#তুই আমার
#পর্বঃ৫
# Tanisha Sultana
“রুশা tnx
রুশা রুমে এসে কান্না করছিলো আবিরের কথায় চোখ মুছে বলে
” কিসের জন্য
“এই যে জয়কে কথা শোনালে তার জন্য
” জয় মানুষটা ভালো না
“জানি আমি
” তাহলে আপু বোঝাচ্ছেন না কেনো
“অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয় নি।
রুশা হতাশ হয়ে বলে
” ওহহ তাহলে আর কি করার মেনে নিতে হবে। তবে আমার আপুকে ঠিক লাগছে না কিছু একটা হয়েছে
“আমারও তাই মনে হয়। অনেকবার জানতেও চেয়েছি কিন্তু বলছে না
” ঠিক আছে আপনি টেনশন করবেন না আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে
“দেখা যাক কি হয়
আবির আর রুশা আরও কিছুখন গল্প করে যে যার কাজে চলে যায়।
দেখতে দেখতে রিয়া গায়ে হলুদের দিন চলে আসে। এর মদ্ধে রুশার বাবা মা ভাইও চলে এসেছে। আজ রিয়ার গায়ে হলুদ। জয় আর রিয়াদের বাড়ি পাশাপাশি। দুটোবাড়িই খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
রিয়াকে সাজাতে পার্লার থাকে লোক এসেছে। আর রুশা নিজের রুমে একা একা সাজছে
” রুশা মামনি
রুশা তাকিয়ে দেখে বাবা মা দাঁড়িয়ে আছে।
“হুম বাবা বলো
” মামনি তোমার বাবা আজ তোমার কাছে কিছু চাইবে তুমি দেবে
“বাবা বলো না তোমার কি চাই৷
” তোমাকে সুখী দেখতে চাই
“বাবা আমি তো খুব ভালো আছি
” রুশা আমরা কাল রিয়ার সাথে তোমার আর আবিরের বিয়ে দিতে চাই
মায়ের কথায় রুশা আবাক দৃষ্টিতে বাবা মায়ের দিকে তাকায়।
রুশার বাবা রুশার হাত ধরে বলে
“অনেক আশা নিয়ে এসেছি তোমার কাছে প্লিজ আমাদের ফিরিয়ে দিও না। আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে তুমি যা চেয়েছো দিয়েছি এবার তুমি আমাদেরও কিছু দাও।
রুশা চুপ করে আছে রুশার বাবা মা উওরের অপেক্ষা করছে।
কিছুখন চুপ থেকে রুশা বলে
” ঠিক আছে তোমরা যা বলবে তাই হবে
রু শার বাবা মা খুশি হয়ে চলে যায়।
রুশার পাথরের মতো বসে আছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। আবির খুব ভালো ছেলে এবিষয়ে রুশার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ওতো আবিরকে ভাইয়ের চোখে দেখে
এসব ভাবছে তখন দুটো মেয়ে এসে রুশাকে সাজাতে শুরু করে।
খুব ভালোভাবে রুশা রিয়ার হলুদ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠান শেষে রুশা রুমে চলে আসে। খাটে বসতে গেলেই চোখ যায় খাটের ওপর থাকা চিরকুটের দিকে
চিরকুটটা হাতে নিয়ে খুলে ওতে লেখা আছে ছাদে এসো
রুশা ভাবে হয়তো আবির দিয়েছে চিরকুটটা, আর রুশারও আবিরের সাথে কথা বলা প্রয়োজন তাই সাত পাঁচ না ভেবে সোজা ছাদে চলে যায়।
রুশা ছাদে এসে কাউকে দেখতে না পেয়ে আবার রুমে যাওয়ার জন্য পা বারাতেই খুব চেনা কন্ঠ শুনতে পায়
“খুব সুন্দর লাগছে তোমায়। একদম হলুদ পরির মতো
” তুমি এখানে
“হুম আমি চলে এলাম আমার হলুদ পরিকে দেখতে
” জয় এসব কেনো করছো তুমি
“কোন সব রুশা বেবি
” আমাকে কাজি অফিসের সামনে দাড় করিয়ে রাখা, একটা মেয়েকে বউ সাজিয়ে আমাকে কথা শোনানো আবার রিয়া আপুকে বিয়ে
এসবের মানে কি
কি চাই তোমার
“দেখো রুশা তোমাকে দাড় করিয়ে রাখার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলো না কিন্তু তোমার বোন রিয়া আমাকে আটকে দেয়। ওকে নিয়ে হসপিটালের যায় আর জানতে পারি ও প্রেগন্যান্ট তো আমি কি করবো বলো। তারপর আবার রিয়ার বাবা মা পাওয়ারফুল ভাইটাও ডেঞ্জারাস যদি রিয়াকে রিফিউজ করতাম তাহলে তো আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিতো। বেবি ট্রাষ্ট মি তোমার বোন আর তার বেবির প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। আর তোমাকে ফোনে তো রিয়া বকা দিয়েছে তবে রিয়া এখনো জানে না যে ও ওর সুইট কিউট বোনকে কথা শুনিয়েছে
রুশা বুঝতে পারছে না কি বলবে বা কিভাবে রিয়েক্ট করবে
” রুশা জান কি হলো চুপ করে আছো কেনো?? চলো আমি আর তুমি পালিয়ে যায়। তোমার ওই নেকা বোনের থেকে মুক্তি দাও। তোমার বোনের থেকে তুমি বেশি মিষ্টি
“জয় তুমি এতো
রুশাকে থামিয়ে
” খারাপ বলো না প্লিজ (বুকের বাপাশে হাত দিয়ে) এখানে লাগে
দেখো রুশা আজ থেকে আমি যা বলবো তুমি তাই শুনবে না হলে তোমার বোন বোনের বেনি দুটোকেই পৃথিবীর থেকে বিদায় করে দেবো। আবিরকে বিয়ে করো না। ফল ভালো হবে না
“আমি তো আবিরকেই বিয়ে করবো আর তাও কালকেই
” বোনের প্রতি দেখি একটুও মায়া নাই
“বোনের প্রতি মায়া আছে কিন্তু তোমার জন্য মায়া নেই
” আচ্ছা
“রিয়া আপুকে আমি ভালোবাসি কিন্তু আমার থেকে বেশি না। তুমি রিয়া আপু মারতে চাইলে মারতেই পারো বাট তোমাকে কে বাচাবে
হাতে থাকা ফোন দেখিয়ে
এতে সব রেকর্ড করা কছে এবার দেখি তুমি কি কি করতে পারো
” রুশা আমাকে তুমি চেনো না
“আমার থেকে ভালো করে মনে হয় কেউ তোমাকে চেনে না। এবার তুমি রুশাকে চিনবে
” রুশা কাজটা ভালো করলে না। দেখে নেবো তোমায়
“যা পারো করো
জয় রাগে কটমট করতে করতে চ,লে যায়। রুশা ছাদে দাড়িয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলতে থাকে। একটা মানুষ এতোটাও খারাপ হতে পারে
রুশা রুমে চলে আসে। রুমে ঢুকে দেখে আবির বসে আছে
” আপনি এখানে
“আপনার জন্য ওয়েট করছি
” কিন্তু কেনো
“সারাদিন দেখলাম না তাই
” আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন কেনো
“রাজি হবো না কেনো
চলবে