#তিক্ত_ভালোবাসা
#Tafsia_Meghla
#পার্টঃ০৬
বলতে বলতে সামনে তাকাতেই দেখে মেঘলা নীল শাড়ি পরেই আছে৷
আয়নার দিকে তাকাতেই শোভনের ঘোর লেগে যায় ভেবেছিলো একটু বকবে কিন্তু তা আর হলো কই?
শোভন কে এভাবে এগোতে দেখে মেঘলা বলে,,
— “এভাবে এগোচ্ছো কেন?
শোভন ঘোর লাগা কন্ঠে বলে,
— ” এভাবে শাস্তিটা না দিলেও পারতে,
খুব কি দরকার ছিলো তোমার এই মারাত্মক রূপে আমার রুপমহিনী হতে?
খুব কি দরকার ছিলো শাড়ি পরার?
এখন যদি কোনো ছোট খাটো ভুল করে ফেলি? তখন আমায় কিছু বলবে না কিন্তু৷ ”
বলেই মেঘলার একেবারে কাছে গিয়ে মুক্ত কোমরে হাত রেখে একটানে নিজের সাথে মিশিয়ে ওষ্ঠ জোরা দখল করে নেয়৷
মেঘলা ধস্তাধস্তির পরেও ছাড়ছে না,
এবার অসস্থি হচ্ছে মেঘলার আর না পেরে জোরে ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপর ফেলে হাতের পিছন দিয়ে ঠোঁট মুছে কান্না করতে করতে বলে,
— “কি করছেন কি?
হুস আছে আপনার? কেন এমন অসভ্যতামো করছেন?
কেন আমার থেকে দূরে থাকছেন না?”
শোভন রেগে কিছু বলতে গিয়েও বললো না৷
”নিচে আছি ১০ মিনিট এর মধ্যে নিচে না এলে কপালে দুঃখ আছে” বলেই নিচে চলে যায়৷
মেঘলার এখন কিছুতেই এই লোকটার সাথে যেতে ইচ্ছে করছে না,
কিছু করার নেই এই ছেলে যা ঘাড় বাকা না করলে তুলেও নিয়ে যেতে পারে৷
চোখ মুখ ঠিক করে নিচে যায়৷
।
।
মাত্রই গাড়ি কলেজের সামনে এসে থামলো৷
মেঘলা সারা রাস্তা চুপ ছিলো কোনো কথা বলেনি
কিন্তু শোভন এটা ওটা বলেছে তাও মেঘলা পুরো পুরি চুপ ছিলো৷
গাড়ি থেকে নামতেই একটা ছেলে শোভনের সাথে মেঘলা কে দেখে বলে,
— “কে এটা বস?”
— “বোন৷ ”
শোভনের ছোট উত্তর শুনেই ছেলেটি মুচকি হেসে চলে যায়৷
ছেলেটি যেতেই মেঘলা তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শোভনের দিকে তাকায়৷
কি চায় এ লোকটা? মুখে মুখে বলে এতোটা ভালোবাসে কিন্তু বোনের পরিচয় দিলো?
মেঘলা শোভন কে না বলেই অন্য দিকে চলে যায়৷
মেঘলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শোভন দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে স্টেজের সামনে ওর বন্ধুদের সাথে গিয়ে দাঁড়ায়৷
মেঘলা যেতেই প্রিয়া ঝাপটে ধরে বলে,
— “মেঘু তুই ঠিক আছিসতো?
শোভন ভাইয়া তোকে কিছু করেনিতো?”
মেঘলা গম্ভীর মুখে বলে,
— “নাহ৷ ”
— “আমার মনে হয় শোভন ভাইয়া সবার সাথে যাই করুক তোকে কিছু করবে না কারন সে তোকে সত্যি ভালোবাসে৷ ”
প্রিয়ার শোভনকে নিয়ে এমন কথায় মেঘলা একটুও খুশি হয়নি মেঘলার চোখ মুখের বিরক্ত দেখেই বোঝা যাচ্ছে৷
মেঘলা বলে,
— “ভালোবাসুক আর নাই বাসুক তাতে আসে যায় না আমার৷ মুখে বলে ভালোবাসি মানুষের কাছে পরিচয় দেয় আমি তার বোন৷
কি চাইছে এই লোকটা বুঝতেই পারছিনা৷
আমার এই লোকটার সাথে থাকা সম্ভব না আর যাই হোক একটা খু,,,,৷ ”
মেঘলা বলতে গিয়েও থেমে গিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে,
— “আমার সময় হলে আমি চলে যাবো থাকবো না ওনার সাথে৷ ”
বলে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে সে জায়গা থেকে প্রস্থান করে৷
শোভন সবার সাথে কথা বলছে কিন্তু চোখ মেঘলাকেই খুজছে৷
অনেকক্ষন হলো মেঘলাকে দেখতে পারছে না এবার সত্যি চিন্তা হচ্ছে,
সবার সাথে কথা শেষ করে এদিক ওদিক মেঘলাকে খুজতে লাগে৷
— “এই মেয়েটা আমার কোনো কথা শুনে না৷ আমার কথা শুনলে কি ওর অনেক ক্ষতি হয়ে যায়?
আমি যা বলি করি ওর ভালোর জন্যই, এই মেয়ের মতো ঘার ত্যারা মেয়ে আর একটাও দেখিনি৷
ভেবেছিলাম সহজ সরল একটা বউ পেয়েছি কিন্তু পুরো উল্টো এর জ্বালায় সারাটা জীবন আমার এভাবেই জ্বলতে হবে৷ ”
শোভন বিরবির করছে আর এদিক ওদিক মেঘলাকে খুজছে৷
এখানে এসে যা দেখলো রেগে চোয়াল শক্ত করে মেঘলার সামনে গিয়ে বলে,
— “ছেলেদের নিজের পেট না দেখালে ভালো লাগে না?
আমি ছুলেই তোমার শরীরে জ্বালা ধরে যায়?
আমি না আসলে কি হতো?”
শেষের কথা গুলো শোভন খুব রেগে চেচিয়ে বলেছে মেঘলা পুরো কেপে উঠেছে৷
স্টেজ থেকে অনেকটা দূর প্রিয়া মেঘলা আর কয়েকটা মেয়ে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো ভুলবসতো মেঘলার শাড়িটা সরে যাওয়ায় কোমর সহ পেটটা উন্মুক্ত হয়ে যায় আর সেটা কিছু ছেলে বাজে নজরে তাকাচ্ছিলো এর মধ্যে একজন মেঘলার কোমরে হাত দিতে গিয়েছিলো৷
শোভন মেঘলার দিকে তাকিয়ে বাহু শক্ত করে ধরে ধমক দিয়ে বলে,
— “গাড়িতে গিয়ে বসো৷ ”
মেঘলা ভয় পেয়ে কাপা কাপা গলায় বলে,
— “না যাবো না আমি৷ ”
— “আমি যেতে বলেছি৷ ”
এবারো বেশ জোরেই ধমক দেয় শোভনের এহেম কান্ডে সবাই ভয় পেয়ে এখান থেকে চলে যায় মেঘলা রাগে, কষ্টে অশ্রুসিক্ত চাওনি দিয়ে কান্না করতে করতে ছুটে বেড়িয়ে যায়৷
মেঘলা যাওয়ার পর ছেলেদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে পৈচাশিক বাকা হাসি দিয়ে ফোন বের করে কাউকে একটা ফোন করে এখান থেকে গাড়ির দিকে পা বাড়ায়৷
গাড়ির সামনে এসে দেখে মেঘলা নেই৷
এ মেয়ে যে এমন কিছু করবে তা শোভন আগেই বুঝেছিলো,
রেগে গাড়িতে উঠে বসে আবার কাউকে ফোন করে৷
রেগে তুমুল স্প্রিডে গাড়ি চালাচ্ছে শোভন ভেবেছিলো মেঘলাকে শাস্তি দিবে না কিন্তু এবার তো দিতেই হবে৷
আবার কথার অবাধ্য হয়েছে৷
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে শোভন মেঘলাকে খুজছে৷
হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে মেঘলা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে আর সামনে হাটছে শাড়িটার নাজেহার অবস্থা আরেকটু পরই বুক থেকে সরে যাবে৷
শোভন তা দেখে আরো রেগে যায় গাড়ি থেকে নেমে মেঘলার সামনে গিয়ে হাত ধরে বলে,
— “তোকে আমি গাড়িতে বসতে বলেছিলাম কিন্তু তুই?
আবার আমার কথার অবাধ্য হলি?
কেন?”
মেঘলা রেগে বলে,
— “আমি তোমার কথা শুনবো না৷
চলে যাবো এখান থেকে৷ ”
কথাটা বলার সাথে সাথেই শোভন মেঘলার গালের মধ্যে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়৷ জোর করে টেনে গাড়িতে বসিয়ে রেগে গাড়ি চালাতে থাকে৷
গাড়িতে উঠে ডিক্কি থেকে একটা দড়ি নিয়ে মেঘলার হাত বেধে দেয় আর শাড়ির আচল দিয়ে মুখ৷
কারন শোভন জানে এই মেয়ে স্থির হয়ে বসবে না চেচাবে৷
আবার সেই বাড়িটির সামনে আসে৷
এই বাড়িতে আসতে আসতে অনেকটা রাত হয়ে গেছে কোলে তুলে মেঘলাকে ভিতরে নিয়ে এসে ছিটকে বিছানায় ফেলে হাত মুখের বাধন খুলে মুখ চেপে ধরে বলে,
— “খুব ভালো লাগে মানুষ কে শরীর দেখাতে?
আমি কিছু করলেই তোর যতো জ্বালা তাই না?”
মেঘলা শোভনের লাল চক্ষু দেখে চুপসে যায়৷
আজ আর কথা বলতে পারছেনা সব কথা যেমন গলায়ই আটকে আসছে৷
তাও কিছুটা সাহস জুগিয়ে কাপা কাপা গলায় বলে,
— “ভাইয়া ছেলেগুলো কে কি করেছো?”
শোভন মেঘলাকে উত্তর না দিয়ে উষ্ঠ জোরা দখল করে রুডলি কিস করতে থাকে৷
মেঘলা প্রতিবার ব্যাথায় কুকরে উঠছে৷
ওই অবস্থায়ই হাত দিয়ে শক্ত করে কোমর চেপে ধরে খামছে ধরে৷
মেঘলা এবার আর পারছে না শোভন কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় কোমরের জায়গাটা থেকে রক্ত পরছে মেঘলার৷
এমন ভাবে ধাক্কা দেওয়ায় যেন শোভন আরো রেগে যায়৷
মেঘলাকে নিজের কাছে টেনে গলায় কয়েকটা বাইট বসিয়ে দেয়৷
ধাক্কা দিয়ে আবার বিছানায় ফেলে দুই হাত চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবায়৷
মেঘলা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে৷
কেন এতোটা কষ্ট দিচ্ছে শোভন?
কিছুক্ষণ পর শোভন শান্ত হয়ে বাইটের জায়গাগুলোতে ঠোঁট ছোয়াতে থাকে মেঘলা কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছে৷
শোভন ঠিক করে শুয়ে মেঘলার মুখ মুছে কপালে, গালে, ঠোঁটে অজশ্র চুমু খেয়ে বুকে জড়িয়ে শুয়ে পরে৷
চলবে,,