার নাই। এই কথাটা যদি আমি কোনোভাবে বাপির কানে দেয় বুঝতে পারছো তোমার কি হবে
জীম অনুরোধের সুরে বলে
” বোন প্লিজ বাপিকে বলিস না। তুই যা বলবি তাই করবো
“ঠিক আছে বাপিকে বলবো না যদি রিমিকে তুলে আনতে আনতে আমাকে নিয়ে যাও।
” বোন বলছিলাম
জীমকে থামিয়ে রাজি থাকলে বলো না থাকলে বাপিকে তো আমি বলবোই
“ঠিক আছে নিয়ে যাবো
মিষ্টি খুশি হয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে।
অভি আর সৌরভ কে বিদায় জানিয়ে মিষ্টিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয় জীম।
জীম মিষ্টির সাথে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছে। হঠাৎ রাস্তার দিকে চোখ পড়তেই মিষ্টি আর জীম চিৎকার দেয়