জীবন সঙ্গী ৭ম পার্ট
#Shohag_Hasan_Niloy
গভীর রাতে কিছু একটার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল তাসপিয়ার……পাশে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখল এলার্ম ঘড়িটা বাজতে শুরু করেছে।সেহরী তৈরি করার জন্যই এলার্ম দিয়ে রেখেছিল সে।
বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে পড়ল বিপাকে।
কারন নিলয় তাসপিয়াকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে।যার ফলে তাসপিয়া কিছুতেই শুয়া থেকে আধশোয়াও হতে পারছে না।
আর কোন উপায় না পেয়ে নিলয়কে কোন রকম ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাড়াল তাসপিয়া।
রান্না ঘরে যাওয়ার আগে নিলয়ের কপালে হালকা করে চুমু দিয়ে গেল সে।
…………
………
…
আজ রমজান শেষ হয়ে ঈদের দিন।সবার মনেই খুশি খুশি মনোভাব বিরাজ করছে।তাসপিয়ার মনে যেন আরও বেশি।মনে হচ্ছে বিগত ঈদগুলোর চেয়ে এই ঈদ তার কাছে বেশি আনন্দময়।কারন,নিলয় ফোন করে জানিয়েছে যে,আজ মাকে নিয়ে তাদের বাড়ি এসে তাসপিয়াকে আপন করে নিয়ে যাবে নিলয়ের বাড়ি।
তাসপিয়ার যেন আর এক মুহুর্তও দেরি সইছে না।
সকালে ফোন দিয়ে তাসপিয়া সহ তাসপিয়ার পুরো পরিবারকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে নিলয়।
নিলয় আজ তাসপিয়াকে নিতে আসবে বলে, তাসপিয়া নিজ হাতে আজ হরেক রকমের খাবার রান্না করেছে।
…………
দুপুর গড়িয়ে বিকেল পেড়িয়ে এলো।
তাসপিয়া ড্রয়িং রুমে বসে অপেক্ষা করছে নিলয়ের জন্য।কিন্তু নিলয়ের আসার কোন খবরই নাই।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরপরই তাসপিয়ার ফোনে একটা কল এল।
তাসপিয়া ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখল,নিলয়ের নাম্বার থেকেই কল আসছে।
তড়িঘড়ি করে ফোন রিসিভ করেই সালাম দিল তাসপিয়া। ওপাশ থেকে কেও একজন সালামের জবাব দিয়ে কান্নাভেজা কন্ঠে বলল—বৌমা আমার নিলয় যে এক্সিডেন্ট করেছে,সে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ওপাশ থেকে নিলয়ের মায়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই তাসপিয়ার হাতে থেকে ফোনটা পরে গেল ফ্লোরে।
মুহূর্তের মধ্যেই উচ্চশব্দে চিৎকার দিয়েই অজ্ঞান হয়ে গেল তাসপিয়া।
………
……
…
তাসপিয়ার যখন জ্ঞান ফিরল তখন পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখল তার মা বাবা আর বড় ভাই তার পাশেই বসে আছে।
তাসপিয়ার মা তাসপিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল—–কিরে মা কি হয়েছিল তখন,ওভাবে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলি যে?
তাসপিয়া কান্নাভেজা কণ্ঠে বলল—— মা নিলয় এক্সিডেন্ট করেছে।আমার শ্বাশুড়ি মা তখন ফোন করে এই খবরটাই আমাকে জানায়!আমি নিলয়ের কাছে যাব মা,প্লিজ তোমরা আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা কর।
ওর নিশ্চয় খুব কষ্ট হচ্ছে।
—— তুই একা কেন আমরাও যাব তোর সাথে।কোন হাসপাতালে আছে তুই কি জানিস?
—— না মা,শ্বাশুড়ি মা যখন কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি আমার ফোনটা আমার হাতে থেকে পরে যায়।তারপর আর কিছুই মনে নেই আমার!
তাসপিয়ার বড় ভাই তাৎক্ষণিক তাসপিয়ার ফোণটা নিয়ে সকালে কল আসা নাম্বারে কল করলে কয়েকবার কল করার পরই ওপাশ থেকে নিলয়ের মা ফোন করে জানায়,নিলয়কে ঢাকা মেডিকেল কজেলে ভর্তি করা হয়েছে!
সব শুনে বিকেলের দিকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাসপিয়া সহ তার পরিবারের সবাই।
…………
……
…
হাসপাতালে পৌছালে নিলয়ের মা জানায় নিলয়ের একটি পায়ের লিগামেন্ট ছিরে গেছে।আর ডাক্তারও নিশ্চিত না যে পা ঠিক হবে কি না।
নিলয়ের মায়ের এমন কথা শুনে তাসপিয়া আল্লাহর দরবারে শুক্রিয়া জানাল।কারন বড় কোন সমস্যা হয়নি।আল্লাহ যে এক্সিডেন্ট থেকে নিলয়কে বাঁচিয়ে দিয়েছেন এতেই আলহামদুলিল্লাহ।
………
…
নিলয়ের মায়ের সাথে কথা বলল তাসপিয়ার মা বাবা আর বড় ভাই।
তারপর নিলয়ের সাথে দেখা করে বাড়ির দিকে রওনা দেয় তারা।তাসপিয়া নিলয়ের কাছে থাকবে বলে সে নিলয়ের বেডেই রয়েছে।নিলয়ের মাকেও বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে তাসপিয়া।
……
…
নিলয়ের বেডের পাশেই এশার নামাজ পরে নিলয়ের সুস্থতা আদায়ে অনেক্ষন মুনাজাতে কাটিয়ে দিল তাসপিয়া।
নিলয় সন্ধ্যার পর থেকেই ঘুমে ছিল।ঘুম থেকে জেগে দেখল তাসপিয়া তার পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
নিলয় ঘুম থেকে জেগে গেছে যেনে,তাসপিয়া নিলয়ের পাশে থেকে ঊঠে দাঁড়াল।
—-কি হলো উঠে গেলে যে?এখানে আমার পাশে বসো।
—-খাবারটা নিয়ে আসি আগে,তারপর তোমার পাশেই থাকব।সন্ধ্যার দিকে ভাইয়া এসে আমাদের রাতের খাবার দিয়ে গেছে।
তাসপিয়া নিলয়ের কাছে গিয়ে তাকে আস্তে আস্তে উঠিয়ে আধশোয়া করে খাবার বাড়তে গেল।
খাবার এনে নিজ হাতে পরম যত্নে খাইয়ে দিল আর নিজেও খেয়ে নিল।
……
…
এখন নিলয়ের পাশেই বসে আছে তাসপিয়া। নিলয় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাসপিয়ার দিকে।
তা দেখে তাসপিয়া লজ্জা পেয়ে বলল—– কি হলো,এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
—– নিজের বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা কি দোষের কিছু?
—– না দোষ হতে যাবে কেন?
—– তাহলে তুমি এভাবে আমাকে তাকিয়ে থাকতে মানা করছ কেন?
তাসপিয়া মাথা নিচু করে বলল—-আসলে আমার লজ্জা লাগে!
নিলয় তাসপিয়ার কথা শুনে অট্টহাসিতে মেতে উঠল।
কিছুক্ষন পর মৃদ্যু স্বরে বলল নিলয়— আমি তোমার কাছে বুঝা হয়ে গেলাম তাই না?
তাসপিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে প্রশ্ন করল—- মানে,কি বলছ এসব?
—–হুম,ঠিকই বলছি।এই যে আমার পায়ের লিগামেন্ট ছিরে গেছে।এখন আমি আর হাটতে পারব না।হয়তো আর কখনো আমার পা ভালোও হবে না আর আমি হাটতেও পারব না।এখন আমার হাটার নিত্যদিনের সঙ্গী হনে ক্র্যাচ।
আমি তোমার সুন্দর জীবনটা নষ্ট করে দিলাম। পারলে দয়া করে আমাকে তুমি মাফ করে দিও।
তাসপিয়া রেগে গিয়ে বলল—– এই চুপ থাকবা তুমি!আমি কি বলছি যে তুমি আমার কাছে বুঝা হয়ে আছ?
তুমি না আমাকে সেদিন ফোনে বলেছিলে আমরা একে অপরের জন্য আদর্শ জীবনসঙ্গী হব।তাহলে আজ তার বিপরীত কথা কেন বলছ?কে বলছে তুমি আর হাটতে পারবে না।আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। ইনশাল্লাহ তুমি আবার আগের মতন সুস্থ হয়ে যাবে।আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুক্রিয়া যে, আল্লাহর রহমতে তুমি বেচে আছ!এর চেয়ে বড় কিছু হলেও তো হতে পারত।কি জানি বলছিলে,এখন তোমার হাটার নিত্যদিনের সঙ্গী হবে ক্র্যাচ।
এটা ভুলে যেও না আমি তোমার একজন সঙ্গী। আমি তোমার সারাজীবনের জীবনসঙ্গী। তাই তোমার হাটা চলার সঙ্গী ওই ক্র্যাচ হবে না,আজ থেকে আমিই হব তোমার হাটা চলার সঙ্গী। আর তুমি আমার স্বামী, আমি তোমার হাটা চলার সঙ্গী হয়ে কিছুটা হলেও স্ত্রীর হক আদায় করতে চাই।
আর সেদিন তুমিই তো শুনিয়েছিলে যে………যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর সেবা করবে সে স্ত্রী নিজের শরীরের ওজনের সমান সোনা সদকা দান করার সওয়াব পাবে।
সেদিন তুমি আমার সেবা করে নিজের আমলনামায় সওয়াব নিয়ে নিয়েছ।তাহলে আজকে কেন আমার বেলায় তুমি তোমার সেবা করতে নিষেধ করছ।
আর আমি তোমার স্ত্রী হিসেবে তোমার প্রতি আমার স্ত্রীর হক রয়েছে অনেক।কারন…..রাসুল (সাঃ)বলেছেন…………… স্ত্রীর কাছে স্বামীর এমন অধিকার আছে,স্ত্রী যদি স্বামীর দেহের ঘাঁ চেটেও থাকে তবুও স্ত্রী তার যথাযথ হক আদায় করতে পারবে না।
রাসুল (সাঃ)আরও বলেছেন যে……………স্ত্রী যদি স্বামীর হক যথাযথরুপে জানত, তাহলে স্বামীর দুপুর অথবা রাতের খাবার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকত।
আর এগুলার মধ্যে আমিতো মাত্র সামান্য তম হক আদায় করছি।
রাসুল (সাঃ)আরও বলেছেন…………স্ত্রীর জন্য স্বামী তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
উম্মে সালমা (রাঃ)এর বর্ণনা মতে, রাসুল (সাঃ)বলেছেন…………… কোন স্ত্রী লোক যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে,তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তবে সেই স্ত্রী জান্নাতে প্রবেশ করবে(তিরমিযী)
রাসুল (সাঃ)আরও বলেন……………যখন কোন নারী তার স্বামী কে কষ্ট দিতে থাকে,তখনি জান্নাতের হুরদের মধ্যে তার সম্ভাব্য স্ত্রী বলে-হে অভাগিনী, তুমি তাকে কষ্ট দিও না,আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুক।তিনি তোমার কাছে একজন মেহমান মাত্র,অচিরেই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবেন (তিরমিযী)
তাই আমি চাই তোমার প্রতি আমার হক পুরোপুরি ভাবে আদায় করতে।
আমি চাই তুমি আমার প্রতি সবসময় সন্তুষ্ট থাক,আমি চাই তুমি কখনওই আমার দ্বারা কষ্ট না পাও।
আমি যে তোমার সাথে তোমাকে নিয়ে পরকালে জান্নাতে থাকতে চাই।তাই তুমি আমাকে বুঝা মনে করলেও আমি তোমাকে কখনওই বুঝা মনে করছি না।বিকজ, আমি তোমার ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ জীবনসঙ্গী হতে চাই।
তাসপিয়ার কথাগুলা একমনা হয়ে শুনছিল নিলয়। তাসপিয়ার কথাগুলা শুনে তার নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।আজ নিজেকে সবার থেকে সুখী ব্যক্তি মনে হচ্ছে এমন একজন জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য।এমন একজন জীবনসঙ্গী দান করায় আল্লাহর দরবারে শুক্রিয়া আদায় করল নিলয়।।
এখন খুব ভাল লাগছে তাসপিয়ার কথাগুলা শুনার পর।যখন ডাক্তারের কাছে শুনেছিল তার পায়ের লিগামেন্ট ছিরে গেছে,সে আর হাটতে পারবে না তখনি মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল তার।কিন্তু এখন তাসপিয়ার কথাগুলা শুনার পর নিজেকে যেমন ভাগ্যবান মনে হচ্ছে তেমনি খুশিও লাগছে।
খুশিতে কখন যে চোখের কোনে পানি জমে চোখের পাপড়িগুলা ভিজে গেছে নিলয় তা নিজেও জানে না।
তাসপিয়াকে ইশারায় কাছে ডেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মনের সমস্ত আবেগের মুক্তি দিচ্ছে নিলয়।
কিছুক্ষন জড়িয়ে ধরে রাখার পর তাসপিয়া লক্ষ্য করল নিলয়ের চোখে পানি।
—– কি হলো,তোমার চোখে পানি কেন!আমি কি ভুল কিছু বলে ফেলছি।
নিলয় তাসপিয়ার কপালে চুমু দিয়ে বলল—- আরে ধুর তুমি ভুল কিছু বলতে যাবে কেন?আমি তো নিজেকে সুখী ভেবে কান্না করছি।আল্লাহ আমাকে যে তোমার মতন একজন জীবনসঙ্গী দান করেছে,তাতে আল্লাহর শুক্রিয়া আদায় করে কান্না করছি।
এই চোখের পানি তো কোন দুঃখ কষ্টের পানি না,এগুলা যে পরম সুখের পানি।যে পানি সারাজীবন পরলেও কোন ক্ষতি নেই।
আজ তোমাকে পেয়ে নিজেকে খুব বেশিই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি,আমার দ্বারা কখনওই কোন কষ্ট পেতে দেব না ইনশাল্লাহ।
খুব ভালবাসবো তোমায়।ভালবেসে সারাজীবন এই বুকে আগলে রাখব।
কোনদিনই ছেড়ে যাব না।
কথা বলতে বলতে নিলয়ের চোখের পানি যে গড়িয়ে গড়িয়ে পরছে।
তাসপিয়া নিজ হাতে নিলয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে নিলয়ের বুকে মাথা রাখল।
—– এই শোন,আর কান্না করবে না এই আমি বলে দিলাম।
এখন চুপটি করে ঘুমাও তো রাত অনেক হইছে।
—–হুম ঘুমাব,কিন্তু তুমি ঘুমাবে না?
—– না, তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
রাতে আবার তাহাজ্জুদ নামাজ পরতে হবে যে।তুমি এখন কথা না বলে ঘুমাও তো!.
—— ঘুমাব কি করে,তুমি যে এই বুকে মাথা না রাখলে বুকটা শূন্য শূন্য লাগে,তাই আমার পাশে তুমিও ঘুমাও।বেডটা আমাদের জন্য উপযুক্তই,দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো যাবে!
নিলয়ের কথা শুনে তাসপিয়া চোখ বড় বড় করে ফেলল—– কি বলছ তুমি!আমি ঘুমাব না,আর আমি ঘুমালে তোমার শরীরের ক্ষত স্থানে ব্যাথ্যা লাগবে তো।
—– আরে ধুর,তোমার কোমল শরীরের ছোঁয়ায় কোন ব্যাথ্যাই আমার কাছে ব্যাথ্যা নয়,আর তেমন কোন ব্যাথ্যা পাইনি যে একটু ছোঁয়া লাগলেই ব্যাথ্যা পাব।জাস্ট পায়ের লিগামেন্ট ছিরে গেছে।
এখন চুপটি করে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাও তো,তা না হলে কিন্তু আমিও ঘুমাব না।
নিলয়ের কথায় আর অমত না করে একই বেডে নিলয়ের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পরল তাসপিয়া।
বেডটা তেমন বড় না হওয়ায় একে অপরের কাছাকাছি ঘেঁষে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল দুজন।
……
…
হঠাৎ গভীর রাতে নিলয়ের ডাকে ঘুম ভেঙে যায় তাসপিয়ার।
ঘুম ঘুম চোখ পাশে তাকিয়ে দেখে তাসপিয়ার মাথা নিলয়ের বুকে, নিলয় আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছে আর মিটিমিটি হাসতেছে……………………
………………………………………………………………
চলবে ইনশাল্লাহ …………………………………………………???