#তবুও_তুমি💖
#পর্ব_০৬
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
ওয়াসরুমে গিয়ে আয়নায় তাকাতে দেখতে পেলাম আমার কাল রাতে শাড়িটা নেই অন্য একটা শাড়ি।
কিন্তু আমার শাড়ি কে বদলে দিলো।
এ বাড়িতে কোন মেয়ে মানুষ নেই তাহলে অবশ্যই রোদ ই পাল্টেছে।
বেশি চিন্তা না করে গোসল সেরে নিলাম।
বাইরে এসে চুল গুলো আঁচড়ে নিচে চলে এলাম।
রোদ এদিকে সব গুছিয়ে ফেলেছে।
আমি নিচে নামতে আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে চেয়ারে বসায় আর নিজে আমার পাশের চেয়ারে বসে পরে।
–নেও খেয়ে নেও।
–আপনিও খান।
–হুম।
রোদ খাবার খাচ্ছে আমি খাবার খাওয়ার মাঝে মাঝে ওর দিকে তাকাচ্ছি।
সে খুবই তৃপ্তি করে খাচ্ছে।
–তোমার রান্না অনেক দিন পরে খাচ্ছি।
বাইরে গিয়ে খুব মিস করতাম।
মনে আছে আগে তুমি রোজ আমার জন্য রান্না করতে।
রোদর কথায় আমার মনে পড়ে গেল পুরোন সে দিন গুলোর কথা,
ছোঁয়া তখন ক্লাস ১১ তে সবে উঠেছে,
অতিত,
–বর্ষা (ছোঁয়ার বান্ধবি)
–কি রে?
–দেখ আমি তো ভুলেই গেছি রোদ আমার জন্য অপেক্ষা করছে কলেজের বাইরে আমি ওকে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে রেখেছি তাও ওই খাটাস পোলার গলে কথা কইতে গিয়ে।
কেন যে পথ আটকালো।
রোদ তো রেগে আছেই এখন যদি জানতে পারে এটা পেলার গলে কথা কইছি তাইলে আমারে মাইরে ফেলবে।
কি করতাম ক তো।
–তোর একটু বাড়াবাড়ি তোকে বললাম চল তুই মজে গেলি।
–আরে ধুর আমি কি জানতাম নাকি ওই বেদ্দপ আমরে প্রপোজ করবে।
–হ জানতে না আমি বলেছিলম এখন বুঝো ঠেলা।
–দেখ বর্ষ প্লিজ কিছু কর হেল্প কি।
–একটা আইডিয়া আছে কিন্তু যদি তুই পারিস তবে।
–কি আইডিয়া।
–রান্না পারিস তো তাই না।
–হুম।
–তো এই ১ বছর হলো কখনো রোদকে রান্না করে খাইয়েছিস?
–না।
–হুম তুই গিয়ে ওকে তোর রান্না করা খবার খাইয়ে বলবি সরি ফর লেট।
–তাতেই হবে সিওর তুই?
–হ্যাঁ তাতেই হবে সিওর আমি।
–আচ্ছা তাহলে এখন।
–এখন তো ভাইয়া কিছু বলবে না চুপচাপ গাড়ি চালিয়ে বাসায় যাবে তাই না।
–হুম তা তো।
–বাসায় গেলে ওনার হাত ধরে ঘরে বসাবি তার পর রান্না করবি।
–আচ্ছা ধন্যবাদ বাবু।
–ধুর চল।
ছোঁয়া বর্ষার সাথে রোদের কাছে যায়।
রোদের মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে রোদ বেশ রেগে।
ছোঁয়া চুপচাপ রোদের সাথে বাসায় চলে আসে।
গাড়ি থেকে নেমে,
–রোদ।
–হুম (গম্ভীর ভাবে)
–চলুন একটা জিনিস দেখাবো।
রোদ কোন কথা না বলে ছোঁয়ার সাথে হাঁটা শুরু করলো।
রোদ ছোঁয়ার বেডরুমে গিয়ে ছোঁয়ার পড়ার টেবিলের চোয়ার টেনে বসে।
রোদ আর যাই করুক কখনো ছোঁয়ার কথা ফেলে নি।
ছোঁয়া দৌড় দিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়।
এক বাটি নুডলস বানিয়ে নিয়ে ঘরে আসে।
রোদ ছোঁয়ার বই গুলো দেখছিল।
ছোঁয়া বাটি নিয়ে রোদের দিকে এগিয়ে আসে,
–সরি ফর লেট আর এমন হবে না।
ছোঁয়ার নরম গলার কথা শুনে রোদ ছোঁয়ার দিকে তকায়।
হাতের বাটি দেখে রোদ কিছুটা অবাক হয়।
–কি এগুলা?
–নুডলস।
–(রোদ ভ্রু কুঁচকে তাকায়)
–আরে আমি রান্না করেছি আপনার জন্য।
রোদ হেসে দেয়
–তুমি রান্না পারো?
–হ্যাঁ।
–আগে তো বলো নি।
–এখন তো বলছি রাগ কমছে?
রোদ হেসে বলল,
–ছোঁয়া রানি তুমি আমার মনের রানি তোমার উপর রাগ করে থাকা যায় না।
রোদ ছোঁয়ার রান্না খাবার খেয়ে প্রসংশায় পঞ্চমুখ।
ভালোবাসে যে মেয়েটাকে তার সব কিছুই ভালোবাসে রোদ।
বর্তামান,
–ছোঁয়া এই ছোঁয়া।
–হুম।
–খাচ্ছো ন কেন শরীর খারাপ করেছে।
–না তেমন কিছু না খাচ্ছি।
ছোঁয়া রোদ খাবার শেষ করে।
,পুরোটা দিন মেঘলা আকাশ ছিল।
বিকালেও ফুরফুরে বাতাস সাথে মেঘ মেঘ করা আকাশ।
–ছোঁয়া।
–জি।।
–চলো যাবে না?
–ওই জায়্গায় (হাসি মুখে)
–হুম৷।
–আচ্ছা চলুন।।
–তুমি একটা লাল শাড়ি পরো।
–লাল শাড়ি কেন?
–এমনি পরে এসো।
রোদের কথার জন্য একটা লাল শাড়ি পরলাম।
চুল গুলো বেঁধে একটু লাল লিপস্টিক দিয়ে রোদের সাথে বের হলাম।
রোদ কিছু সময় রাস্তা ধরে ড্রাইভ করার পর একটা বাড়ি নিয়ে গেল আমাকে।
সেখানের সবাই রোদকে আর আমাকে দেখে খুব খুশি তারা ব্যাস্ত হয়ে পরলো।
–আরে চাচু কিছু করা লাগবে না তোমাদের বউ মা ওই ঘের টা ঘুরে দেখতে চায় তাই নিয়ে এলাম (রোদ)
–এ তো বড়ো ভালো কথা। তুই বস বাবা আমি আবির কে বলছি
আবির রহিম চাচার ছেলে।
–আচ্ছা চাচা আবির এখন কি করে।
–ও এখন ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ালেখা করতেছে।
–আচ্ছা বড়ো হয়ে গেছে।
–হ ছেলে পোলা বড়ো তো হবেই এক দিন।
কথায় কথায় আবির চলে আসে।
আবির আশার পর আমরা রওনা দেয় বিলের মাঝের উদ্দেশ্যে,
চারি দিকে পানি আমি পনির দিকে তাকাচ্ছি না ভয় করছে।
রোদ এসে আমার হাতটা ধরে এসেই যেন ভয়টা কাটিয়ে উঠতে পারি।
আর চারিদিকের শান্ত পরিবেশ ফুরফুরে বাতাস উপভোগ করতে শুরু করি।
কিছু সময় পর আমরা সেই ঘেরে পৌঁছে যায়।
সেখানে নানা রকম ফলের গাছ আর ভেতরে মাছের চাষ।
খুব ভালোই কাটলো সময়।
রোদ কিছু ছবি তুললো।
ঘুরে দেখলাম সব টা।
ভয় করে নি আমার।
কারন রোদ আমার হাতটাই ছাড়ে নি।
আমার শুধু মনে হচ্ছিল ওর সাথে কেন আমার এতো দুরত্ব কেন ওকে আমি ভালোবেসেও বলতে পারি না।
কেন এমন হয় সব সময় আমার ভালোবাসার মানুষ গুলোকেই দুরে রাখতে হয়।
অনেক দুরে তাদের কে কষ্ট দিতে হয়।
আমিও কষ্ট পায় ওরাও কষ্ট পায়।
–ছোঁয়া।
–হুমম।
–এসো এদিকে এসো।
ওনার দিকে এগিয়ে গেলাম।
উনি আমার কানে একটা ফুল গুঁজে দিলো।। এখানে আবার ফুল গাছও আছে।
আমি হেসে দিলাম,
চলবে,
#তবুও_তুমি💖
#পর্ব_০৭
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
–দেখো এখানে একটা নৌকা আছে তুমি চাইলে তোমায় নিয়ে এই পানিতে নামতে পারি।
–না আমার ভয় করে।
–আচ্ছা ঠিক আছে চলো তাহলে বাসার উদ্দেশ্যে যাওয়া যাক।
–আরো কিছু সময় থাকি একটু বৃষ্টি আসুক।
–নাহ কাল বৃষ্টিতো ভিজে জ্বর হয়েছে আর রিস্ক নিবো না আমি চলো বাসায় চলো।
–আচ্ছা।
মন খারাপ করে
রোদ আমার মন খারাপ দেখে হেঁসে দিলো,
–আবার নিয়ে আরবো আরও ৪ দিন আছি তো
ওর কথায় হেঁসে দিলাম আমি।
তার পর রওনা হলাম বাসার দিকে।
ওই আঙ্কেল রা আমাদের আসতে দিতে চাইছিল না কিন্তু রোদ থাকলো না।
বাসায় এসে দেখি কাপড়ে কাঁদা লেগেছে
তাই কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে নিলাম
এখানের পথে ঘাটে বেশ বড়ো বড়ো ফুল গাছ।
সব অসম্ভব সুন্দর।
কৃষ্ণচূড়া বৌ সোজেছো।
আমার এই ফুলটা ভিশন পছন্দ।
এক বার রোদের কাছে বায়ন করেছিলাম,
রোদ আমাকে পুরো একটা গাছ এনে দিয়েছিল।
ভয় পাবেন না বড়ো না মিনি সাইজের গাছ।
ওটা এখনো আমার বেলকনিতে আছে।
আমার পছন্দ জন্য রোদের বাসা মানে এখন আমারও বাসা সেখানের বাগানে লাল কমলা রঙের বড়ো বড়ো কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে।
প্রতিবার ফুলের সময় আমি বাগানে মনে হয় সারাটা দিন কাটিয়ে দেয়।
,
ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে এসে আমি অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম।
রোদ হাতে একটা বড়ো ডাল কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে হাজির।
–নেও তোমার জন্য।
–কি করে আনলেন?
–আছে কিছু গ্রামের ছেলে মেয়ে ওরা পেড়ে দিলো
–ধন্যবাদ
–পছন্দ হয়েছে?
–অনেক পছন্দ হয়েছে।
রোদ ওয়াসরুমে চলে গেল।
আমি ফুল গুলোকে একটা যায়গায় রেখে বসলাম,
বিছনায় মাথা দিতেই মাথায় কেমন অসহ্য ব্যাথা শুরু করলো।
দু হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
এমন তো আগে কখনো হয় নি হুট করে মাথা ব্যাথা কেন হচ্ছে এতো তিব্র আকারে
পাশে থাকা পানি খেয়ে নিলাম।
উফ সহ্য হচ্ছে না ভিশন যন্ত্রণা হচ্ছে।
তখনি রোদ বের হলো ওয়াসরুম থেকে ছোঁয়াকে মাথা চেপে ধরতে দেখে ছোঁয়ার কাছে এগিয়ে যায় রোদ।
–কি হয়েছো ছোঁয়া?কোন সমস্যা?
–আমার না ভিশন মাথা ব্যাথা হচ্ছে রোদ সহ্য হচ্ছে না।
ছোঁয়ার এমন কন্ঠ শুনে রোদ বিচলিত হয়ে পরলো,
–তুমি বালিশে মাথা দেও ।
রোদ ছোঁয়ার মাথাটা বালিশে উঠিয়ে দেয়।
আর আলতো হাতে ছোঁয়ার মাথা টিপে দিতে থাকে।
রোদের মাথা এভাবে টিপে দেওয়ার কারনে ছোঁয়ার বেশ আরাম লাগছে।
ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে রোদের কোমড় পেঁচিয়ে ধরে ঘুমের দেশ পাড়ি দেয়।
ছোঁয়া যখন গভীর ঘুমে তখন রোদ ছোঁয়ার হাত ছাড়িয়ে ওকে জড়িয়ে ছোঁয়ার পাশে শুয়ে পড়ে।
,
,
রাত ৮ টা,
ঢাকা শহরে,
রুমের মধ্যে অগোছালো ভাবে বসে আছে বর্ষন।
একটা মেয়ে বর্ষন এর দিকে এগিয়ে এসে ওর অগোছালো চুল গুলো গুছিয়ে দিতে লাগলো,
–বর্ষা প্লিজ এখন এগুলো ভালো লাগছে না (বর্ষন)
–কেন বর্ষন কি হয়েছে আমি কি কোন ভুল করেছি। (বর্ষা)
–তুমি কেন ভুল করবে আমার ভালো লাগছে না কি জানি ছোঁয়া কেমন আছে।
–ছোঁয়ার কথা ভেবে ভেবে অসুস্থ হয়ে পরছো।
কি অবস্থা করেছো শরীরের।
সারা দিন এভাবে অগোছালো জীবন জাপন করো এগুলা করলে কি ছোঁয়া ভালো হয়ে যাবে।
–ছোঁয়া আমার এক মাত্র বোন বর্ষা।
ওর হাতটা যখন ধরেছিলাম তখন আমি প্রথম মায়ের স্পর্শের কথা মনে করেছিলাম।
ও ঠিক আমাদের মায়ের মতো জানো বর্ষা।
ও যে আমার ছোট্ট একটা বোন তা বুঝি নি কখনো সব সময় বড়ো দের মতো শাসন করতো।
আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারছি না।
কি জানি রোদ সেদিন আমায় কেন তুলে নিয়ে গেছিল।
নিশ্চিত কেউ ওকে ছোঁয়া আমার হাত ধরা ছবি দিয়েছিল।। কিন্তু তুমি তো জানো বর্ষা ও আমার বোন।
এ কথা আমি না রোদ কে বলতে পারছি না ছোঁয়ার থেকে দুরত্ব সইতে পারছি।
আমার ছোঁয়া টা কেমন আছে তা খোদাই জানে।
বর্ষা বর্ষনের ঘাড়ে হাত দেয়,
,–প্লিজ বর্ষন এভাবে ভেঙে পড়ো না তোমাদের সিচুয়েশন আমি বুঝতে পারছি আমি বুঝতেছি সব কিছু।
কিন্তু কি করবা বলো সৃষ্টিকর্তা যা চায় তাই তো হয়।
আমার বিশ্বাস ছোঁয়া ঠিক আছে রোদ ওকে অনেক ভালো রাখছে।
–তুমি রোদ কে চিনো না বর্ষা ও আমাকে যে দিন তুলে নিয়ে গেছিল ওই দিন আমি বুঝে গেছিলাম ছোঁয়ার সাথে কেউ আমাকে বাজে ভাবে উপস্থাপন করেছে।
কিন্তু কেউ কে বুঝতে দেওয়া যাবে না ছোঁয়া আমার বোন।
আমি কেমন ভাই বর্ষা নিজের বোনের সাথে হওয়া অন্যায় ঠেকাতে পারছি না।
–বর্ষন একটা সময় আসবে যখন তুমি সব ঠেকাতে পারবে প্লিজ এখন মন খারাপ করো না।
–বুঝতে পারছি না বর্ষা।
আমার বোন টাকে আমি কি করে এই বিপদ থেকে রক্ষা করবো।
–আল্লাহর উপর ভরশা রাখো ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
বর্ষনা বর্ষার হাতে চুমু খায়।
–তোমার জন্য আমার জীবন একটু ইজি হয়ে গেছে।
–তুমি তো আমার সব বর্ষন আমার জীবনে তুমি ছাড়া কেউ নেই।
,
,
,
,
,
,
ছোঁয়া ঘুমোচ্ছে।
বন্ধ চোখে ছোঁয়াকে কি অসম্ভব মায়াবী লাগছে।
তা বুঝানোর ক্ষমতা রোদের নেই।
ছোঁয়া রোদের বুকের মধ্যে লেপ্টে আছে।
কি মায়াবী ছোঁয়া।
রোদের কাছে আজও সবটা কেমন অদ্ভুত ছোঁয়া কি করে অন্য কারোর সাথে রিলেশন এ জড়াতে পারে।। রোদের যেন বিশ্বাস হয় না এই মেয়েটা তাকে ধোঁকা দিতে পারে।
মেয়েটা যে ওকে খুব ভালোবাসে।
ছোঁয়া রোদের বুকে ঘুমালেই রোদের কলার্ট টা চেপে ধরে এক হাত দিয়ে।। বাচ্চা রা যখন কারোর কোলে উঠে তখন এমন যার কোলে ওঠে তার জামা কাপড় আঁকড়ে ধরে যেন ছেড়ে দিলে পরে যাবে।।
ছোঁয়া ঠিক তেমন করে রোদকে আঁকড়ে ধরে
ছোঁয়ার এই ছোট্ট ছোট্ট কাজ রোদের ভিশন ভালো লাগে।
ভালোবাসার মানুষের সব কাজি ভালোবাসার চোখে ভলো লাগে কিন্তু এই বাচ্চামি গুলো ছাড়া রোদের জীবন যে অপূর্ণ।
,
,
,
রাত ১১ টা,
রোদ ছোঁয়া কে আলতো করে ডাকছে,
–ছোঁয়া ছোঁয়া উঠো
–হুম। (ঘুমের ঘোরে)
–উঠো ছোঁয়া ভাত খেতে হবে।।
–উহু আপনিও ঘুমান (ঘুমের ঘোরে)
রোদ ছোঁয়ার কথা শুনে হেঁসে দেয়,
–আরে উঠো ছোঁয়া।
রোদ টেনে ছোঁয়াকে উঠায়।
–কি (ঘুম ঘুম চোখে)
ছোঁয়ার চুল গুলো সামনে এসে এলোমেলো হয়ে আছে।
রোদ সেগুলো গুছিয়ে কানে গুজে দিলো,
–ভাত খেতো হবে তার পর ঘুমাবে।
–এখন ইচ্ছে হচ্ছে না।।
–হবে উঠো উঠো।।
রোদ ছোঁয়া কে পাজকোলে করে টেবিলে নিয়ে আসে,
–যাও বেসিং থেকে ফ্রেশ হয়ে নেও।
ছোঁয়া ডুলতে ডুলতে বেসিং পর্যন্ত যায়।
১৬ মাসে বছর কাটিয়ে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসে।
ছোঁয়ার ঘুম পেলে ও এটাই করে ওর ঘুমের মাঝে কিছুই হুস থাকে না।
–খানার খেয়ে নেও।
–এখন এগুলা হাত দিয়ে খেতে হবে?
ছোঁয়ার প্রশ্নের মানে বুঝতে পেরে রোদ হেসে ছোঁয়ার মুখে খাবার ধরলো।
ছোঁয়া বাচ্চা দের মতো রোদের হাতে খেয়ে নিলো।
খাবার শেষে।
রোদ ছোঁয়াকে নিয়ে রুমে আসে।
–এবার ঘুমাও।
–কিন্তু এবার তো ঘুম আসবে না ভেঙে গেছে।
–তো কি করতে হবে।
–ঘুরতে নিয়ে যাবেন?
কিছুটা ভয় ভয় পেয়ে.
–এই রাতে কই?
–গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটতে ভালোই লাগবে রাতের বেলায়,
আলবে,
চলবে