#তনুশ্রী♥
#লেখক:হৃদয় আহমেদ
#পর্ব_৩
ইশয়াখ নিজের ঘৃন্য হাত দিয়ে জাপটে ধরলো তনুকে। তনু গলা ফাটা চিৎকার দিয়ে ডাকতে লাগলো,
– কেউ আছেন? মামী! মামী বাচাও আমারে। মামীগো!’
তিনঘর তিনফুট পেরিয়ে তার স্বর পৌছালোনা ইশার কাছে। ইশয়াখ তনুর জমার কোনা টেনে খোলার চেষ্টা করে। তনু তখনি নিজের মৃত্যু কামনায় লুটিয়ে পড়ে। তনু মনে মনে আল্লাকে স্বরণ করে নেয়। নিজে ছুটতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। তার লক্ষ এই জানো*র হাত থেকে তাকে বাচতেই হবে! হঠাৎ হাত আলগা করে ছেড়ে দেয় তনুকে ইশয়াখ। চোখের পলকে তনু মাটিতে পড়ে থাকা বোতল কুড়িয়ে নেয়। তনু যদ্দুর জানে এটা মদের বোতল। ইশয়াখ মদ খেয়েছে কিছুক্ষণ আগে। তনু মাটিতে এক ঝটকায় বোতলের নিচের অংশ ভেঙে ফেলে। ইশয়াখ তেড়ে যায় তনুর দিকে। শুরু হয় হস্তাহস্তি। ইশয়াখ হাতের বোতল নেয়ার জন্য তনুর পাতলা কালো চুলগুলো একহাতে মুঠো করে নেয়।
– সয়তান মেয়ে,ইশয়াখের জন্য পুরো মহল্লার মেয়ে পাগল আর তুই?
মুষ্টিবন্ধ হাতে চুল ছিড়ে আসে। তনু আবারো চিৎকার দিয়ে ওঠে,
– ইশা মামী বাচাও আমারে। মামী কই তুমি। বাঁচাও আমারে!
তনুর স্বর কি কেউ শুনছে? কেউকি নাই তাকে বাঁচাতে? বোতল পড়ে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কাঁচ ছিটিয়ে রয়েছে পুরো মেঝেতে! তনু ঘরের কোনে গিয়ে দাড়ায়। মুখে আঁচড় কেটেছে ইশয়াখ। গলগল করে লাল রক্ত চুইয়ে পড়ছে ধবধবে সাদা গাল বেয়ে। চারদিকে একবার ভালো করে চোখ বোলায় তনু। ঘরে আরেকটা দরজা! এটা কিসের দরজা? বাইরে যাওয়ার নাকি? যদি না হয় তাহলে তাকে আজ নরপশুর হাতে হতে হবে ধর্ষিতা! ইশয়াখ সয়তানি হেঁসে এগোয় তনুর দিকে।
– তুমিতো পালাচ্ছো কেন? কাছে আসো!
তনু ঘেষে দাড়ায় দেয়ালে। আরও কয়েকটা ডাক দেয় ইশাকে তনু। ইশা শুনেনা! তনুর চোখ বেয়ে ঝড়ছে পানি,নোনা পানি! নিজের সতিত্ব নষ্ট হওয়া থেকে সে কিভাবে বাঁচবে? ইশয়াখ ঘেমে নেয়ে গেছে। এই প্রথম কোন মেয়ে তাকে এতটা ধস্তাধস্তি করালো। পাতানো মোড়া টেনে বসে ইশয়াখ। পকেট থেকে দিয়াশলাই আর বিড়ি বের করে।
– আমারে যাইতে দেন মামা। আমারে ছাইড়া দেন। কসম লাগে,আমি আর জিবনেও আমু না আপনাগো বাড়িত! মামাগো ছাইড়া দেন। মামা!
করুন কন্ঠে বলে ওঠে তনু। বুক ছারখার হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে নিজেই ধিক্কার জানাচ্ছে! যে মা তাকে বাড়ির বাইরে বের হতে দিতে ভয় পেত, বুকের ওড়নার এতটুকু নড়চড় হতে দিতো না, আজ সে ওড়না মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে! বিড়ি ফুকোতে ফুকোতে বলে ইশয়াখ,
– শোন,অত সহজে কোন মাইয়া আজ পর্যন্ত ছাড় পায় নাই। তোরে যহন পছন্দ করছি তুই আমার বুঝছোত?’
তনু আবারো আশেপাশে দেখে। দরজাটা খোলা! বাইরের আলো আসছে। ওটা কি আরেকটা বের হওয়ার দরজা? ভাবতে দেড়ি নাই তনু কাঁচের উপর দিয়ে দৌড়ে যায় দরজার কাছে। পায়ে ফুটে যায় ধারালো কাচ! পুতুলের মতো পা গুলো তৎক্ষনাৎ লালে রঙিন হয়ে ওঠে। তবুও হাল ছাড়ে না তনু। ক্ষত পা নিয়েই বেড়িয়ে যায় দরজা দিয়ে। আকস্মিকতায় হকচকিয়ে ওঠে ইশয়াখ। মোড়া ছেড়ে ছুটে যায় দরজার কাছে। তনু প্রানপনে দৌড়াতে থাকে।
দরজার বাইরে মেঠো পথ! যত দূর দেখা যায় শুধু মাঠ আর মাঠ! কিছুদিন আগেই এখানে ধান চাষ করা হয়েছিলো। যা কৃষকরা ঘরে তুলেছে। তনু এ পথ বেয়ে দৌড়াতে থাকে। পেছনে ইশয়াখ! প্রতিটা পায়ের ছাপ স্পষ্ট মাটিতে তনুর। কারন ঝড়ছে তরতাজা রক্ত! তাতে তোয়াক্কা নেই তনুর। নিজের সর্বশ দিয়ে দৌড়াতে থাকে। ইশয়াখ আগে থেকেই ঘামে জর্জরিত। সে প্রায় হাপিয়ে উঠেছে। একটা মেয়ে হয়ে এত জোড়ে কিভাবে দৌড়াতে পারে? তার বিশ্রী ভাবে কাটা পা নিয়ে?
মেঠো পথ মাঝের দিকে। শরীর ঘেমে নেয়ে গেছে তনুর। জঘন্য গন্ধ আসছে। তনু থামে। পেছনে একবার লক্ষ করে দেখে ইশয়াখ নেই। কোথায় গেলো? চলে গেছে বোধহয়। মাটিতে ধপাশ করে বসে পড়ে তনু। ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে পা। শুকনো খড়খড়ে মাটিতে দৌড়ানোর ফল! তনু ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়ছে। পানির তৃষ্ণা পেয়েছে ওর। দরকার একফোটা ঠান্ডা পানি!
বিশাল মোড়লপাড়া চিরুনি তল্লাশি দিয়েও তনুকে খুজে পাওয়া যায়নি। মোড়লপাড়া অন্যান্য পাড়াগুলোর থেকে কম করে হলেও চারগুণ বড়! সবাইকে ভাগ ভাগ করে পাঠানো হয়েছিলো খুজতে। কাল রাত থেকে চোখে ঘুম নেই তূর আর মইনুল মোড়লের। সবার সাথে সারা রাত তারাও খুজেছে। এখন তারা মাঠে। কিছুক্ষণ আগেই গোয়ালালাদাপূরে ততন্ত চালিয়েছে। আজিদ না থাকায় লতিফার বাপের বাড়ি যেতে পারেনি তারা।
– মাইরা এক রাতে গেলো কই?’
মইনুল বলে উঠলেন কথাটা। তূর চেয়াল খিচে নিলো। ওই তনুর জন্য সারারাত ঘুম হয় নাই। মাথা ঝিমঝিম করছে। তূর কটাক্ষ স্বরে বললো,
– একবার পাইয়া বিয়া করি খালি! মা*র থোতা মুখ ভোতা করে ছাড়বো।’
– কিন্তু পাবা কই? মোড়লপাড়ায় নাই! এখানে নাই। তাইলে গেলো কই?’
পাশে তাদের আরও কয়েকজন। গোয়ালাদাপূর থেকে মাঠ হয়ে ফিরছে সবাই। সবার মাঝ থেকে ঘেঁটু বললো,
– মোড়লমসাই, ওইযে আজিদের বউ লতিফা আবার মেয়েরে মাইরা ফালাইনাই তো? দেহেন বিয়া হইতে দিবো না কইয়া ঘাটে ফালাই দিসে।’
– ঠিক বলেছিস! মহিলা সুবিধার না। এত মাড়ছে তবুও কিছু বলেনি। আমিও তো কিছু বলতে পারবো না। এ গ্রামের সন্মান হাড়াইলে ব্যাবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
তূরের রাগের মাত্রা বাড়লো। একটা মেয়েকে খুজে পাচ্ছে না? অথচ এটা তার বা হাতের খেল! রাগে মাথার রগ দপদপ করছে তূরের। কথা বলতে গেলে গলার রগ ভেসে উঠছে,
– আমাদের আরেকজন কে খোঁজা উচিত!’
কথাটা বলেই দাড়ায় তূর। দূর থেকে দেখতে পায় মাঠের মাঝে ওড়না হীন কোন নারী বসে আছে। তার চোখ পায়ের তালুতে। ফরসা গায়ের রঙ দূর থেলে যেন হিরের মতো জ্বলছে!
তূরের দাড়ানো দেখে মইনুল বিরক্তি নিয়ে বলেন,
– এখানে দাড়াচ্ছিস কেন?
– সামনে দেখো!
মইনুল দেখেন সেদিকে।বুঝতে পেরে তূরকে বলেন,
– কে ও?
– মনে তো হয় তনুই! কিন্তু রক্ত কেন? কোন ছেলে আবার…
– ওটা আজিদই বলবে। এখানে দাড়ালে হবে না? চল ওকে ধরবো!’
– বোকার মতো কথা বলোনা আব্বা। আমি এখন গেলে ও আমাকে দেখে ফেলবে। আর বিয়ের পর ওর বিশ্বাস অর্জন করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। নইলে ক্লিনিকে নিয়ে যেতে সমস্যা হবে। তুমি যাও। আমি এদের সাথে মুখ ডেকে যাচ্ছি!’
মইনুল ঠোঁট বাকিয়ে ইসারা করে,
– তবে তাই হোক!’
তূর মুখে রুমাল বেঁধে নেয়। সবার সাথে মিশে যায়। মইনুল ধির পায়ে গিয়ে তনুকে ঘেরাও করে। চারপাশে এত মানুষ দেখে তনুর কলিজার পানি শেষ! তৃষ্ণা চারগুল বেড়েছে! ঘুরে তাকাতেই গ্রামের মোড়লকে দেখতে পায় তনু। তিনি একহাতে ধরে ওঠান তনুকে। বোকার মতন তনু ছোটবার চেষ্টা করে। তার সকল চেষ্টা ব্যর্থ!নিয়ে যাওয়া হয় তাকে মোড়লপাড়া!
____________
– মাইয়া কোনহানে রাখছোত ক লতু! এক কথা হাজার বার ভালো লাগে না।’
বিছানায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছেন লতিফা। মেয়েকে নিয়ে তার মন সকাল থেকে খচখচ করছে। খালি মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে তনুর! তিনি নিজের চিন্তাকে পাত্তা দিয়ে এক চোখে চৌকির দিকে তাকিয়ে। আজিদ কি বলছে তার কানে আসছে না!
– আজিদ আছো বাড়িতে?
মোড়ল মসাইয়ের কন্ঠ কানে আসতেই বিছানা ছাড়েন লতিফা। আজিদ দৌড়ে বাইরে যায়। শক্তহাতে মেয়েকে ধরে মইনুলের দলবল সহ তূর দাড়িয়ে! আজিদ তনুকে দেখেই ছুটে যায় মাড়তে। ঘেঁটু আগলে দাড়ায়।
– কি করতাছেন? মারবেন না!
– ক্যান মারুম না? ওর সাহস হয় ক্যামনে?
– আহ্! আগে বলুনতো মেয়েকে কোন ছেলে আবার.. ‘
মইনুলের কথায় আজিদ তেড়ে মেয়ের কাছে যান। আগমন ঘটে লতিফারও। তিনি দূর থেকে মেয়ের মুখে রক্ত দেখে ছুটে আসেন। আজিদ ধরার আগেই লতিফা বুকে জড়িয়ে নেয় তনুকে। তনু পাড় ভাঙা নদীর মতো হু হু করে কেঁদে ওঠে। লতিফার স্বরে চিন্তা,
– কি হইসে মা? তোর গায়ে রক্ত ক্যা? পায়ে কি বাধাইছোস? কেউ তোরে কিছু বলছে?’
তনু অস্পষ্ট স্বরে বললো,
– না মা!
মইনুল হৈ হৈ করে উঠলেন,
– তাইলে তো হইছেই। মেয়েরে রেডি রাইখেন। কালই নিতে আসবো। ছেড়ির ডানা গজাইছে।’
লতিফা কিছু বলতে পারলেন না। এবারে কিছুবললে হয়তো তনুকে মেরে ফেলবে আজিদ! মইনুল সহ সকলে চলে যায়। লতিফা মেয়েকে ঘরে নিয়ে আসেন। পালঙ্কে বসিয়ে বলেন,
– তোরে পাইলো কই? আর তোরে কি মারছে ওরা? কথা কচ না কিল্লাই? কিছু করছে?’
তনুর কান্নার বেগ বাড়ে। সব বলে দেয় তনু লতিফাকে। লতিফা সবটা শুনে বিছানার চাঁদর খামচে ধরে দৃঢ প্রতিজ্ঞা করেন। যা খুবই শক্ত! খুউব!
মাঝে কেটে গেছে একদিন। আজ বাড়ি আর খালি নেই। চারপাশে প্রতিবেশী আর আত্মীয় দের ভির। মোড়লমশাই সবাইকে গণহারে নিমন্ত্রণ করেছেন। টাকাকড়ি সব উনিই দিবেন। এসেছে ইশাও। আসেনি ইশয়াখ! চোরের মন পুলিশ পুলিশ তাই আসেনি। ইশা অনেকবার জিজ্ঞেস করেছে কেন চলে আসলো, উত্তরে তনু চুপ থেকেছে। লতিফা কিছু বলেনি। তনুর গায়ে হলুদের আয়োজন চলছে তোরজোর। চারিদিকে হলুদ গাধার সমাহার। চলছে বিরাট ভাবে আয়োজন। লতিফা কাজ করছেন, তবে মনমরা হয়ে। কাজে মন নেই তার।
তনুকে সাজানো হচ্ছে হলুদ রঙা সাড়িতে। গোলাপ গাধায় সুন্দর মালা তৈরি করেছেন মেয়ে বউরা। তা দিয়ে অপরুপ ভাবে সাজানো হয়েছে তনুকে। কিশোরী তনুকে লাগছে চমৎকার! অনেক ছেলেও মাঝেসাঝে উঁকি দিচ্ছে! আজিদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। কিছুক্ষণ আগেই তিনি ঘরে গিয়ে তাড়া দিয়ে আসলেন! তনুকে বাইরে আনা হয়। লতিফা না চাইতেও মেয়ের গায়ে হলুদ ছোঁয়ালেন। এরপর ভির জমালো বাকিরা। সবাই তনুকে হলুদ মাখাতে মাখাতে হলুদপড়ি করে তুললো তনুকে! করতে লাগলো নানা রকমের খুনসুটি!
বিয়েল গড়িয়েছে! সূর্য অস্তে যাওয়ার সময় প্রায় হয়ে এসেছে। বাড়ি সাজানো চান্দোয়া দিয়ে। রঙ বেরঙের কাপরে সাজানো হয়েছে তনুদের ছোট্ট বাড়ি। বাড়ির পাশের আট-দশ বছরের মেয়েরাও শাড়ি পড়েছে। ছোটরা পুরো বাড়িতে জুরেছে কোলাহল। তনুকে লাল বেনারসি দিয়ে সাজাচ্ছে। ভরি ভরি গহনা পাঠিয়েছে মইনুল মোড়ল! সোনায় মুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তনুকে।
– বর আইছেএএএ! চাচীইইইই! কই গেলা?
আজিদ এগিয়ে যায়। দূরত্ব কম বলে হেটে আসছেন মোড়ল বাড়ির সবাই। মেয়ে বৌ রা সকলে বোরখা পড়ে এসেছে।
_________________
ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে তূর! চোখ লাল হয়ে উঠেছে। ইশয়াখের করা যঘন্যতার কথা মনে আসলেই হাত নিশপিশ করছে ওকে খুন করতে। কিন্তু আজ তো নিজের বাসর রাত। তাই আর হাত নোংরা করতে চায় না তূর। তনু চকিতে তাকিয়ে রয়েছে। তূর বললো,
– ইচ্ছে করছে ওই ইশয়াখকে শেষ করে দিতে।
তনু নির্বিকার স্বরে বললো,
– হ্যাতে তো মইরাই গেছে।
চমকে ওঠে তূর! চোখ বড় বড় করে তাকায় তনুর দিকে। গলা খাঁকড়ি দিয়ে বলে,
– কে মাড়লো?
– জানিনা। কালকে রাত্রে খবর আইছে তিনি ইন্তেকাল করছেন। কেউ রাম দা দিয়ে কুপাইছে!
– ভয়ঙ্কর! এত লম্বা কাহিনি তোমার বিয়ের?
উত্তরে তনু চপ থাকে। ইশয়াখকের খুনি তনু বারবার মনে করছে লতিফাকে। কাল রাতে ইশয়াখের খুনের খবর যখন আসে তখন লতিফা বাড়িতে ছিলেন না। খবর আসার পর ঘাম শরীরে বাড়িতে প্রস্থান করেন উনি। সাথে ব্যাগ আর ব্যাগে ছিলো রক্তমাখা রামদা!
– কি ভাবছো?
– ভাবি না তো?
– হুম তুমি ঘুমাও। আমি একটু আসছি।
তূর ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। তনুর কিছুতেই শুতে ইচ্ছে করছে না। বারবার তার লতিফার কথাগুলো মনে পড়ছে। কেন তাকে আসার আগে এসব বললেন লতিফা? আর ‘শক্ত হাতে রক্ত’ মানেই বা কি?
#চলবে……