?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ?
#পর্ব-১১(ধামাকা-২)
#Jannatul_ferdosi_rimi(Writer)
ইসশ আমার বউটা কত সুন্দর পেটের ওই তিলটা তো আরো আকর্ষনীয়ও নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছি না না তবুও নিজেকে কনট্রোল করতে হবে বিয়ের আগে নো বাসর এই বলে শয়তানি হাঁসি তে মেতে উঠলো অয়ন হাতে তার ওয়ানের বোতল তার সাম্নেই বেডে নিশ্চিন্তে ঘুমন্ত অব্সহায় আছে রিমি ঠিক ঘুমন্ত না অজ্ঞান অবস্হায় পরনে(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি) তার এখনো সেই বিয়ের সাঁজ অয়ন ওয়ানের বোতল হাত দিয়ে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে বলছে
—জানিস রিমিপাখি এই ওয়ানেইও এতো নেশা নেই যতটা এখন তোকে দেখে আমার হচ্ছে
কেননা#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা যে নেশা থেকে আমি নিজেকে আটকাতে পারি না মুহুর্তেই অয়নের সেই সময়ের কথা মনে পড়লো যখন রিমি বলছিলো সে আমান কে ভালোবাসে অয়নোর ফর্সা মুখ লাল আভা ধারণ করে অয়ন বাঁকা হেসে বলে
—তুই আমাকে ঠকিয়েছিস তুই একটা প্রতারক তোর সাথে অনেক বোঝাপড়া বাঁকি আছে কিন্তু তার আগে আসল কাজের ব্যাবস্হা করে আসি (রেগে)
অয়ন রুম থেকে চলে যাওয়ার পরেই রুমে দুইটি মেয়ে আসে তার মধ্যে একটি মেয়ে রিমির মুখে পানি ছিটে দেয়
আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি একটা মেয়ে অদ্ভুত চাহনীতে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে আমি ধড়পড়িয়ে উঠে বসলাম
আস্তে আস্তে বুঝার চেস্ট করলাম আমি একটা রুমে রুম তো নয় যেন ফুলের বাগান একটা বড় পুল তার মধ্যে অসংখ্য গোলাপ ফুলের ছড়াছড়ি ক্যান্ডেল এর আলো তে ঘরটা আলোকিত রজনীগন্ধা ফুলের ছড়াছড়ি (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি) আমার মনে পড়ে গেলো আমি যখন কাঁপাকাঁপা হাতে সাইন করতে যাবো তখনি হঠাৎ সব লাইট অফ হয়ে যায় তারপর কেউ আমার নাকে কিছু একটা স্প্র করে তারপর কিছু মনে নেই
আমি মেয়েগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলি
—-আচ্ছা আমি এখানে কেন? আমাকে এখানে কে এনেছে?
দুটো মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বলে উঠে
—আমাদের বস আপনাকে এখানে এনেছেন
আমি অবাক হয়ে বলি…
–বস?
—জ্বী বস
—কে আপনাদের বস আর আমাকে কেই বা এখানে কেন? এনেছেন?আজকে আমার বিয়ে ছিলো(উত্তিজিত হয়ে)
—ম্যাডাম প্লিয আপনি উত্তিজিত হবেন না আমাদের স্যার আমাদের এখানে পাঠিয়েছে আপনাকে রেডি করে রাখতে
—মানে আপনার আজকে বিয়ে হবে ঠিকই কিন্তু আমাদের বস এর সাথে
এই কথা শুনে আমি অবাকের চরম সীমানায় পৌছে যাই
—বস? কে আপনাদের বস? কে?(রেগে)
—আমি
কন্ঠশ্বরটা শুনে আমি দরজার দিকে তাঁকায় এমা এ আমি কাকে দেখছি এতো অয়ন ভাইয়া আমি অবাক হয়ে বলে উঠলাম
—অয়ন ভাইয়া আপনি?
—কেন কাকে আশা করছিলে তোর প্রেমিক ওই আমানকে(রেগেমেগে)
আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছিনা অয়ন ভাইয়া আমাকে কিডনাপ করিয়েছে
অয়ন মেয়ে দুটোকে উদ্দেশ্য করে বলে
— আপ্নারা এখন যেতে পারেন
মেয়েগুলো মাথা নাড়িয়ে রুম থেকে বের হলো আমি অয়ন ভাইয়া দিকে জিজ্ঞাসু দৃস্টিতে তাঁকিয়ে বললাম
— আপনি আমাকে কেন এখানে এনেছেন আপনি জানেন না আজ আমার বিয়ে?
—জানি বলেই তো নিয়ে আসলাম তোর তো আজকে বিয়ে বিয়েটা করতে হবে না নাকি?(বাঁকা হেসে)
—মানে?
—মানে আজ আমার আর তোর বিয়ের বিয়ে
—What???
