চোখের আড়ালে পর্ব-০৮

0
687

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………8

এটা শুনে মাহুয়ার বাবা কিছু না বলেই গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। রিমান ও একটু পিছনে পিছনে যায়। তারপর নিচে বসে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে_আংকেল আমি তো সরি বলেনি। ও আংকেল সরি। রিমান কিছু একটার আওয়াজ পেয়ে সাইডে তাকিয়ে দেখে ফারহান বসে বসে নিচে পড়ে থাকা ফুল গুনছে।

রিমান দুলতে দুলতে ফারহানের কাছে গিয়ে বসে, তার কাঁধে হাত দিয়ে বলে _ কি হিসেব করছিস? কয়টা ফুল ঝড়ে গেলো, আর কয়টা ফুল গাছে থেকে গেলো সেটা হিসেব করছিস নাকি?

ফারহান মাতাল ভাবে গুনতে গুনতো উত্তর দিলো_হ্যাঁ।

_ এখানে তো কোনো পদার্থ বিজ্ঞানের স্যার নেয়, তাহলে কে দিলো তোকে হিসাব করতে?

_আমার বিবেক
_এটা আবার কোন স্যার এর নাম?আচ্ছা চল দেখে আসি তৃষা আর আরাব কি করছে।
_কিন্তু আমার গনা এখনো হয়নি। যতো গুলো ফুল আমি ঝড়িয়েছি ঠিক ততো গুলো ফুল আমি সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিবো।
_ তো গুনে কি লাভ? গ্লু এনে লাগিয়ে দে।
_লাভ আছে, আমার কাছে তো এখন গ্লু নেয়। কালকে এনে লাগাতে লাগাতে যদি কিছু হাড়িয়ে যায় তখন? তাই গুলে রাখছি।
_আচ্ছা চল আমরা আরাবের কাছে আঠা চেয়ে আনি।
_ওর কাছে আছে? তহলে চল।

দুজনে বাড়ির ভিতরে ডুকতে নিয়ে দেখে বাড়ির মেইন দরজা বন্ধ। ফারহান একবার টুকা দেয়। আরেক বার দিতে নেয়, রিমান আটকিয়ে বলে_কাবাবে হাড্ডি হওয়ার কোনো দরকার নেয়। চল আমরা আমাদের পথ দেখি।

রিমান ফারহানের কাঁধে হাত রেখে ওকে নিয়ে যেতে থাকে, ফারাহান গাছে তাকিয়ে বলে_আমার ফুল।
_পরে সরি বলে নিছ, এখন চল।
______
আরাব তৃষার হাত ধরে উপরের রুমে নিয়ে যায়। গিয়ে মাতাল ভঙ্গিতে বলে_ সবার সাথে এতো নেচে নেচে কথা বলছিলে কেনো।

তৃষা হাত ছাড়িয়ে বলে_আমার মন চেয়েছে তাই।
আরাব তৃষার কাছে গিয়ে আঙুল দেখিয়ে বলে_ তোমার মন শুধু আমার বুঝেছো?
_না, আমার মন শুধুই আমার। আপনি আমার মনকে কিনতে পারবেন না। কারন এটা কিনার জিনিস না৷
_তাহলে কিসের জিনিস?
_ভালোবেসে আদায় করার জিনিস।
_ওকে তাহলে আমি ভালোবেসেই আদায় করে নিবো।
_আপনি যদি আমাকে পেতে চান তাহলে ঐ মাহির থেকে দূরে থাকবেন।
_কেনো?
_কারন আমার সহ্য হয় না আপনার পাশে কাওকে।
_ভালোবাসি আপনাকে তাই।
_আমিও ভালোবাসি কিন্তু _

আর কিছু বলার আগেই তৃষা আরাবের গালে কিস করে নিজের মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রেখে বলে _সরি কিস করতে মন চাচ্ছিলো। আর করবো না প্রমিজ।

আরাব কিছু ক্ষন তৃষার দিকে তাকিয়ে থাকে। পরে তৃষাকে কোলে করে বিছানায় নিয়ে শুয়ায়। তৃষা কিছু বলার আগেই আরাব তৃষাকে পাগলের মতো কিস করতে থাকে। তৃষাও আরাবকে থামায় না।
____
রিমান আর ফারহান রাস্তায় সাইডে নিজের গাড়ি থামিয়ে রেখে গাড়ির উপরে বসে আছে। ফারহান হাসতে হাসতে বলছে_রিমান তোকে একটা মজার কথা বলবো?

রিমান হাল্কা ঘুম ঘুম অবস্থায় বলছে_তুই আর মজার কথা,আচ্ছা বল তোর কথাও শুনি।
_ আমি না সব রাস্তা দুই তিনটা করে দেখছি। এটা বুঝছি না, কালকে তো একটা রাস্তা ছিলো। এক দিনের মধ্যে আরো দুইটা রাস্তা হলো কিভাবে?
_এখন আমি তোকে একটা মজার কথা বলবো?
_কি বল।
_ তোর কথায় আমার একটুও মজা লাগলো না। তুই তাও রাস্তা দেখতে পারছিস। আমি তো শুধু সরিষা ফুল দেখছি।

_ আরাব থাকলে ভালো হতো তাই না রিমান?
_সে এখন কি করছে জানিস?
_কি করছে?
_বাসর রাত পালন করছে আর আমরা দুজন সিঙ্গেল এখানে একা বসে বসে সিঙ্গারা খাচ্ছি।
_কোথায় সিঙ্গারা? আমাকে রেখে একা-একা খাচ্ছিস।
_আরে কথার কথা বললাম৷ আচ্ছা লেখিকা কেনো সব গল্পে আগে আরাবের বিয়ে করায়? আমি আর তুই কি করেছি?
_ ভাগ্য ভাগ্য সবি ভাগ্য।
_কচু ভাগ্য, নিশ্চয়ই আরাবের ব্যাংক থেকে কিছু টাকা ঐ লেখিকার একাউন্টে যায়।

ফারহান আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে_ইয়ার রিমিএএএএএ।

রিমান ফারহানেরকে ধাক্কা দিয়ে বলে_আমি রিমান,রিমি কেনো বলছিস?

রিমানের ধাক্কায় ফারহান বেলেন্স করতে না পেরে পরে যায়। রিমান নিজের মতো বসে আছে, বলতে গেলে শুয়ে আছে। ফারহান পরে গেছে তার কোনো রিয়েকসন নেয়। ফারহান উঠে রিমানের সামনে দাঁড়িয়ে বলে _ আমি পড়ে গেছি, উঠাবি তো দূরের কথা জিজ্ঞেস ও করিসনি।

রিমান হাই তুলতে তুলতে বলে_তুই কি আমাকে জিজ্ঞেস করে পড়েছিলি যে তোকে জিজ্ঞেস করবো?

_কথায় যুক্তি আছে।
_ আচ্ছা ফারহান আমারা ঠিক কোথায় আছি?
_ তিন রাস্তার মোড়ে।
_ কিন্তু আমাদের এদিকে তো কোনো তিন রাস্তার মোড় নেয়।
_ বললাম না একদিনে নতুন হয়ে গেছে।

রিমান একটু ভয়ে, গাড়ি থেকে নেমে বলে_চল বাসায় যায়, শুনেছি তিন রাস্তার মোড়ে ভুত থাকে।
_ভুত বলতে কিছু হয় না।
_কিন্তু জ্বীন পরী তো আছে তাই না। তাছাড়া সবচেয়ে সুন্দর আমি।আমাকে আগে ধরবো তাড়াতাড়ি বাসায় চল।

রিমান গাড়ি ভিতরে ঢুকে। ফারহানও গাড়িতে ডুকে উরা ধুরা গাড়ি চালাতে থাকে। তার কাছে সব কিছু ভিডিও গেমের মতো মনে হচ্ছে। রিমান গান গায়ছে। কি গান করছে সে নিজেও জানে না। কোনো গানি সে পুরোটা গায় না। এই গান থেকে দু লাইন তো ঐ গান থেকে দুলাইন।

সামনে থেকে আরেকটি গাড়ি হঠাৎ করে আসায় ফারহান জোরে ব্রেক করে। এক্সিডেন হতে হতে বেঁচে যায়। ফারহান আর রিমান কে-রে, কে-রে বের হ, বলতে বলতে বের হয়। গাড়ি থেকে একটা ছেলে বের হয়ে বলে_এভাবে কেও গাড়ি চালায়। আরেকটু হলেই স্বর্গে চলে যেতাম।

রিমান আফসোস করে বলে_ এমনিতেও তোকে দেখে মনে হয় নরকে যেতি। আমাদের কারনে স্বর্গে যেতে পারতি। ইশশশ ফারহান শুধু শুধু ব্রেক করলি।

ছেলেটি দুজনের অবস্থা দেখে বলে_আর ইউ ড্রাংক।
ফারহান সোজা হয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করে বলে_না,একদমি না। আমরা ভদ্র ঘরের ছেলে।
রিমান আঙুল দেখিয়ে বলে_ এই ছেলে তুই তো গাড়ি একিয়ে বেঁকিয়ে চালাচ্ছিলি আবার আমাদের মাতাল বলিস। তুই মাতাল তোর পুরো গুষ্টি মাতাল, তোর বউয়ের গুষ্টি ও মাতাল।

_সেট আপ, আমি এখনি পুলিশকে কল করছি।
ফারহান হাসতে হাসতে বলে_কর কল, পুলিশ আমাদের প্যান্টের বেক পকেটে থাকে।
_আচ্ছা তাই নাকি?

রিমান কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলে_ আমি কোন আবালের ডিজাইন করা প্যান্ট পড়েছি, আমার বেক এ তো কোনো পকেটই নেয়। সেখানে পুলিশ থাকবে কি করে।

_ড্রিংকস করে গাড়ি চালানো যায় না, তাকি তোমরা জানো না?
রিমাম হাসতে হাসতে বলে_জানি তবে মানি না।
বলে ফারহান আর ও হাই ফাই দেয়।

তারপর রিমান ছেলেটির চোখ থেকে চশমা নিয়ে বলে_আর ইউ কানা?
_নো আ-ম নট।
রিমান চশমাটা পরে বলে_তাহলে এটা কিসের জন্য?

ছেলেটি চশমাটি বলে_সেটা এতো জরুরি না, আপনারা হয়তো হেঁটে হেঁটে বাড়ি জান না হলে আমি পুলিশকে দিয়ে আপনাদের বেক লাল করে দিবো।

রিমান _ঐ শালারে ধর। ওরে আজকে গাছের সাথে ঝুলাবো। আমাদের বেক নিয়ে কথা তাই না।

দুজন ছেলেটিকে ধরার জন্য এদিক ঐদিক ছুটা ছুটি করছে। কারন ছেলেটি ও এদিক সেদিক যেয়ে ওদের সাথে মজা নিচ্ছে। পড়ে ছেলেটি গাড়ির ভেতরে ডুকে বলে_আরেকদিন খেলবো। এখন রাত অনেক হয়েছে।

লোকটি গাড়ি নিয়ে চলে যায়। রিমান রাস্তা থেকে ছোট ছোট পাথর উঠিয়ে গাড়ির দিকে ছুড়ে মারছে। একটু পর দুজনে গাড়িতে উঠিয়ে, কোনো একটা জায়গায় পার্ক করে গাড়ির ভিতরেই ঘুমিয়ে পরে৷
_____
সকালে তৃষা ঘুম থেকে উঠে আরাবকে দেখে চিৎকার দেয়। আরাব ও ঘুম থেকে উঠে তৃষার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। তৃষা নিজের দিকে তাকিয়ে আবার চিৎকার দিয়ে কম্বল উঠয়ে নিজের শরীরে জরায়। আরাব চারপাশে তাকিয়ে দেখে তাদের কাপড় চুপড় চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে সেও তাড়াতাড়ি কম্বল টান দেয় কিন্তু তৃষা জোরে ধরে আছে। দুজন কম্বল নিয়ে টানা টানি করছে। তৃষা জোরে টাব দিয়ে আরাবকে নিচে ফেলে যায়। আরাব নিজেকে কোনো মতো ঢাকার চেষ্টা করে।

তৃষার সাইডে আরাবের প্যান্ট ছিলো। সে কোনো রকম এটা উঠিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আরাবকে দেয়৷ একটু পর আরাব প্যান্ট পরে বলে_ কি হচ্ছে এইসব। কালকে রাতে কি হয়েছে।

তৃষা কান্নার মতো করে বলছে_কি হয়েছে দেখতেই তো পারছি। কালকে রাতে আপনি আমাকে উল্টা পাল্টা খায়িয়ে আমার সাথে ইচ্ছে করে আআআআ

_সেট আপ। আমি নিজেই হুশ এ ছিলাম না, রিমান আমাকে জোর করে কি খায়িয়েছে।

দুজনে কাল রাতের কথা মনে করার চেষ্টা করে আর মনেও পড়ে যায়। তখন আরাব বলে_মেইন সুইচ তো তুমিই দিয়েছো। গালে কিস করার কি দরকার ছিলো?

_আমি সুইচ দিলাম ওমনি সাথে সাথে আপনার জ্বলে উঠতে হবে? নিজের কোনো কন্ট্রোল নাই?

_না, নাই।মানে ছিলো না।
_ইচ্ছে করে করেছেন আপনি,আমি জানি।
_ইচ্ছে করে করলে আমি কবেই করতাম। আমি গোসল করতে গেলাম।

তৃষা রাগী ভাবে বলে_খবরদার না, আগে আমি যাবো।
আরাব একটু ভয়ে বলে_আমি অন্য রুমের ওয়াশ রুমে যাচ্ছি।
তৃষা শুধু তাকিয়ে আছে কিছু বললো না। আরাব তৃষার তাকানো দেখেই চলে যায়, আর কিছু না বলে। এখন তৃষার অনেক লজ্জা লাগছে। কালকের কথা মনে পড়তেই তার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আরাবকে সে বুঝতে দেয়নি। তার শ্বাস ক্রমশ ভাড়ি হয়ে আসছে। নিজেকে সামলে নিয়ে গোসল করতে যায়।

গোসল করে বের হয়ে দেখে আরাব ও রেডি হচ্ছে। তৃষা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু আয়নায় তাকাতে তার লজ্জা হচ্ছে। আরাবও আয়নার সামনে এসে চুল আচরাচ্ছে। আরাব তৃষার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেও কিছু বলছে না। যেনো তার বিষয়টা অনেক মজা লাগছে।

তৃষা একটা জোরে নিশ্বাস নিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে সেও চুল আচরাতে থাকে। প্রথমি তার নজর পাড়ে গলায়। লাল লাল দাগ হয়ে গেছে। এটা দেখে সে আরাবের দিকে তাকায়। আরাব না দেখার বান করে কাশি দিয়ে অন্য সাইডে চলে যায়। তৃষা ওড়না দিয়ে নিজেকে ঢেকে আস্তে করে বলে_ জঙ্গলী একটা।

আরাব শুনে কাছে এসে বলে_ কি বললে, আমি জঙ্গলী?
_তো কি হুম। কি করেছেন দেখেছেন?পুরো বডি আমার ব্যাথা করছে।
_শুধু আমিই করেছি তুমি কিছু করোনি?
_না, আমি কিছু করিনি। কি করেছি আমি হুম?

আরাব তার শার্টের কলার সরিয়ে দেখিয়ে বলে_এই দেখো কি করেছো তুমি।

নিজের শার্ট উঠিয়ে বলে_এই দেখো কি করেছো।
তৃষা এসব দেখে চুপচাপ রুম থেকে বের হয়ে যায়। আরাব চিল্লিয়ে বলে_আরো দেখাবো নাকি? জঙ্গলী বিল্লি।

আরাব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাস্তা না করেই অফিসের জন্য বের হয়ে যায়।
___
ফারহান আর রিমানের ঘুম ভাঙে। তারা জেগে দেখে গাড়ির ভিতরে বসে আছে। বের হয়ে দেখে রিমানের বাসার গেটের সামনে গাড়ি।

রিমান _কিরে ভাই বাড়ির সামনে এসেও ভিতরে না ঘুমিয়ে গাড়ির ভিতরে তেরা বেকা হয়ে ঘুমিয়েছিলাম।
_ আমি তো খেয়ালি করিনি এটা তোর বাসা।

রিমান দারওয়ানকে ডেকে বলে_কালকে রাতে যে আমরা গাড়িতে ঘুমিয়েছি, আপনার কি উচিত ছিলো না, গাড়িটা দেখে আমাদের বের করে রুমে দিয়ে আসা?

_দিয়ে আসতে চেয়েছিলাম তো স্যার।
_তো দেন নি কেনো?
_বড়ো সাহেব না করেছে। কালকে আপনি সাহেবকে চাচা করে ডাকছিলেন।

রিমান ভয়ে বলে_আম্মা আমি শেষ। ফারহান তিন চার দিন আমি তোর বাসায় থাকবো চল। বাবা আসার আগে চলে যায়।

_সাহেব তো কিছু ক্ষন আগেই চলে গেছে।

এটা শুনে রিমান বুক ফুলিয়ে বলে_আমি কি কাওকে ভয় পায় নাকি। চল ফারহান ভিতরে। মাথা ব্যাথা করছে। ভিতরে গিয়ে চা খেয়ে, ফ্রেশ হয়ে পরে বের হবো।

দুজনে ভিতরে গিয়ে বসে চা খাচ্ছে, তখনি রিমি এসে ফারহানকে এক নজর দেখে চোখ ফিরিয়ে রিমানকে বলে_ আজকে বাবা তোর বারোটা বাঝাবে। ফারহান তো ঘুমুচ্ছিল কিন্তু তুই যা কাহিনি করেছিস।

রিমান_হুহ আমি কি ভয় পায়, আসতে দে বাবাকে।

রিমি দরজার দিকে তাকিয়ে বলে_আরে বাবা তুমি?

রিমান তাড়াতাড়ি ভয়ে উঠে দাঁড়িয়ে দেখে কেও নেয়। রিমি হাসছে তাও জোরে জোরে। রিমান চায়ের কাপটা রেখে বলে_হেঁসে নে, হেঁসে নে আমারো দিন আসবে।

বলে উপরে চলে যায়। ফারহান ও উঠে দাঁড়ায়। রিমি ফারহানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে বলে _এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?

_আপনার নিশ্চয়ই মনে নেয় কালকে কি কি করেছেন।
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে বলে _মনে আছে সব মনে আছে।
রিমি তার হাত বাঝ করে বলে_আচ্ছা কি কি মনে আছে আপনার শুনি।

_আআআ তুই,তারপর তোর সাদা শাড়ী, পরী, শিউলী ফুল গাছ, তারপর আমারা__

আর কিছু বলার আগে রিমি তাড়াতাড়ি বলে_ আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে। আমি আসছি।

বলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায়। ফারহান মুচকি হাসি দিয়ে বলে_তুই বাসায় ফির, তোর জন্য অনেক বড়ো একটা সাপরাইস আছে। শুধু ফিট খেয়ে মাথা ঘুরে না পড়লেই হয়।

চলবে____

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে