?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ?
#পর্ব-১৮
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
আমান আদির দিকে তেড়ে আসতে যাবে তার আগেই আদি ভাইয়া রিভলবার বের করে আমার মাথায় তাক করে
আদিঃ নো নো আমান অইখানেই থাকো না হলে তোমার বোনুর মতো তোমার রিমিপাখিকেউ উপরে উঠাবো
আমান থেমে যায়
অয়নঃ আদি ওকে ছেড়ে দেয় না হলে আমি তোকে কি করবো নিজেও জানি না
আদিঃ আহারে আমার ভাইটার কী ভালোবাসা বউ এর প্রতি এখন যদি তোর বউকে উপরে পাঠিয়ে দেই
আমি কান্না করে দিলাম কেননা আমি কখনিই এইসব এর সমুক্ষিন হয়নি
রিমির কান্না দেখে যেন অয়নের মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজায় বারবার ছুড়ি আঘাত করছে কিন্তু আদিকে কিচ্ছু করা যাবেনা ওর মতো খুনী সব করতে পারে অয়নের সাথে সাথে আমানের চোখও ছলছল করছে এতোদিনের রিমির প্রতি তার সুপ্ত অনুভুতি আবার নাড়া দিচ্ছে রিমি কান্না যে তার সহ্য হচ্ছে না (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
রিমিঃ অয়ন ভাইয়া( কান্নামিশ্রিত কন্ঠে)
অয়নঃ রিমিপরী তুই চিন্তা করিস না দেখ তোর অয়ন আছে
মিঃনীল বাঁকা হেঁসে আদির কাছে এসে বলে
–আরেকবার যদি কেউ আমাদের কাছে আসার চেস্টা করো রিমি সোজা উপরে
।
মিঃনীলের কথা শুনে সবাই থেমে যায় অয়ন ইশারা করে আমানকে ওদের কথায় আটকিয়ে রাখার জন্য আমানও তা বুঝতে পারে
আমানঃ ওর গাঁয়ে একটা টোকা পড়লেও আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে।।না
আদিঃ ওহ মা তাই নাকি আমি ভয় পেয়েছি হ্যা আমি ভয় পেয়েছি(এই বলে জোড়ে জোড়ে হাঁসতে লাগলো) আমি অসহায়ের দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছি এমা অয়ন ভাইয়া কোথায় আমার ভাবনার মাঝখানে আদি ভাইয়া আমাকে নিয়ে যাবে তার আগেইই অয়ন ভাইয়া আদি ভাইয়ার মাথায় রিভলবার তাঁক করে
অয়নঃ যেখানে আসিস দমে যা না হলে তোকে মারতে আমার বেশিক্ষন লাগবে না?
আদিঃ তুই কী ভেবেছিস এইভাবে আমাকে ধরতে পারবি পাপা আদি খেয়াল করে মিঃনীল কোথাও নেই
আদি আমার মাথায় রিভলবারটা চেপে ধরে বলে
—অয়ন ভালোই ভালোয় বলছিইই আমার ড্যাড কোথায়???বল তুই কি করেছিস
অয়নঃ সেইটা না হয় উনারাই বলুক
আদি খেয়াল করলো তখনি কিছু পুলিশ ঢুকলো তার সাথে মিঃনীল তাকে এরেস্ট করে রেখেছে চারদিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে আদির ঘাম ছুটছে কী করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা
।
অয়নঃ এখন শতো চেস্টা করেও তুই বেঁচে যেতে পারবিনা অফিসার এরেস্ট হিম
অফিসারঃ মিঃ আদি খান ইউ আর আন্ডার এরেস্ট
অয়ন ভাইয়া বাঁকা হেঁসে বলে
।—বায় মাই বেস্ট ফ্রেন্ড
আদি মুচকি হাঁসে এই হাঁসের মানে আমরা কেউ ই বুঝলাম না পুলিশ যেই না ওকে ধরতে যাবে তখনি আদি ভাইয়া আমাকে জোড়ে ধাক্কা দেয় ডান সাইডে ফেলে দেয় সেখানে একটা রডের তীর ছিলো যার কারনে আমার মাথাটা তীরের সাথে লাগে আমি আহহহ করে চিৎকার করে উঠে
অয়নঃ রিমিপরী এই বলে অয়ন আদিকে ছেড়ে দেয়
আমানও রিমি বলে চিৎকার দিয়ে আমার কাছে আসতে থাকে এই সুযোগে আদি পুলিশের থেকে পালিয়ে যায় সেইটা মেঘলা বুঝতে পেরে অফিসার কে বলে উঠে
—অফিসার আদি আদিকে ধরুন
অফিসারঃজ্বী ম্যাম আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমরা এখনি অই আদিকে ধরে ফেলবো
অফিসার তার সোর্স পাঠিয়ে দেয়
।
রিমিঃ আমার মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে চোখগুলো ঝাপ্সা হয়ে যাচ্ছে অয়ন ভাইয়া আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে বলল
—এই রিমিপাখি দেখ তোর অয়ন ভাইয়া এসেছে তোর কিচ্ছু হবেনা
আমানও আমার কাছে এসে বসে
সবাই আসে মামিমা কান্না করে দেয় এই প্রথম মামিমাকে নিজের জন্য কান্না করতে দেখলাম
বাপিও আমার আরেকহাত ধরেছে
অয়ন ভাইয়া চিৎকার করে।বললল
—রুপ তাড়াতাড়ি গাড়ি বের কর আমার রিমিপরীর কস্ট হচ্ছে ওকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে আমানও কান্না করে দিলো রিমির এই অবস্হা দেখে
আমার খুব কস্ট হচ্ছে তাও কাঁপাকাঁপা গলায় বললাম
—অ.য়.ন. আমি তোমার সাথে থাকতে চাই সবার সাথে থাকতে চাই
অয়ন ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল
—কিচ্ছু হবে না তোর আমি আছিনা অয়ন ভাইয়া আমার কপালে অজস্র চুমু খেতে লাগলো আমার চোখ বন্ধ হতে লাগলো তাও অয়নকে জড়িয়ে ধরে অয়ন ভাইয়ার বুকে মাথা রাখলাম কারণ আমার মনে হলো এই জায়গাই হয়তো আমার শেষ জীবনে সব থেকে বেশি নিরাপদের স্হান অয়ন রিমির কোনো রেসপন্স না পেয়ে রিমির মুখ উচু করে দেখলো রিমি অজ্ঞান হয়ে আছে অয়ন যেন পাথর হয়ে আছে
আমান বারবার অয়নকে ডাকছে কিন্তু তার কোনো সাড়াশব্দ নেই
আমানঃ অয়ন রিমিকে কোলে তুলে নাও আমাদের বেশি সময় নেই হসপিটালে যেতে হবে কিন্তু অয়ন আগের ন্যায় বসে আছে রিমির শাড়ি রক্তে ভিজে গেছে অয়নের শার্টে রক্ত লেগে আছে অয়ন যেন তার রিমিপরীকে এইভাবে দেখে রিয়েক্ট করাই ভুলে গেছে আমান বুঝেছে অয়নকে বলে লাভ নেই তাই আমানই রিমিকে কোলে করে নেয় আর গাড়ির দিকে অগ্রসর হয় আমান মিসেস নিশি আর মিঃসৈকত(অয়ন বাবা-মা)কে বলে অয়ন কে সামলাতে আমান রিমিকে কোলে করে গাড়ি করে নিয়ে যায় মিঃসৈকত অনেক কস্টে অয়নকে নিয়ে যায় হসপিটালে আমান রিমির মুখের দিকে তাঁকায় মুখটা শুখিয়ে গেছে এইভাবে সে তার রিমিপাখিকে দেখবে সেইটা সে কখনোই ভাবে নি বা দুঃস্পনেও ভাবেনি আমান এর চোখ ভরে আসছে তাও নিজেকে কন্ট্রোল করলো তার এখন রিমিকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিতে হবে
?
এদিকে নীলকে পুলিশ এরেস্ট করেছে তখনি অনেক সাংবাদিক চলে অাসে আসলে মেঘলার নির্দেশেই তারা এসেছে
পুলিশ তাদের সরানোর চেস্টা করছে
একজন সাংবাদিক মিঃনীল এর কাছে এসে বলে
—আপনাকে আমরা একজন আদর্শবান ব্যাবসায়ী মনে করতাম জনতাও তাই মনে করতো কিন্তু আপনি একজন নারী পাঁচারকারী +খুনী আর সেই খুনীর দায় আমান শিকদার কে দিয়েছিলেন তাই তো
নীল কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেন মাথা নিচু করে শুনছে
২য় সাংবাদিকঃ এই মাত্ররো পাওয়া খবর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নীল খান এবং আদি খান নারী পাচাঁর চক্রে জড়িত
৩য় সাংবাদিকঃ লিটেস্ট খবর নারী পাঁচাকারী মিঃনীল কে ধরতে পারলেও পুলিশ এখনো আদি খান কে পুলিশ এখনো এরেস্ট করতে পারি নি কিন্তু পুলিশ আশাবাদি তারা খুব শ্রীগয় আদি খান কে ধরে ফেলবে
এইসব নিউজ বের হতে দেখে মেঘলা শান্তি পেলো কেননা সে পেরেছে তার আমানকে নির্দোশ প্রমান করতে কিন্তু রিমির জন্য তার এখন চিন্তা হচ্ছে অইটুকু মেয়েটার কিচ্ছু হবেনা তো এইভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো মিঃ নীল কে পুলিসের গাড়িতে উঠানো হলো সে খুব হতাশ এতোদিনের প্ররিশ্রম সব বিফলে গেলো
হ্যা তার পাপ এই পাপেই তাকেই শেষ করে দিলো আজ আম-জনতা তার দিকে ঘৃনার দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছে আরেকটা কথা ইসলামে শরিয়তে উল্লেখ রয়েছে আগুন যেমন কাঠকে জ্বালিয়ে শেষ করে দেয় তেমনি হিংসা ব্যাক্তির ভালো কাজ কে বিনস্ট করে দেয় মিঃনীল এর আকাশের প্রতি হিংসা কারণে আজ কি থেকে কী হয়ে গেলো আজ হয়তো সেও তার পরিবার নিয়ে সুখে থাকতে পারতো কিন্তু না সে প্রতিশোধের নেশায় সে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো অতিরিক্ত লোভে উপার্জনের জন্য ভুল রাস্তা অবল্মভন করেছিলো একটা কথা আছেনা লোভে পাপ পাপে মৃত্য মিঃনীল এর হয়েছে সেই দশা (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
?
হসপিটালে…
রিমিকে ওটিতে শিফট করা হয়েছে পরিবারের সবাই কান্না করছে আজকে রিমির হিটালার মামি আর নানুমাও কান্না করছে এতোদিন একটা কুসংস্কার এর উপর নির্ভর করে তারা রিমিকে কতইনা অপমান করেছে আসলে সে তো নির্দশ ফুলের মতো একটা ছোট্ট বাচ্ছা যখন পৃথিবীতে এসেছিলো তখন সে তার মাকে হারায় আর সেই নিস্পাপ শিশুকেই তারা তার মায়ের খুনী বলেছিলো ভাবতেই তাদের নিজের প্রতি ঘৃনা বাড়ছে আসলে আমাদের সমাজটায় এমন অনেকেই এইরকম কুসংস্কার এর উপর ভিত্তি করে আমরা শুধু শুধু নির্দোশ মানুষের উপর দোষ দেই
আমান এক দৃস্টিতে অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাঁকিয়ে আছে কখন ডাক্টার আসবে আর বলবে
—তার রিমিপাখি সুস্থ আছে আমান নিজের শার্টের দিকে তাঁকালো রিমির রক্তে মাখা এইসব ভাবতেই আমানের চোখ অশ্র গড়িয়ে পড়লো মেঘলা আমানকে আশ্বাস দিচ্ছেন
অয়ন নীচের দিকে এক দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছে হাতে শার্টে রক্তের মাখামাখি সে ভাবছে তার রিমিপরী যে একটি হাত কাটলেই কান্না জুড়ে দিতো সেই রিমিপরীর আজ না কত ব্যাথা পেয়েছে কতটায়না কস্ট সহ্য করছে কিছুক্ষন এর পর ওটির লাইট বন্ধ হয় ডক্টর বেরিয়ে আসে সবাই ডক্টর এর কাছে যায় অয়ন আগের জায়গায় বসে আছে তার দৃস্টিতে এখনো নীচে
আমানঃ ডক্টর রিমি?
আকাশঃ আমার মেয়ে কেমন আছে
ডক্টরঃ দেখুন অনেক বাজেভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছে রডটা অনেক ধারালো ছিলো অনেক রক্ত লস হয়েছে অনেক কস্টে আমাদের রক্ত পড়া বন্ধ করাতে হয়েছে এখন
কাকাইঃ এখন কী ডক্টর?
ডক্টরঃ এখন ৪৮ ঘন্টা পেরনোর পড় যদি রুগির জ্ঞান না ফেরে
মামাঃ যদি না ফেরে মানে কি?
ডক্টরঃ তাহলে উনি কোমায় চলে যাবে
এখন অয়ন আর পারলো না উঠে গিয়ে ডক্টর এর কলার চেপে ধরলো সবাই ওকে আটকানোর চেস্টা করলো
অয়নঃ কোমায় চলে যাবে মানে?কি যদি ও সুস্থ না হয় তাহলে সবকটার চাকরি খাবো হসপিটাল বন্ধ করিয়ে দিবো(দাঁতে দাঁত চেপে)
সবাই অনেক কস্টে অয়নকে আটকায়।
ডক্টরঃ দেখুন আপনি এতো হাইপার হবেন না আমরা যথাযথ চেস্টা করছি এখন সব আল্লাহ ভরসা অয়ন ধপ করে বসে পড়ে এখন সে আর নিজেকে কন্ট্রল করতে পারেনা রিমিপরী বলে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে শুরু করে
চলবে ??????