?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ?
#পর্ব-৭ And #পর্ব-৮(বোনাস)
#Jannatul_ferdosi_rimi( Writer)
আমার হাত-পা থরথর করে কাঁপছে ছবিগুলো এইভাবে দেখে কি যে হচ্ছে বলে বুঝাতে পারবো না আমান এইসব পাঠাচ্ছে তার মানে আমান খুব শ্রীগ্রয় আসছে আর পারছি না ভাবতে কিচ্ছুক্ষন আগে অয়ন ভাইয়াকে ধাক্কা দিয়ে নীচে এসে দেখি সবাই ব্যাস্ত কাকিমনি রান্নাঘরের দিক্টা দেখছে বাবা আর কাকাই ডেকোরেসনের দিক্টা দেখছে আর মামা সব অতিথীদের আপ্পায়নের ব্যাব্সহা করছে আমি গিয়ে কাকিমনির গলা জড়িয়ে ধরি
কাকিমনিঃ কিরে কিছু বলবি
রিমিঃ সবাই তো কিছুনা কিছু করছে আমাকেও কিছু করতে দাও
কাকিমনিঃ একদম না সব মেয়েরা এখন পার্লারে সাজছে তুই যাস নি এখন আবার কাজ ও করবি তুই এখন রেস্ট নে সন্ধায় খুব সুন্দর লাগতে হবে না?
রিমিঃ আমি আর সুন্দর দেখলে না অয়ন ভাইয়া আর পায়েল আপু কি বলল?(ঘুমড়া মুখ করে)
কাকিমনিঃ ধ্যাত তুই জানিস না অয়ন তোকে সবসময় রাগানোর জন্য অইসব বলে আমার মেয়ের মতো সুন্দর কে আছে আমাকে দেখাতে তো আমি কাকিমনি কথা শুনে কাকিমনির গলা জড়িয়ে ধরলাম তখনি কলিংবেল টা বেজে উঠে
কাকিমনিঃ দেখ তো মা কে এসেছে?
রিমিঃআচ্ছা দাঁড়াও দেখছি
এই বলে আমি দরজা খুলে দেই দেখি একজন লোক
রিমিঃ কে আপনি?
লোকটিঃ আমি কুড়িয়ার অফিস থেকে আসছি কুরিয়ার আছে রিমি খান কে?
রিমিঃ আমিই
লোকটি আমার হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলল আপনার জন্য আমেরিকা থেকে কুরিয়ার এসেছে
আমি অনেকটাই অবাক হয়ে যাই তখনি কাকিমনি জিজ্ঞাসা করে
—কিরে কে এসেছে?
—কুরিয়ার আমার জন্য
—কোথা থেকে?
—আমেরিকা
—আমেরিকা(অনেকটা অবাক হয়ে)
—হুম
রিমিঃ আচ্ছা দিন
লোকঃ এইযে ম্যাম এই জায়গায় একটু সাইন করে দিন
—আচ্ছা
কাকিমনিঃ কে তোকে আমেরিকা থেকে পাঠালো?
রিমিঃ কে জানি?
আমি বাবাইয়ের কাছে গেলাম বাবাই ডেকোরেসোনের লোকদের সাথে কথা বলছিলো।
রিমিঃ বাবাই শুনো?
বাবাইঃ হ্যা মামনী বলো?
রিমিঃ তুমি কি আমার জন্য আমেরিকা থেকে কিছু আনিয়োছো?
বাবাইঃকই না তো
আমি বেশ অবাক হলাম আর কিছু না ভেবে ছুট লাগালাম ঘরের দিকে অয়ন ভাইয়া নীচে নামছিলো আমাকে এইভাবে যেতে দেখে খানিক্টা অবাক হলো
অয়নঃ কিরে কই যাচ্ছিস?
রিমিঃ আমার একটু কাজ আছে ( এই বলে তাড়াতাড়ি করে চলে গেলাম)
অয়ন ভাইয়া কাকিমনির কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো
—কাকিমনি?
—হু
—ওর কি হলো এইভাবে উপড়ে চলে গেলো
—আমেরিকা থেকে কি ওর জন্য কে নাকি কুরিয়ার পাঠিয়েছে
অয়ন অনেকটায় অবাক হয়ে বলে উঠলো
—আমেরিকা…
আমি ঘরে গিয়ে কুরিয়ারের প্যাকেটটা খুললাম যা দেখলাম তাতে হা পা কাঁপাকাপি শুরু হয়েছ কেননা এই প্যাকেটে আমার আর অয়ন ভাইয়া একসাথে অনেক গুলো ছবি আর সব ছবিতেই অয়ন ভাইয়ার মুখে ক্রস চিহ্ন দিয়ে মার্ক করা আছে হ্যা সব ছবিতেই একি কাজ তারমানে অয়ন ভাইয়ার সামনে অনেক বড় বিপদ কি হবে এখন?
তখনি ফোনটা বেঁজে উঠলো আননোন নাম্বার তবুও বুঝতে পারছি ফোনটা কে করেছে কোনোরকম নিজেকে সামলিয়ে(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি) ফোনটা রিসিভ করি…কাঁপাকাঁপা গলায় বলি…
—-আমান
আমানঃ আরে বাসস এখন দেখি তুমি আমার ফোন দেখেই বুঝে যাও আমি ফোন করেছি তো বেইবি আমাকে মিস করছো বুঝি?(বাঁকা হেসে)তা বেইবি গিফটটা কেমন লাগছে? ভালো লাগি নি?
রিমিঃ আমান তুমি কেন এইসব করছো?(অনুরোধ সুরে)
আমান এইবার রাগি কন্ঠ্র বলে উঠলো
—অইযে প্রতিশোধ প্রতিশোধ নিবো আমি তোমার থেকে
আমি কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠি
—তোমার যত শ্রত্রুতা তো আমার সাথে অয়ন ভাইয়ার তোমার কি করেছে
অয়ন এর সাথে শত্রুতার কথা শুনে যেন আমানের মাথায় আগুন ধরে যায়
—অনেক কথা আছে যানো তো বেইবি যা জানার দরকার পরে না তোমার সাথে খুব শ্রীগ্রই দেখা হচ্ছে ওকে বাই
টুট…টূট..
আমান আমাকে কিছু না বলতে দিয়েই ফোনটা কেটে দেয়…
হাটু ভাজ করে বসে পড়ি খুব কান্না পাচ্ছে খুব না আমাকে শক্ত থাকতে হবে অয়ন ভাইয়ার কোনো ক্ষতি করতে আমি অই খুনী আমান কে করতে দিবো না(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
?
?
?
সন্ধায় খান বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে… সব গেস্টরা চলে এসেছে আমাদের গার্ডেনে বড় স্টেজ করা হয়েছে বিরাট আয়োজন খান বাড়ির বড় মেয়ের সংগীত+ মেহেদী অনুস্টান বলে কথা মৌ আপুকে পার্লার থেকে আনা হয়েছে মৌ আপু গাড়িতে থেকে নামছে আমি জানালা দিয়ে দেখছি অনেক সুন্দর লাগছে পুরাই প্রিংসীস জামদানির দামি কাজ করা গোলাপী শাড়ি ভারি গয়না আমার মুড টা আজকে অনেকটায় খারাপ তাই সবাইকে আমার ঘরের জানালা দিয়েই দেখছি পায়েল আপু অনেক সেজেছে পুরাই ম্যাকঅাপ এর দোকান আর ছোট ছোট ড্রেস অনেক হাঁসি পাচ্ছে আমার??বুঝি বুঝি অয়ন ভাইয়াকে ইম্প্রস করার ধান্ধা কিছুক্ষন এর পর অয়ন ভাইয়া একটা গাড়ি থেকে নামলো অয়ন ভাইয়ার নামার পরেই সব মেয়ে হা হয়ে রয়েছে আমার মুখ ও অটোমেটিক হা হয়ে রয়েছে ডিজাইনার নীল পাঞ্জাবি পড়েছে হাতে দামী বেন্ডেড ওয়াচ চুলগুলো স্পাইক করা
চিকন ফ্রেম এর চশমা জাস্ট ওয়াও পায়েল আপু অয়ন ভাইয়াকে দেখেই বেহুশ হওয়ার অবস্হা আর এই মেয়েগুলাকেউ বলি কীভাবে অয়ন ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি উফফ(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)যাক গে মৌ আপুকে স্টেজে বসানো হলো
অয়ন গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই পায়েল অয়ন এর কাছে গেলো
পায়েলঃ অয়ন উ লুকিং সো হেন্ডসাম (ন্যাকা ভাবে)
অয়নঃ Thanks(টেডি স্মাইল দিয়ে)
পায়েলঃ আচ্ছা অয়ন আমাকে কেমন লাগছে????
