চোখের আড়ালে পর্ব-০৯

0
671

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………9

বলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায়। ফারহান মুচকি হাসি দিয়ে বলে_তুই বাসায় ফির, তোর জন্য অনেক বড়ো একটা সাপরাইস আছে। শুধু ফিট খেয়ে মাথা ঘুরে না পড়লেই হয়।
_____
রিমান মাহুয়ার বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ভিতরে যাবে নাকি যাবে না সেটা ভাবছে। একটু পর একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে করে গেইট দিয়ে ঢুকে। সামনে বাগানে মাহুয়ার বাবাকে দেখে চুরের মতো চলে যেতে লাগে।মাহুয়ার বাবা রিমানকে দেখে দাঁড়াতে বলে।

রিমান শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, একদম আয়রন ম্যানের মতো। মাহুয়ার বাবা রিমানের সামনে আসতেই রিমান সব গুলো দাঁত বের করে একটা হাসি দেয়৷ মাহুয়ার বাবার কোনো রিয়েকসন না দেখে আবার মুখ গোমরা করে বলে_আসসালামু আলাইকুম আংকেল।

মাহুয়ার বাবা গাছের পাতা, ঢাল কাটার বড় কেঁচিটা নিচে নামিয়ে বলে_ ওয়ালাইকুম আসসালাম। সকাল সকাল কি মনে করে বাবা?

রিমান কেঁচির দিকে তাকিয়ে একটু ভয়ে বলে _আংকেল এটা দিয়ে কি করেন?

মাহুয়ার বাবা কেঁচি দিয়ে কিছু কাটার মতো করে বলে_ কাটি

রিমান গলায় হাত দিয়ে বলে_কি?
_গাছ পালার ছোট ছোট ঢাল,পাত আর কি।
রিমান একটু আস্তে করে বলে_ এমন ভাবে বলছে যেনো মানুষের গলা কাটে।
_কিছু বলছো বাবা?
_না বাবা, মানে আংকেল।
_আচ্ছা এখন বলো কিসের জন্য আসা?

রিমান তাড়াতাড়ি বলে_কাল রাতের সরির জন্য সরি। কাল এতো বার সরি সরি বলে বিরক্ত করার জন্য সরি।

রিমানকে থামিয়ে দিয়ে বলে_আবার কেনো সরি বলছো?
_ও সরি আংকেল।
_আবার?
_সরি সরি
বলে রিমান তার মুখে হাত রেখে চাপা কন্ঠে বলে_আংকেল আমি ঐসব খায় না। দেখতে অনেকটা কোকের মতো ছিলো। তাই আমি কোক মনে করে খেয়ে ফেলেছি। ফাস্ট টাইম ছিলো তাই অল্প খেয়েই মাথা গুরে গেছে। সরি, না মানে সরি মানে ক্ষমা পার্থি।

মাহুয়ার বাবা হাসতে হাসতে বলেন _হয়েছে এবার থামো বুঝেছি। আর সরি বলতে হবে না।

ওনি হাসছে। গম্ভীর মানুষ যদি এভাবে হাসে তাহলে সত্যি খুব অদ্ভুত লাগে। মাহুয়া দাঁড়িয়ে দেখছে। আংকেল মাহুয়াকে দেখে হাসি বন্ধ করে একটা কাশি দিয়ে বলে_মাহুয়াকে তোমার রিমান ভাইয়াকে ভিতরে নিয়ে চা খাওয়াও।

ভাইয়া শুনে দুজনেই মাহুয়ার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হয় বিশাল ভুল করে ফেলেছেন তিনি। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বলে_কি হয়েছে?

দুজনে সাথে সাথে স্বাভাবিক হয়ে যায়। মাহুয়া বলে_তুমি চা খাবে না?
_আমি একটু পরে খাবো। বাগানে কাজ আছে তুমি রিমানকে নিয়ে যাও।

বাবা চলে যেতেই মাহুয়া রিমানের বাহু জরিয়ে ধরে বলে _বাবাকে পটিয়ে ফেলেছো নাকি?
রিমাম ব্রু কুঁচকে বলে_পটিয়ে ফেলেছি মানে? আমি কি তোমার বাবাকে বিয়ে করবো নাকি যে পটাবো?
_তার মেয়েকে তো করবেন তাই না? তাছাড়া বাবাকো হাসতে দেখলাম, তার মানে বাবা পটে গেছে।
_আমি হাসার মতো কোনো কাজ করি নি।

মাহুয়া হাত ছেড়ে দিয়ে বলে_মনে পড়েছে কালকে তুমি নেশা করেছিলে কেনো? এই তুমি নেশা টেশা করো নাতো আবার?
_ছিঃ ছিঃ, না। কাল তো ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলাম। আর হঠাৎ করে আমাকে তুমি তুমি করে বলছো যে?

_বয়ফ্রেন্ডকে তুমি বলবো না তো কি বলবো?
_কে বয়ফ্রেন্ড কার বয়ফ্রেন্ড?
_তুমি বয়ফ্রেন্ড তাও আমার।
_এটা কবে হলাম? আমি কারো বয়ফ্রেন্ড না।
_বয়ফ্রেন্ড না মানে? কালকে আমার সাথে কি করেছেন মনে নেয়?

রিমান একটা কাশি দিয়ে বলে_কি করেছি? কয় মনে নেয় তো।
মাহুয়া কোমরে ধরে বলে_ওওওও তাই না, বাবাকে কি বলেছেন না বলেছেন সব মনে আছে। কিন্তু আমাকে যে কিস করেছেন সেটা মনে নেয়?

রিমান তার মুখে হাত দিয়ে বলে_ আল্লাহ ছিঃ ছিঃ কি বলে এসব। আমি তোমাকে কিস করতেই পারি না।
_আচ্ছা তোমার কিছু মনে নেয়?
রিমান অন্য দিকে তাকিয়ে বলে _না, এক ফোঁটাও নেয়।

মাহুয়ার কান্না করার মতো বান করে বলে_এতো বড় অপরাধের কথা মনে নেয় তোমার? প্রথমে আমাকে কিস করেছো। তারপর দরজা বন্ধ করে আমার সব শেষ করে দিলে।

রিমান বুকে হাত দিয়ে বলে_কিহহহহ
_হ্যাঁ, আমার মান সম্মান সব শেষ করে দিলে। সকাল থেকে আমার বমি হচ্ছে।
_গ্যাসের ঔষধ খাও ঠিক হয়ে যাবে।

মাহুয়া একটু ধমক দিয়ে বলে_ গ্যাসের টেবলেট খেলে কি আর পেটে বাচ্চা চলে যাবে?

রিমান জোরে বলে উঠে _ বাচ্চাহহহ?
_হ্যাঁ বাচ্চা, কাল আমার সাথে যা করেছো। এখন আমার মনে হচ্ছে আমি প্রেগন্যান্ট।
_প্রেগন্যান্ট কিসের প্রেগন্যান্ট? কিস করলে কেও প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় না।

মাহুয়া কান্নার বান করে বলতে লাগলো_ তোমার তো কিছু মনে নেয়। আমার এতো বড় সর্বনাশ করে তোমার কিছুই মনে নেয়। এখন এই মুখ আমি কাকে দেখাবো।

মাহুয়ার পেটে হাত দিয়ে বলে_ আমাদের মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেয় সোনা৷

রিমান মাহুয়ার হাত পেটের থেকে সরিয়ে বলে_ ব্রেক লাগাও। এক দিনে কেও প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় না। আর হয়ে গেলেও এর পরের দিনি জানা যায় না, যে সে প্রেগন্যান্ট কি-না।

_তার মানে তুমি সিকার করছো যে তুমি আমার সাথে__
_স্টপ, আমি দোষ করেও সিকার করি না। আর এই জায়গায় তো আমার কোনো দোষি নেয়। সিকার করবো তো দূরের কথা।

_তুমি জানবে কিভাবে? তোমার কি আর মনে আছে?
_হ্যাঁ মনে আছে। স্পষ্ট মনে আছে কিস ছাড়া কিছুই হয়নি। আমি এতোটাও নেশা করিনি যেটাতে আমি সব ভুলে যাবো।

_যাক তাহলে সিকার করলা যে আমাকে কিস করেছো। আর কিস মানুষ কাকে করে গার্লফ্রেন্ডকে বা বউকে?

_নেশায় মানুষ পাগলকেও কিস করতে পারে।
এটা শুনে মাহুয়া চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে। তার তাকানো দেখে রিমান বলে_আমি কিন্তু করিনি,অন্যরা করে।

_অন্যরা বলতে কারা?
_যা_যা_যারা নেশা করে তারা। কথা ঐটা না।কথা হলো, আমি নেশায় ছিলাম। আর নেশায় মানুষ কতো কিছুই করে।
_তাহলে আমাকে ভালোবাসেন না?
_ভালোবাসা কোথায় থেকে এলো আবার?
_ভালো যদি না-য়ি বাসেন, তাহলে কালকের জন্য আমার বাবাকে সরি বলার জন্য এতো দূর চলে আসছেন কেনো? আমি যেই রিমানকে চিনি সে তো নিজের লোকদের ছারা আর কারো তেমন তক্কা করে না।

_তুমি রিমির ফ্রেন্ড। তার মানে তোমার বাবা রিমির বাবার মতো। আর রিমির বাবার মতো তাহলে তো আমারো বাবার মতো তাই।
_শুধু এটাই কারন। তাহলে তো বলতে হয় কালকে আপনি আমার চেহেরায় আপনার পছন্দের মানুষকে দেখে কিস করেছেন?
_হুম হতেই পারে।

মাহুয়ার অনেক খারাপ লাগলেও সে কিছু বুঝতে দিলো না৷ লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে বললো_ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আমার কলেজের জন্য লেইট হয়ে যাচ্ছে। আপনি ভিতরে যান মা চা বানিয়ে দিবে। আমি যাচ্ছি।

_চলো আমি দিয়ে আসি।
_লাগবে না। আমি একাই যেতে পারবো।
_আমি ঐদিক দিয়েই যাবো চলো_

আর কিছু বলতেই মাহুয়া গিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে চালাতে লাগলো। দ্রুত চলে আসলো, কারন চোখের পানি বাঁধা মানছে না৷

রিমান ও মাথা নিচু করে চলে আসলো।
______
বিকেলে রিমি বাসায় ফিরে দেখে তাদের ঘর ভরতি মানুষ। ফারহান তার মা বাবা, আরাব, তৃষা। রিমি গিয়ে সবাইকে সালাম দিয়ে বলে_আজকে কোনো পার্টি হচ্ছে নাকি? সবাই আজকে একত্রে।

ফারহানের মা বলে_আয়, এদিকে এসে বস। পার্টি তো একটা হবেই।

রিমি ফারহানের মার পাশে বসে। রিমি মা বলে_রিমি যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সুন্দর একটা জামা পরে আয়।

রিমি _মা আমার সব জামাই সুন্দর। আর তাছাড়া আমি যেটাই পরি সেটাতেই আমাকে সুন্দর লাগে তাই না ফারা আন্টি?

_ একদম পরীর মতো লাগে।
রিমান_ভুল আন্টি, পরী না পেত্নী হবে।
রিমি _তোকে প্রেত এর মতো লাগে।
রিমির মা রিমানের মাথায় একটা টুকা দিয়ে বলে _আজকের মতো একটা সুভ দিনে মেয়েটার সাথে এমন করিস না।

রিমি জুসটা খেতে খেতে বলে_শুভ দিন কেনো?
আবার_ তোর বিয়ে ঠিক করা হচ্ছে তাই।

এটা শুনার সাথে সাথে রিমি জুস সব মুখ থেকে বেরিয়ে রিমানের নাকে মুখে পরে। রিমান রিমি বলে একটা চিৎকার করে উঠে। রিমান আর কিছু বলার আগেই তার বাবা বলে_কালকে রাতের রাগ কিন্তু আমার এখনো যায় নি। সবার সাথে বসে আছো কিসের জন্য সেটা ভুলে যেও না।

রিমান সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হেঁসে মিষ্টি করে বলে_ বোন আমার, দেখে খাবি তো। আচ্ছা এক্সিডেন্ট তো হতেই পারে। আমি বরং ধুয়ে আসি।

রিমান যাওয়ার সময় রাগী চোখে ঠোঁট নাড়িয়ে ইশারা করে বলে_তোর খবার আছে।

রিমি কিছু ক্ষন শান্ত থেকে বলে_ আমার হবু স্বামীটাকে?

রিমার মা _ ছিঃ ছিঃ সবার সামনে কিভাবে বলছে দেখো। আজ কালকের ছেলে মেয়েদের কোনো লজ্জা নেয়।

তৃষা _মামনি এতে লজ্জার কি আছে? যাকে সে বিয়ে করবে তার কথা জানতে যাওয়াটা কি ভুল?
_মা তুমি ওকে প্রশ্রয় দিও না পরে মাথায় উঠে নাচবে।

রিমি _ মা আমি আমার জবাবটা পেলাম না৷
ফারা_ যাকে তুই ভালোবাসিস তার সাথেই হচ্ছে বিয়েটা তোর।

রিমি এক নজর ফারহানের দিকে তাকিয়ে,আবার নজর সরিয়ে বলে_আমি__ আমি আবার কাকে ভালোবাসি।

আরাব_ আর নাটক করতে হবে না। আমরা সব যেনে গেছি।
_আমি ভালোবাসি অথচ আমি জানি না কিন্তু সবাই জেনে গেছে। আচ্ছা সে কে আমাকে একটু দয়া করে এটা বলবেন?
আরাব _ কে আবার ফারহান।

আমি কিহহ বলে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। একবার ফারহানের দিকে তাকায় এক বার সবার দিকে। ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছি সে কিছু না বলে উল্টো অদ্ভুত ভাবে হাসছে। আমি রাগে বললাম_ কে বললো আমি ফারহানকে ভালোবাসি?

ফারা_ঐ নাতাশাই তো বললো। নাতাশাকে আমি পাঠিয়েছিলাম ফারহানের সাথে কথা বলতে। তখন নাকি তুই রাগে বলেছিস,তুই ফারহানের গার্লফ্রেন্ড। তোরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসিস। সবাই নাকি তোদের ভালোবাসার কথা জানে। তাহলে আমাদের বললি না কেনো? আমরা কি না করতাম?

রিমি _আরে তোমরা যেটা ভাবছো ঠিক সেটা না। ঐটা তো বিয়ে ভাঙার জন্য বলেছিলাম।

ফারহান উঠে বলে_আরে রিমি সবাই যেনে গেছে, এখন লুকিয়ে কি লাভ? তাছাড়া সবাই তো রাজিই হয়ে গেছে।

আমি অভাকের শেষ সীমানায় আছি। আমি রাগে বলি_এই কি বলেন উল্টা পাল্টা লুকিয়েছি মানে কি লুকিয়েছি। আর তাছাড়া তোমরাই ভাবো। যার সাথে আমার এতো ঝগড়া হয় তাকে আমি ভালো বাসবো কি করে?

ফারহান_ সেটাই তো, ভাবো তোমরা যার সাথে এতো ঝগড়া তার বিয়ে ভাঙতে সাহায্য কেনো করবে ভালো না বাসলে?

_ এই কি বলেন? আর কোনো দিন আপনাকে সাহায্য করবো না শয়তান। বিয়ে করবো না আপনাকে আমি।

_ দেখ রিমি আমি জানি তুই আমাকে অনেক ভালোবাসিস। কিন্তু তোর মা বাবা ভাইকে ছেড়ে এতো তাড়াতাড়ি যেতে চাস না। কিন্তু একদিন না একদিন তো যেতেই হবে।

_পাগল টাগল হয়ে গেছেন নাকি?

তাকিয়ে দেখি সবাই ইমোশনাল হয়ে গেছে। মা বাবার চোখে তো পানি এসে গেছে৷ আমার তো প্রায় কেধে বলে_ দূরর পাগলি এটা ভাবলে কি আর মেয়েদের চলে৷ আর ফারহানের বাসা তো আর বেশি দূরে না গাড়ি দিয়ে গেলে আধ ঘন্টা।

আমি ফারহানের হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে যেতে থাকি। উপরে গিয়ে ফারহানের সামনে দাঁড়িয়ে বলি_ এটা কি হচ্ছে?

_ দেখ এখন যদি বলি তোকে ভালোবাসি না, তাহলে মা আমাকে জোর করে বিয়ে করিয়ে দিবে ঐ মেয়ের সাথে।

_ এই জন্য আপনি আমার ঘারে বন্ধুক রেখে গুলি চালাবেন? তাছাড়া আপনি তো আমাকে ভালোও বাসেন না। তো বিয়ে__

_তোকে বিয়ে করতে পারবো কিন্তু ঐ মেয়েকে না। ঐ মেয়েকে আমার একদম ভালো লাগে না।
_তার মানে কি, আমাকে ভালো লাগে?
_চলে।
_কিন্তু আমার আপনাকে একদমি চলে না। আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
_আস্তে আস্তে বেসে যাবি। আচ্ছা এসব কথা ছাড়। তোকে একটা জরুরি কথা বলার আছে।
_কি কথা?

ফারহান একটু একটু করে এগিয়ে এগিয়ে বলছে_ আজকে সারা দিন আমি শান্তিতে থাকতে পারিনি। শুধু একটা কথায় মনে হচ্ছে।

রিমিও একটু একটু করে পিছিয়ে বলছে_ কি?

_ আজকে তোকে একটা কিস না করলে আমি পাগল হয়ে যাবো। সারাটা দিন আমার কালকে রাতের কথা মাথায় গুরছে।

_পা-পা-পাগল হয়ে যাননি তো? সরেন যেতে দিন।

ফারহান রিমির হাত টান দিয়ে ধরে বলে_আমার হবু বউকে তো আমি কিস করতেই পারি।

বলে রিমিকে টান দিয়ে, রিমির মাথায় ধরে ঠোঁটে কিস করতে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো রিমি চেয়েও ফারহানকে সরানোর কোনো চেষ্টায় সে করছে না। একটু পর রিমির হুশ আসে। সে ফারহানকে ধাক্কা মেরে দৌড়ে চলে যায়। নিচে গিয়ে দেখে বিয়ের তারিখ ও ঠিক হয়ে গেছে।

চলবে___

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে