#তুই আমার
#পর্বঃ৪
#Tanisha Sultana
“খুব ভালোবাসো তাকে
” হুম বাসি। কিন্তু সে আমার ভালোবাসার মূল্য দিতে পারে নি এটা তার ব্যার্থতা। জানো সে না আমার খুব কেয়ার করত। খুব ভালোবাসতো, বকা দিতো, রাগ করতো আবার সরিও বলতো। তিন বছরের ভালোবাসা। কিন্তু কয়েক ঘন্টায় সব শেষ হয়ে গেলো। সে আমার সাথে অভিনয় করেছে। খুব ভালো অভিনেতা সে।
“রুশা ভুলে যাওনা সব। অবার নতুন করে শুরু করো
রুশা চোখ মুছে বলে
” হুম ভুলে যাবো কিন্তু নতুন করে সব শুরু করতে পারবো না
“কেনো
” মন তো একটাই। একটা মন কয়জন কে দেবো। আর তাছাড়াও আই হেট লাভ। আর কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না।
সবাই চুপ থাকে। কিছুখনের মদ্ধেই ওরা শপিং মলে পৌঁছে যায়।
সারাদিন শপিং করে ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যাবেলা খেয়েদেয়ে বাসায় ফেরে।
রাত এগারোটা বাজে। রুশা ছাদে চলে যায়। ছাদের দোলনার চোখ বন্ধ করে বসে আছে রুশা।
“এতো রাতে তুমি ছাদে আসছো কোনো
আবিরের কথায় রুশা চোখ খুলে আবিরের দিকে তাকায় তারপর সামনে তাকিয়ে বলে
” ঘুম আসছিলো না তাই
আবির রুশার পাশে বসতে বসতে বলে
“সেম আমারও ঘুম আসছিলো না
তারপর দুজনই চুপ
” রুশা তুমি এতো চুপচাপ থাকো কেনো??
“আমার কথা বলতে ভালো লাগে না
” ভালো না লাগলেও সব সময় কথা বলতে হয়। বেশি কথা বললে মন শরীর দুটোই ভালো থাকে। কথার সাথে সাথে সাথে মনের কষ্টগুলো বেরিয়ে যায়।
রুশা চোখ ছোট ছোট করে আবিরের দিকে তাকায়
“ট্রাষ্ট মি
” বেশি কথা বললে মানুষ বাচাল বলবে
“আর এরকম চুপ করে থাকলে বোবা বলবে
” বলুক না তাতে আমার কি
“রুশা হেল্প মি
” কি হেল্প
“আসলে আমি একটা মেয়েকে ভালো বাসি
” গুড প্রপোজ করে ফেলেন
“যদি ফিরিয়ে দেয়
” তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবোল
“আর ইউ শিওর
” হুম
“ঠিক আছে তাই করবো। পরে ঝামেলা হলে তোমাকে ফাঁসিয়ে দেবো
আবিরের কথা শুনে রুশা শব্দ করে হাসে। আবির মুদ্ধ হয়ে রুশার হাসি দেখে
” হাসলে তোমায় খুব সুন্দর লাগে। সব সময় এমন হাসবে কেমন।
“আমিও হাসতে চাই কিন্তু
” কোনো কিন্তু না আজ থেকে আমি তোমার হাসানোর দায়িত্ব নিলাম। আর যদি দেখি না মুখ গুমড়া করে রেখেছো ঠাকিয়ে এক চর দেবো
রুশা মুচকি হেসে মাথা নারায়
“বারোটা বাজতে চললো রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো
যেযার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সামনের সপ্তাহে রিয়া আর জয়ের বিয়ে তো রুশার বাবা মা ভাই সবাই কাল চলে আসবে রিয়াদের বাসায়।
আজ একটু দেরি করে রুশার ঘুম ভাঙে। রুশা ফ্রেম হয়ে ব্রেকফাস্ট করে বাগানে যায়। বাগানে রিয়া জয় আরির আর আবিরের কিছু বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলো।
” এই রুশা এদিকে আয়
রুশা ওদের কাছে যায়
“রুশা এখানে বসো
রুশা আবিরের পাশে বসে
” আবির ওকে তো চিনলাম না ওকে
“রিদয় ও আমার কাজিন রুশা
” হাই
“হেলো
“তুমি খুব সুন্দর
” tnx ভাইয়া
রিদয় মুখটা কালো করে বলে
“ভাইয়া বলো কেনো
” তাহলে কি বলবো
“আমার নাম রিদয়। নাম ধরে ডাকবে
” আসলে আমি বড়দের নাম ধরে ডাকি না
“বুঝলি রিদয় আমার সালিকা দেখতে মিষ্টি হলে কি হবে মুখের কথাগুলো তেতো
জয়ের কথায় রুশার খুব রাগ হয়
” আসলে কি হয়েছে বলেন তো জিজু আমি না মুখ দেখেই মানুষ চিনতে পারি। তো আপনাকে দেখার সাথে সাথেই বুঝে ফেলেছি আপনার একটা পবলেম আছে আর সেটা হলো মেয়ে দেখলেই গায়ে পড়তে ইচ্ছা হয়। নিকনিক করেন যেটা আমার পছন্দ না। তাই আপনার সাথে তেতো করে কথা বলি যাতে আপনি আমার সাথে নিকনিক করার চান্স না পান।
রুশার কথা শুনে সবাই রিতিমত শকড। রিয়া রুশাকে কিছু বলতে গিয়েজ থেমে যায় কারণ রুশা সত্যি কথা বলেছে।
জয় রেগে যায় রুশার কথা শুনে।
“তোমার সাহস জয় কি করে আমার সাথে এইভাবে কথা বলার
” আমার সাহসটা বরাবরই একটু বেশি আর সত্যি কথা বলতে আমি কখনো ভয় পায় না মি. জিজু
“তোমাকে আমি দেখে নেবো
” দেখুন না করছে কে
“রিয়া তোমার সামনে আমায়
জয়কে থামিয়ে রুশা বলে
“আমি সত্যি কথা বলেছি এতে আপনি অপমানিত হলে আমার কিছু করার নাই। আর আপু তোমাকে না বলেছিলাম জিজুকে সাবধান করতে তুমি করো নি কেনো
রুশা একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলে
আপু এখনো সময় আছে তোমার হবু স্বামী কে ভালো হতে বলো পরে কিন্তু আর সময় পাবে না। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যাও পরে কিন্তু কেঁদেও কুল পাবে না। কে বলতে পারে হয়ত জিজুর এই বিহেবের জন্য তোমার লাইফটা না বরবাদ হয়ে যায়। লাইফ তোমার ডিসিশন তোমার। আশা করি যা করবে ভেবে করবে।
রুশা চলে যায়। জয় চেয়ার লাথি মেরে চলে যায়। আবিরের বন্ধুরাও চলে যায়। এখন আবির আর রিয়া বসে আছে
” রিয়া রুশা যে কথাগুলো বললো আমিও অনেকদিন ধরে তোকে এই কথাগুলোই বলতে চাইছিলাম। ভেবে দেখ বোন
“ভাইয়া জয়কে বিয়ে করা ছাড়া আমার আর কোনো পথ নেই। আমি জানি জয় কেমন তারপরও কিছু করার নেই
” কেনো বোন আমাকে বল
“বলবো কিন্তু বিয়ের দিন
রিয়া চলে যায়। আবির ভাবতে থাকে কি কারণ
চলবে