অয়ন বিড়বিড় করে বলল
—ম্যাকআপ এর দোকান
পায়েলঃ কিছু বললে?
অয়ন জোড়পুর্বক হাসি ফুটিয়ে বলে
—কই না তো তোমাকে ভালোই লাগছে
পায়েলঃ শুধুই ভালো?
অয়ন বিরক্ত লাগছে তাও জোড়পুর্বক হাসি টেনে বলল
— অনেক ভালো লাগছে কিন্তু এতো ছোট ড্রেস পড়েছো কেন?
পায়েল মুখ ঘুমড়া করে বলে
— অয়ন তুমি কি জানো এই গুলা ফ্যাশন আমাকে কত ভালো লাগছে তুমিই তো বললা
অয়নঃ পুরাই অসহ্য লাগছে(বিড়বিড় করে)
পায়েল অয়নের হাত ধরে টেনে বলে
—চলো স্টেজ এর অইখানে ফোটো তুলবো
—আমার হাত ধরছো কেন তুমি যাও না
তখনি অয়নের মা এসে বলে
–আরে যা না মেয়েটার সাথে একটু ছবি তুললে কি হয়।
এদিকে কাকিমনি আমাকে দেখতে না পেয়ে উপরে যেয়ে দেখলো আমি ঘরের এক কোনায় নরমাল ড্রেস পড়ে বসে আছি কারন মাথায় যে আমার অনেক চিন্তা
কাকিঃ কিরে তুই এখনো রেডি হোস নি
রিমিঃ এইতো হচ্ছি
আমি একটা নেবি-ব্লু কালারের গাউন পড়েছি হাল্কা ম্যাকাপ চুলগুলো এক সাইড দিয়ে বেনী করা বেস আমি রেডি আমাকে দেখে কাকিমনি হা করে তাকিয়ে আছে
রিমিঃ এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
কাকিমনিঃ আমার মেয়েটা কে কি সুন্দর তোকেও এইবার বিয়ে দিতে হবে
বিয়ের কথা শুনেই অনেক লজ্জা পেলাম ইসস?
পায়েল অনুস্টানে সবাইকে এমন ভাবে বলে বেড়াচ্ছে যে অয়ন তার বিএফ এদিকে সব মেয়েরা জেলাস পায়েল তো সেই ভাব নিচ্ছে যদিও অয়ন জানে না জানলে পায়েল শেষ পায়েল অয়নের পিছন ঘুরে ভেরাচ্ছে অয়নের খুব বিরক্ত লাগছে তার চোখ তো শুধু তার রিমিপরিকেই খুজছে (লেখিকা রিমি)
আমি আস্তে আস্তে নীচে নেমে গার্ডেনে গেলাম অয়ন ভাইয়ার চোখ আমার দিকে যেতেই হা হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমার কেমন যেন অস্বস্হি লাগছে এইভাবে দেখছে আর অয়ন যেন কতবছর তার রিমিপরিকে দেখে নি তার চোখের সামনে নীলপরি দাড়িয়ে আছে
অয়নঃ হায় মে মারজাওয়া(মনে মনে)
পায়েলও সেটা খেয়াল করছে আর রাগে ফুসছে
আমাকে দেখেই মিনি আর রিক ছুটে আসলো আর আমাকে টানতে টানতে স্টেজ এ নিয়ে গেলো আমাকে দেখেই মৌ আপু বলল
—কীরে কই ছিলি এতোক্ষন?
—-ওই একটু মাথা ব্যাথা করছিলো তাই
—ঠিক আছে আয় বস
অনুস্টান শুরু হয়ে গিয়েছে মৌ আপুর ফ্রেন্ডস্রা মেহিদীহে রাজনে ওয়ালী গানে নাজছে সবাই হাত তালি দিচ্ছি…
হঠাৎ রিক অয়ন ভাইয়াকে টেনে স্টেজ এর এখানে নিয়ে আসে
অয়নঃ কিরে আমাকে আনলি কেন?
মিনিঃ তোমাকে গান গাইতে হবে।।।
মৌঃ হ্যা একদম অয়ন তুই অনেক ভালো গান গাস তাই আমার সংগীত তোকেই গান গেতেই হবে
অয়ন সবার জোড়াজোড়িতে রাজি হলো
অয়নঃ ওকে ওকে আমি রাজি বাট বাট আমার সাথে ফিমেল কাউকে গাইতে হবে( আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে)অয়ন ভাইয়া যে আমাকেই উদ্দেশ্য করে বলছে সেইটা সবাই বুঝতে পারছে
রিকঃ ওকে রিমি আপু গাইবে
তখনি পায়েল আপু বাঁধা দিয়ে বলে
—কেন রিমি কেন? আমি গাই তাহলে।
পায়েল আপুর কথা শুনে অয়ন ভাইয়া হু হা করে হাঁসতে লাগলো রিক আর মিনিও
রিকঃ তুমি কি গানের গা ও গাইতে পারো?
পায়েলঃ মানে??
রিকঃ আমার রিমিআপু গানে অনেক পুরুস্কার পেয়েছে বুঝেছো
অয়নঃ অই নাজমুল(অয়ন ভাইয়ার ফ্রেন্ড)
নাজমুলঃ হ্যা দোস্ত
অয়নঃ আমার গিটার টা দে
নাজমুল ভাইয়া গিটার টা অয়ন ভাইয়ার হাতে দিলো অয়ন ভাইয়া গিটার টা নিয়ে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি হেসে গাইতে লাগলো….
♪♪Main teno samjawaki♪♪
Na tere bina lagtaji♪♪♪(অয়ন)
♪♪tu ki jane payer mera main karo intejar teraaa♪♪♪♪(রিমি)
♪♪♪Tu dil tui O jaw meri
Main teno samjaWki na tere bina lagtaji♪♪♪♪(অয়ন)
Teno jadke kitte jawya tu mera parchwya tere mukhre viche meta ♪♪
♪♪rabnu apni pawya(রিমি)
♪♪♪ Tere binnnna haiii sajda tera kar dijta tu sun ekbar mera main karo intajar tera tu dil tui o jaa na meri main teno samjawaki♪♪♪(অয়ন)
দুজন একে অপরের দিকে অপলোক তাকিয়ে আছে
সবার হাত তালিতে তাদের হুশ আসে
গানটা গাওয়ার সময় দুজনের চোখেই আপনা আপনি জল চলে আসলো হয়তো এই গানের মাধ্যমেই দুজন দুজনকে কিছু বলতে চায়…এইদিকে অয়ন মা দাদি আর পায়েল রাগি ফুসছে
অয়নের মাঃ আমার ছেলেটাও না কি যে দরকার ছিলো
এদিকে পায়েল অপমান রাগে ফুসছে
পায়েলঃ আমাকে অপমান করা তাই না রিমি দেখো এইবার এই পায়েল কি করে
অসুস্টান প্রায় শেষ এর দিকে..
আমি আনমনে হাটছিলাম জুস এর গ্লাস নিয়ে তখনি পায়েল ইচ্ছা করে রিমিকে লাত্থি মারে যার কারনে রিমির জুস সব অয়নের মায়ের শাড়িতে পড়ে..
রিমিঃ সরি মামি আমি খেয়াল করি
মামিঃ তুই ইচ্ছা করে করেছিস তাই না ( রেগে) আমার শাড়িটা এই অনুক্ষণ এ মেয়ে শেষ করে দিলো
রিমিঃ আমি ইচ্ছা করে করি নি মামি সত্যি
পায়েল৷ গিয়ে ঠাস করে রিমির গালে চর মেরে দেয় যার কারনে আমি ছিটকে পড়ে যায় হিল জুতোর কাটিটা পায়ের সাথে লাগে যার কারনে আমার পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে চর এর আওয়াজে সবাই পিছনে ঘুরে তাকায় আমার এই অবস্হা দেখে অয়ন ভাইয়া তাড়াতাড়ি চলে আসে
অয়নঃ কি হয়েছে রিমিপরি তুই কাঁদছিস কেন?
আমি ফুপিয়ে কাঁদছি
অয়নের চোখ রক্তবর্ণ ধারন করে
অয়ন ভাইয়া আমার থুতনি উচু করে বলে
—কে তোকে মেরেছে
পায়েলঃ আসলে আমি বুঝতে পারি নি এতো জোড়ে লেগে যাবে
অয়ন তেড়ে এসে পায়েল কে থাপ্পড় মাড়তে যাবে তার আগেই অয়ন মা ধরে ফেলে
—কি করছিস কি?
—মা ওর সাহস কি করে হয় আমার রিমিকে মারার সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি কে কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা
—অই মেয়েটা আমার শাড়িতে জুস ফেলেছে তাই আর কি পায়েল
আমি কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠি
—আমি ইচ্ছা করে করিনি।
কাকিমনি বাবাই আমার কাছে আসে
বাবাইঃ আমার মেয়েকে আমি আজ পর্যন্ত গায়ে গাত তুলিনি তুমি কেন তুলেছো
কাকিমনিঃ তাই তো
অয়নঃ তোমাকে আমি পরে দেখে নিবে ডেম ইট আমার চোখের সামনে থেকে যাও না হলে যে আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না
পায়েল এই কথা শুনে কান্না করে গেলো
অয়নের দাদিঃ এইভাবে মেয়েটাকে বকছিস কেন?
অয়নঃ ওকে থাপ্পড় মেড়ে সব দাঁত ফেলে দেওয়ার উচিৎ আমার রিমিপরির গায়ে হাত তুলে
সবাই অবাক
অয়ন ভাইয়া আমার কাছে এসে বলে
—তোর কি বেশি লেগেছে?
—নাহ অয়ন ভাইয়া ঠিক আছি আমি
তখনি মৌ আপু কাছে এসে বলে
–কিসের ঠিক আছিস তোর পায়ে কতক্ষাঞ্জ কেটে গেছে
অয়ন ভাইয়া আর কিছু না ভেবে আমাকে কোলে তুলে ফেললেন এহেম কান্ডে আমি অনেকটায় অবাক হয়ে যাই
রিমিঃ আমাকে নামাও
অয়নঃ ওকে ব্যানডিজ করতে হবে আশা করি কারো কিছু বলার নেই…
সবাই আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমি লজ্জায় মরে যাচ্ছি পায়েল আপু লজ্জায় রাগে ক্ষোভে বেড়িয়ে গেলো তার পিছন পিছন আমার হিটলার নানু আর মামিও গেলো
অয়ন ভাইয়া আমাকে কোলে করে আমার ঘরের দউদ্দেশ্যে রয়না হলো আমি লজ্জায় যায় যায় অব্সহা আমি অয়ন ভাইয়াকে কিছু বলতেও পারছি না তার চোখ অসম্ভব লাল অনেক রেগে আছে
এইবার যা করলো..
চলবে কি?।।।