?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ??
#পর্ব-৪
#Jannatul_ferdosi_rimi(Writer)
অন্ধকার একটি ঘরে কিছু একটা ভেবে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে অচেনা ব্যাক্তিটি দরজা কেউ নক করায় তার ভাবনায় ছেদ পড়ে…
অচেনা ব্যাক্তিঃ কে?…
—–স্যার আমি গুপ্তচর
অচেনা ব্যাক্তিঃ কি খবর এনেছো?
—-স্যার আমান স্যার দেশে ফিরছে
অচেনা ব্যাক্তিঃ ওয়াও তার মানে আমাদের প্লেন মাফিক ই সব হচ্ছে(বাঁকা হেসে)
—–জ্বী স্যার
অচেনা ব্যাক্তিঃ গুড বেরি গুড এইবার এই অয়ন চৌধুরী রিমি খান আর আমান শেখ এই তিনজন একে অপরকে ভুল বুঝবে তারপর একে অপরের ক্ষতি করবে এদিকে আমাদের রাস্তা ক্লিয়ার(শয়তানি হাসি দিয়ে)
—-ঠিক বলেছেন বস..
অচেনা ব্যাক্তিঃ খেলা বেশ জমে উঠবে কি বলি
—–একদম স্যার..??
পিছনে ঘুরে দেখি অয়ন ভাইয়া তখনি মনে পড়ে গেলো কিছুক্ষন এর আগের ঘটনা টা
খুব অভিমান হচ্ছে খুব অয়ন ভাইয়া আমার উত্তর না পেয়ে আবারো জিজ্ঞাসা করলো
?
?
—কিরে তুই পুলিশ স্টেশন এর এখানে কি করছিস?
—তুমি এখানে কি করছো?
—আমি অফিসে যাচ্ছিলাম তোকে দেখলাম তুই এখানে দাড়িয়ে তাই জিজ্ঞাসা করলাম তুই এখানে কেন( সন্দেহের দৃস্টিতে)
আমি ভেংচি কেটে বলি
—সেইটা তোমার না জানলেও চলবে
অনেক রাগ হচ্ছে লোকটার উপর অয়ন ভাইয়াকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে বেক করি অয়ন ভাইয়া হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে হয়তো বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে তাই
?
……
রকিং চেয়ারে বসে আছি আর ভাবছি কি হবে কিছুই বুঝতে পারছিনা আচ্ছা আমার সাথে আমানের শত্রুতাটা তো বুঝলাম কিন্তু অয়ন ভাইয়া অয়ন ভাইয়াকে ও কীভাবে চিনে যখন আমানের সাথে আমার পরিচয় হয় তখন অয়ন ভাইয়া বিদেশে ছিলো….অয়ন ভাইয়া আর আমান এর মধ্যকার সম্পর্ক কি?
নাহ নাহ মাথা হেন্গ হয়ে আসছে মাথা টা ঠান্ডা করতে হবে….
হ্যা এখন একটু সাওয়ার নিয়ে আসতে হবে
আমান বেডে শুয়ে আছে একধ্যানে তার ফোনের ওয়েলপেপাড়ে তাকিয়ে আছে একটা ২২-২৩ বছরে একটি মিস্টি দেখতে মেয়ের ছবি
আমানের চোখ থেকে দু-ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো
?
—-বনু জানিস আমিও তোর মতো ধোঁকা খেয়েছি ভালোবাসায় তুই যেমন অই মানুষরুপি শয়তান অয়ন চৌধুরিকে ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলি তেমনি আমিও আমার রিমিপাখি কে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু ও আমাকে বিনা দোষে সবার সামনে অপমান করলো ছাড়বো না কাউকে ছাড়বো না অয়ন চৌধুরি আর রিমি খান এর জীবন নরকময় করে তুলবো…????
তখনি আমানের বাবা(মিঃ শরীফ) আসে
আমানের বাবাঃ শুনলাম তুমি নাকি বাংলাদেশে ফিরছো(গম্ভির কন্ঠে)
আমানঃ জ্বী বাবা
আমানের বাবাঃ আমার মনে হয় তোমার অইখানে না যাওয়াই ভালো
আমানঃ কি বলছো তুমি বাবা আমি ওদেরকে এমনি এমনি ছাড়বো??নেভার আমান শেখ কাউকে ছাড়বে না
আমানের বাবাঃ দেখো আমান তুমি যাই করবে একটু বুঝে শুনে করবে সব খোজ নিয়ে দেখো এম্নিই আমার মেয়েটাকে হারিয়েছি এখন যদি তোমার কিছু হয় তখন?
আমানঃ তুমি চিন্তা করো না বাবা এইবার যা ক্ষতি হবে সব ওদের হবে (বাঁকা হেসে)
?
?
?
পায়েল মুখ ঘুমড়া করে লিভিং রুমে বসে আছে
মিসেস নিশি(অয়নের মা) উপরে যাচ্ছিলো পায়েলকে এইভাবে দেখে পায়েলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে..
মিসেস নিশি;ঃ কিরে তুই এইভাবে মুখ ঘুমড়া করে আছিস কেন?
পায়েলঃ আরে বলো না আমি অয়ন কে জড়িয়ে ধরেছি বলে আমাকে কত কথা শুনালো(ন্যাকা কান্না করে)
মিসেসে নিশিঃ আরে আমার বাচ্চা কান্না করিস না শুন আমার ছেলেটার মাথাটা অই মেয়েটা চিবিয়ে খেয়েছে তাই এইরকম কর ছে আর তোকে এখানে কেন এনেছি বল?
পায়েলঃ যাতে তোমার ছেলেকে আমার দিকে ফিরিয়ে আনতে পারি
মিসেস নিশিঃ তাহলে? তুই পারবি না অই অনুক্ষণ এর মেয়েটার হাত থেকে আমার ছেলেকে বাঁচাতে
পায়েলঃ পারতেতো আমাকে হবেই(ডেবিল হাঁসি দিয়ে)
?
?
?
এদিকে…
অনেকক্ষন সাওয়ার নেওয়ার জন্য আমার চোখ দুটো লাল হয়ে রয়েছে ওয়াসরুম থেকেই বের হয়েই আরেকদফা অবাক হই
একি এই অয়ন ভাইয়াটা এখানে কেন??
বজ্জাতটা আমার খাটে শুয়ে আপনমনে ফেসবুকিং করছে
আমি জোড়ে চিৎকার দিয়ে
এই আপনি এখানে কেন?
আমার চিৎকারে অয়ন ভাইয়া শুয়া থেকে উঠে বসলেন কিছু বলতে যাবেন তার আগেই তিনি স্তব্ধ হয়ে যায় কেননা আমার৷ ভেজা চুলগুলো কোমর অবদি নেমেছে চুল গুলো থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে কালো রংয়ের একটা থ্রীপিজ পড়েছি যেটা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে অয়ন ভাইয়ার চোখে স্পষ্ট নেশা কাজ করছে যা আমি ভালো করেই বুঝতে পারছি
অয়ন আনমনেই বলে উঠে
—মাশাল্লাহ.
এই বলে অয়ন ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছে আর আমি ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছি
আমি কাঁপা কঁাপা গলায় বললাম
—এইদিকে আগাচ্ছেন কেন?
অয়নঃ তুই পিচ্ছাচ্ছিস বলে
রিমিঃ আপনি এখানে কেন? এতো রাতে?
অয়ন ঃ তোকে দেখতে এসেছি(বাঁকা হেসে)
রিমিঃ কিহ?
চলবে কি?..