ডিভোর্সের পরে পর্ব-২০+২১

0
850

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ২০
#লেখকঃরিয়াজ

নাইমা আয়ানের বাসার সামনে যেয়ে দরজায় নক করে।আয়ানের বাসায় আয়ানের বাবা মা ছাড়া আর কেউই ছিলো না।নাইমা যখন দরজায় নক করে তখন ভিতর থেকে আয়ানের বাবা এসে দরজা খুলে দেয়।আয়ানের বাবা নাইমা কে আগে আর কখনো দেখেনি।

তাই সে নাইমা কে চিনেও না।সেজন্য নাইমার দিকে প্রশ্ন ছুঁরে দিলো তুমি কে মা?আর এখানে কাকে চাচ্ছো?তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না।আর এর আগে তোমাকে কোথাও দেখেছি বলেও তো আমার মনে পড়ছে না।

নাইমা এতো গুলো প্রশ্ন একসাথে শুনে কি উত্তর দিবে খুঁজে পাচ্ছিলো না।নাইমার মাঁথায় হঠাৎ একটি বুদ্ধি আসে।ও আয়ানের বাবা কে আসলে আংকেল আমি আয়ানের ফ্রেন্ড। অনেক দিন পর গতকাল রাতে আমাদের ফেসবুকে কথা হয়েছিলো।

আমার বাসা আপনাদের কাছাকাছি। আয়ান এটা জানতে পেরে আমাকে আজকে আপনাদের বাসায় আসতে বলেছিলো।আয়ান কি এখন বাসায় নেই?
আয়ানের বাবা বল্লো না মা।

আয়ান তো অফিসে চলে গিয়েছে। নাইমা একটু ভাব নিয়ে ওহহ শিট ও আমাকে আরও সকালে আসতে বলেছিলো আর আমি কিনা লেট করে ফেললাম।আজ কতোদিন পর আয়ানের সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা।আর আজ প্রথম দিনোই আমি এমন করলাম।

আয়ানের বাবা এসব শুনে নাইমা কে বলছে আরেএ মা তুমি এতো আফসোস করছো কেনো?আয়ান এখন নেই তো কি হয়েছে। আয়ান তো বিকালের মধ্যে চলে আসবে।তুমি এসো ঘরে এসে বসো।

আমাদের সাথে গল্প করতে করতে দেখবে বিকেল হয়ে যাবে।নাইমা ঠিক এই কথাটা শুনার জন্যেই এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলো।তাই নাইমা আর দেরি না করে আয়ানদের বাসায় ঢুকে যায়।

আয়ানের মা নাইমা কে দেখে আয়ানের বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করে এই মেয়ে কে?আয়ানের বাবা বলে ও নাকি আয়ানের ফ্রেন্ড।অনেকদিনপর গতকাল রাতে ওদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে।

আর মেয়েটির বাসা এখানে পাশেই।সেজন্য আয়ান নাকি ওকে এখানে আসতে বলেছিলো।

আয়ানের মাঃসে কি মেয়েটিকে আসতে বলে ও অফিসে চলে গেলো কেনো?দাঁড়াও আমি এখনোই ওকে কল দিয়ে আসতে বলছি।

নাইমাঃআরেএএ না আন্টি আমার এতো তাড়া নেই।আমি সারাদিন থাকবে আপনাদের বাসায় কোনো সমস্যা নেই।নাকি রাখতে চাচ্ছেন না আপনাদের বাসায়?

আয়ানের মাঃআরেএ না তা কেনো হবে? আচ্ছা যাও আমি দিলাম না কল। তুমি আমাদের সাথেই গল্প করো।

নাইমাঃআন্টি আমি মূলত এসেছি আপনাদের সাথেই গল্প করে।কারণ আমি জানি আয়ান এখন অফিসে আর আমি সেজন্যই এখন এসেছি।আচ্ছা আংকেল আন্টি আপনারা দুজনেই এখানে আছেন।আমি আসলে মিথ্যা বলেছি আয়ান আমার কোনো ফ্রেন্ড না।

গত কয়েকদিন আগে আমি একটি রেস্টুরেন্টে আয়ান কে দেখি।আর সেই প্রথম দেখাতেই জীবনে প্রথম বার কোনো ছেলেকে আমার ভালো লেগে যায়।কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই আমি জানতে পারি আয়ান আগে একটি বিয়ে করেছে।আর যার সাথে বিয়ে হয়েছে তার সাথে ৫ বছর সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় মাত্র ১ বছরের মাঁথায় তাদের এতো সুন্দর ভালোবাসার মূত্যু হয়।দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়।অন্য কোনো মেয়ে হলে হয়তো যখন শুনতো ছেলেটির আগে একটি বিয়ে হয়েছে তখন সাথে সাথে ছেলেটির কাছ থেকে ধুরে সরে যেতো।

তবে আন্ট এদিক দিয়ে আমি উল্টো। এই প্রথম বার আমার কোনো ছেলেকে ভালো লেগেছে।আর তাকে যদি না পাই তাহলে আমার এ জীবন বৃথা।
আয়ানের বাবা মা নাইমের মুখে এসব কথা শুনে নাইমা কে বলে মা আমরা বুঝতে পেরেছি তুমি আয়ান কে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছো।

কিন্তু তুমি যেহেতু সব জানো সেহেতু এটাও জানার কথা যে আয়ান কিন্তু এখনো তার প্রাক্তন স্ত্রী মিম কে ভুলতে পারেনি।আর আমরা জানিনাও সে মিম কে কবে কখন কিভাবে ভুলবে।

তবে তুমি চাইলে একটা কাজ করতে পারো যদি তুমি আয়ানের মন থেকে মিমের নাম মূছে দিতে পারো তাহলেই তোমার সাথে আমাদের ছেলের বিয়ে দিবো।এবং সেটা বিনা বাঁধায়।

এখন তুমি আয়ানের সাথে চাইলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে আয়ানের মন থেকে মিম কে ভুলাতে পারো।আবার চাইলে ভালোবাসা দিয়েও ভুলাতে পারো।এটা সম্পূর্নই তোমার নিজের ইচ্ছা।

নাইমাঃআচ্ছা আন্টি ঠিক আছে।সেটা না হয় আমিই দেখে নিলাম।এভাবে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলে নাইমা আয়ানের মায়ের কাছে আয়ানের নাম্বার নিয়ে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।অন্যদিকে নীলয় আর মিম বেশ ভালো ভাবেই তাদের বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছে।

নীলয় এখন সারাদিনই মিমের সাথে থাকে।নীলয় মিমের সাথে এখন সম্পূর্ন ফ্রি।নীলয় মিমের সাথে সব কথাই শেয়ার করে শুধু মাত্র নীলয়ের সেই স্কুল প্রেমিকা কে যার জন্য নীলয় এখনো বিয়ে করেনি সেটাই শুধু নীলয় মিম কে বলেনি।তাছাড়া নীলয় একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কথাই মিম কে বলেছে।

একদিন নীলয় আর মিম বসে বসে গল্প করছে তখন নীলয় হঠাৎ করেই মিম কে বল্লো আচ্ছা মিম তুমি কি বাকি জীবন এভাবেই কাঁটিয়ে দিবে নাকি আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করবে?মিম কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিলো আমি এখনো তেমন কোনো সিধান্ত নেইনি।

যদি আমার মন মতো কাউকে পাই যে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে আমাকে বুঝবে যার চেহারা দেখেই আমার মনে হবে লোকটা আমার জন্য পারফেক্ট। সেই আমাকে সুখী করতে পারবে ঠিক তাকেই আমি বিয়ে করবো।

নীলয় মনে মনে ভাবছে হায়রে আমাকে কি তার পারফেক্ট মনে হয় না?আমি কোন দিক দিয়ে খারাপ?আমি দেখতে খারাপ নাকি আমার চেহারা খারাপ?নাকি আমি ছেলে ভালো না?আমার দিকে কেনো তার নজর যায় না?

যাই হোক এরপর আবার তারা অন্য কথায় চলে গেলো।ধীরে ধীরে মিমের ব্যাবসা উন্নত হতে লাগলো।তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো।নীলয় কিন্তু মনে মনে একটি কথা ভেবে রেখেছে।নীলয় ভেবেছে যদি সে মিম কে সাহায্য করে উপরে উঠতে সাহায্য করে মিম তখন নীলয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

আর যখন মিম সাফল্য পাবে ঠিক তখনই নীলয় মিম কে তার ভালো লাগার কথা বলবে।তবে নীলয় কোনো ভাবেই মিম কে তার ভালোলাগার কথা বলতে পারছে না।নীলয়ের সাহস হচ্ছে না কোনো ভাবেই।নীলয়ের বোন ছাড়া নীলয়ের পরিবারের সবাই মিমের পরিবারের সবাই ই জানতো যে নীলয় আর মিম খুব ভালো বন্ধু।

মিম ও জানে নীলয় তার স্কুলের খুব ভালো একটি বন্ধু।তাই নীলয় মাঝে মাঝে মিমের বাসায় আসলে কেউ কিছু মনে করতো না।নীলয় ই সব সময় মিম দের বাসায় যেতো।তবে একদিন হঠাৎ কি কারণে জানি মিম নীলয়দের বাসাহ যায়।

ভাগ্যক্রমে নীলয় সে টাইমে বাসায় ছিলো না।নীলয়ের বোন নাইমার সাথে মিমের দেখা হয়ে যায়।নাইমা মিম কে নীলয়ের রুমে নিয়ে যায়।এরপর নাইমা মিম কে বলে আপু আমি চা বানিয়ে আনছি আপনি বসেন।

চলবে??

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ২১
#লেখকঃরিয়াজ

নীলয়ের রুমে বসে মিম আশেপাশে দেখছিলো।নীলয়ের রুমে থাকা বই গুলো দেখছিলো।এরমাঝে নাইমা চা মিমের কাছে চলে আসে।নাইমা মিম কে বল্লো আপু নিন চা খান।মিম চা খাচ্ছিলো। অন্যদিকে চায়ে চুমুক দিতে দিতে নাইমা মিম কে বলছে আপু আপনি জানেন ভাইয়া কাকে ভালোবাসে?

সেক ছোট বেলা থেকে কাকে ভালোবেসে আসছে?আর এখনো সেই মানুষটিকেই ভালোবাসছে?মিম বল্লো না আমি তো জানিনা।নীলয় অবশ্য আমাকে অনেকবার বলেছে একটি মেয়ে আছে যাকে সে অনেক ভালোবাসে।

আমি অনেক বার সেই মেয়ের নাম জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু নীলয় প্রতিবারই আমাকে উত্তর দিয়েছে একদিন সময় হলে আমি নিজেই তোমাকে বলবো সেই মেয়ে কে।

নাইমাঃহ্যাঁ আপু আমার কাছেও ভাইয়া এখনো বলেনি সেই মেয়েটি কে।আমি কিন্তু অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি।কিন্তু সে বলেনি।তবে আমার ধারণা কি আপু জানেন?

মিমঃকি?

নাইমাঃআমার মনে হয় ভাইয়া যাকে ভালোবাসে সে তার আশেপাশেই আছে।কিন্তু ভাইয়া তাকে ভয়ে বলতে চাচ্ছে না।(নাইমা কিন্তু জানে যে নীলয় মিম কেই ভালোবাসে।তবে নাইমা মিম কে সোজাসোজি কিছু না বলে আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইছে।তবে বোকা মেয়ে মিম কিছুতেই বুঝতে পারছে না যে নাইমা আসলে কার কথা বলছে)

মিমঃকি বলো কে সে?আমি তো এমন কাউকে দেখছি না?

নাইমাঃআপু আপনি তো দেখার চোখ দিয়ে দেখেননি।তাই হয়তো খুঁজে পাচ্ছেন না।

মিমঃনাইমা তুমি যে কি বুঝাতে চাচ্ছো সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।আচ্ছা নীলয় আসলে তুমি নীলয় কে বলে দিও ও যাতে দ্রুত রেস্টুরেন্টে চলে আসে।
নাইমা বল্লো আচ্ছা আপু বলে দিবো।এরপর মিম চলে গেলো রেস্টুরেন্টে।

মিম যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই নীলয় রেস্টুরেন্টে গেলো।নীলয় যাওয়ার সাথে সাথেই মিম নীলয় কে বল্লো নীলয় আজকে তোমাকে বলতেই হবে যে তোমার স্কুল লাইফের সেই মানুষ টি কে?যাকে তুমি এখনো ভালোবাসো।যারজন্য তুমি এখনো অন্য কাউকে বিয়ে করনো।

নীলয়ঃআজকে হঠাৎ কি হলো আবার?এটা জানতে চাইছো কেনো?

মিমঃকারণ তোমার বোন নাইমা বলেছে যে তুমি যাকে ভালোবাসো। তোমার স্কুলের সেই ভালোবাসার মানুষটিই নাকি আমাদের আশেপাশেই আছে।

নীলয়ঃনাইমা তোমাকে এ কথা বলেছে?তোমাকে পেলো বোকা আর করলো ইচ্ছা মতো মজা।নাইমা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা কর‍তে ভীষণ ভালোবাসে।

মিমঃতুমি বলতে চাচ্ছো নাইমা আমার সাথে মজা করেছে?

নীলয়ঃতাছাড়া তো আর কিছুই নয়।নাইমা এ ধরনের মজা আমার সাথে প্রায় সময়ই করে থাকে।আর আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই।

মিমঃআচ্ছা। ঠিক আছে ওর কথা বাদ দিলাম।তোমার সেই স্কুল লাইফের ভালোবাসার মানুষটি কে আমাকে বলবা না কখনো?

নীলয়ঃঅবশ্যই বলবো।তবে বলার মতো সময় এখনো আসেনি তাই বলছি না।দেখবা যেদিন সময় আসবে সেদিন ঠিকই বলবো।

অন্যদিকে নাইমা আজকে সকাল সকাল বেরিয়ে গিয়েছে যাতে আয়ানের সাথে সে কথা বলতে পারে।গেইটের বাহিরে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পর আয়ান বাসা থেকে বের হলো অফিস যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

নাইমা আয়ানের পিছু পিছু যেতে লাগলো।তবে আজকে সে এমন ভাবে যেতে লাগলো যাতে আয়ান তাকে দেখে।নাইমা আয়ানের পিছু পিছু শব্দ করে করে যাচ্ছিলো। আয়ান ২’৩ বার পিছনে ঘুরে দেখেছে কিন্তু সে কিছু বলেনি।এরপর হঠাৎ করেই আয়ান এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে যায়।

আর নাইমা কে বলে হ্যালো মেডাম আমার কাছে বেশি টাকা পয়সা কিংবা দামি কোনো জিনিসপত্র কিছুই আমার কাছে নেই।দয়া করে আমার পিছু নিবেন না।নাইমা আয়ানের দিকে তাকিয়ে বল্লো আমি টাকা পয়সা আপনার মোবাইল এসব কিছুই নিতে আসিনি।আয়ান বল্লো তাহলে কীজন্য আমার পিছু নিয়েছেন বলুন?

নাইমাঃআসলে আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো আপনি আমাকে চিনেন না।কিন্তু আমি আপনাকে চিনি।আপনার সাথে সামনাসামনি যেয়ে কথা বলার সাহস হচ্ছিলো না আমার তাই পিছু পিছু যাচ্ছিলাম।

আয়ানঃহ্যাঁ বলুন আপনি আমাকে কি বলতে চান?

নাইমাঃআমি খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে পছন্দ করি তাই সরাসরি বলে দিচ্ছি আমি আপনার বন্ধু হতে চাই।আপনার একাকীত্ব ধুর করতে চাই।

আয়ানঃআমি আপনাকে চিনিনা জানিনা।আপনি কই থাকেন কি করেন এর কিছুই আমি জানিনা।তাহলে আমি আপনাকে আমার বন্ধু বানাবো কি করে?

নাইমাঃআপনাকে আমার চিনতে হবে।আমি আপনাকে চিনি এটাই অনেক।আর আপনার বাবা মাও আমাকে অনেক ভালো করে চিনে।তাই আমি মনে করি আমাকে আপনার না চিনলেও চলবে।

আয়ানঃমানে কি আপনি আমার বাবা মা কে কোথায় পেলেন?

নাইমাঃআপ্নার সাথে কথা বলার আগেই আমি আপনার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে এসেছি।so আপনি এখন বলেন আমার বন্ধু হবেন কিনা?

আয়ানঃআপনার সাথে ফাও পেঁচাল করার সময় এখন আমার নেই।আপনি থাকেন আমি অফিসে গেলাম।

নাইমাঃঅফিসে যান সমস্যা নেই।তবে মনে রাখবেন আপনার অফিস শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি আপনার জন্য এখানেই বসে থাকবো।

আয়ানঃআপনি বসে থাকেন আর যাই করেন না কেনো এতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।

নাইমাঃআচ্ছা দেখা যাবে সমস্যা নেই।

এরপর নাইমা অফিসের কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো।পরে দাঁড়িয়ে না থাকতে পেরে আবার এক জায়গায় বসলো।আর এই দৃশ্যগুলো সব জানালা দিয়ে দেখছিলো আয়ান।আয়ান এখন কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না।মেয়েটির সাথে যেয়ে কথা বলবে নাকি সে তার কাজ করবে।

আয়ান মনে মনে ভাবলো ধুর সে থাকুক তার মতো আমি আমার কাজ করি।এরপর আয়ান তার কাজে মন দিলো। এভাবে আয়ান কাজ করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে গেলো।

এরমাঝে হঠাৎ করে আয়ানের সেই মেয়েটির কথা মনে পড়লো।মানে নাইমার।পরে আয়ান জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো যে মেয়েটি এখনো নিচে বসে আছে।তাই আয়ান আর অফিসে বসে না থেকে নিচে নাইমার কাছে আসলো??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে