তুই আমার অন্যরকম নেশা পর্ব-১৯+ এক্সট্রা পার্ট

0
2930

?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ?
#পর্ব-১৯+ এক্সট্রা পার্ট
#Jannatul_ferdosi_rimi [Writer]

অয়ন হসপিটালে মসজিদে বসে কান্না করছে হ্যা সে আজ তার রিমিপরীর প্রান ভিক্ষে করছে তার আল্লাহ এর কাছে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ই আছেন যার উপরে অয়নের সম্পুর্ন বিশ্বাস আছে ফযরের আযান দেওয়ার সাথে সাথেই অয়ন মসজিদে এসে পড়েছে চিৎকার করে কান্না করছে চারপাশে লোকজন অবাক একটা মেয়েকে কতটায় না ভালোবাসলে একটা ছেলে এইভাবে কান্না করতে পারে অয়নের কান্না দেখে ইমাম সাহেব সহ বাকিদেরো চোখে জল চলে আসে অয়ন তার মোনাজাতে আল্লাহর কাছে তার প্রিয়তমার প্রান ভিক্ষে চাইছে ২৮ ঘন্টা পেড়িয়েছে রিমির জ্ঞান ফেরি নি নিজেকে এতোটা অসহায় অয়নের কখনো লাগেনি
অয়নঃ আল্লাহ প্লিয আমার রিমিপরীকে তুমি আমার কাছে ফিরিয়ে দাও তার বদলে তুমি আমাকে নিয়ে যাও কিন্তু আমার রিমিপরীকে বাঁচিয়ে দাও প্লিয আল্লাহ সেভ মাই লাভ তুমি ছাড়া আমার রিমিপরীকে কেউ সুস্হ করতে পারবে না জানি অয়ন এইসব বকছে আর কান্না করছে এবং একসময় সে অজ্ঞান হয়ে যায়(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

?
আমান, মিঃসৈকত অয়নকে খুঁজতে খুঁজতে এসে দেখে অয়ন অজ্ঞান হয়ে আছে তাড়াতাড়ি করে অয়নকে হসপিটালে এডমিট করা হয়
?
আমান রিমির কেবিন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের পানি ফেলছে কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে পিছনে তাঁকিয়ে দেখে মেঘলা

আমানঃ মেঘ তুই?

মেঘঃ হুম

আমানঃ তুই এখনো যাসনি?

মেঘঃকীভাবে যাই বলো?মেয়েটার এই অবস্হা খুব খারাপ লাগছে (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

প্রতিউত্তরে আমান কিচ্ছু না বলে কেবিনের দিকে তাঁকিয়ে রইলো

মেঘঃ রিমিকে খুব ভালোবাসো না?

মেঘ এমন প্রশ্নে আমান মুচকি হেঁসে বলল

—আমার ভালোবাসা আজ অয়নের কাছে হেরে গেছে রিমিকে অয়নের থেকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না

মেঘঃ কিন্তু আমার মনে তুমিও ওকে অনেক ভালোবাসো

আমানঃ(মেঘের দিকে তাঁয়িকে)

মেঘঃ কতটুকু ভালোবাসো?

আমানঃ হয়তো তুই আমাকে যেমন ভালোবাসিস ঠিক তেমনি

মেঘ আমানের দিকে অবাক হয়ে তাঁকালো

—কি ভেবেছিস আমি বুঝি না তোর অনুভুতি? তুই আমার সেই ছোট্টবেলার ফ্রেন্ড আমি তোর মন ঠিকই বুঝি হয়তো সেইতা প্রশয় দিতে চাই নাই

—রিমিকে ভালোবাসে হয়তো আমার ভালোবাসা মানতে পারো নি?তাই না?

প্রতিউত্তরে আমান শুকনো হাঁসলো

নার্স রিমিকে অবজার্ব করছিলো হঠাৎ খেয়াল করলো রিমির আন্গুল নরছে নার্স তাড়াতাড়ি করে ডক্টর কে ডাকলো।।

নার্স বাইরে এসে বলল

–ডক্টর পেশেন্ট নড়ছে নার্স এই কথা শুনে সবাই যেন জান ফিরে পেলো

ডক্টর কেবিনে ঢুকলো অয়ন এখনো অজ্ঞান মুলত তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে
?
আস্তে আস্তে চোখ খুলে অয়ন নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিস্কার করলো তৎখনাক মনে পড়লো সে অজ্ঞান হয়ে৷ গিয়েছিলো আচ্ছা তার রিমিপরী কোথায়?ও কেমন আছে অয়ন নরতে গেলে খেয়াল করলো তার হাঁতে ক্যানেল সে তাড়াতাড়ি ক্যানেল খুলে ফেললো ছুটলো রিমির কেবিনের উদ্দেশ্যে অয়নকে এইভাবে ছুটে আসতে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো
মিসেস নিশি এগিয়ে এসে বলল

–তুই এই শরীর নিয়ে আসলি কেন?

অয়নঃ মা অইসব বাদ দাও আগে বলো রিমি কোথায়?

আমানঃ অয়ন রিমির জ্ঞান ফেরিছে

অয়ন এর মুখে খুশির ঝলক ফুটে উঠলো

ডক্টরঃ সবাইকে অভিনন্দন পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে

সবাই অনেক খুশি হয়।।

অয়ন খুশিতে কেঁদে দেয়

অয়নঃ ডক্টর আমি কি ওর সাথে এখন দেখা করতে৷ পারবো?

ডক্টরঃজ্বী অবশ্যই কেন নয়

আমানঃ হ্যা অয়ন তুমি গিয়ে ওর সাথে দেখা করো৷

অয়নঃ ?হুম

আস্তে আস্তে চোখ খুলেলাম পাশেই অয়ন ভাইয়াকে৷ আবিস্কার করলাম আমার পাশে চোখগুলো ফোলা বুঝায় যাচ্ছে অনেক কান্না করেছে সিল্ক চুলগুলো এলোমেলো করা তাতেও কি সুন্দর দেখাচ্ছে অয়ন ভাইয়াকে অয়ন ভাইয়া আমার হাঁতটা খুব শক্ত করে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে একটু ছাড়লেই আমি হয়তো কোথাও পালিয়ে যাবো আমাকে উঠতে দেখে ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে বলে

— কেমন আছিস রিমিপরী তোর কোথাও ব্যাথা হচ্ছে আমাকে বল

—অয়ন ভাইয়া৷ আমি ঠিক আছি

—তুই জানিস কতটা চিন্তা হচ্ছিলো আমার তোর কিছু হলে আমি মরেই

আমি অয়ন ভাইয়ার মুখে হাঁত দিয়ে বলি
।–ইসশ একদম না তোমার রিমিপরী তোমাকে ছাড়া কোথাও যেতে পারে

অয়ন ভাইয়া৷ আমার হাঁতটা ধরে চুমু খেলো হাতে তরল কিছু অনুভব করতেই বুঝতে পারলাম অয়ন ভাইয়া কাঁদছে কিন্তু এইটা সুখের কান্না ?
?
সবাই আমার সাথে একে একে দেখা করে গেলো নানুমা আর মামিও আমাকে দেখে কান্না করেছে

নানুমাঃ দিদিভাই আমাকে ক্ষমা কর অনেক অন্যায় করেছি রে

মামিমাঃ হ্যা রে মা আমাদের ক্ষমা কর

রিমিঃ ছি ছি তোমরা না আমার গুরুজন এইভাবে ক্ষমা চেতে হয় মামিমা তুমিও না

মামিমাঃ এই কি মামিমা করছিস মা বলবি বুঝলি তুই আমার অয়নের৷ বউ না

আমি খুশিতে মামিমা কে জড়িয়ে ধরলাম সবাই খুশি আমানকে দেখছিনা
?

কেবিনের বাইরে দাঁড়িয় আছে আমান তার পাশে মেঘলা

মেঘঃ আমান ভিতরে যা রিমির সাথে দেখা কর

আমানঃ আমি কোন মুখ নিয়ে যাবো? অয়ন আর রিমি কত হ্যাপি এখন আমি শুধু গিয়ে ওদের মুডটা নস্ট করতে পারিনা

মেঘঃ ফ্রেন্ড হিসেবেও যেতে পারো তাই না

আমানঃ আমাকে একটু সময় দে মেঘ দেখবি আমিও তোকে নিয়ে অনেক খুশি হবো হয়তো রিমিকে কখনো ভুলতে পারবো না কিন্তু তোকে আমার মনের সবটুকু জায়গা দিতে চাই মেঘ

মেঘ নাই চাইতেও কেঁদে দেই হ্যা এটা তার খুশির কান্না সে আমানকে জড়িয়ে ধরে আমানও পরম আবেশে জড়িয়ে ধরে কারো কাশির আওয়াজে দুইজনেই দুজনকে ছেড়ে দেয় দেখে অয়ন মুচকি মুচকি হাঁসছে

—সরি আসলে আমি হয়তো ভুল টাইমে

আমানঃ আরে অয়ন এমন কিছু না
মেঘ তো ভীষন লজ্জা পায়

অয়নঃ আমান রিমি তোমাকে ডেকেছে

আমানঃ আমাকে?

অয়ন ঃজ্বী।।

মেঘঃ যাও একটু দেখা করে এসো

অয়নকে আমানকে নিয়ে ভিতরে ঢুকে আমান রিমির পাশের চেয়ারে বসে

আমানঃ রিমি

আমানের ডাকে রিমির হুশ আসে

অয়ন মনে করলো এখন ওদের একটু আলাদা কথা বলার দরকার
অয়নঃ আমান তোমরা কথা বলো আমার একটা জরুরি ফোন এসেছে
তাই তোমারা কথা

আমান কিছু বলবে তার আগেই রিমি বলে উঠলো
।— ওকে তুমি কথা বলে এসো

অয়ন যাওয়ার

আমান আর রিমি একসাথেই বলে উঠলো
–সরি
আমি অবাক হয়ে বললাম

—আমান সরি তো আমার বলার উচিৎ আমার জন্য আমাকে থামিয়ে দিয়ে

—নাহ রিমি তোমার জায়গায় যে কেউ হলেই এমন ভুল বুঝতো কিন্তু আমি কী করে অয়নকে ভুল বুঝলাম আর
তোমাদের মাঝেও ঝামেলা করার চেস্টা করেছি

রিমিঃ আমান বাদ দাও না আমারও কম ভুল ছিলোনা যা হওয়ার হয়েছে আচ্ছা তুমি কী আমার বন্ধু হবে?

আমান আমার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বলে উঠে

–সত্যি? রিমি আমাকে বন্ধু বানাবে?

তখনি অয়ন ভাইয়া ভিতরে ঢুকে বলে

—শুধুই কি?রিমি বন্ধু আমার বন্ধু হবে না? আমান?

আমান টেডি স্মাইল দিয়ে অয়নকে জড়িয়ে ধরে অয়নও জড়িয়ে ধরে

মেঘলা আপু আমার হাত ধরে৷বসে আমি মুচকি হাঁসি(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

?
২মাস পর

এখন রিমি পুরোপুরি সুস্থ আর একটা কথা আজকে রিমির আর অয়নের বিয়ে খুব ধুমধাম ভাবেই হলো আর হ্যা সেদিন পুলিশ আদিকে ইনকাউন্টার করে তার স্পোটেই মৃত্য হয় পাপ কে পাপকে ছাড়েনা
মিসেস ঝিলি(আদির মা) তার খবর আর পাওয়া গেলো না

আমান আর মেঘ ও অনেক আনন্দ করেছে তাদের বিয়েতে

গাড়িতে।
আমান ড্রাইভ করছে আর মেঘকে আড়চোখে মেঘ কে দেখছে আর মেঘ সেই তো ভয়ে শেষ কেননা৷আজকে বিয়েতে একটা ছেলের সাথে কথা বলেছে সেইটা আমান দেখেছে ব্যাস মহাসয় রাগ এই কয়দিনে আমান আর মেঘ এর সম্পর্ক অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে

মেঘঃ আমান শুন

আমানঃ কি?

মেঘঃ আমি সরি

আমানঃ কিসের জন্য?

মেঘঃ অইযে অইসময়

আমানঃ সরি বললে হবে না শাস্তি পেতে হবে

মেঘ ভয়ে ঢোক গিলল

মেঘঃকি?

আমান মুচকি হেসে মেঘের কোমর ধরে মেঘকে কাছে এনে ঠোটের সাথে ঠোট ডুবিয়ে দেয় আমানের এমন কাজ মেঘ শকড
?
বাসর রাতে লম্বা ঘুমটা টেনে বসে আছি আজকে ২য় বাসর ১ম বাসরের কথা ভেবেই হাঁসিতে ফেটে পড়ছি
হঠাৎ দরজায় খুলায় হুশ আসে হ্যা অয়ন এসেছে

আমি ধীর পায়ে অয়নের কাছে গিয়ে ওকে সালাম করতে যাবো৷ তার আগেই অয়ন আমাকে ধরে ফেলে

রিমিঃ অয়ন ভাইয়া

অয়ন ভাইয়া রেগে

বলে

–অই জামাইকে কেউ ভাই ডাকে বেদ্দব মাইয়্যা
অই বউ আমাকে অয়ন বলে ডাক

আমি লজ্জা পেয়ে অয়নের বুকে মাথা রাখি

অয়নঃ এইযে এটাই তোর আসল জায়গা আমার পায়েনা আই লাভ ইউ বউ

রিমিঃ আই লাভ ইউ টু অয়ন

অয়ন আমার মুখে নিজের নাম শুনে খুশিতে আত্ত্বাহারা হয়ে যায় আমাকে কোলে করে নেয় আমি কিছু বলতে যাবো।

—না বউ তুই ১ম বাসররাত পাঞ্চার করছোস আর না আই কেন নোট কান্ট্রোল

সো মে আই?

আমি লজ্জা পেয়ে অয়নের বুকে মাথা রাখি

অয়ন তার উত্তর পেয়ে গেছে মুচকি হাঁসে রিমিকে বেডে শুয়িয়ে সমস্ত ভর তার উপর ছেড়ে দেয়
লাইট অফ করে দেয়

ডুব দিলো এক ভালোবাসার সাগরে যেখানে শুধু সে আর তার রিমিপরী থাকবে তারপর আপনাদের লেখিকা আর কিছু দেখে নাই???আসলে লাইট অফ তো এইখানে কি করেন যান তো ওরা ওদের মতো থাকুক আমরা চলে যাই (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

কিছুদিন পর,,,
আমি আর মা রান্না করছিলাম মা আমাকে কিচ্ছু করতে দেয়না কিন্তু তাতে আমার কি আমি জোড় করে করবো হঠাৎ করেই মাথা ঘুড়ে উঠলো তারপর কিচ্ছু মনে নেই

নিজেকে বেডে আবিস্কার করলাম দেখালাম অয়ন কান্না করছে আচ্ছা আমার কি? কিছু রোগ হয়েছে

আমি উত্তেযিত হয়ে বললাম

—অয়ন আমার কি হয়েছে?

অয়নঃ আমি রিমির হাতটা ধরে চুমু খেয়ে বললাম
রিমি তুই জানিস না তুই আমাকে কত বড় গিফট দিয়েছি আমি বাবা হবো

অয়নের কথা শুনে কি বলবো বুঝতে পারছিনা আমি মা হবো? মা হওয়ার অনুভুতি সত্যিই সুন্দর নিজের পেটে হাঁত বুলালাম অয়ন আমার দিকে ঝুকে পেট থেকে কাপড় সরিয়ে কিস করলো আমি কেঁপে উঠলাম
?
মামা বাপি কাকাই সবাই চৌধুরি বাড়িকে মিস্টির দোকান বানিয়ে ফেলছে প্রথম সন্তান আসছে বলে কথা আমান আর মেঘলা আপুও এসেছে ওনেক বড় আয়োজন সবাই খুশি সব থেকে বেশি খুশি অয়ন

৮মাস পর

গাল ফুলিয়ে বসে আছি ? ওনেক রাগ হচ্ছে অয়ন টার উপর ও আপ্নারদের তো একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম কিছুদিন পর আমান আর মেঘ আপুর বিয়ে আমার অনেক শখ আমি শপিং করতে যাবো কিন্তু অয়ন খাটাশটা আমাকে যেতেই দিলো না কিন্তু এই কয়েকমাসে সে আমার অনেক কেয়ার করেছে আমি যখন যা চাই তাই দিয়েছে

আমি গাল ফুলিয়ে বসে আছি

অয়ন আমার পাশে এসে বলল

— প্লিয বউ এইভাবে রাগ করিসনা

—চুপ একদম কথা বলবিনা(রাগ উঠলে তুই করে বলি?)

—এইরে বউ আমার রাগ করছে দেখো বউ এইসময়টা ভালোনা তাই তোমাকে যেতে দেই নেই আমি কি চাইবো বলো তোমার আর আমার লিটেল প্রিন্সেস এর ক্ষতি হোক

আমি অবাক হয়ে বললাম

—প্রিন্সেস মানে?

–মানে আমাদের ঘরে আরেকটা ছোট্ট রিমিপরী আসবে ঠিক তোর নতো

—ইসস কে বলেছে ছোট্ট অয়ন আসবে ঠিক আপনার মতো

—নাহ ছোট্ট রিমিই আসবে

আমি আর কী রেগে বোম অয়ন এর তামিল হিরোদের মতো সিল্ক চুলগুলো ধরে দিলাম টান

অয়নঃ আউচ্ রিমি ছাড় দেখ তুইনা বলিস আমার চুল গুলো হিরোদের মতো এখন তুই এগুলো ছিড়ে আমাকে টাক বানাতে চাস?

রিমিঃ আগে বলো আমাদের প্রিন্স হবে

অয়ন সে তো নাছরবান্দা

—নাহ আমাদের প্রিন্সেস হবে আমার চুল ছাড়

—নাহ ছাড়বো না

আর কি অয়ন ও আমার চুল ধরে টান দিলো

আমাদের দুইজনের মধ্যে চুল টানাটানি ঝগড়া লেগে গেলো??এইটা নতুন কিছু না

চলবে??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে