ডেভিল বর পর্ব – ৪

0
3610

ডেভিল বর
পর্ব – ৪
শিফা_আফরিন
.
.
?
রেহান আঁচলের কথা কানে না নিয়ে এক হাতে আঁচলের কোমড় ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় অন্য হাতে আঁচলের ঠোঁটে স্লাইভ করতে থাকে।
রেহানের নিশ্বাস আঁচলের নাক মুখে পড়ছে। আঁচলের মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না।

আঁচল – আ..আমায় যেতে দিন। (খানিকটা বিরক্তি নিয়ে)

রেহান – চুপ….. বলেই আঁচলের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।
কিছুক্ষন পর রেহান আঁচলের ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে আঁচলের গলায় কিস করে।

আঁচল রেহানকে ছাড়াতে চেষ্টা করতেই থাকে। রেহান আঁচলের হাত দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে।

রেহান – তোমার প্রবলেম টা কি বলবে আমায়? তুুমি কি ভাবছো তুমি বললেই আমি তোমায় ছেড়ে দেবো।

কালও বলেছি এখন ও বলছি তুমি আমাকে মানতে পারো বা না পারো আই ডোন্ট কেয়ার। আমি তোমাকে চাই ই চাই। আর আমার কোনো কাজে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করবে না কখনো। তাহলে কিন্তু ফল ভালো হবেনা আঁচল। (দাঁতে দাঁত চেপে)

আঁচল রেহানের কথায় অনেক টা ভয় পেয়ে যায়। রেহান আঁচলের ভয় পাওয়া দেখে মুচকি হেসে আঁচলকে কোলে তুলে নেয়।

রেহানের কান্ড দেখে মূহুর্তেই আঁচলের চোখ দু’টো রসগোল্লা হয়ে যায়।
(কোলে নিলো কেনো এই লুচু ব্যাটা৷ হায় আল্লাহ না জানি আবার কি করতে চাইছে। নাহ….কিছু একটা করতে হবে. মনে মনে)

রেহান আঁচলকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
আঁচলের শরীর টা রেহান নেশাভরা দৃষ্টিতে দেখেই যাচ্ছে।
আঁচল রেহানের চাহনি দেখেই বুঝতে পারছে রেহান কি করতে চাচ্ছে।

আঁচল রেহান কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রেহান আঁচলের ঠোঁটে আলতো করে চুমু দেয়।
আঁচল চোখ মুখ খিচে আছে।

আঁচল – বেশি হয়ে যাচ্ছে। এক্ষুনি কিছু একটা করতে হবে.. মনে মনে

রেহান – বেইবি তুমি তৈরি তো? সেকেন্ড টাইম শাওয়ার নিতে। (মুচকি হেসে)

আঁচল – ওওওওও মা গো…..

রেহান হটাৎ আঁচলের চিৎকার শুনে কিছুটা চমকে যায়।

রেহান – কি হলো আঁচল। চিৎকার করলে যে? বলো আমায় কি হয়েছে?

আঁচল – জানিনা হটাৎ করেই মাথা টা অনেক ব্যাথা করছে।

রেহান এবার চিন্তায় পরে যায়। কি হলো মেয়েটার এতো খন তো ভালোই ছিলো।

রেহান – তুমি শুয়ে থাকো। আমি রুমে তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি সাথে একটা পেইনকিলার ও নিয়ে আসবো। তুমি উঠো না কিন্তু।

রেহান আঁচলের কাছ থেকে সরতেই আঁচল শুয়া থেকে উঠে এক দৌড়ে রুমের বাহিয়ে চলে আসে।

রেহান বেচারা বেকুবের মতো দাড়িয়ে আছে।

রেহান – কি হলো এটা! ওর না মাথা ব্যাথা করছিলো? ওহহহহ…..বুঝেছি আমায় বোকা বানানো হয়েছে তাই না। এই টুকুনি একটা মেয়ে আমাকে বোকা বানালো আর আমি বুঝতেই পারলাম না! ধুররর……
দাড়াও না একবার হাতের মুঠোয় পাই তোমার খবর আছে।

আঁচল এক দৌড়ে নিচে আসতেই (রেহানের বোন) রিমির মুখোমুখি হয়…

রিমি – কি গো ভাবি এভাবে দৌড়াচ্ছো কেনো?

আঁচল – ইয়ে মানে এমনি… (ধুর কেনো যে দৌড়ে আসলাম! এখন ও কি ভাববে? নতুন বউ কিনা দৌড়াদৌড়ি করে… ভাবা যায়…! মনে মনে)

রিমি – উহুম….এমনি এমনি কেউ দৌড়ায় নাকি। নিশ্চয় কারন আছে। তা কারন টা কি ভাবি? কেউ কি তাড়া করছিলো নাকি.. (চোখ মেরে)

আঁচল – আরেহহ না না। যাকগে বাদ দাও ওসব কথা। তুমি তো দেখতে অনেক সুন্দর। আচ্ছা তোমার নাম টাই তো জানা হয়নি।

রিমি – হুহহ…. কথা ঘুরাচ্ছো তাই না। আমার চোখে ফাঁকি দেয়া কিন্তু এতো সহজ না মেরি ভাবিজি।
বাই দ্য ওয়ে আমার নাম রিমি। আর আমি তোমার কি হই জানো তো? একমাত্র ননদিনী।

আঁচল – হুম সেটা তো জানি।

রিমি কথা বলতে বলতে হটাৎ আঁচলের ঠোঁটের দিকে নজর যায়…

রিমি – এ মা ভাবি। তোমার ঠোঁট গুলো এতো লাল হয়ে আছে কেনো? মশা কামড় দিলো নাকি? (মুচকি হেসে)

আঁচল বুঝতে পারে এটা রেহানের কারনেই হয়েছে। ব্যাটা লুচু যেভাবে আমার ঠোঁটের উপর হামলা করেছে… মনে মনে।

রিমি- কি হলো ভাবিজি বলো বলো…

আঁচল – না মানে লিপস্টিক দিয়েছিলাম আরকি।

রিমি – ওহো তাই বুঝি?

আঁচল – হুম। আচ্ছা রিমি রান্না ঘর টা কোনদিকে একটু দেখাবে প্লিজ।

রিমি – মানে! তুমি রান্না ঘরে গিয়ে কি করবে শুনি? তাছাড়া মা একটু বাহিরে গেছে এখনি চলে আসবে। মা বলে গেছে তোমাকে যেনো কোনো কাজ করতে না দিই।
যদি ফিরে এসে শুনে তোমাকে রান্না ঘরে কাজ করতে দিয়েছি জানো তো কি হবে?

আঁচল – আহা কিছু হবেনা। আমি মাকে বলবো নি। তুমি বরং আমাকে রান্না ঘর টা দেখিয়ে দাও।

রিমি – না তা হচ্ছে না। তুমি বরং আমার সাথে আমার রুমে চলো। এক সাথে গল্প করবো দু’জন।

আঁচল – হ্যা তা তো অবশ্যই করবো। এখন আগে রান্না ঘর টা দেখাও। পরে সারা দিন তোমার সাথে গল্প করবো কেমন?

রিমি – ওকে চলো তবে কোনো কাজ করো না কিন্তু। মা আমায় বকবে পরে।

আঁচলের জোরাজোরি তে রিমি আঁচল কে রান্না ঘরে নিয়ে যায়।

এদিকে… রেহান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে আঁচল এখনো রুমে আসেনি।

রেহান – এখনো রুমে আসেনি বজ্জাতের হাড্ডি টা। ঠিক আছে আমিও দেখি তুমি কতক্ষণ রুমে না এসে থাকতে পারো। (মুচকি হেসে)

রেহান নিচে চলে আসে। নিচে এসেও আঁচলকে খুজে পায়নি।

রেহান ভাবে আঁচল হয়তো রান্না ঘরে গেছে। রেহান রান্না ঘরের সামনে যেতেই আঁচল আর রিমির কথা শুনতে পায়…..

আঁচল -আচ্ছা রিমি তোমার ভাইয়া অফিসে যায় কখন আর কখন ফেরে?

রিমি আঁচলের কথা শুনে হো হো করে হেসে দেয়।

আঁচল – হাসছো যে? (অবাক হয়ে)

রিমি – হাসবো না! তুমি কি বললে ভাইয়া আর অফিস!
ভাবিজি ভাইয়া আজ পর্যন্ত অফিসে যায়নি ইভেন ভাইয়া কোনো কাজ ও করে না। তার কাছে নাকি এই সব বোরিং লাগে।

আঁচল – তাহলে অফিস কে সামলায়?

রিমি – বাবা।

আঁচল – ওহহহ।

রিমি – ভাবি তুমি থাকো একটু আমি রুম থেকে আমার ফোন টা নিয়ে আসছি।

আঁচল – ঠিক আছে যাও।

রিমি চলে গেলে আঁচল সবার জন্য রুটি বানাতে আটা মাখতে শুরু করে।

আঁচল আটা মাখছে আর নিজে নিজে বক বক করছে…

আঁচল – ছি ছি শেষে কিনা এমন একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হলো যে কিনা কোনো কাজ করে না বাবার টাকায় খায়।

আঁচল বুঝতেও পারেনি রিমি চলে গেলেও বাহিরে দাড়িয়ে একজন সব শুনছে।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে