#তুই আমার
#পর্বঃ৬
# Tanisha Sultana
“রাজি হবো না কেনো
” আপনার না পছন্দের মানুষ আছে
“তো
” তো তাকে ছেড়ে আমাকে
“সেটা তুমি বুঝবে না
” কেনো বুঝবো না
“তুমি ছোট তাই। বাদ দাও এখন বলো কোথায় গেছিলে
আবিরের কথায় রুশা হকচকিয়ে যায়। তারপর আমতা আমতা করে বলে
” কোথাও না
আবির ভ্রু কুচকে বলে
“বিশ্বাস হলো না
” সত্যি
“হুম মেনে নিলাম। আর তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। একদম হ
রুশা আবিরকে থামিয়ে বলে
” প্লিজ হলুদ পরি বলবেন না
“কেনো
” এই শব্দটা আমার পছন্দ না
“ওহহ আচ্ছা। এখন ঘুমিয়ে পড়ো।
” আচ্ছা
আবির চলে যায়। রুশা শাড়ি পালটিয়ে শুয়ে পড়ে।
পরের দিন বিয়ে শুরু হয়ে যায়। চারপাশে লোকজন গমগম করছে। রুশার খুব খারাপ লাগছে। এতো লোকজন রুশার পছন্দ না। রুশা গোছল করে হালকা গোলাপি রঙের একটি শাড়ি পড়ে। পার্লার থেকে লোক আসতে দেড়ি হবে তাই রুশা একটু বাগানে যায় হাটতে। বাগানে আনমনে হাটছে রুশা। কারো সাথে ধাক্কা খায়
“এখন তো দেখছি আমার সালিকারও ছেলে দেখলে গায়ে পড়তে ইচ্ছা হয়
” সরি আমি দেখি নি
রুশা চলে যেতে নিলে জয় রুশার হাত ধরে ফেলে। রুশা ঠাস করে জয়ের গালে থাপ্পড় দিয়ে দেয়
“আপনার সাহস হয় কি করে আমার গায়ে হাত দেওয়ার। এতো জঘন্য খারাপ আপনি? আমার তো নিজের ওপর রাগ হয় যে আমি আপনার মতো একটা মানুষকে ভালোবেসে ছিলাম। লজ্জা করে না আপনার। যদি আপনার সাথে রিয়া আপু আর নিষ্পাপ বাচ্চাটা জড়িয়ে না থাকতো না আপনাকে মেরে ফেলতাম আমি। নেক্সট টাইম আমাকে যেনো আমার আশেপাশেও না দেখি।
রুশা চলে যায়। জয় রুশার চলে যাওয়া দেখছে।
খুব ভালো ভাবে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু বিয়ে শেষ হওয়ার পরেই জয় রিয়াদের বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সবাই অনেক ডাকাডাকির পরেও পেছন ফেরে তাকায় না। রিয়া কান্না করে ফেলে।
“রিয়া আপু কেঁদো না প্লিজ। জিজু একটু পরেও চলে আসবে
” ও আসবে না রুশা। জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। দেখ আজ আমি জয়কে পেয়ে গেছি কিন্তু ওর ভালোবাসা কোনোদিন পাবো না
“আপু জিজুও তোমাকে ভালোবাসে তাই তো তোমাকে বিয়ে করলো
” ও আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করে নি। জয় নেশার ঘোরে একটা ভুল করে ফেলেছিলো। তাই বিয়ে করেছে। জয় আমাকে না তোকে ভালোবাসে। আর সেদিন আমি জানতাম না ওর রুশা তুই তাহলে তোকে এতগুলো কথা শুনাতাম না। আমি খারাপ রুশা খুব খারাপ। কিন্তু আমার বেবিটার তো কোনো দোষ নেই বল
“আপু সব ঠিক হয়ে যাবো।
সবাই এবার সবটা বুঝতে পেরেছে। রুশার কান্নার কারণ। রিয়া আর জয়ের বাবা খুব ভালো বন্ধু যার ফলে জয় আর রিয়া ছোট বেলা থেথে চেনে। রিয়া জয়কে খুব ভালোবাসে কিন্তু জয় রিয়াকে বন্ধু ভাবতো।
একদিন নেশার ঘোরে জয় রিয়াকে ছুঁয়েছিলো যার জন্য রিয়া প্রেগন্যান্ট আর জয় বাদ্ধ হয়ে রিয়াকে বিয়ে করে।
রিয়ার বাবা রেগে বলে
” তোমাকে আমার মেয়ে বলতেও আমার ঘৃণা লাগছে
” কাকায় প্লিজ তুমি থামবে। মানছি আপু ভুল করেছে তাই বসে সবাই মিলে এমন করলে আপু কোথায় যাবে বলতে পারো
রুশার কথায় রুশার কাকা কেঁদে বলে
“আমার মেয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেছে রুশা।
” কাকায় কিচ্ছু শেষ হয় নি। আমি আছি তো
জয়ের বাবা বলে
“যা হওয়ার হয়ে গেছে।
জয়ের মা কাকায় কে বলে
” আপনারা অনুমতি দিলে রিয়া মাকে বাড়িতে নিয়ে যাবো
“আমাদের আর কি বলার নিয়ে যান।
রিয়া আপুকে জয়দের বাসায় নিয়ে যায়।
বাসর ঘরে পায়চারি করছে রুশা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। এরই মধ্যে আবির চলে আসে
” কী বেপার এরম করছো কেনো
“এই জয়ের পবলেম কী? কেনো এমন করছে আমাকে জানতে হবে
” হুম জেনো বাট এখন তো একটু রিলাক্স হয়ে বসো
রুশা আবিরের কথায় কান না দিয়ে জয়ের ফোনে ফোন দেয়। রিং হতে না হতে রিসিভ করে
“হেলো জয় কোথায় তুমি??
” আমার কাছে
“মানে কে তুমি আর জয় কোথায়
” আমি জয়ের গার্লফ্রেন্ড মলি আর জয় আজ আমার বাসায় থাকবে
“আপনি কি জানেন জয় বিবাহিত
” হুম জানি। আমার এতে কোনো সমস্যা নেই
“জয়কে ফোনটা দাও
মেয়েটা জয়কে ফোন দেয়
” কি হয়েছে
“কি হয়েছে মানে তোমার বউ তোমাার জন্য ওয়েট করছে আর তুমি একটা নোংরা মেয়ের সাথে ছি
” লিসেন রুশা তোমার বোনও না নোংরা আর তোমাকে তো বলছি তোমার বোনের প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। প্লিজ ডিস্টার্ব করো না
“জয় রিয়া আপু তোমার বেবির মা হতে চলেছে
” তো
“তো প্লিজ তুমি এখন চলে আসো
” আরে বাবা আমি তো বাসায় আসবোই। বাসায় না আসলে আমি টাকা পাবো কই। কিন্তু এখন আসবো না
রুশা কেঁদে দেয়
“প্লিজ জয় আমার জন্য চলে এসো। আমার জয়তো কখনো আমার কথ ফেলতো না৷ আমি যা বলতাম তাই করতো তাহলে কি আমার জয়টা আর আমার নেই
জয় রুশার কথা শুনে ফোন কেটে দেয়
রুশা পেছন ঘুরে দেখে আবির দড়িয়ে
“কি হলো আপনি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো
” একটা সত্যি কথা বলবে
“কী
” তোমার কষ্ট হচ্ছে না। নিজের ভালোবাসাকে অন্য কাউকে দিয়ে দিতে
“নাা। জয় আমার না আর যে আমার না তাকে নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু হ্যাঁ আমি জয়কে ভালোবাসি। জয়েয় যায়গাটা কখনো আপনাকে দিতে পারবো না
” আমি তো জয়ের যায়গাটা চাই না। আমি আমার যায়গা চাই
“আবির আমার একটু সময় চাই।
” ঠিক আছে যতখুশি সময় নাও নো পবলেম কিন্তু মনে রেখো তুমি আমার
আবির ড্রস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। আর রুশা বেলকানিতে চলে যায়। আবিরের ঘরের বেলকানি থেকে জয়ের রুম এবং জয়ের বাড়ির সামনে রাস্তা গেট সব দেখা যায়। কিছুখন পরে গাড়ির শব্দে নিচে তাকায় রুশা। জয় চলে এসেছে। জয়কে দেখে রুশার ভালো লাগছে আবার কষ্টও হচ্ছে। জয় গাড়ি থেকে বেরিয়ে আবিরের রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে রুশা দাঁড়িয়ে আছে। জয় কিছুখন তাকিয়ে বাড়িতে ঢুকে
চলবে