#তিক্ত_ভালোবাসা
#Tafsia_Meghla
#পার্টঃ১৫
প্রিন্সিপাল বলে,
— “guys let’s get acquainted with ur new teacher,
he is Mr,,,,,
প্রিন্সিপাল এইটুকু বলতেই লোকটি সামনে আসে মেঘলা লোকটির দিকে অবাক হয়ে তাকায়৷
এই নতুন টিচার আর কেউ না শোভন৷
মুখে বাকা হাসির রেখা ঝুলিয়ে মেঘলার দিকে তাকায়, মেঘলা এখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না হ্যালুসিনেশন নাতো?
সত্যি কি শোভন?
প্রিন্সিপাল কি বললো মেঘলা কিছুই শুনেনি ও তো অবাক হয়ে শোভনের দিকে তাকিয়ে আছে প্রিন্সিপাল যাওয়ার পরই শোভন সবাইকে বসতে বলে৷
মেঘলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাই শোভন বাকা হেসে মেঘলার সামনে এসে ফিসফিস করে বলে,
— ” ইউর সাইকো ইস ব্যাক হুর পরিইইইইই,,,,৷ ”
শোভনের এই ফিসফিসানি কন্ঠে “হুর পরি” ডাকটা প্রতিবারই মেঘলার শরীরে অদ্ভুত শিহরণ জাগিয়ে দেয়, আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি৷
পরক্ষণেই কিছু ভেবে শুকনো ঢোক গিলে বাচ্চাদের মতো ফেস করে শোভনের দিকে তাকায়৷
শোভন মেঘলার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে ক্লাস করাতে ব্যাস্ত হয়ে যায়৷
শোভন যেতেই ঐশী বলে,
— “ইসসস স্যার টা কি হ্যান্ডসাম রে তাও আবার ব্যাঙ্গলি৷
উপস জমে যাবে পুরোই৷
আমি তো অলরেডি ক্রাশ খেয়ে ফেলেছি৷ ”
মেঘলা ঐশীর দিকে বিস্ফরিতো চোখে তাকিয়ে বলে,
— “এই ঐশীর বাচ্চা যা খাওয়ার খেয়েছিস তা তারাতারি বের কর,
ওটা আমার জিনিস ওটার দিকে নজর দিবি না৷
হায়াত ভাইয়া মানে তোর হৃদয় কে বলবো তোমার জিনিস আমার জিনিসের দিকে নজর দেয়৷ ”
মেঘলার কথা শুনে ঐশী বোকা বনে গেলো ঐশী এখনো বুঝতে পারেনি এটাই মেঘলার শোভন৷
ঐশী ব্যাংচি কেটে বলে,
— “এমা মেঘু তুই এই শোভনের উপর ক্রাশ খেয়েছিস?
তোরনা একটা শোভন আছে?
যাই হোক ক্রাশ যখন খেয়েই ফেলেছিস কি আর করবো?
তোর মতো তো আর হৃদয় হীন না আমি যে বের করতে বলবো৷
আচ্ছা শোন সকালে আমার বিকেলে তোর চলবে?”
ঐশীকে চিমটি কেটে দাতে দাত চেপে মেঘলা বলে,
— “এইটাই আমার শোভন,
এটাই সাইকো এসেছে আমার পিন্নি চটকাতে আমার সুখের দিন টাটা বাই বাই হয়ে গেছে (বলেই শুকনো ঢোক গিলে আবার গলা ঝেরে বলে)
আর কি বললি?
সকালে তোর বিকেলে আমার? ইসসসিরে ও পুরোটাই আমার৷ ”
মেঘলার কথা শুনে ঐশী জীব কেটে কেবলাকান্তর মতো হেসে বলে,
— “থাক বইন মাফ করে দে৷
তাছাড়া তোর জামাই আমার জামাই আর আমার জামাই তোর ভাইয়া🙄”
মেঘলা তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
— “তোরে শুধু শুধু গাধা বলি?
তোর জামাই তো আমার ভাইয়াই আর আমার জামাই তোরো ভাইয়া বুঝলি?”
— “হুম ঢের বুঝেছি৷ ”
বলেই ব্যাংচি কাটে ঐশী
কিছু একটা ভেবে ঐশী বলে,
— “আচ্ছা মেঘু শোভন ভাইয়া এখানে এলো কি করে?
আর এলোই বা কবে?
আর এলোই যখন তোর কাছে আগে যায় নি কেন?
মেঘলা ভেবে কিছু একটা বলবে এর আগেই শোভন মেঘলা আর ঐশী কে ইশারা করে বলে,
— ” hey girl’s stand up. ”
ঐশী আগে আগেই দাঁড়ায়৷ মেঘলা এখনো দাঁড়ায়নি বসেই আছে৷
শোভন মেঘলার সামনে এসে বলে,
— ” তুমি বসে আছো কেন?
তোমাকে কি কার্ড দিয়ে দাড়াতে বলতে হবে?”
ঐশী মেঘলা আর কয়েকজন ছাড়া কেউই বাঙালি না তাই বুঝতে পারছে না৷
শোভন এবার বেশ জোরেই বলে,
— “i said stand up. ”
এতো জোরে বলায় মেঘলা কেঁপে উঠে আর তারাতারি দাঁড়িয়ে যায়৷
শোভনের এমন ধমকেতো ঐশী ভয় পেয়ে যায় না জানি কি শাস্তি দেয়, কিছু সময় ভেবে শয়তানি হাসি দিয়ে একবার মেঘলার দিকে তাকিয়ে শোভনকে উদ্দেশ্য করে ফিসফিসিয়ে বলে,
— “ভাইয়া আপনি মেঘলাকে শাস্তি দিতে চানতো?
আমি আপনার পাশে আছি আপনি চাইলে আপনার পাশে থেকে আমিও ওকে শাস্তি দিতে পারি কিন্তু আমাকে বসিয়ে দিতে হবে৷ ”
শোভনও মেঘলার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলে,
— “ওক্কে শালি সাহেবা৷
আমার বউকে শাস্তি দিতে হবে না আমার বাচ্চা বউ আমার শাস্তিটা নাহয় আমি দিবো৷
আপনি আমার সাথে থাকবেন তাহলেই হবে৷ ”
বলেই মেঘলাকে চোখ টিপ মারে৷
মেঘলা শুকনো ঢোক গিলে একবার ঐশীর দিকে তাকিয়ে রাগি ভাবে তাকিয়ে উপরের দিয়ে তাকিয়ে বিরবির করে বলে,
— “ইয়া আল্লাহ কি বান্ধবি দিলা তুমি,
এই সাকচুন্নি আমাকে ফাসাবে এখন৷
আল্লাহ একটা সুতা থুরি রসি ফালাও উঠে যাই৷ ”
শোভন গম্ভীর কন্ঠে ঐশীকে বলে,
— “sit down. ”
ঐশীও কিছু না ভেবে বসে যায়৷
মেঘলাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— “hey come with me. ”
মেঘলা আর কিছু বলতে পারেনি৷
কান ধরে ক্লাস ভর্তি মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা৷
ঐশী বসে বসে হাসছে ওর হাসি দেখে মেঘলা বির বির করে বলে,
— ” ঐশীর বাচ্চা একা পাই তোকে মেরে আধ মরা বানাবো৷ ”
এর মধ্যেই ক্লাস শেষ হয়ে যায় মেঘলার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে ঐশী বেরিয়ে যায়৷
মেঘলা যেই যাওয়ার জন্য পা বারাবে তখনই শোভন বলে,
— “আমি তোমাকে যেতে বলেছি?”
মেঘলা আর কিছু বলে না মাথা নিচু করে বেরিয়ে পরে৷
সবাই ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যায় হঠাৎ শোভন দরজা ভেতর থেকে আটকিয়ে দেয় বাকা হাসির রেখা টেনে মেঘলার দিকে এগোতে থাকে৷
চলবে,