—Yes baby(ডেবিল স্মাইল)
নাহ নাহ এইটা হতে পারে না অয়ন ভাইয়া এইসব কি বলছে? এইটা যদি হয় আমান অয়ন ভাইয়া ক্ষতি করতে পারে
—নাহ আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারি না
— কেন পারিস না (রেগে)
—বিকজ আই লাভ আমান
অয়ন ভাইয়া মুহুর্তেই যেন হ্রিংস্র পশু হয়ে গেলেন আমার দিকে তেড়ে এসে ঠাস করে গালে চর বসিয়ে দিলেন আমার চুলের মুঠি ধরে বললেন
—তোর মতো প্রতারক কে আমি বিয়ে করতে চাইনি কিন্তু #তুই_যে_আমার_অন্যরকম_নেশা এই নেশা থেকে নিজেকে দুরেও রাখতে পারি না বুঝলি? তুই আবার এইটা বুঝিস না যে অয়ন চৌধুরি তোর মতো চিপ মেয়েকে ভালোবাসে তোর জন্য আমার মধ্যে যা আসে সবই ঘৃণা নিজের ভালোবাসার মানুষের মুখে ঘৃনা দেখতে পাওয়াটা যে কতটা কস্টকর তা আমাকে না দেখলে বুঝাই যেত না বিধাতা ভাগ্যের এ কি খেলা খেলছে আমার সাথে? (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
তাও নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলি
—এতো যখন ঘৃনা কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন? আমাকে?
—অইযে বললাম না#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ড্রিংকও তো খারাপ তাও তো নেশা ধরে তুইও একটা বাজে মেয়ে তাও তুই আমার নেশা (বাঁকা হেসে) অয়নের চোখেও পানি ছলছল করছে কিন্তু সে রিমির অগোচরে তাই লুকিয়ে ফেলল
—আমি আপনাকে বিয়ে করবো না?
—ওকে তাহলে বিয়ে ছাড়াই বাসর সেড়ে ফেলি
আমি অসহায়ের দৃস্টিতে তাঁকিয়ে বললাম
—অয়ন ভাইয়া
এদিকে আমান পুরো পাগল হয়ে নিজের সোর্স লাগিয়ে রিমিকে খুঁজে বের করার চেস্টা করছে মিঃ আকাশ তার মেয়েকে না পেয়ে অবস্হা খারাপ কাকিমনি তো কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে বিয়ে বাড়িতে কনে কিডনাপ
আমান নিজের সকল সর্স কাজে লাগিয়েছে কিন্তু ফলাফল শুন্য আমান রাগে দেয়ালে ঘুসি মারে
আমানঃ এই কাজ অই অয়ন ছাড়া আর কারো হতে পারে না আমার আগেই বুঝা উচিৎ ছিলো অহ শীট ওহ মনে মনে এইসব প্লেন বানিয়েছিলো তাই এতোটা শান্ত ছিলো আমার আগেই বুঝা উচিৎ ছিলো কিন্ত আমি রিমিকে খু্জে বের করবোই (চিৎকার দিয়ে)
?
?
?
বিয়েটা অবশেষে হয়েই গেলো তাও আমার চোখে জল যদিও বিয়েটা আমার ভালোবাসার মানুষের সাথে হয়েছে তাও সে তো আমাকে ঘৃনা করে আমি ভাবছি আমান যদি অয়ন ভাইয়ার কোনো ক্ষতি করে এই রাতটার জন্য সকল মেয়েরই স্বপ্ন থাকে আমারো ছিলো অয়ন ভাইয়ার জন্য কিন্তু অয়ন ভাইয়া আমাকে ঘৃনা করে আমার ভাবনার মাঝে অয়ন ভাইয়া ঘরে প্রবেশ করে অয়ন ভাইয়া দরজা লাগিয়ে দেয় আমি উঠে অয়ন ভাইয়াকে সালাম করতে গেলে অয়ন ভাইয়া বলে উঠে
—হয়েছে আর অইসব ন্যাকামি করতে হবে না (রেগে) তোর।মতো মেয়ের ছোয়াও আমার অসহ্য লাগে
আমি ছলছল চোখে তাঁকিয়ে আছি অয়ন ভাইয়া সিগারেট ধরে সিগারেট এর গন্ধ সহ্য করতে পারি না আমি দূরে সরতে যাবো তার আগেই অয়ন ভাইয়া আমাকে হেঁচকা টান দেয় যার ফলে আমি তার বুকে গিয়ে পড়ি অয়ন ভাইয়া আমার আমার চুলের মুঠি ধরে আমার পেটে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরে আমি ব্যাথায় কান্না ধরে দেই
—উফফ ভাইয়া আমার লাগছে এতে যেন অয়ন ভাইয়ার তৃপ্তি লাগছে
—আহারে আমার বউটার লাগছে তাই না রে যখন আমার এইখানে লেগেছিলো(বুকের দিকে বা পাসে ইশারা করে)
এছাড়া তোর মতো প্রতারক মেয়ে এইসব বুঝবিও না আমার খুব কস্ট হচ্ছে আমি যত নিজেকে ছাড়ানোর চেসটা করছি ততো অয়ন ভাইয়া সিগারেট্টা আমার পেটে আরো জোড়ে চেপে ধরেছে আমি চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে…
চলবে?