ডেভিল বর
পর্ব -৭
শিফা_আফরিন
.
.
?
আঁচল – ঠিক আছে কি শাস্তি দেবেন বলুন। (মাথা নিচু করে)
রেহান – যা শাস্তি দিবো মেনে নিতে হবে। রাজি? (মুচকি হেসে)
আঁচল – অসহায় ভাবে রেহানের দিকে তাকিয়ে হ্যা বলে।
রেহান আঙুল দিয়ে ঠোঁট ইশারা করে দেখায়।
আঁচল – কী? (অবাক হয়ে)
রেহান – কি বুঝো না। ওকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। গিভ মি আ কিস।
রেহানের কথা শুনে আঁচল চোখ বড় বড় করে রেহানের দিকে তাকায়।
আঁচল – মানেএএএ….!
রেহান – এতে এতো রিয়েকশন করার কি আছে আজিব।
আঁচল – আমি পারবো না।
রেহান – পারতে তো তোমাকে হবেই বেইবি। টাইম ওয়েস্ট করো না। কুইক…..
আঁচল – বললাম না পারবো না। আমি কি এমন ভুল করেছি যে এই সব বলছেন? আর যদি শাস্তি দেয়ার এতোই ইচ্ছে থাকে তো অন্য ভাবে দিন। এইসব পারবো না ব্যাস৷
রেহান – আর ইউ শিঅর অন্যভাবে দিবো! (বাঁকা হেসে)
রেহানের হাবভাব আঁচলের মোটেই ভালো লাগছে না। আঁচল কিছু একটা বলে রেহানের কাছ থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে।
আঁচল – আমার ক্ষুধা পাচ্ছে। আমি নিচে যাই? (করুন সুরে)
রেহান – আহারে আমার বেইবি টার কষ্ট হচ্ছে ক্ষুধায়। আগে বলবা তো নাকি। ওয়েট আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি। (মুচকি হেসে)
আঁচল – আপনি খাইয়ে দিবেন মানে। খাবার তো নিচে! খেতে হলে তো নিচে যেতে হবে তাইনা। আচ্ছা ঠিক আছে চলুন তবে।
বলেই চলে যেতে নেয়।
রেহান আঁচলের হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে আসে। আঁচলের কোমড় জড়িয়ে ঠোঁটে আলতো করে চুমু দেয়।
রেহান – ব্যাস। আমার খাওয়ানো শেষ। (মুচকি হেসে)
আঁচল – (এই লুচু দেখছি শুধু লুচুই না পাগল ও। মনে মনে)
রেহান – এইভাবে তাকিয়ে থাকবে নাকি আমার পাওনা টাও দিবে। (আঁচলের নাকে নাক ঘষে)
আঁচল – আপনি কি আমায় ছারবেন!!! আপনি না খেয়ে থাকলে থাকুন। আমায় অন্তত যেতে দিন। (কিছুটা রেগে)
রেহান আঁচলের কথা শুনে মুচকি হাসে….
রেহান – ওকে বেইবি চলো। তবে রাতে কিন্তু ছাড় পাবা না সব সুদে আসলে চাই। (মুচকি হেসে)
আঁচল – ওফফফ অসহ্য….. বলেই চলে যায়।
রেহান – বেইবি অসহ্য বলো আর যাই বলো তোমার মনে তো আমি জায়গা করে নিবোই।
আঁচল নিচে যেতেই রিমি বলে উঠে…..
রিমি – ভাবি তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে? আমি ফোন এনে দেখি তুমি নাই।
আঁচল – আর কেথায় যাবো তোমার অসভ্য ভাই তো…..
সবটা না বলেই থেমে যায়।
(ধুরর কি করছি আমি। রিমি কে সব বলেই দিচ্ছি। লজ্জা শরম কি হানিমুনে গেলো নাকি ধ্যাতত….. মনে মনে)
রিমি – আহারে বেচারি…. হয়ছে আর লজ্জা পেতে হবেনা। এবার চলো খেয়ে বসবে।
আঁচল রেহানের মার কাছে যায়।
আঁচল – আন্টি আমাকে দিন। আমি সবাইকে সার্ভ করে দিই। আপনি বরং বসুন।
রেহানের মা আঁচলের কথা শুনে ডানে বামে তাকিয়ে দেখে উনার সাথে আরও কেউ আছে কি না।
আঁচল – কাউকে খুঁজছেন আন্টি?
রেহানের মা – না মানে দেখছিলাম আন্টি কাকে ডাকছো। আমার সাথে আর কেউ আছে কিনা।
রেহানের মার কথা শুনে আঁচল মাথা নিচু করে ফেলে।
আঁচল – আসলে অভ্যেস নেই তো তাই। আস্তে আস্তে শিখে যাবো মা।
রেহানের মা আঁচলের কথা শুনে মুচকি হাসে।
রেহানের মা – ঠিক আছে তুমি বসো। খেয়ে নাও অনেক বেলা হয়ে গেছে।
আঁচল – বলছিলাম যে আপনি বসুন না। আপনারা খেয়ে নিলে না হয় আমি বসবো।
রেহানের মা – আহা কথা বলো না তো বসো তুমি। (আঁচলের হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেয়)
কিছুক্ষন পরই রেহান আসে। রেহান আঁচলের ঠিক বিপরীত পাশের চেয়ার টেনে বসে পরে।
রেহানের মা সবাইকে সার্ভ করে দেয়। রেহান আঁচল ও খেতে শুরু করে।
হটাৎ রেহানের মাথায় দুষ্টুমির বুদ্ধি আসে। রেহান ওর পা দিয়ে আঁচলের পায়ে স্লাইভ করে।
হটাৎ কেউ এমন করায় আঁচল বিষম খায়।
রিমি – কি হলো ভাবি? নিশ্চয় তোমার বাড়ির মানুষ তোমার কথা মনে করছে।
আঁচল রেহানের দিকে তাকিয়ে দেখে রেহান মুচকি হাসছে।
আঁচল – (ওহহ তাহলে এই কথা!! অসভ্য কোথাকার খেতে এসেও শান্তি দিচ্ছে না। মনে মনে)
রেহান খাওয়া শেষ করে উঠে যায়। আঁচল উঠে রেহানের রুমে না গিয়ে রিমির রুমে যায়।
রিমি – আরেবাস! তুমি এসেছো! ভালো হয়েছে। গল্প করতে পারো কি বলো?
আঁচল – হুম সে জন্যই তো আসা।
রিমি – আচ্ছা ভাবি আমার ভাই টাকে কেমন লাগে গো?
আঁচল – এ আবার কেমন কথা?
রিমি – মানে আমার ভাই মানুষ হিসেবে কতটা ভালো? আমার ভাইয়ের মন টা কেমন? এই সব নিশ্চয় তুমি একটু হলেও বুঝতে পেরেছো।
আঁচল – ভালো না ছাই। আস্ত একটা লুচু।
(এই রে আবার কি সব বলে দিলাম। ওফফ আমার মাথা টা ইচ্ছে করে বারি মেরে ফাটাই দিই। কিছু নাই মাথায়…. মনে মনে)
রিমি – ও মা কি বলো লুচু…!
এদিকে রেহান অনেকক্ষণ ধরে দেখছে আঁচল রুমে আসছে না….
রেহান – এই মেয়েটা যে কি! আমাকে সময়ই দিতে চায় না। সব সময় পালিয়ে বেড়ায়। এখন নিশ্চিত রিমির সাথে আছে।
দেখি গিয়ে দুজন কি করছে। (বলেই রিমির ঘরে যায় রেহান।)
রিমি – ভাবি বলো না লুচু কেনো বললে? আমি তো জানি আমার ভাই কারো সাথে কোনো দিন রিলেশন ও করেনি। তাহলে! তুমি এই কথা বললে কেনো। (বলতে বলতে দরজার দিকে চোখ যেতেই দেখে রেহান দাড়িয়ে আছে। রেহান রিমিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলছে চুপ করে থাকতে)
আঁচল রিমির খাটে রাখা টেডি গুলো দেখছে আর কথা বলছে। রেহান কে আঁচল খেয়াল করে নি।
রেহান রিমি কে ইশারা করে বলে চলে যেতে। রিমিও চুপচাপ উঠে চলে যায়। আঁচল টেরও পায়নি যেহেতু বেচারি টেডি দেখা নিয়ে ব্যাস্ত।
আঁচল – লুচুকে লুচু বলবো না তো কি বলবো? জানো তোমার ওই ডেভিল ভাই আমাকে সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারছে।
—- তাই বুঝি বেইবি…..
কথাটা শুনেই আঁচল পেছন ফিরে তাকায়…
চলবে…