তার_ইচ্ছে
পর্ব_৫
#মাসুদ_রানা_তাসিন
তোমাকে জিততে হবে
মনে রেখো ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে!
মেয়ে বলে যারা অবহেলা করেছিল, তাদের জবাব দিতে হবে। (আরাভ)
ইলমা : রাত হয়েছে যাও ঘুমিয়ে পড়। আর ননদীনি আগের কথা চিন্তা করে মাথা খারাপ করবে না।
ঠিক আছে ভাবী। আমি যাচ্ছি উপরে।
আর শোন আগামী এক তারিখ থেকে জয়েন করবি। একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে। এটা নিজের বাড়ি মনে করবি।(আরাভ)
আচ্ছা ভাই ঠিক আছে। তবে আমি আপাতত সবার সাথে এমপ্লয়ি হিসেবে কাজ করতে চাই। ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে না।
সেটা তোর ইচ্ছে বোন। সবসময় সাহস, উদ্দাম নিয়ে কাজ করতে হবে। লড়াই করে যেতে হবে। হারিয়ে দিতে হবে সবাই কে।(আরাভ)
মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত থাকলে পারব ইনশাআল্লাহ। যদি এটা তার ইচ্ছে হয়। তাহলে যথাযথ ভাবে পালন হবে।
আচ্ছা সারাদিন প্রচুর পরিমাণে মনোকষ্টে ভুগেছিস। এখন যা ঘুমিয়ে পড়।(আরাভ)
আচ্ছা ঠিক আছে বলে যে রুমে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই রুমে আসলাম। আজ বড্ড বাবা মায়ের অভাব লাগছে।
আজ রাতটা আবারো নির্ঘুম রাতের তালিকায় যোগ হবে। হে বিধাতা কেন এমন হয় আমার সাথে। প্রথমে মা তারপর বাবা। তারপর আগলে রেখেছিল দাদু। সময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনিও চলে গেলেন।
ভালো তো বেসেছিলাম বৈধ ভাবে। তবুও হারাতে হল। কিন্তু কেন, কে এই জবাব দিবে। ভেবে পাচ্ছি না।
☘️
ভেবেছিলাম পেলাম তারে এই অবেলায়,
হারিয়ে যে ফেলব আবার সেই কি ভাবা যায়।
পেলাম যখন পূর্ণ করে,
হারিয়েছি আবার শুন্য হয়ে।
তবে কেন পেলাম তারে।
****
ভুলে যেতে চাচ্ছি। কিন্তু পারছি না কেন জানিনা। আজ বড্ড বেশি পড়ছে মনে তার কথা গুলি। কোন এক কবি তার কবিতায় লিখেছেন।
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশি
ভালোবেসে ফেলি
তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরো
বেশি গভীরে জড়াই,
যতোই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরে
ততোই তোমার হাতে বন্দি হয়ে পড়ি,
তোমাকে এড়াতে গেলে এভাবেই
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে যাই
এভাবেই সম্পূর্ণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি;
তোমাকে ছাড়াতে গেলে আরো ক্রমশ
জড়িয়ে যাই আমি
আমার কিছুই আর করার থাকে না।
তুমি এভাবেই বেঁধে ফেলো যদি দূরে যেতে চাই
যদি ডুবে যেতে চাই
তুমি দুহাতে জাগাও।
এমন সাধ্য কী আছে তোমার চোখের
সামান্য আড়াল হই,
দুই হাত দূরে যাই
যেখানেই যেতে চাই সেখানেই
বিছিয়ে রেখেছো ডালপালা,
তোমাকে কি অতিক্রম করা কখনও সম্ভব
তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র
আকাশের চেয়েও আকাশ তুমি আমার
ভেতরে জেগে আছো।
তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো
বেশি ভালোবেসে ফেলি,
তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে
আরো কাছে টেনে নেই
যতোই তোমার কাছ
থেকে আমি দূরে যেতে চাই
ততো মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে,
ততোই তোমার আমি হয়ে পড়ি ছায়ার মতন;
কোনোদিকে যাওয়ার আর একটুও
জায়গা থাকে না
তুমিই জড়িয়ে রাখো তোমার কাঁটায়।
তোমাকে ছাড়তে গিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে
আরো জড়িয়েছি
তোমাকে ভুলতে গিয়ে আরো
ভালোবেসেছি তোমাকে।
কিন্তু ভালোবেসে কি হবে আর পাব না হয়ত আর। রাত তো নির্ঘুম যাবে। পরদিন সকালে নাস্তার পর হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায় আলো। কি হবে তার। ইলমা খুব জোরে চিৎকার করে সবাইকে ডাকলেন।
আরাভ এসেই কোলে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হল।
ডাক্তার আলোকে দেখার পর আরাভের উদ্দেশ্যে বলা শুরু করলো।
পেশেন্ট কি হয় আপনার।
আমার বোন হয় কি হয়েছে বোনের বলেন ডাক্তার।
ডাক্তার :
********
সাবিত বাড়ি ফিরে জানতে পারে আলো নেই। চিৎকার দিয়ে পরে যায়। আর বিলাপ করে আমার জন্য আজ তুমি বাড়ি ছাড়া। কোথায় গেলে তুমি। আমি না হয় বলেছিলাম বলবে না কাউকে বিয়ের কথা। কেন অধিকার দেখালে না। কেন চলে গেলে। চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেছিল। রিয়া সাবিত কে থামিয়ে সাবিতের রুমে নিয়ে যায়।
সাবিত কে দেখে বাড়ির সবাই কান্না করে। সাবিত তো হাসিখুশি ছেলে। একদম চুপ হয়ে গেছে। সাবিত সারারাত রুমে থেকে বের হয়নি।
সকাল বেলা রুমে থেকে বের হয় স্বাভাবিক ভাবেই। সবার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কিন্তু আসীম চৌধুরী সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। সাবিত রাতেই বুঝতে পেরেছে।
সাবিত তার মাকে বলল মা আমি আলো কে খুঁজতে বের হব। রাতে ফিরতে পারি না ও পারি।
বলেই বেরিয়ে চলে গেল।
*******
ডাক্তার : পেশেন্টের সমস্যা যেমন আছে।
এর মধ্যেই নার্স এসে বলল স্যার রোগীর জ্ঞান এসেছে একটু দেখেন আবার।
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও। আমি যাচ্ছি। আচ্ছা আরাভ সাহেব আমি দেখে এসে বলছি।
ইলমা : কি সমস্যা অনেক কিছুর পর পেয়েছ ওকে। ফুপির চিহ্ন ও। আর হারাতে দিবে না বল। যান ওকে আমি হিয়ার জায়গা দিয়েছি। হিয়ার মত ওকে হারাতে পারব না।
আরাভ : শুধু তুমি না প্রিয়। আমিও যে ওকে হারাতে পারব না। এর মধ্যেই আরাভের ফোন বেজে উঠলো।
ওপার থেকে : ,,,,,,,,,
আচ্ছা সাবধানে আসিস।
,,
ডক্টর তখন তো বললেন না কি হয়েছে বলুন কি সমস্যা। (আরাভ)
ডাক্তার :,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,