?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ??
#পর্ব-২
#Jannatul_ferdosi_rimi
পরিচিত কন্ঠ ভেসে উঠে..
–রিমি পাখি আমি আসছি
কন্ঠ টা শুনার পর আমার হাত পা রীতিমত কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেলো ভয়ে আমার হাত পা জমে যাচ্ছে কথা বলতেও যেন আমার গলা কাঁপছে তাও নিজেকে কোনোরকম কনট্রোল করে উত্তর দিলাম।
রিমিঃ আমান আপনি?
ছাঁদে এক পাশে দাড়িয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত অয়ন
সিগারেটের ধোয়ার বাতাসের সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে
অয়নঃ আচ্ছা রিমিপরি কি আমাকে ভুল বুঝলো? আজ ওর চোখে আমি আমার জন্য ঘৃণা দেখেছি নাহ নাহ আমি এইসব মানতে পারছে না মাথা টা ব্যাথা করছে
পরক্ষনে অয়নের মনে পড়লো অজয় কীভাবে রিমির পেটের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
মুহুর্তের মধ্যেই অয়নের চোখ রক্তবর্ন ধারন করলো
অয়ন কাকে যেনো কল করলো
অয়নঃ কাজটা করতে বলেছিলাম হয়েছে??
——
অয়নঃ Good job!(বাঁকা হেঁসে)
——-
অয়নঃ ওকে বাই
টুট..টুট…টুট..
এদিকে…
আমি কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে
আমানঃ যাক আমার রিমি পাখি আমাকে মনে রেখেছে (ডেবিল হাঁসি দিয়ে)
রিমিঃ আমান তু..মি..এ..খা..নে. তোমার তো জে..লে…(কাঁপা কঁাপা গলায়)
আমানঃ কেন বেইবি তুমি কি ভেবেছো দ্যা গ্রেট আমান শেখ জেলে পঁচে মরবে তুমি কি জানো না আমান শেখ কে আটকে রাখবে এমন জেল পৃথিবীতে তৈরি হয়নি(ডেবিল হাঁসি দিয়ে)
আমি কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা
রিমিঃ দেখো আমান..
আমানঃ বেইবি আমি দেখবো খুব ভালো করে দেখবো আমি আসছি তোমার জীবন নরকে পরিনীত করতে?? আর তোমার ইশক কে যেন অহ অয়ন চৌধুরী যার জন্য তুমি আমার এই অবস্হা করেছো তার জীবনও শেষ করতে আসছি
রিমিঃ আমান দেখো তোমার যত শত্রুতা আছে তা তো আমার সাথে তাই না তুমি অয়ন ভাইয়াকে এর মাঝে এনো না প্লিয (কাঁদতে কাঁদতে)
রিমির কান্না যেন আমানকে অনেক তৃপ্তি দিচ্ছে
আমান বাঁকা হেসে বলে
আমানঃ প্লিয ডোন্ট ক্রাই বেইবি তুমি তো জানো তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারি না যতই হোক তোমাকে আমি একদিন ভালোবাসতাম (এই বলে আমান জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো)
কি ভয়ংকর সেই হাঁসি
রিমিঃ আমান প্লিয ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড অয়ন ভাইয়ার কোনো ক্ষতি করো না প্লিয তুমি আমাকে যা ইচ্ছা করো আমি কিচ্ছু করবো না
আমানঃ সরি বেইবি তোমার কথা আমি রাখতে পারলাম না শুধু এইটা আমি আসবো আর তোমাদের জীবন নরক বানিয়ে দিবো( শয়তানি হাঁসি দিয়ে)
বাই বেইবি গুড নাইট
রিমিঃ আমান শুনো শুনো প্লিয শুনো
আমান আমাকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে ফোন কেঁটে দিলো।
আমি ধপ করে মাটিতে বসে পড়লাম আর কাঁদতে লাগলাম আমান যদি ফিরে আসে তাহলে ও শুধু আমার ক্ষতি করার চেস্টা করবে না অয়ন ভাইয়ার ক্ষতি করার চেস্টা করবে
যতই হোক অয়ন ভাইয়াকে ভালোবাসি..
কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম খেয়াল নেই
রিমি বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়লো
অয়ন বারান্দার সাথে পাইপ বেয়ে উপরে উঠলো কারণ সে জানে রিমি এই সময় ঘুমে
অয়ন বারান্দায় এসে দেখে!
আমান ফোনটা কাটার পর,
একটি বড় ছবির কাছে যায় রিমির হাসি মাখা ছবি আমান ছবিটার উপর ছুরি দিয়ে স্লাইড করছে আর বলছে
আমানঃ অনেক ভালোবাসতাম তোমাকে কিন্তু তুমি আমাকে বুঝলে না ঠিক আছে বুঝার দরকারও নেই আমান শেখ আসছে তোমার জীবনে একটা বড় টর্নেডো হয়ে(ডেবিল হাঁসি দিয়ে)
এদিকে…
অয়ন দেখে রিমি বারান্দায় এক কোনায় বসে ঘুমাচ্ছে
অয়নঃ এই মেয়েকে নিয়ে আর পারি না
অয়ন গিয়ে রিমির কাছে বসে গাঁয়ে হাত দিয়ে দেখে ভীষন গরম
অনেক জ্বর এসেছে
অয়নঃ Oh my god! মনে তো হচ্ছে অনেক্ষন ভিজেছে এই মেয়েটা এতো ইডিয়েট কেন স্টুপিড মেয়ে একটা
এই রিমি উঠ
রিমি কে ডাকে কিন্তু রিমির কোনো সারাশব্দ নেই
অয়ন অনেকটায় ভয় পেয়ে যায়
অয়নঃ ওর কিছু হলো না তো নাহ নাহ আমাকেই কিছু করতে হবে
অয়ন রিমিকে কোলে করে বেডে শুয়িয়ে দেয়
অয়নঃ এই রাতে তো ডক্টর বা বাড়ির কাউকেই কিছু বলা যাবে না নাহ নাহ আমার রিমিপরির অনেক কস্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি
আমাকেই কিছু করতে হবে
অয়ন বাটিতে পানি আর সাদা কাপড় আনে তারপর রিমির মাথায় জলপট্টি দিতে থাকে হঠাৎ অয়ন খেয়াল করে রিমি বিড়বিড় করে কি যেন বলছে
অয়ন কান পাতে শুনার জন্য
আমি জ্বরের মধ্যে বলছি
—অয়ন ভাইয়া ও আসছে
অয়ন রিমির কথা কিছুই বুঝতে পারছেনা
অয়নঃ রিমি আমাকে কি বলতে চাচ্ছে
অয়ন দেখলো রিমি অনেক কাঁপছে রিমি গোলাপি ঠোট জোড়াও কাঁপছে অয়ন যেন ঘোরের মধ্যে যাচ্ছে সে আর কিছু না ভেবে রিমি ঠোট জোড়া ছুঁয়ে দিলো
অয়নঃ নাহ নাহ এইসব আমি কি করছি কনট্রোল অয়ন কনট্রোল
অয়ন রিমির শরীরে কম্বল দিয়ে দিয়ে কিন্তু তাও রিমির কাঁপুনি কমছে না
রিমি আর কিছু না ভেবে রিমিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে..
সকালে..
মাথায় অনেক ব্যাথা অনুভব করলাম আস্তে আস্তে চোখ খুলে যা দেখি তাতে অবাক হয়ে যাই…
চলবে কি??
(কোনো বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন)