#জলছবি
#পার্ট_১৫
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
.
চারদিকে ঝলমলে আলো। সূর্যের প্রখর তাপে মাথা ধরে যাওয়ার মতো অবস্থা। তীক্ষ্ণ আলোক রেখা এসে পড়ছে কৃষ্ণবর্ণ মুখটিতে। যার দরুন বিন্দু বিন্দু ঘামের সৃষ্টি হচ্ছে। গড়িয়ে পড়ছে মাথার কিনার হতে গাল বেয়ে গলায়। হাঁটা অবস্থাতেই প্যান্টের পকেট থেকে এক হাত বের করে তা আবার মুছে দিচ্ছে ফয়সাল। বিরক্তি নিয়ে এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে একটা রিকশাওয়ালাকে ডাকলো,
“এই মামা? জগন্নাথ যাবা?”
রিকশাওয়ালা এগিয়ে এলো। গামছা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলল,
“হ, যামু। উঠেন।”
ফয়সালের কি যেন মনে পড়লো। কিছুক্ষণ মৌন থেকে বলে,
“না থাক, যামু না। তুমি যাওগা।”
রিকশাওয়ালা খানিক বিরক্তই হলেন বোধহয়। ভোজভোজ করে চলে গেলেন।
ফয়সাল পকেট হাতিয়ে দেখলো পাঁচশ টাকা আছে। টাকাটা আবার পকেটে রেখে অতৃপ্ত দীর্ঘশ্বাঃস ছেড়ে হাঁটা ধরলো। মাস শেষে টিউশনির দশ হাজার টাকা দিয়েই মা-ছেলে সংসার চালাতে হয়। বাপ নেই, নেই কোনো ভাই-বোন। মা-ছেলের সংসারে খুব বেশি চাওয়া-পাওয়ারও হিসেব-নিকেশ নেই। তবুও এই ঢাকা শহরে থেকে পড়াশোনা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা সব মিলিয়ে দশ হাজার টাকায় কি হয়? যদিও মা আমেনা বেগম টুকটাক কিছু কাজ করে আয় করতে চায়, কিন্তু ফয়সালের তাতে ভীষণ নিষেধ। তার ভাষ্যমতে একটা মাত্র মাকে যদি সে আগলে রাখতে না পারে, তবে কেমন ছেলে সে? এই দুনিয়ায় মায়ের চাইতে আপন বেশি আর কেউ নেই তার! মা ছাড়া বিনা স্বার্থে খুব বেশি আপন কেউ হয়ও না এই দুনিয়ায়।
এতো বড় দালানকোঠার রঙিন দুনিয়ায় মাঝেমধ্যে খুবই রঙহীন লাগে ফয়সালের নিজেকে। মাকে ঘিরে তার অনেক ইচ্ছে, অনেক স্বপ্ন। তপ্ত এক নিশ্বাঃস ছেড়ে এগিয়ে চলে।
একটা কালো রঙের গাড়ি ফয়সালের ঠিক পাশ ঘেঁষে থামলো। ফয়সাল ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে গম্ভীর কন্ঠে লুবনা বলল,
“গাড়িতে আয়, উঠে বস।”
ফয়সাল স্মিত হেসে বলে,
“এসব বড়লোকের এসি-ফেসির গাড়িতে আমার অ্যালার্জি আছে। তুই যা।”
লুবনা ভ্রু কুঁচকে বলে,
“তো, হেঁটে যাচ্ছিস কেন? রিকশাতেও কি অ্যালার্জি?”
“আজকাল রিকশাতেও অ্যালার্জি হচ্ছে, বুঝলি? সব কেমন বড়লোকি ব্যাপার-স্যাপার হয়ে যাচ্ছে! হা হা হা!”
হাসিটা যেন কেমন অদ্ভুত লাগে লুবনার কাছে। একটু বিস্মিত হওয়ার মতো করে বলে,
“তাই বলে এই রোদের মধ্যে হেঁটে যাবি?”
ফয়সাল একটু কুঁজো হয়ে বলে,
“হেঁটে হেঁটে রোদ খাই। রোদ খুব মজা। তুই বড়লোকের রাজকন্যা, এসব স্বাদ বুঝবি না। এসি ঘর, এসি গাড়িতে থেকে কি আর রোদের স্বাদ বুঝা যায়?”
ফয়সালের কথাগুলো লুবনার কাছে বিদ্রুপের ন্যায় ঠেকে। ওর বাবা বড়লোক এটা কি ওর দোষ? সবসময় বাপের বড়লোকি নিয়ে এমন কথা শোনানোর মতো কিছু তো সে করে না। বাদবাকি সবার মতোই সাধারন ভাবে চলার যথেষ্ট চেষ্টা করে। প্রাচুর্যের আধিক্য কিছুই তো সে দেখায় না। তবুও কেন?
লুবনার এসব ভাবনাচিন্তার মাঝেই ফয়সাল অনেকখানি চলে যায়।
লুবনা ব্যাগটা নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে নামতে ড্রাইভারকে বলে,
“চাচা? তুমি বাবাকে বলবা আমায় কলেজেই নামিয়ে দিয়েছো। পথে নেমে গিয়েছি তা যেন না জানে।”
তিনি জবাবে বললেন,
“কিন্তু এই রোদে তুমি কিভাবে যাবা আম্মা? কলেজ তো আরো দূর আছে।”
লুবনা মিষ্টি করে হেসে বলে,
“রিকশা নিয়ে নিবো। তুমি চিন্তা করো না।”
বলেই দ্রুত পা বাড়ায় ফয়সালকে ধরতে। শহরের ধনী বাবার এক মাত্র মেয়ে, ভাইয়ের একমাত্র আদরের বোন হয়েও বিন্দুমাত্র অহংকার মেয়েটাকে ছুঁতে পারেনি। খুব বেশি আধুনিকতাতেও নিজেকে সপে দেয় নি। যতটা পারে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। তবুও বন্ধু মহলে তাকে ধনীর দুলালী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যার ফলে মাঝে-মধ্যে তার মনে হয়, সে যদি কোনো ধনীর ঘরে না হয়ে, অন্য বন্ধুদের মতোই খুব স্বাভাবিক ঘরে জন্ম হতো, তবে বেশ হতো!
লুবনা ব্যাগ সামনে থেকে দুই কাঁধে নিয়ে ফয়সাল সঙ্গে হাঁটতে লাগে। লুবনার এহেন কর্মকান্ডে ফয়সাল হকচকিয়ে যায়।
হাঁটা থামিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। কাটকাট কন্ঠে বলে,
“গাড়ি থেকে নেমেছিস ক্যান?” তারপর আশেপাশে চোখ বুলিয়ে গাড়ি দেখতে না পেয়ে বলে, “গাড়ি কই?”
লুবনা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বলে,
“চলে যেতে বলেছি, তাই চলে গেছে।”
ফয়সাল বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
“মানে? কেন চলে যেতে বলেছিস?”
“আমিও রোদ খাবো, তাই। কেমন মজা দেখবো। ”
ফয়সাল কপট রাগ নিয়ে বলে,
“দেখ লুবু? তোর সব কিছুতে এই ত্যাড়ামি স্বভাবটাতে আমি খুবই বিরক্ত হই।”
লুবনা ফয়সাল প্রশ্নের পাল্টা জবাবে বলে,
“তো? তুই বিরক্ত হলে আমার কি? শোন দেরি হয়ে যাচ্ছে। রোদ খেতে খেতে তাড়াতাড়ি হাঁট।”
বলেই খুব সুন্দর করে হাসি দেয়। সেই হাসি দেখার পর কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারে না ছেলেটা। কথাগুলো গিয়ে নেয়। ভালোলাগা, চাপা রাগ, অব্যাক্ত অনুভূতি মিলেমিশে এক হওয়ার ফলে কেমন যেন একটা লাগে! লুবনার থেকে চোখ সরিয়ে হাঁটে। বাধ্য হয়েই একটা রিকশা থামায়। রুক্ষ কন্ঠে বলে,
“উঠ।”
লুবনা এবার বাধ্য মেয়ের মতোই উঠে বসে। লুবনাকে বা’পাশে রেখে ডান পাশে উঠে বসে ফয়সাল। রিকশার হুড তুলতে লাগলে লুবনা বাঁধা দিয়ে বলে,
“হুড তুলছিস ক্যান? রোদ খুব মজা তো। থাকুক না এমনই।”
ফয়সাল আর হুড উঠায় না। চুপ করে বসে থাকে। লুবনা ফয়সালের দিকে চায়। এই গম্ভীর, পাগলাটে, আত্মসম্মান সম্পূর্ণ ছেলেটাকে ওর ভালো লাগে। সমস্যা একটাই রাগ বেশি। যার ফলে একটু একটু ভয় লাগে মাঝে মাঝে। নিরবতা ভেঙে লুবনা বলে,
“বুঝলি? এখন থেকে ভাবছি রোজ রোদ খেতে খেতেই কলেজ যাবো। রোদ খুব মিষ্টি।”
ফয়সাল লুবনার দিকে তাকায়। মেয়েটার বলার ভঙ্গিতে হেসে ফেলে। হাসে লুবনাও। দুই মেরুর দুটি মানুষ হলেও হাসি কিন্তু একই সুরে গাঁথা।
.
রিকশা থেকে নেমে চটজলদি ভাড়া মিটিয়ে হন্তদন্ত হয়ে কলেজ ঢুকতে ঢুকতে নোলক ভাবে, “কি জ্বালা, এত তাড়াহুড়ো করেও শেষে এসে লেইট হয়ে যায় কি করে?”
নিজের ভবনের সামনে এসেই সবাইকে দেখতে পায়। উচ্ছ্বাস নিয়ে বলে,
“হ্যালো বাচ্চারা! কেমন আছিস সবাই?”
শ্রেয়া আর লুবনা এসে জড়িয়ে ধরে।
ফয়সাল সবসময়কার মতোই ব্যাঙ্গ করে বলে,
“এসেছেন মিস.লেইট লতিফা। ধন্য হয়ে গেলাম সবাই।”
নোলক হেসে দিয়ে বলে,
“জানতাম তুই এটাই বলবি। বেয়াদপ!”
কেউ একজন মিসিং ভাবতে ভাবতে নোলক জিজ্ঞেস করে,
“এই নিষু কই?”
সৃজন ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে বলে,
“দেখ গিয়ে ডেটিং এ মশগুল।”
নোলকেরও রাতের কথা মনে পড়ে যায়। বলে,
“ওহ, হ্যাঁ! আচ্ছা থাকুক। চল ক্যান্টিনে যাই। ক্ষুদা লাগছে। কিছু খাইনি।”
শ্রেয়া বলে,
“আমি যাবো না। তোরা যা।”
শ্রেয়ার মন খারাপ সবাই চট করে ধরে ফেলে। ওর মন ভালো করার জন্য একেকজন একেক রকম পাগলামি করতে থাকে। মেয়েটা না পারতে শেষে হেসে ফেলে। মূহুর্তেই মন ভালো হয়ে যায়।
লুবনা বলে,
“আজকের ট্রিট আমার তরফ থেকে।”
তারপর সবাই মিলে ক্যান্টিনে যায়। খায়-দায় আনন্দ করে। পুরো ক্যান্টিন চঞ্চলতায় ভরে থাকে কিছুক্ষণ।
খাওয়া-দাওয়া শেষে ফেরার পথেই শ্রেয়ার সঙ্গে কারো ধাক্কা লাগে। শ্রেয়া কি বলবে? তার আগে নোলকই হুংকার দিয়ে বলে,
“এই যে? চোখে দেখেন না? কানার মতো হাঁটেন কেন?”
ভদ্রলোক নত মেনে ‘স্যরি’ শব্দটি সম্পূর্ণ উচ্চারণ করার আগেই তার মুখ দেখে সকলে অবাক হয়। সৃজন আর ফয়সাল আগে এগিয়ে এসে বলে,
“আরেহ ইশান ভাই যে!”
সবার থেকে বোধহয় ইশানই বেশি অবাক এবং খুশি হয়েছে। একগাল হেসে বলে,
“ছোটরা সব দেখি এখানে! কেমন আছো সবাই? খুব ভালো লাগলো সবাইকে দেখে।”
কথাগুলো বলেই নোলকের দিকে চাইলো। ক্যামেরাটা গলায় ঝুলিয়ে বলল,
“অগ্নিশর্মার অগ্নিরূপ দেখলাম বহুদিন বাদে। কেমন আছো অগ্নিশর্মা?”
শুরুতে এতগুলো কথা শুনিয়ে দেয়ার জন্য বেশ লজ্জাই পেলো নোলক। তবে নিজেকে সামলে নিয়ে স্বভাবিক কন্ঠে জবাব দিলো,
“ভালো আছি, ছবির-মানুষ।”
ইশান নমনীয় ভাবে শ্রেয়াকে শুধায়,
“বেশি ব্যথা পেয়েছো শ্রেয়া? আ’ম এক্সট্রেমলি স্যরি। আসলেই দেখতে পাইনি।”
নোলক ফোড়ন কেটে বলে,
“ও কি এখন বলবে যে, ব্যাথা পেয়েছি? ভদ্রতা করে তো না-ই বলবে। বাই দ্যা ওয়ে, আমি তো জানতাম আপনার বন্ধু কানা। এখন দেখি আপনিও। সঙ্গ দোষ নাকি? শুনিছি সঙ্গ দোষে নাকি লোহা ভাসে!”
কথা নোলক যেমন মজার ছলে বলেছে, ইশানও তেমন মজা ছলেই গ্রহন করেছে। আওয়াজ করে হেসে বলে,
“বাট আনফরচুনেটলি, সঙ্গ দোষ নয়। অগ্নিদোষ বলা যেতে পারে, হা হা।
ধারেকাছে যদি অগ্নিকন্যা থাকে, তার তাপে অন্ধ হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?”
নোলক হাস্যজ্জ্বল ভাবে বলে,
“ইশশ! খুব চালাকি উত্তর দিতে জানেন তো।”
দুই মিনিটেই ইশান সবার সঙ্গে মিশে গেলো। কথার মাঝে কোনো জড়াতাই রইলো না। কথার মাঝেই কিছুক্ষণ বাদে দূরে কারো পাণে চেয়ে হাত নাড়িয়ে ডাকল,
“এই আদ্র? এদিকে আয়।”
আদ্র একটু দূরেই কারো সঙ্গে কথা বলছিলো। ইশানের ডাকের প্রতিত্তুরে জানালো ‘আসছে।’
নোলক ভ্রু কুঁচকে চাইলো আদ্র’র দিকে। ইশানের পুরোপুরি বিপরীত ছেলেটা। পা-থেকে মাথা অব্দি পুরোটাতেই গাম্ভীর্যে প্রখর দাপট। নোলক ভাবে, এরা দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড হলো কি করে? এতো অমিল! নাকি বেস্ট ফ্রেন্ড গুলো এমনই হয়, বিপরীত বৈশিষ্ঠের!
মিনিট দুয়েক পর আদ্র এসে যখন সকলকে দেখলো তখন ইশানের মতো অবাক কিংবা চমকিত হলো না। খুব স্বভাবিক ভাবেই হাই-হ্যালো আদান-প্রদান করলো। আদ্রর না চমকানোতে বোধহয় ইশান চমকালো। চোখ দুটো সামান্য ছোট করে বলল,
“সকলকে দেখে চমকাসনি?”
আদ্র অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“চমকাবো কেন? চমকানোর মতো কিছু আছে কি? বরং জিজ্ঞেস করতে পারতিস, ‘আতঙ্কিত হয়েছি কি-না?’ কারণ এখানে আতঙ্কিত হওয়ার জন্য একজনের বিস্তর বিচরণ রয়েছে। যখন-তখন যা কিছু করে ফেলতে পারে। তাই না, মিস.তুরতুরি?”
শেষের প্রশ্নটা নোলকের দিকে তাকিয়ে করলো আদ্র। সবাই মুখ টিপে হাসলো। নোলক চোখমুখ কুঁচকে ফুঁসে উঠে বলল,
“এক্সকিউজ মি? আপনি কি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন কথাটা?”
আদ্র নিজের চশমাটা ঠিক করে, প্যান্টের পকেটে হাত গুঁজে দিয়ে খুব আয়েশ করে দাঁড়িয়ে ধীরেসুস্থে বলল,
“গ্রাম বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে। সকলে শুনেছেন নিশ্চই?”
লুবনা জিজ্ঞেস করে,
“কোনটা ভাইয়া?”
আদ্র আড়চোখে নোলকের দিকে তাকিয়ে বলে,
“‘ঠাকুর ঘরে কে রে?’ ‘আমি কলা খাই নাই!'”
খুব সহজেই কথাটার ভাব উদ্ধার করে সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।
নোলকের রাগে দুঃখে কান্না পেয়ে গেলো। দাঁত কিড়মিড় করে কিছুক্ষণ আদ্র’র দিকে চেয়ে থেকে সকলকে ঠেলে ফুঁসতে ফুঁসতে সেখান থেকে বেড়িয়ে এলো। ইশান আতংকিত হয়ে ডাকলো,
“আরে আরে! এই অগ্নিশর্মা? রাগ করলা নাকি?”
নোলক ততক্ষণে অনেকখানি চলে গিয়েছে।
সবাই আদ্র আর নলকের খুনশুটি দেখে মিটিমিটি হাসে। নোলকও কেমন রেগে যায়!
ইশান কপট রাগ নিয়ে আদ্রকে বলল,
“সবসময় মেয়েটাকে রাগিয়ে কি মজা পাস, বুঝি না আমি। তোকে এখানে ডাকাটাই ভুল হয়েছে।”
আদ্র ঠোঁট উল্টে, দুই ঘার হালকা উঁচিয়ে, কিছুই করেনি টাইপ ভাব করে বলে,
“আজব! আমি কি করলাম। জাস্ট একটা কথা বললাম, সে তার গায়ে টেনে নিলো। এখানে আমার কি দোষ? আমি কি তাকে কিছু বলেছি? তার নাম নিয়েছি একবারও?”
ইশান ভারী অসন্তোষ হওয়ার মতো করে বলে,
“ডিরেক্টলি বলিসনি, কিন্তু ইনডিরেক্টলি তো বলেছিস। ও তো বাচ্চা না যে বুঝবে না।”
“ও আচ্ছা সে বাচ্চা না? আমি তো ভেবেছিলাম বাচ্চা। যেই সেই বাচ্চা না, অবুঝ বাচ্চা! মিসটেইক করে ফেললাম বোধহয়। হা হা হা!”
আদ্র হাসি দেখে মনে হলো, একটা মেয়েকে রাগাতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছে ছেলেটা!…..(চলবে)