ডাক পর্ব-০৩ এবং শেষ পর্ব

0
9

ডাক
৩য় পর্ব (শেষ পর্ব)

তুশি কুঁকড়ে আছে ভয়ে। আমি গিয়ে তুশিকে কোলে তুলে‌ নিলাম। তুশি আমার কোলে উঠে কাঁপতে লাগলো।

আপু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি হয়েছে?’

আমি বললাম, ‘জানালায় ঐ মহিলা দুটোকে দেখেছিলো তুশি। তাই কাঁপছিলো।’

আপু জিজ্ঞেস করলো, ‘তুই মহিলা দুটোকে আগে দেখেছিস?’

আমি বললাম, ‘না। তোদের ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটা মানুষকেই তো আমি চিনি।‌ কতোদিন ধরেই যাতায়াত করি তোদের ফ্ল্যাটে।

অথচ উনাদের দেখে একদমই চিনতে পারিনি এরা কারা। ঐদিন তোদের বাড়িতে ঢুকতেই ওদের একতলা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে দেখে সন্দেহ হয়েছিলো। কেমন একটা অশুভ ব্যাপার ছিলো দুজনের মধ্যে। তখনই ডাক দিয়েছিলাম দুজনকে।’

আপুর ফোনে ভাইয়ার কল তখনো চলছে। ফোনে ভাইয়ার কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। ‘আমি পালিয়ে এসেছি পুষ্পা বাড়ি থেকে।‌ অনেক কষ্টে পালিয়েছি। এগুলা সব জান্নাবার কাজ, আমি জানি। পুষ্পা, তোমাকে আমি তখনই মানা করেছিলাম, তুমি শোনোনি। এখন আমি সেই শঙ্খবুড়ির কাছে যাবো। তুমি তুশিকে সাবধানে রাখ।’

ভাইয়ার কথা শুনে আপু হু হু করে কেঁদে দিলো।‌ আমার কাছ থেকে তুশিকে প্রায় কেড়ে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো বুকে। ওর গালে কপালে চুমু খেতে লাগলো। তুশি মায়ের কোলে গিয়ে ভয় অনেকটা কাটিয়ে উঠলো। ছোট্ট একটা সাদা বিড়ালের মতো গুটিসুটি মে*রে রইলো মায়ের বুকে। আপু তুশিকে আঁকড়ে ধরলো, যেন এখনই হারিয়ে ফেলবে ওকে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হয়েছে আপু?’

আপু চোখ মুছতে মুছতে বললো, ‘অনেক বড় পাপ করছ ফেলেছি রে। পাপের শাস্তি পাবো এখন।’

কিছুই বুঝলাম না আপুর কথায়। আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হয়েছে?’

আপু ছোট্ট পুতুলের মতো তুশিকে কোলে নিয়ে বিছানায় বসে বললো, ‘তুশি হওয়ার আগে, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম বেবি নেওয়ার। কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না। ডাক্তার দেখাচ্ছিলাম, টেস্টে জানা গেলো আমারই সমস্যা। এর কোনো চিকিৎসা নেই। বিদেশে গিয়েও খুব একটা লাভ হবে না। আমি সারাজীবন মা ডাক শুনতে পাবো না।

তোর দুলাভাইকে বলেছিলাম আরেকটা বিয়ে করতে। সে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো, ‘আমার জন্য যদি ইরানের রাণী শেহেরজাদকেও নিয়ে আসা হয়, তবুও তোমার ভাগ আমি কাউকে দিতে পারবো না।’

আমি জানতাম ওকে ছাড়া আমি কিংবা আমাকে ছাড়া ও বাঁচতে পারবে না। কিন্তু এক না একটা সময় তো আফসোস হবেই একটা ছোট্ট বাবুর জন্য, নিজের একটা সন্তানের জন্য। আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। সারাদিন শুধু কাঁদতাম আর উপরওয়ালাকে ডাকতাম। এরমধ্যেই একদিন শঙ্খবুড়ির খোঁজ পেলাম।

শঙ্খবুড়ি থাকে তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশে এক বস্তিতে। খুব নোংরা আর ছোট ঘরে থাকে ও। ওর সাথে সঙ্গী বলতে আছে একটা টিয়া পাখি। টিয়া পাখিটাই কেবল বুড়ির সাথে কথাবার্তা বলে। বুড়ি অর্ধেক পাগল, সবসময় বিড়বিড় করে কি বলে নিজেই নাকি বোঝে না।

এমন একটা বুড়ির কাছে আমাকে নিয়ে গেলো আমার কলেজের এক বান্ধবী। সে বললো, বুড়ির চেহারা দেখে ভুলিস না। এই বুড়ির অনেক ক্ষমতা। তুই যা চাবি, তাই তোকে এনে দিতে পারবে।

বুড়ির কাছে গেলাম। বুড়ি সেসময় একটু ভালো অবস্থায় ছিলো। আমাকে দেখে বললো, ‘তোকে আমার ভাল লাগছে। তোকে আমি সাহায্য করবো। কিন্তু তোর নিজের একটা ছাড় দেওয়া লাগবে।

আমি বললাম, ‘কি ছাড়?’

সে বললো, ‘তোর প্রথম বাচ্চা হবার কিছুদিন পর দ্বিতীয় বাচ্চা হবে। দ্বিতীয় বাচ্চা পেটে আসার সাথে সাথেই তোর প্রথম বাচ্চাকে নিতে জান্নাবা আসবে‌। ওদের কাছে তোদের প্রথম বাচ্চাটা দিয়ে দিবি।

আমি বললাম, ‘যদি‌ না দেই?’

বুড়ি বললো, ‘তাইলে দুটো বাচ্চাই মা*রা যাবে। এখন চিন্তা করে দেখ, একটা বাচ্চা হারিয়ে আরেকটা বাচ্চা নিবি, না সারাজীবন এরকম বাঁজাই‌ থেকে যাবি?’

আমি বললাম, ‘একটা বাচ্চা খুইয়ে আরেকটা বাচ্চা নিবো। অন্তত একটা বাচ্চা তো বেঁচে থাকবে আমার। আমি ওতেই খুশি।’
বুড়ি খিলখিল করে হেসে বললো, ‘ঠিক আছে। যা। বাসায় গিয়ে শুয়ে থাক। ঠিক সময়েই তোর বাচ্চা হবে।’

এর কয়দিন পরই তুশি এলো আমার কোলে।’

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এসব কি বলে আপু? এরকম একটা কাজ সে কিভাবে করতে পারলো?

জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুই একদিনও এসব কথা আমাদের বলিসনি কেন?’

‘ভেবেছিলাম পাগলা বুড়ি উল্টাপাল্টা কিছু বলেছে। এরকম কিছু হবেনা। কিন্তু…’
‘আপু, তুই বেবি এক্সপেক্ট করছিস?’
আপু মাথা নিচু করে বললো, ‘হ্যাঁ। আজকে সকালেই টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। পজিটিভ।’
‘এখন কি করবি তাহলে?’
‘শঙ্খবুড়ির কাছে যাবো। তার পা ধরে কান্নাকাটি করবো। আমার তুশির প্রাণভিক্ষা চাইবো। আমি শিওর তিনি একটা না একটা উপায় বের করতে পারবেন। তার অনেক ক্ষমতা।’

আপুর চোখ পানিতে ভেসে যাচ্ছে। তুশিকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে বলতে লাগলো, ‘তোমায় কোথাও যেতে দিবো না আম্মু। কোথাও যেতে দিবো না।’ মায়ের চোখের কান্না দেখে তুশিরও চোখ ভিজে আসছে। মা এবং মেয়ে, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে, এমন মায়াবী দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। আমার চোখও কেন জানি ভিজে আসলো। আমার বারবার মনে হচ্ছিলো, এই মায়াবী দৃশ্য আমি আর কোনোদিন দেখতে পারবো না।

ভাইয়া ফোন করলো সেসময়। আপু ফোন ধরলো।

‘পুষ্পা। আমি শঙ্খবুড়ির বাসার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। বুড়ি মা*রা গেছে। তার টিয়া পাখিটাও নাই। দুজনের মাথা ধরেই কে যেন ছিঁ*ড়ে দুটুকরো করে দিয়েছে। আমি যতো তাড়াতাড়ি পারি বাসায় আসছি। তুমি তুশিকে সামলে রেখো।’

আপু ফোনটা রেখে দিয়ে চুপচাপ তুশিকে জড়িয়ে ধরে বসে রইলো। তার চোখে পানির বাঁধ ভেঙেছে‌‌।
তুশি বললো, ‘আম্মু, এতো কান্না করো কেন তুমি?’
আপু তুশির কপালে চুমু খেয়ে বললো, ‘মা রে, তোর সব বিপদের কারণ আমি রে মা। আমাকে মাফ করে দিস।’

বাতাসে পোড়া কাঠের ঘ্রাণ। বারান্দার দরজাটা খুলে গেল। দুজন মহিলা এসে ঢুকলো ঘরে। সেই দুজন মহিলা, যাদের প্রথম সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখেছি। যারা এতোদিন দেখা দিচ্ছিলো আমাদের। জান্নাবা।

আপু ওদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লো। কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘দোহাই তোমাদের। এতোটুকু বাচ্চা আমার। ওকে ছেড়ে দাও। আমাকে মাফ করে দাও। ওকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যেও না।’

মহিলা দুটো হাসলো। হাসতে হাসতে বললো, ‘কথা দেওয়া মানে কথা দেওয়া। তুমি আমাদের কথা দিয়েছিলে তোমার প্রথম বাচ্চাকে আমাদের কাছে দিয়ে দিবে। এখন সময় এসেছে ওকে আমাদের কাছে দিয়ে দেওয়ার। ওকে আমাদের হাতে তুলে দাও।’

তুশি মহিলা দুটোকে দেখে ভয়ে কুঁকড়ে আছে। ওকে দেখাচ্ছে ছোট্ট বাচ্চা একটা বিড়ালছানার মতো। আপু তুশিকে আঁকড়ে ধরে বসে আছে। কিছুতেই তুশিকে কাছ-ছাড়া করবে না।

মহিলা দুটো তুশির দিকে এগোচ্ছে।

আপুর ঘরের টেবিলের ওপর একটা ছুরি পড়েছিলো‌। মনে হয় ফল কাটার জন্য আনা হয়েছিলো। আমি ছুরিটা হাতে নিয়ে চিৎকার করে বললাম, ‘খবরদার। আমার ভাগ্নির দিকে কেউ এক হাত বাড়ালে ওর সেই হাত কেটে আরেক হাতে ধরায় দিবো।’

আপু, আর জান্নাবা, সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।

আমার ছুরির ফলাটা চিকচিক করে উঠলো আলো পড়ে। জান্নাবা পিছিয়ে গেলো কেন যেন।

আপু বললো, ‘তুই কি বলিস এগুলা? পাগল হয়ে গেছিস?’

আমি বলি, ‘আপু, ঠিকই বলতেসি সব। তোর বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা ওদের আছে? আছে কেবল একমাত্র ওপরওয়ালার। উনি চেয়েছেন বলেই তোর বেবি হয়েছে। এরা তোর বেবি দেওয়ার কে? বেবি হয়েছে আর মাঝখান থেকে ফায়দা লুটতে আসছে। দালালের বাচ্চা সব।’

আপু বললো, ‘তুই পাগল হয়ে গেছিস। এরা মানুষ না, বুঝতে পারছিস না। মানুষের মতো ধমকালে এরা ভয় পাবে না। উল্টো রেগে যাবে।’

আমি বললাম, ‘মানুষ না বুঝলাম, ওপরওয়ালার একটা সৃষ্টিই তো। আমি, তুই ওপরওয়ালার যেমন একটা সৃষ্টি, গরু ছাগল যেমন একটা সৃষ্টি, এরাও তেমনি একটা সৃষ্টি। গরু ছাগলকে দেখে তুই অকারণে ভয় পাস? এদের কেন ভয় পাবি?’

আপু বললো, ‘এদের অনেক ক্ষমতা…’
‘ক্ষমতা তো কি হয়েছে? এদের অনেক ক্ষমতা আছে, আর মানুষের কোনো ক্ষমতা নাই? মানুষের অনেক ক্ষমতা আপু। মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত এমনি এমনি বলা হয় না। মানুষের ক্ষমতার জন্যই এরা মানুষকে ভয় পায়, মানুষের সাথে লোকালয়ে থাকে না, বনে-জঙ্গলে গিয়ে থাকে। আমরা আমাদের এতো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি না, কারণ আমরা ভয় পাই। সব কিছুতেই আমাদের ভয়‌। কেউ নজর দিলো কিনা ভয়, কেউ বান মারলো কিনা ভয়। শরীর একটু খারাপ হলেই ভাবি জ্বীনের আছড়। বউয়ের সাথে একটু ঝগড়া হলেই ভাবি জ্বীনের আছড়। এসব ভয়ের জন্যই আমাদের মন দূর্বল থাকে আপু। মন একটু শক্ত কর, এরা তোর চুলটাও ছিঁড়তে পারবে না।’

জান্নাবা দুজন চিৎকার করে উঠলো, ‘ভুল করছিস, অনেক বড় ভুল করছিস। আমরা শঙ্খবুড়িকে শেষ করে দিয়ে এসেছি। তোকেও শেষ করে দিবো।’
আমি ছুরিটায় দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে ওদের দিকে আগাতে আগাতে বললাম, ‘আয়, কাছে আয়। দেখি কে কাকে শেষ করে।’

জান্নাবা পেছাতে পেছাতে বারান্দার বাইরে চলে গেলো। এরপর বারান্দার গ্রিল দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে মিলিয়ে গেলো বাতাসে। যাওয়ার সময় বলে গেলো, ‘ভুল করলি। খুব বড় ভুল করলি। আমরা আবার আসবো।’

আপু ভয়ে কাঁপতে লাগলো। বললো, ‘ওরা যদি আসে আবার? যদি আমাদের কোনো ক্ষতি করে?’

আমি বললাম, ‘ওরা কিছুই করতে পারবে না। আজ যে বেইজ্জতিটা হয়ে গেলো, এরপর আর ওরা এদিকে মুখ ফেরানোর কথাও চিন্তা করবে না। ওরা তো আর মানুষ‌ না। মানুষ ওদের চেয়েও খারাপ।’

আপু তুশিকে জড়িয়ে ধরলো। ফিসফিস করে বললো, ‘তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবো‌ না আম্মু। আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে দিবো না।’
তুশি হাত দিয়ে ওর মায়ের কান্না মুছিয়ে দিলো। আমি চলে এলাম। আমারও খুব কান্না পাচ্ছে। সব কান্না সবাইকে দেখাতে হয় না।

***
তিন বছর পর। আপুর আরেকটা পুতুল হয়েছে। এটার নাম রাখা হয়েছে টুশি। তুশি আর টুশি দুটো মিলে আপুর বাসা মাতিয়ে রাখে। এই দৌড়াদৌড়ি করছে, এই মারা*মারি করছে, এই লাফালাফি করছে, এক সেকেন্ডও শান্তিতে বসে নাই দুজন।
আপু হাফাতে হাফাতে বলতে থাকে,’উফ রে, পিন্ডিটা জ্বালিয়ে খাচ্ছে দুটা। একটুও শান্তি দেয় না। দুই ঘন্টা যে শান্তিতে ঘুমাবো, সেই সুযোগটাও নাই‌। বিরক্ত করে মা*রলো আমাকে।’ বলতে বলতে আপুর চোখে কান্না ঝিকমিক করতে থাকে। আনন্দের কান্না। আপু পুতুল দুটোকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বসে থাকে। একটুও এদিক ওদিক যেতে দেয় না।

ভাইয়াও অফিস থেকে ফিরলে পুতুল দুটোকে নিয়েই মেতে থাকে। ওরাও বাবা বলতে অজ্ঞান, বাবা ফিরলে বাবার কাছে গিয়ে যে বসে থাকে, আর কাছ ছাড়া হয় না। একটা থাকে বাবার এক বগলের নিচে, আরেকটা থাকে অন্য বগলের নিচে।

ছুটির দিনে ভাইয়া আপু আর তার দুই মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যায়। পার্কে আপু আর ভাইয়া বসে থাকে, তাদের মেয়ে দুটো ছোট ছোট পায়ে তাদের ঘিরে ঘুরতে থাকে প্রজাপতির মতো। অদ্ভুত শান্তি শান্তি লাগে তাদের দেখতে।

আমি আগের মতোই আছি। তবে এখন মাঝে মাঝেই মাঝরাতে ঘুম ভাঙে। ঘুম ভাঙলে দেখতে পাই, আমার বিছানার পাশের জানালায় দুজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। উঁকি দিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি আমার বালিশের নিচে হাত রাখি‌‌। হাতে ছুরির ধাতব স্পর্শ পাই। তখন ওরা চলে যায়। আমি আবার মুচকি হেসে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি।

মাঝে মাঝে অবশ্য একটু ভয় লাগে। যদি কোনোদিন বালিশের নিচে ছুরি রাখতে ভুলে যাই? যদি সেদিন কেউ আসে আমার রুমে?
আমি ভাবতে চাই না ওসব। যখন হবে, তখন দেখা যাবে।

(শেষ)
সোয়েব বাশার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে