ডেভিল বর প্রথম পর্ব

0
6612

দেখুন একদম আমায় ছুবেন না। আমি আপনাকে আমার স্বামী মানি না। এ বিয়ে ও আমি মানি না। (আঁচল)

রেহান – তুমি মানো না তো কী হয়েছে শুনি,, আমি মানি। আর কি জেনো বলছো ছুবো না তোমায়! হা হা…. আজ আমাদের বাসর আর তুমি আমার বিয়ে
করা বউ। তোমাকে বিয়ে করেছি কি আলমারিতে সাজিয়ে রাখার জন্য!

আঁচল – বসর মাই ফুট। আমি তো আপনাকে মানতেই পারি নি আবার বাসর!
আমার ধারে কাছেও আসার চেষ্টা করবেন না। নয়লে কিন্তু খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।

রেহান – আচ্ছা! তো কি করবে তুমি? তুমি কী ভেবেছো তুমি ভয় দেখালেই আজকের মতো অমন একটা রাত আমি তোমায় না ছুঁয়েই কাটিয়ে দেবো। নোউ ওয়ে। (আঁচলে দিকে এগুতে এগুতে)

আঁচল – আপনাকে বললাম না আমার কাছে আসবেন না। আপনি এভাবে এগুচ্ছেন কেনো? (পিছাতে থাকে আঁচল)

রেহান আঁচলের কাছে চলে আসতেই আঁচল দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে চায়।
রেহান আঁচলের এক হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

রেহান – কি মনে করো? তুমি পালাতে চাইলেই আমি তোমাকে পালাতে দিবো? তোমাকে বিয়ে করেছি কি দূরে রাখার জন্য?
তাও আবার আজকের মতো একটা রাত। এখনো ত কিছুই করলাম না আর তুমি পালিয়ে যাচ্ছো? (মুচকি হেসে)

আঁচল – ক…কি করবেন.. আ..আপনি?

রেহান – সেটা না হয় করেই দেখাই। (চোখ মেরে)

আঁচল – আমি কিন্তু চেঁচাবো। ভালোই ভালোই আমায় ছেড়ে দিন বলছি।

রেহান – ওহো তুমি আসলেই একটা বোকা। বাসর রাতে যদি এভাবে চেচাঁমেচি করো তো বাহিরে মেহমান রা আছেন। তারা কি ভাববেন বলো তো। লজ্জা কিন্তু তুমিই পাবে। আমি না। (মুচকি হেসে)

আঁচল – ছা….
আর কিছু বলতে না দিয়েই রেহান আঁচলের কোমড় ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আঁচল নিজেকে ছাড়াতে ছুটাছুটি করতেই থাকে। রেহান আঁচলের ঠোঁট দু’টো নিজের ঠোঁট দিয়ে আঁকড়ে নেয়।
পাগলের মতো চুমু খেতে থাকে আঁচলের ঠোঁটে। রেহান আঁচলের ঠোঁটে হালকা কামড় দিতেই আঁচল রেহানের কাছ থেকে সরে যেতে চায়। রেহান আবার আঁচলকে নিজের কাছে এনে আঁচলের গলায় ঘাড়ে চুমু দিতে থাকে সাথে কামড় ও দিয়ে যাচ্ছে।

আঁচল একদিকে কামড়ের ব্যাথায় অন্য দিকে অসস্থিতে ছটফট করছে।কিন্তু রেহানের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে এক গভীর নেশায় ডুবে আছে।

রেহান আঁচলকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়। আঁচল উঠে যেতে নিলে রেহান আবার ধাক্কা মেরে আঁচল কে ফেলে দিয়ে নিজে আঁচলের উপর উঠে আঁচলের হাত দুটি বিছানায় সাথে চেঁপে ধরে।

রেহান – তুমি চাইলেও আজ আমার কাছ থেকে দূরে যেতে পারবে না। তোমার খারাপ লাগলেও, তুমি না মানলেও আমার কিছুই যায় আসে না বেইবি।

আঁচলের রাগে কষ্টে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।

রেহান স্পষ্ট আঁচলের চোখে পানি দেখতে পায় কিন্তু সেদিকে কোনো নজর না দিয়ে রেহান আবার আঁচলের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। আঁচলের শাড়ির আঁচল টা এক টানে সরিয়ে দিতেই আঁচল শব্দ করে কেদে দেয়।
তাও রেহান নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে সরে নি। আঁচলের গালে গলায় কিস করতেই থাকে। আঁচলের শাড়ির কুঁচি টা খুলে ফেলতেই আঁচল বিছানার চাদর খামচে ধরে নিশব্দে কাঁদতেই থাকে।
রেহানের কানে আঁচলের কান্না পৌঁছাতে পারে নি। সে এক অজানা অনুভূতি তে ডুবে আছে।

রাত প্রায় ৩ টা…

আঁচল নিজের শাড়ী টা কোনো রকমে শরীরে পেচিয়ে বসে কান্না করেই যাচ্ছে।

রেহানকে আঁচলের মেনে না নেয়ার ও কারন আছে। কারন টা জেনে নিই….

(আঁচল কলেজে পা রাখতেই একটা ছেলের সাথে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়। কিছু দিন যেতেই সেই বন্ধুত্ব টা ভালোবাসায় পরিনত হয়। অবস্য আঁচল রাজি ছিলো না কিন্তু জিসান (ছেলেটা) এর পাগলামো দেখে আঁচল ও তার প্রতি দূর্বল হয়ে পরে।
সেই থেকেই শুরু হয় তাদের ভালোবাসা। দু’জন দুজনকে অনেক ভালোবাসতো, অনেক কেয়ার করতো। আঁচল ও জিসান কে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলো। কিন্তু বছর পরই জিসান আঁচলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আঁচল চিন্তায় পরে যায়। পরদিন জিসানের সাথে আঁচলের দেখা হতেই জিসান বলে সে আঁচলের থেকে অনেক ভালো মেয়ে চায়।
সেদিন জিসান আঁচলের সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দেয়। এমনকি আঁচলের নাম্বার ও ব্লক করে দেয়।
সেই থেকে আঁচল পাগলের মতো হয়ে যায়। ঠিক মতো খায় না। কারো সাথে কথাও বলে না আঁচলের মা বাবা আঁচলকে এভাবে দেখে ঠিক থাকতে পারে না।
আঁচলের বড় ভাই রিয়াদ আঁচল আর জিসানের ব্যাপারে সব জানতে পারে।
রিয়াদ তার মা বাবাকে সব খুলে বলতেই তারা ভাবে আঁচলের বিয়ে দিলে হয়তো ওই ছেলেকে আঁচল ভুলতে পারবে। আঁচলের মা বাবা আঁচলের জন্য বিয়ে ঠিক করে কিন্তু আঁচল বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
শেষে আঁচলের বাবা আর মার কথায় এক প্রকার জোর করেই আঁচলের বিয়ে টা হয় রেহানের সাথে।
আঁচল এখনো জিসান কেই ভালোবাসে তাই সে কোনো ভাবেই রেহানের এই সব মেনে নিতে পারছে না)

— এভাবে বসেই কি সারা রাত পার করে দিবে?

হটাৎ রেহানের কথায় আঁচল ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে।

রেহান – কি হলো ঘুমাবে না? নাকি আরও আদর চাই? (মুচকি হেসে)

আঁচল রেহানের কথা শুনে প্রচুর রেগে যায়।

আঁচল – আপনি একটা অমানুষ, এভাবে আমার অনিচ্ছা স্বত্বেও আমার উপর আপনি অধিকার ফলিয়েছেন!!

রেহান – এবার থেকে সব কিছুই তোমার অনিচ্ছা স্বত্বেই হবে জান বলেই আঁচলকে হেচকা টানে নিজের কাছে আনে।

আঁচলের শরীর থেকে শাড়ি টা সরে যায়। আঁচল তারাতারি করে শাড়িটা দিয়ে নিজেকে ভালো করে ঢেকে নেয়।

রেহান – আমিই তো। এভাবে প্যাকেট হওয়ার কি আছে?? (মুচকি হেসে)

চলবে?

#ডেভিল বর
#প্রথম পর্ব
#শিফা_আফরিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে