#তিক্ত_ভালোবাসা
#Tafsia_Meghla
#পার্টঃ০৮
শোভন মেঘলার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে,
— “খাবারটা খেয়ে রেডি হয়ে নাও তারাতারি৷ ”
মেঘলা এক রাশ বিরক্ত নিয়ে উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়৷
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে শোভন খাবার নিয়ে বসে আছে,
শোভন মেঘলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,
— “পাখি কাম ফাস্ট৷
দেরি হয়ে যাবে এখান থেকে গিয়ে আবার এয়ারপোর্ট এ যেতে হবে৷ ”
মেঘলা ইচ্ছা না থাকা শর্তেও শোভনের সামনে গিয়ে বসে৷
।
।
বাড়িতে এসেই দেখে কয়েকটা কাজের লোক ছাড়া কেউ নেই, সবাই আশ্রমে গেছেন আজ কেউই আসবে না বাড়িতে শোভনের বাবা ছাড়া৷
রুমে গিয়ে মেঘলা ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় চলে যায় আপাদত শোভনের সামনে থাকতে বিরক্ত লাগছে৷
যেই মানুষটার জন্য এতোদিন মনে শ্রদ্ধা ছিলো সেই মানুষটার জন্য মনে এখন শুধু ঘৃনা ছাড়া আর কিছুই নেই৷
শোভন রেডি হয়ে লাগেজ গুছিয়ে বারান্দায় গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
— “এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে?”
মেঘলা জাঝালো কন্ঠে বলে,
— “তো কি করবো?”
শোভন, মেঘলার হাত ধরে রুমে নিয়ে এসে বিছানার এক কোনে বসিয়ে ও নিজে হাটু গেরে মেঘলার সামনে বসে বলে,
— “আমি জানি তুমি আমায় একটুও সহ্য করতে পারো না!!
কিন্তু আমি তো তোমায় খুব ভালোবাসি,
যাওয়ার সময় এভাবে মুখ ঘুরিয়ে রাখলে কি ভালো লাগে?
দু-দিন বাড়িতে থাকবো না নিজের খেয়াল রেখো৷ আর দু-দিন কলেজে যাওয়া লাগবে না, বাড়ি থেকে একদম বের হবে না বুঝলে?”
বলে মেঘলার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে উঠে বেরিয়ে যায়৷
১ঘন্টা হয়েছে শোভন বেড়িয়েছেন বাড়ির কাজের লোক গুলো ও নিজ নিজ কাজে ব্যাস্ত আপাদত মেঘলার বের হওয়ার রাস্তা খালি৷
একটা ব্যাগে কয়েকটা জামা নিয়ে রুমে এদিক ওদিক পাইচারি করছে মেঘলা আর ভাবছে
“বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে?”
হাতে টাকাও নেই বেশি আছে প্রিয়ার বাড়ি অব্দি যেতে পারবে৷
প্রিয়া কি কোনো সাহায্য করবে?
আবার যদি প্রিয়ার কথা শোভন জানতে পারে তাহলে প্রিয়াকেও ছাড়বেনা৷
আগেরবার ওর জন্যই প্রিয়া প্রব্লেমে পরেছিলো এইবার হয়তো ছাড়বে না, কি করবে এখন?
মেঘলা কিছু আর ভাবতে পারছে না উশখুশ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরে৷ মেইন গেট পেরিয়ে যখনি রিক্সায় উঠবে হঠাৎ কেউ পিছন থেকে এসে চুলের মুঠি ধরে ঘুরিয়ে গালে স্ব-জোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় গালে৷
যার কারনে ছিটকে গিয়ে মেইন গেটের কোনায় লাগে আর মাথার কোনে লাগে৷
মেঘলা গালে হাত দিয়ে পিছে মুড়ে তাকাতেই আতকে উঠে৷
শোভন দাঁড়িয়ে আছে চোখ মুখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে, হাতের লাগেজটা ছুরে বাড়ির ভেতর ফেলে মেঘলার হাত ধরে রুমে এনে ছিটকে ফেলে৷
মেঘলা রাগি গলায় বলে,
— “যেতে দাও আমায়৷ ”
মেঘলার মুখ চেপে ধরে বলে,
— ” যেতে দাও মানে কি?
কোথায় যাচ্ছিলি? বলেছিলাম এমন দূর সাহস কখনো দেখাতে না বলে ছিলাম?”
কথাগুলো চেচিয়ে বলায় কেঁপে উঠে মেঘলা, শোভন মেঘলাকে হাত ধরে উঠিয়ে নিজের সামনে দার করিয়ে বলে,
— “কোথায় যাচ্ছিলি?
কার কাছে? আবার ওই প্রিয়ার কাছে?
নিজের ভুলের কারনে ওই মেয়েটার বড্ড ক্ষতি করে ফেললি৷ ”
মেঘলা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
— “ক কি ক করবে ওর?”
শোভন মেঘলাকে ছেরে বাকা হেসে বলে,
— “আচ্ছা প্রিয়ার কয়েকদিন পর বিয়ে না?
যদি বিয়ের আগেই বিয়েটা ভেঙে যায় তাহলে? তাহলে খুব ভালো হবে তাই না?
আচ্ছা রাস্তায় বের হলে যদি এমন কিছু হয় যেন পরবর্তীতে আর না বের হতে পারে তাহলে?”
মেঘলা ভয়ে ভয়ে বলে,
— “এ এসব ক কিছু ক করবে না তুমি,
আমি তো ভুল করেছি আমাকে শাস্তি দেও তাহলে ওর সাথে এমনটা করবে কেন?
ও তো কিছু করেনি৷ ”
শোভন কিছু বলছে না হাতে একটা বলের মতো কিছু একটা নিয়ে সোফায় বসে আছে আর ওইটা ঘুরাচ্ছে৷
মেঘলা হঠাৎ করে একটা ভয়ংকর কথা বলে উঠে যা শোভন শুনে এর থেকেও হাজার গুন বেশি রেগে গেছে৷
মেঘলা বলে,
— “আমি ডিভোর্স চাই,
আমি তোমায় ভালোবাসি না আর তোমার মতো সাইকোর সাথে থাকা আমার সম্ভব না৷
আর যা শাস্তি দেওয়ার দাও আমি তাও তোমার থেকে মুক্তি চাই৷ ”
শোভন উঠে মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে জোরে জোরে অনেক গুলো থাপ্পড় দেয় যার কারনে মেঘলার ঠোঁটের কোনে কেটে রক্ত বের হচ্ছে তাও শোভনের হুস নেই এখনো মারছে৷
মেঘলা ডুকরে কাঁদছে আর বলে,
— “লাগছে আমার শোভন ভাইয়া৷ ”
মেঘলার কথায় শোভনের হুস আসে নিজেকে কিছুটা সামলে মেঘলার সামনে থেকে সরে হাতের সামনে ফ্লাওয়ার বাস্কেটটা ভেঙে নিজের হাতে চেপে ধরে৷
চলবে,,,,,,
#তিক্ত_ভালোবাসা
#Tafsia_Meghla
#পার্টঃ০৯
মেঘলার কথায় শোভনের হুস আসে নিজেকে কিছুটা সামলে মেঘলার সামনে থেকে সরে হাতের সামনে ফ্লাওয়ার বাস্কটা ভেঙে নিজের হাতে চেপে ধরে৷
শোভনের হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে সেইদিকে খেয়ালি নেই তার৷ মেঘলা গুটিশুটি মেরে এক কোনে বসে আছে আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে৷
শোভন মেঘলার সামনে গিয়ে ধমক দিয়ে বলে,
— “স্টপ ক্রাইং মেঘলা৷ ”
শোভনের কথা মেঘলার কান অব্দিও পৌছাচ্ছে না৷
শোভন আবার বলে,
— “আই সেইড স্টপ ক্রাইং,
কাঁদছো কেন?”
শোভন মেঘলার দিকে গেলে মেঘলা ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে৷
মেঘলার ভয় পাওয়া দেখে শোভন বলে,
— ” যখন পালাচ্ছিলে তখন মনে ছিলো না এই ভয়ের কথা?
তুমি জানতে না তুমি যেখানেই যাও সেখান থেকে আমি তোমায় খুজে বের করবো?”
মেঘলা এখনো ভয়ে মাথা নিচু করে আছে৷ শোভন সামনে গিয়ে মেঘলার হাত ধরে নিজের কাছে এনে কোমর চেপে ধরে বলে,
— “কেন পালাচ্ছিলে?
আচ্ছা তুমি কি সব সময় আমার রাগ, হিংস্রতা এইসবি দেখতে পাও?
আমার ভালোবাসাটা তোমার নজরে আসে না? ”
মেঘলা এবার রেগে অন্যদিকে মুখ করে বলে,
— “ওইটা তোমার ভালোবাসা না মোহ,
ভালোবাসা হলে কখনো কষ্ট দিতে না আমায় কাউকে খুন করতে না৷
ভেবেছিলাম তুমি সেই আগের মতো নেই বড় হওয়ার পর পালটে গেছো কিন্তু ধারনা ভুল তুমি একি আছো৷ ”
শোভন মেঘলার দিকে ছলছলে চোখে তাকিয়ে বলে,
— ” মোহো?
তোমার এতো দিনে এটা মনে হলো?
সত্যি কি তাই?
মেয়েরা নাকি অদ্ভুত ধাচের হয় কেউ যদি তাদের দূর থেকে দেখে, তারা নাকি বুঝতে পারে৷
কিছু বলার আগেই নাকি তারা চোখের ভাষা বুঝতে পারে৷
কিন্তু তুমি?
চোখের ভাষা পরতে জানো? আমার চাওনিতে বোঝোনা তোমায় কতটা চাই আমি? আমার শাসনে ভালোবাসা খুজে পাও না?
আর্তনাদ দেখতে পাওনা?
তোমাকে পাওয়ার তীব্র আর্তনাদ৷ জ্বলন্ত শিখার মতো দাহ হচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে আমার মন!!
তোমাকে পাওয়ার তৃষ্ণা যে নেশা রুপ ধারন করেছে প্রখোপ নেশা মাদকের চাইতেও এ নেশা বিচ্ছিরি তোমার নেশা প্রতিক্ষন ধাওয়া করে যাচ্ছে আমি যে চাই তোমায় নিজের করে আপন করতে৷
ভালোবাসি কতটা তা কখনো পরিমাপ করা হয়নি কিন্তু এটা জানি আমি তোমায় ভালোবাসি৷
খুব বেশি ভালোবাসি যতটা এখনো নিজেকে বাসিনি তার চাইতে হাজার গুন৷
আর খুনের কথা বলছো? হ্যাঁ আমি খুনি আমি খারাপ তোমাকে একান্ত নিজের করে পাওয়ার জন্য হাজার বার খুনি হতে বাধ্য৷
তোমাকে নিজের কাছে বেধে রাখতে আমি খারাপ হতে বাধ্য৷
তোমার মন, শরীরে শুধু আমার ছোয়া থাকবে গভীর ভালোবাসার পবিত্র ছোয়া৷ তোমার মনে, তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিটা শিরায় উপশিরায় শুধু আমার নাম থাকবে৷ তুমি সর্বোক্ষন আমাতেই মেতে থাকবে কেননা তুমি একান্ত আমার৷
এর মাঝে যদি কেউ আসে তাহলে খুন করতে দু-বার ও ভাববো না৷
বলার পরই শোভন দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার বলে,
— ” আর কি বললে একি আছি? হ্যাঁ একি আছি আর থাকবো৷
আমি তো পালটে গিয়েছিলামি কিন্তু আবার তুমি তোমার ভয়ংকর মায়ার জড়িয়েছো৷
তুমি জানোনা তুমি আমায় কি ভয়ংকর মায়ায় জড়িয়েছো, আমি চেয়েও তোমার থেকে দূরে থাকতে পারিনি তুমি নিজ থেকে আমায় তোমার মায়ায় জড়িয়েছো৷
ছোট বেলা থেকেই তোমার কাছে কাউকে ঘেসতে দিতাম না,
তখন থেকেই তুমি আমার অন্য রকম নেশা ছিলে৷
সেদিন আকাশ তোমাকে ছোয়ার কারনে ছাদ থেকে ফেলে পা ভেঙে দিয়েছিলাম৷ দিন দিন তোমার জন্য আমার পাগলামি বারার কারনে US পাঠিয়ে দেয় আমায়৷
কিন্তু দেশে আসার পর তো তোমার থেকে দূরে দুরেই ছিলাম।
তুমি তো আমার কাছে আসতে দেশে আসার পর বৃষ্টিতে ভিজে লজ্জা মাখা চাওনি দিয়ে যখন আমায় জড়িয়ে ধরেছিলে সেদিন আবার নতুন করে তোমার নেশায় আসক্ত হই তোমার তিক্ত নেশা৷
কিন্তু আকাশ আবার সেই একি ভুল করে তোমাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করে এবার ওকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না৷
তাই মেরেই দেই৷
এখন তুমি চাইলেও তোমাকে আমার কাছে থাকতে হবে না চাইলেও আমার কাছে থাকতে হবে৷
এখন থেকে তোমার সকাল শুরু হবে আমার #তিক্ত_ভালোবাসা দিয়ে,রাত পোহাবে আমার #তিক্ত_ভালোবাসা দিয়ে৷
বলেই মেঘলার কপালে ঠোঁটের পরশ দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়৷
মেঘলা থম মেরে বসে আছে৷ সত্যি তো তাই তাহলে কি এটাই মেঘলার জীবনের তিক্ত সত্যি? এ #তিক্ত_ভালোবাসা নিয়ে সারা জীবন থাকতে হবে?
খুনির সাথে থাকতে হবে?
কি করবে মেঘলা? এ #তিক্ত_ভালোবাসা মায়ায় নিজেকে শোভনের মায়াবতী করে তুলবে? নাকি অন্য কিছু?
আদৌ কি মেঘলা কখনো ভালোবাসতে পারবে শোভন কে?
নাকি সারাজীবন এমন ঘৃনাই করে যাবে?
এক এক জনের ভালোবাসার ধরন এক এক রকম৷
কেউ বা ভালোবাসার মানুষ কে ভালো থাকতে দেখে নিজের মনকে খুশি করে, কেউ বা নিজের জোর জবরদস্তিতে ভালোবাসার মানুষ কে নিজের করে রেখে নিজের মন কে খুশি করে৷
মনের পিপাসা বড় পিপাসা মন যা চায় তা না পেলে তৃষ্ণার্থ হয়ে থাকে৷
ভালোবাসা হলো মনের তৃষ্ণা মোচন করার এক মাত্র দিক৷ শোভন তার মনের পিপাসা মোচনে ব্যাস্ত মেঘলা কে যে বড্ড বেশি ভালোবাসে৷
ভালোবাসাটা হিংস্র হোক না সহজ তরো যেমনি হোক ভালোবাসাতো?
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে মেঘলা এখনো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে৷
মেঘলাকে বিছানা থেকে উঠিয়ে চোখ মুছে দিয়ে বলে,
— ” আচ্ছা আমাকে কি ভালোবাসা যায় না?
আমাকে একটু বিশ্বাস করা যায় না?
একটা বার ভালোবেসে দেখো তোমার ভালোবাসায় মাখানো প্রতিটা আবদার আমি পুরোন করবো তুমি যা চাও তাই হবে৷
তুমি যেভাবে করবে সেভাবেই হবে, যা বলবে সব করবো শুধু আমার কাছে থেকো৷
আমি জানি আমি অনেক খারাপ৷
এই খারাপ মানুষ টা কে একটুও ভালোবাসা যায় না?
আমি জানি আমি খুনি তাও তোমায় নিজের সবটা জুরে ভালোতোবাসি তাই না?
আমাকে তুমি নিজের ভালোবাসা দিয়ে নিজের করে নিতে পারবে না?
আমার কথা গুলো রাখতে পারবে না? তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমার রাগ গুলো ঠিক করতে পারবে না?
ভালোবাসি বলেই তোমার আশে পাশে কাউকে দেখতে পারি না৷
ভালোবাসি বলেই তোমাকে কেউ ছুবে তা সহ্য করতে পারি না,
আমি জানি হয়তো ভালোবাসতে সময় লাগবে অনেকটা সময়৷ যত না দিন নিজ মুখে ভালোবাসার কথা বলবে ততোদিন আমি তোমায় স্পর্শ করবো না৷
স্বামীর অধিকার চাইবো না৷
আই ওয়ান্ট ইউ হুর পরি, খুব করে চাই তোমায় আমার পথ চলার সাথি হিসেবে চাই
আমার ভালোবাসার পরি হিসেবে চাই৷ প্লিজ আমায় ফিরিয়ে দিও না৷ আমি যা করি সব তোমাতে ঘিরেই তবুও কেন বুঝোনা?
আমার কষ্ট কেন বুঝ না?
আমারো যে কষ্ট হয়, আমিও মানুষ৷ তোমার এ দূরে দূরে থাকা আর সহ্য হয় না৷
প্লিজ আমায় ফিরিয়ে দিও না৷
আমি যে এক ভালোবাসার পিপাসু পথিক৷ এ ব্যাস্ত শহরের নিস্তব্দ হাওয়ার
শূন্য বেড়াজালের পিপাসু পথিক আমি৷
তুমি আমার হয়েও আমার না৷ কাছে থেকেও হাজার গুন দূরে৷
খুব কষ্ট হচ্ছে হুর পরি তোমায় ছাড়া আমি সত্যি পারবো না বেঁচে থাকতে, আমার যে খুব করে প্রয়োজন তোমাকে ভালোবাসি যে খুব৷
কথাগুলো বলতে বলতে শোভনের চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি গরিয়ে পরে৷ হঠাৎই মেঘলার বুকে ঢলে পরে৷ আচমকা এমন হওয়ায় মেঘলা ভয় পেয়ে যায় পরক্ষনে তাকিয়ে দেখে শোভন জ্ঞান হারিয়েছে৷
কপালে হাত দিয়ে দেখে অনেকটা জর এসেছে হাত দিয়েও অনেকটা রক্ত গরিয়ে পরছে৷
মেঘলা কিছু না ভেবে কোন মতো বিছানায় শুইয়ে ফাস্ট এইড বক্সটা নিয়ে আলতো ভাবে ফু দিতে দিতে হাতে সেভলন লাগিয়ে ব্যন্ডেজ করে দেয়৷
এমন মনে হচ্ছে ব্যাথাটা শোভন পায় নি মেঘলা পাচ্ছে৷
থার্মোমিটার টা নিয়ে শোভনের মুখের ভিতরে দেয় কিছুক্ষন পর দেখে খুব জ্বর ১০৩ প্রায় মেঘলা কেমন ছটফট করছে এমন কেন করছে সে নিজেও জানে না৷
কি করবে বুঝতেও পারছে না ব্যান্ডেজের উপর দিয়েও রক্ত পরছে, প্রায় অনেকটা কেটে গেছে৷ হঠাৎ হাতের একেবারে উপরে চোখ যায় সেখানেইও কেমন রক্ত লেগে আছে৷
কোনো রকম ভাবে হাতাটা উঠিয়ে সে জায়গাটা দেখেই বুকের ভেতর ছেত করে উঠে মেঘলার৷
চলবে কি?🙄