?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২?
#সিজন_২?
#পর্ব-১
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
মেঘাকে কে টানতে টানতে স্টোর রুমে এনে ফেলল অনিক অনিকের এমন আচরন কিছুই বুঝতে পারছেনা তার মস্তিস্ক এটাই বলছে অনি ভাইয়া এমন করলো কেন তাকেই বা এই স্টোর রুমে কেন নিয়ে এলো এদিকে অনিকের চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে সে পিছনে ঘুরে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার বৃথা চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না তার চোখ দিয়ে যেন সব কিছু ধবংশ করে দিবে এদিকে মেঘা কিছুই বুঝতে পারছেনা কিন্তু এইটা বুঝতে পারছে তার অনি ভাইয়া রেগে আছে আর এই রাগ কীভাবে নস্ট করতে হয় তার টোটকা মেঘার জানে আছে সে পিছন থেকে তার অনি ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো কারণ সে জানে তার অনি ভাইয়া তাকে জড়িয়ে ধরলে তার অনি ভাইয়া রেগে থাকতে পারেনা অনি এতোক্ষন নিজের রাগটা নিয়ন্ত্রন করার চেস্টা করছিলো কিন্তু এখন আর সে পারলো না সে নিজের থেকে মেঘাকে ছাড়িয়ে নিল মেঘা কিছু বলবে তার আগেই অনিক মেঘাকে ঠাসসস করে চর বসিয়ে দিলো এতো জোড়ে চর মারায় মেঘা ছিটকে পরে যায় চোখ তার ছলছল করছে
মেঘাঃ অনি ভাইয়া
অনিকঃ চুপ একদম চুপ তোর অই নোংরা মুখে আমার নাম নিবি না
মেঘাঃ কি বলছো তুমি এইসব?
অনিকঃ এখনো তুই নিজের দোষ ঢেকে যাবি? লজ্জা করেনা তোর এতোটা নীচ তুই কি করে হতে পারিস?
অনিকের সব কথা মেঘার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে কি বলছে অনি ভাইয়া এইসব???তারই বা কি দোষ?মেঘার ভাবনার ছেদ পড়ে অনিকের কথায়(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
অনিকঃ আর কতো বড় সাহস তোর অই নোংরা হাত দিয়ে আমাকে টাচ করিস ??
মেঘাঃ এইসব কি বলছো তুমি? (কাঁদতে কাঁদত্র)
অন্যসময় হলে হয়তো অনিকের মেঘার কান্না সহ্য হতো না কিন্তু এখন তার মধ্যে এখন এইসব কিচ্ছু নেই যা আছে শুধু মেঘার প্রতি ঘৃনা অনিক কিছু না ভেঁবে মেঘার দিকে কিছু ছবি ছুড়ে ফেলল মেঘা কিছু না ভেঁবে ছবিগুলো তুলে নিলো তার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম কেননা এইসব ছবি তার সে একটা ছেলের সাথে আপত্তিকর অবস্হায় কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সে এই ছেলেটাকে কখনো দেখেই নেই সে অনিক কে উদ্দেশ্য করে বলল
—বিশ্বাস করো অনি ভাইয়া এইসব কিছু মিথ্যে আমি এই ছেলেটা চিনেই না
অনিক তাছিল্যের হাঁসি দিয়ে বলল
— বিশ্বাস তাও আবার তোকে হাঁসালি আচ্ছা মেঘা বলনা আমি কি তোকে কম ভালোবাসতাম??
মেঘা অনিকের কাছে এসে বলল
।– আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি একটু বিশ্বাস করো
অনিকঃ তোর থেকে পতিতারাও ভালো তারা মানুষের মন নিয়ে খেলা না
অনিকের কথা শুনে মেঘা স্তব্ধ হয়ে গেলো শেষে তাকে পতিতাদের সাথে তুলনা করলো তারই অনি ভাইয়া এই ছেলেটাকেই সেই এতোটায় ভালোবাসতো ছিহ
অনিকঃ তোর মতো একটা নোংরা মেয়ের মুখ আমাকে দেখেবি না এই বলে হনহন করে চলে যায় অনিক তার চোখেও পানি কিন্তু সেই চোখের পানি সে মেঘাকে দেখাতে চাইনা আচ্ছা মেঘা পারলো তার সাথে এমন করতো? তার ভালোবাসা বুঝলোনা মেঘা অনিক হনহন করে বেরিয়ে যায় মেঘা এখনো সেখানে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে মেঘা বলে উঠে
—আজ থেকে পৃথিবীর সব থেকে বাজে মেয়ে হবো আমি দেখো নিও অনিক চৌধুরী আই হেট ইউ অনিক চৌধুরি আই রেইলি হেট ইউ
?
?
?
হঠাৎ ঝিমির কথায় অতিত থেকে বেরিয়ে আসে মেঘা হঠাৎ করেই ৫ বছর আগের সেই কালো দিনটার কথা মেঘা না মনে করতে চাইলেও সে করে ফেলে সে তো অনিক চৌধুরিকে ঘৃনা করে তাহলে কেন কেন আবার তাকে মনে পড়ে তার মেঘা তার সামনে থাকা ওয়ানের বোতল ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
ঝিমিঃ মেঘা ইয়ার এতো বেশি খাস না পরে তুই ড্রাইভিং করবি কীভাবে
মেঘা বিরক্তি নিয়ে বলে
—চুপ স্টুপিড এই মেঘা শিকদার কখনো কারো ধার দারেনা আমার যখন ড্রিংক করতে ইচ্ছা করছে তখন করবোই বুঝলি?
চল ডান্স ফ্লোরে চল
ঝিমি আর কি মেঘার সাথে তাল মিলিয়ে ডান্স ফ্লোরে গিয়ে ডান্স করতে শুরু করলো মেঘার সোর্ট স্কার্ট এন্ড টপ্স পড়েছে চুলগুলো ঝুটি করা ম্যাকাপ নেই তাতেই তাকে নজরকরা সুন্দর লাগছে ক্লাবের সব ছেলেরা তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে এই ব্যাপারটা মেঘা বেশ ইঞ্জয় করে মেঘা শিকদার শহরের নাম করা ইন্ড্রস্ট্রিট আমান শিকদার ও নাম করা সাংবাদিক মেঘলার একমাত্র আদরের মেয়ে মেঘা কারো ধার ধারে না নিজে যা করবে সেইটাই ডিসিশন নেই নাইট ক্লাব করা ড্রিংক করা এইটা তার প্রতিদিন কার কাজ এইগুলা ছাড়া তার চলেই না বন্ধু বান্দব–আড্ডা নাইট ক্লাব ছাড়া তার চলেই না
মেঘা আপনমনে ডান্স করছিলো তখনি তার সামনে হাঁত বাড়ায় ইশান মেঘা ও ইশানের হাঁতে হাঁত রাখে
ইশানঃ হেই মাই সেক্সি বেইবি তোমাকে এতোটা আপসেট লাগছে কেন?
।
মেঘাঃ তুমি দেরি করলে কেন জানো বেইবি আমি তোমার জন্য সেই কখন থেকে ওয়েট করছি?
ইশান মেঘার গাল টেনে বলে
–ওলে আমার বেবিটা আমাকে মিস করছিলে বুঝি?
মেঘা মুঁচকি হেঁসে বলে
— কেন তুমি বুঝো না?
।
ইশানঃ আফকোর্স মাই সুইটহার্ট
ইশান খান মেঘার?টাইম পাসের বয়ফ্রেন্ড মানে মেঘা এইটা মনে করে ইশানের বাবা-মা ক্যানেডার বাসিন্দা এইটা মেঘা জানে?
বাকিটা পরে জানা যাবে
মেঘা আর ইশান কাপল ডান্স করছে সবাই সিটি বাজাচ্ছে বলছে কি কিউট কাপল ইশান এইগুলো শুনে এটোটিয়োড দেখালেও মেঘার সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই ঝিমি এসে বলে
—মেঘা আর কত দেখ রাত প্রায় ১টা বেজে গেছে
মেঘাঃ সো হু কেয়ারস?
ঝিমিঃ দেখ আংকেল আন্টি টেনশন করবে হয়তো
মেঘা তাচ্ছিল্যের হাঁসি দিয়ে বলে
।–আমাকে নিয়ে টেনশন করার টাইম তাদের আছে কি?
মেঘা ইশানের কাছে গিয়ে বলে(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
—ইশান?
–হু বেইবি বলো?
–আমি এখন বাসায় যাবো সো বাই
—এতো তাড়াতাড়ি?
–ইয়াপ
–তাহলে চলো আমি তোমাকে ড্রপ করে দিয়ে আসি
–আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি ইশান
–ওকে ডার্লিং বাট একটা কিস দিয়ে যাও
—ইশান তুমি যানো আমি যেমনই হয়না কিন্তু এইসব আমার একদম ভালো লাগেনা ওকে?তুমি সেইটা জানো
–আরে বেইবি আই ওয়াস কিডিং
—ওকে বাই
মেঘা যাওয়ার পরে মুন(ইশানের জিএফ?)
মুনঃ বেইবি তুমি অই মেয়েটার পিছনে এতো ঘুরো কেন? জানো আমার একটু ভালো লাগে না
ইশানঃ বেইবি তুমি তো জানো আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি তুমি আর মেঘা?
শিকদার ভিলা
?
আমান(মেঘার পাপা) সারা ড্রইং রুমে পাইচারি করছে আর বারবার ঘড়ির দিকে তাঁকাচ্ছে এদিকে মেঘ(মেঘার আম্মু) টেনসন এ যাই যাই অবস্হা একটা মাত্র মেয়ে এতোক্ষনে বাড়ির বাইরে থাকলে টেনশন হবেই
মেঘা বাড়িতে ঢুকেই দেখে তার পাপা আর মাম্মার কান্ড
মেঘাঃ হেই গাইস? তোমরা এখনো ঘুমোনি?
আমানঃ তুমি এতোক্ষন কোথায় ছিলে?(ধমক দিয়ে)
মেঘাঃ উফফ ড্যাড তুমি জানো এই মেঘাদ্রি ধমকে দমে য়ায়না সো প্লিয আমাকে ধমক দিবা না তোমরা জানো আমার পার্টি ক্লাব থাকে
মেঘাকে থামিয়ে দিয়ে আমান বলে উঠে
—কোন ভদ্র ঘরের মেয়ে এতো রাত করে নাইট ক্লাবে থাকে?
মেঘাঃ আমি কি বলেছি আমি ভদ্র?
মেঘঃ ছিহ মেঘা তুই তোর পাপার সাথে কিভাবে কথা বলছিস?
মেঘঃ তো কীভাবে কথা বলবো? আমাকে আমার কাজ করতে দাও আমার লাইফে এন্টারফেয়ার করার ট্রাই করবেনা এই বলে মেঘা হনহন করে বেড়িয়ে যায়
মেঘ সোফায় বসে কান্না জুড়ে দেয় আমান বসে মেঘ এর কাধে হাত রাখে
মেঘঃ আমার মেয়েটা তো এমন ছিলো না ও এমন হলো কেন? বলতে পারো?
আমানঃ হয়তো আমরা বেশি প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেছি
মেঘঃ অনিকটা ক্যানাডা যাওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েটা এমন হয়ে গেলো কি যে হচ্ছে কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা
আমানঃ এমন কেউ কি নেই যে আমার মেঘা কে আগের মেঘাতে পরিনিত করবে
—কেন আবার অনিক দাদাভাই
কন্ঠস্বরটা শুনে পিছনে ঘুরে দেখে মিজান সাহেব(আমানের বাবা)।
আমানঃ বাবা কি বলছো অনিক তো
।
আমানের বাবাঃ দেশে ফিরছে
মেঘাঃ সত্যি?
আমানঃকই অয়ন (অনিকের বাবা) তো আমাকে কিচ্ছু বলেনি
মেঘাঃ কালকে সকালেই ফোন করে জেনে নিও
আমানঃ ওকে।
চৌধুরি ভিলা?
রিমিঃ দাঁড়া দাঁড়া তুই আজকে তোর একদিন তো আমার একদিন, ??আমাকে শাকচুন্নি মাদার বলা
রিমি দৌড়াচ্ছে তার দুস্টু মেয়ে অয়রিকার পিছনে
অয়রিঃ এইযে আমার মাদার ইন্ডিয়া তুমি আমাকে একটুও ধরতে পারবা না
রিমিঃ কি বললি তুই একটু দাঁড়া তো
অয়রিকা চৌধুরি চৌধুরি ইন্ড্রাস্টির ওনার অয়ন চৌধুরির ও রিমি খান এর আদরের ছোট মেয়ে ভিষন দুস্টি অনার্স ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট পাপার আদরের প্রিন্সেস
অয়রি গিয়ে তার বাপির স্টাডি রুমে যায় গিয়ে দেখে তার পাপা কিছু ফাইল চেঁক করছে
অয়রিঃ ড্যাড আমাকে লুকাত্র হেল্প করো
অয়নঃ তো আমার লিটেল প্রেন্সেস তুমি আবার তোমার মমকে রাগিয়েছো নাকি?
অয়রিঃ তোমার বউকে কি রাগানো লাগে সারাদিন তো রেগে বোম হয়ে থেকে এখন আমাকে হেল্প করো নাহলে মম আমার উপর বোম ব্লাস্ট করবে
অয়নঃ কার এতো সাহস আমার পিন্সেস কে বকবে দেখি কার এতো সাহস
—আমি
অয়ন পিছনে ঘুরে দেখে রিমি কোমরে হাঁত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।
অয়রিঃ এইরে পাপা এইবার শেষ(মনে মনে)
অয়ন ক্যাবলামার্কা হাঁসি দিয়ে বলে
–আমি কিছু বলিনাই ??লক্ষি বউ??
অতঃপর রিমি অয়নের সাথে যা করলো তা পরের পর্বে জানবেন??
চলবে কি?
(আমি আপনাদের প্রিয়ে প্যাচের রানি আপু নিজের প্যাচভরা গল্প নিয়ে হাজির হলাম বুঝতেই পারছেন সিজন ১ এর থেকে সিজন ২ বেশি রহস্যজনক আপনাদের রিকুয়েস্ট সিজন২ আনলাম তাই কিপটামি না করে কেমন হয়েছে তা জানাবেন কিন্তু?)