তবু আছি কাছকাছি (Doctors love) Part-31

0
3031

#তবু_আছি_কাছকাছি(Doctors love)?
#writer_Sumaia_Islam_Mim
#part_31
?
.
.
সুমু দরজা খুলতেই দেখে নীল দাঁড়িয়ে আছে তাও গিফটের প্যাকেট এর জন্য বেচারার চেহারা ভালোমতো বোঝা যাচ্ছে না। একটু উকি দিয়ে সুমুকে বলল,

নীলঃ সর তো পেত্নী সামনে থেকে! সাহায্য তো করবিই না।

সুমু অবাক হয়ে সরতেই নীল ঘরের ভিতর ঢুকে গেলো।

—তুই এখন এখানে? আর এগুলো কি?

নীলঃ সাদি ভাই কই?

—ডাক্তারসাহেব তোর ভাই কবে থেকে হলো?

নীলঃ যবে থেকে এই পেত্নীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে! ছাগী কোথাকার! দুলাভাইকে কি এখনো স্যার ডাকবো?

—হুহ! শয়তান কোথাকার!

নীল বাসার চারপাশে চোখবুলিয়ে ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে বলল,

নীলঃ কাল তো মনে হয় এখানে ছোটখাট ভালোবাসাবাসি গেছে! এখনো রুম গুছাস নি!

সুমু নীলের কথা শুনে বেশ লজ্জা পেলো। তারপর নিজেকে সামলে বলল,

—সময় দিলি কোথায়? হুট করে চলে এলি!

নীলঃ পেত্নী একটা! কোথায় আমাকে ধন্যবাদ দেবে এই ফুলটুল অ্যারেঞ্জ করে দেওয়ার জন্য! তা না সে আমাকে ঝাড়ছে। শয়তান্নি!

এর মধ্যেই সাদি ফ্রেশ হয়ে একটা ট্রাউজার পরে গলায় তোয়ালে ঝুলিয়ে বের হলো।

সাদিঃ আরে নীল! এইসব কি?

নীলঃ হ্যাপি বার্থডে সাদি ভাই! আর এগুলো পুরো কলেজের যত নিব্বা নিব্বি আছে এদের পক্ষ থেকে গিফট আপনার জন্য! যা আমাকে বহন করতে হয়েছে।(দুঃখি দুঃখি মুখ করে)

—(হেসে) তা তোর ওই নিব্বা নিব্বি তারা জানে না যে তাদের স্যার ম্যারেড?

নীলঃ আরে গাধি! এখানে সবাই কি ক্রাশ খাইয়া দিছে নাকি! কেউ কেউ রেসপেক্ট থেকে দিছে!

—(কপালে হাত দিয়ে) হায়রে রেসপেক্ট! এখন আমার বাসা ভর্তি!

সাদি আর নীল একসাথে হেসে দিলো। সুমু নীলকে বসতে বলে রান্নাঘরে চলে গেলো। নিজেদের জন্য নাস্তা বানাতে।

.
সাদি আর সুমুর ভালোবাসা বাসিতেই কেটে গেলো প্রায় একটা মাস! এখন তারা দুজনেই বেশ ব্যস্ত। সাদির বাবা ব্যবসার জন্য এখন প্রায়ই বাইরে থাকেন। তাই মামুনিও চলে এসেছে সাদি আর সুমুর কাছে। সাদির বাবা বাংলাদেশে ফিরলে আবার ঢাকা যাবেন। এর মধ্যে একবার সুমুর পরিবারের সবাই এসে ওদের দেখে গেছে।

.
সুমু সকালে উঠে সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে তারপর মামুনিকে চা দেয়। তারপর তার আর সাদির লাঞ্চ বানিয়ে সাদিকে রুমে কফি দিয়ে আসতে হয়। সকালবেলা শরীরচর্চা করে তার নাকি কফি খেতে খুব বেশিই ভালো লাগে। আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। সুমু মামুনিকে চা দিতেই মামুনি বললেন,

মামুনিঃ সুমু মা যা তো সাদিকে আগে কফিটা দিয়ে আয়। দেখ কিভাবে ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছে।

—তোমার ওই পোলা তো ষাঁড়ই। খালি শিং এর অভাব।

মামুনিঃ যা না মা! আর ভাল্লাগছে না এর চিল্লাচিল্লি।

—হুম যাচ্ছি!

.
অগত্যা আমার ঠোঁটের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে সাদি। আমাকে শুইয়ে নিজে আমার উপর উপুড় হয়ে যতবার পুশআপ দেওয়ার জন্য নিচু হচ্ছে ততবার আমার ঠোঁটে এক এক করে চুমু দিচ্ছে। এবার তো আমাকে ঝাঁপটে ধরে কিস করে চলেছে। আর আমি ছাড়া পাওয়ার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছি। ছাড়া পেতেই অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,

—এটা কি হলো? এটা কিন্তু চিটিং!

সাদি:( দুষ্টু হেসে) নিজের বউকে কিস করার জন্য এইটুকু চিটিং করা যায়!

—(হালকা হেসে) এবার আমিও একটু চিটিং করবো ডাক্তার সাহেব!

সাদি: না বউ! তুমি এটা করতে পারো না।

কে শুনে কার কথা আমি নিচ থেকে উঠে যেই না কিছু বলবো তার আগেই মামুনি রুমে নক করলেন। সাদি আমাকে ইশারায় না করতে করতে গেট খুলতে চলে গেলো। গেট খুলতেই মামুনি সাদিকে এক ঝাড়ি মারলেন।

মামুনি: সাদি তুই আবার সুমুকে আটকে রেখেছিস! সময়জ্ঞান ভুলে যাস?

সাদি:(অসহায় ফেস করে) এমন কেন করো আম্মু? সুমু তো আমারই বউ! একটু রোমান্স করলে কি হয়?

মামুনি বেশ রেগেই বললেন,

মামুনি: এখন সকাল ৯ টা বাজে! তুই তো পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে হসপিটালে চলে যাবি আর এই মেয়েটা পুরো সংসার সামলে নিয়ে পরে হসপিটাল যাবে।

এবার আমি একটু হেসে বললাম,

—আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাদের সো কল্ড ঝগড়ায় সময় নষ্ট হচ্ছে। আমি যাই গিয়ে বাকি কাজ সেড়ে নি। আর মামুনি তোমাকে আমি আগেই বলেছি তোমার এই বদ পোলার কফি দেড়িতে দিতে বলবা। তুমি তো শুনো না৷

আমি রান্নাঘরে যেতে যেতে শুনছি মামুনি সাদিকে সেই বকা দিচ্ছে! হাহা! পাগল একটা।

,,
,,
,,
,,
(চলবে)……..
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে