চোখের আড়ালে পর্ব-০৫

0
661

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………5

এটা শুনে রিমান ছেলেটাকে ধরে ইচ্ছা মতে পিটাতে থাকে৷ ছেলের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। হাত তো মনে হয় মুচড়িয়ে ভেঙে ফেলে। ছেলে গুলো সুযোগ পেয়ে পালায়।

রিমান আমার দিকে তাকিয়ে বলে_এতো ছুঁইমুঁই ভাবে থাকলে চলবে? স্ট্রোং হতে হবে, সব সময় তো তোমাকে বাঁচানোর জন্য কেও নাও থাকতে পারে। তখন নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে।

রিমি_নিজের জ্ঞান নিজের কাছে রাখ,কাজে লাগবে।
রিমান _লাক্ষ টাকার জ্ঞান ফ্রিতে দিচ্ছি।
রিমি_লাগবে না তোর জ্ঞান। চল মাহুয়া।
মাহুয়া_একটু দাঁড়া রিমি,, থ্যাংস সিনিয়ার,আপনি না থাকলে আজ যে আমার কি হতো।

রিমি মাহুয়ার হাত টান দিয়ে বলে_কচু হতো, ও না থাকলে আমি বাঁচাতাম৷ চল এখান থেকে।

রিমান _আজ কাল ভালোর কোনো দামি নেয়। এই জন্যই আমি ভালো না।

রিমি মাহুয়াকে নিয়ে চলে যায়। ক্লাসে বসে রিমি মাহুয়ার দিকে ঘুরে বলে_সত্যি সত্যি ঐ ছেলে তোকে মেরেছে? আর তুই কিছু বলিস নি?

মাহুয়া একটু ভাব নিয়ে বললো_আমি মার খাওয়ার না দেওয়ার মতো মেয়ে।
রিমি_তাহলে ভাইয়ার সামনে এতো ভাব নিলি কেনো?
মাহুয়া হতাশ নিশ্বাস ফেলে বললো_এতো কিছু করি তাও তো তোর ভাইয়ার মন গলাতে পারি না।

রিমি বিরক্তি নিয়ে বললো_ভাইয়ার মন গলিয়ে কি করবি?
মাহুয়া হেঁসে বললো_কি আর করবো, বিয়ে করবো। তারপর আমাদের ছোট্ট ছোট্ট দুই তিনটা নাট বলটু হবে আর তকে ফুপ্পি ফুপ্পি করে ডাকবে।

রিমি বিরক্তি নিয়ে বই খুলতে খুলতে বললো_ আমার সামনে ঢং করবি না। আমি সত্যিটা জানি। তাই এতে ভাইয়াকে না জরানোই ভালো।

মাহুয়া_ মানে, কি সত্যি জানিস তুই? আমাকেও একটু বল।
রিমি_কিছু না। স্যার এসে গেছে, মন দিয়ে স্যার এর কথা শুন।
____
তৃষা ঘুম থেকে উঠে দেখে আরাব অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। তৃষা কিছু না বলে ওয়াশ রুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়। গিয়ে দেখে আরাব ব্রেক ফাস্ট করছে৷

আমি গিয়ে নিচে দাঁড়িয়ে আছি। ঠিক আরাবের পাশেই দাঁড়িয়ে আছি। আরাবের একটু অস্তিত্ব হচ্ছে। তাই সে তৃষাকে বসতে বলে। তৃষা চুপচাপ বসে আছে। একদম রোবটের মতো সোজা হয়ে বসে একদিকে তাকিয়ে আছে। আরাব খাবার রেখে জিজ্ঞেস করে _ কি হয়েছে এমন রবোটের মতো আচরণ করছো কেনো?

আমি আরাবের দিকে তাকিয়ে সোজাসুজি উত্তর দিলাম_নিজেকে খেলার পুতুলের মতো লাগছে৷ বলতে গেলে হিউম্যান রোবটের মতো।

_কি বলতো মাথা ঠিক আছে? খেলার পুতুল মানে।

_পুতুলি তো, যাকে কিনা যায়৷ মানুষ তো কিনা বেচা যায় না? বিক্রি হয় পুতুল বা রোবট। আমাকে যেহেতু কিনে নিয়ে এসেছেন, তার মানে তো আমি রোবট। যে হাঁটতে, নড়তে,কথা বলতে পারে। রোবট এর কোনো ফিলিংস নেয়। আমি চেষ্টা করবো যেনো নিজের মন কে খুব তাড়াতাড়ি মাটি দিতে পারি।

আরাব লম্বা নিশ্বাস ফেলে বলে_আমি ঐ কথাটা এমনি বলেছিলাম রাগে। তার কোনো অর্থ নেয়।

আমি আরাবের দিকে চোখে পানি নিয়ে বলি_ আমি জানি সত্যিটা। মিথ্যা বলতে হবে না।

_জেনেছো ভালো হয়েছে, যেমন আছো তেমনি থাকো।

_কেনো কিনেছেন আমাকে?কি এমন বিশেষ দরকার আমার? কারন ভালোবাসা তো আপনার মধ্যে আমি দেখছি না। তাহলে কি আমাকে ভোগ করার জন্য_

আর কিছু বলার আগেই আরাব দাঁড়িয়ে বলে_জাস্ট সেট আপ, এমন কি হলে কবেই__

এটুকু বলে থেমে যায়। তখন আমি উঠে বলি_তাহলে আমি তো আপনার কোনো কাজেই আসছি না৷ আচ্ছা আপনাকে যদি আমি পুরো টাকাটা দিয়ে দেয় তাহলে কি আমাকে মুক্তি দিবেন।

আরাব একটু হেঁসে বলে _মুক্তি তুমি মরার আগে পাবে না।

তৃষা চোখে পানি নিয়ে হাল্কা হেঁসে বলে_ তার মানে যে ভুল আমি করেছি তার শাস্তি সারা জীবন আমাকে পেতে হবে।

আরাব আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে _ কি ভুল করেছো।

তৃষা আরাবের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে_ সৎ বাবাকে নিজের বাবা ভাবার ভুল। আর সবচেয়ে বড় ভুল করেছি আপনাকে ভালো বেসে।

আরাব এক মুহূর্তে আমার কাছে এসে, আমার দুগালে চেপে ধরে রাগে বলে_তার থেকে বড় ভুল তুমি করেছো। তার শাস্তিই পাবে।

আমি আতংকে আরাবের দিকে তাকিয়ে আছি। আরাবের চোখ রাগে লাল হয়ে গেছে। গলার রগ ফুলে গেছে।

আমি ব্যাথায় আরাবকে জোরে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বলি_কি অপরাধ করেছি আমি? যার শাস্তি আপনি এভাবে দিচ্ছেন আমাকে।

_খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবে।

এসময় বাড়ি সাজানোর জন্য লোক আসে।আমি নিজের চোখ মুছে নিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে যায়। কান্না করেও এখন আমার কোনো লাভ নেয়। যা করার তাড়াতাড়িই করতে হবে। বেশি দিন এখানে থাকলে পালগ হয়ে যাবো।
____
মাহুয়া আর আমি ক্লাস শেষ করে বের হতে না হতেই ফারহান ভাইয়ার আগমন হয়। আমি তাকে দেখি চোখ ফিরিয়ে চলে যেতে নিলেই ফারহান পথ আটকে দাঁড়ায়। আমি বিরক্তি নিয়ে বলি_ কি হলো পথ আটকালেন কেনো?

ফারহান ভাইয়া একটু রাগি দৃষ্টিতে বলে_তোর সাথে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।

_ কি কথা?
_অনেক বড়ো সমস্যা হয়ে গেছে। এখন আমার সাথে না গেলে আরো বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। মাহুয়া পিল্জ আমি রিমিকে নিয়ে যায়।

মাহুয়া _ ঠিক আছে, আমি রিমান ভাইয়ার সাথে চলে যাবো৷
ফারহান গ্রেট বলে আমার হাত ধরে তাড়াতাড়ি নিয়ে যায়।আমি কখন ধরে জিজ্ঞেস করছি কিন্তু কিছুই বলছে না।

একটু পর ভার্সিটির সামনে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়৷ রেস্টুরেন্টের ভিতরে ডুকে শান্ত গলায় বলি_এখানে কেনো নিয়ে এসেছেন?

ফারহান ভাইয়া বসে বলে _ আগে বস তারপর বলছি।
আমি অন্যপাশে বসে বলি_ হুম এখন বলেন।
ফারহান আমার দিকে তাকিয়ে হেঁসে বলে_ বয়ফ্রেন্ড হয় তোমার, সামনে কেনো পাশে এসে বসো।

আমি অভাক হয়ে কিছু ক্ষন তাকিয়ে থাকার পরে বলি_মানে, আপনি সুস্থ আছেন তো? কি উল্টা পাল্টা কথা বলছেন?

আমি উঠে যেতে নিয় ফারহান ভাইয়া আমার হাত ধরে টান দেয়,আমি সোজা তার কোলে বসে পড়ি। ফারহান ভাইয়ার ও চোখ বড় বড় হয়ে যায় আর আমারো। আমি তাড়াতাড়ি উঠে যায়। ফারহান ভাইয়া একটা কাশি দিয়ে আমাকে সাইডে বসতে বলে। তার নাকি জরুরি কথা আছে। আমিও চুপচাপ বসি।

ফারহান _ দেখ আরাবের বিয়ে দেখে আমার মা ও শখ হয়েছে আমাকে বিয়ে করাবে। তাই তিনি আমাকে মা জিজ্ঞেস করেই আজকে একটা মেয়ের সাথে আমার মিটিং রেখে দিতে। একটু পরেই সে এসে যাবে।

আমি অবাক হয়ে বললাম_ আপনার বিয়ে।
_ আমি এখনি বিয়ে করবো না। তাই তুই আমার গার্ল ফ্রেন্ড হওয়ার নাটক কর। যেনো ঐ মেয়েটা বিয়ে ভেঙে দেয়।
_আপনি তাকে ফোনে বলে দেন যেনো ও বিয়েতে না করে দেয়। আপনি এই বিয়েটা করতে চান না।
_এটাই তো ঝামেলা। আমি বলেছিলাম। কিন্তু ঐ মেয়ে বলে আমাকে নাকি তার পছন্দ হয়েছে। আর তার সাথে দেখা হলে কথা হলে নাকি তাকেও আমার পছন্দ হবে। আমার গার্লফ্রেন্ড আছে বলেছি তাও বিশ্বাস করে না। আমার সম্পর্কে নাকি সব খবর নিয়েছে সে।

_ অনেক গায়ে পড়া মেয়ে তো দেখি।
_ হুম তাই তো তোকে দরকার।
_আমাকেই কেনো? আপনার তো মেয়ে ফ্রেন্ডের অভাব নেয়।
_ তারা কেও তোর মতো ড্রামা বাজ না।
_ কি আমি ড্রামা বাজ? ঠিক আছে গেলাম আমি।
_ কে বলেছে তুই ড্রামা বাজ? এমন করিস না, তাহলে আমার বিয়ে হয়ে যাবে।

এই কথা শুনে আমি রাজি হয়ে যায়। কেনো জানি না, তবে আমার অনেক খারাপ লাগছে। আমি চুপচাপ বসে আছি। একটু পর একটা মেয়ে এসে আমাদের টেবিলের সামনে দাঁড়ালো। ফারহানকে দেখে একটা স্মাইল করে হাত বাড়িয়ে হায় বলে। ফারহান ও হাত মিলাতে যায়। আমি ফারহানের আগে ঐ মেয়ের সাথে হাত মিলিয়ে বলি_ও হাই, আমি রিমি৷

ফারহান তার হাত নামিয়ে ফেলে। ঐ মেয়ে একটু অসস্থি বোধ করে আমাদের সামনে বসে। বসে বলে_আমি নাতাশা৷ ফারহান মেভি আমাদের একা দেখা করার কথা ছিলো?

ফারহান কিছু বলার আগেই আমি বলি _আমার বয়ফ্রেন্ডকে আমি অন্য কোনো মেয়ের সাথে একা দেখা করতে দিবো। এটা হতেই পারে না।

নাতাশা _ হোয়াট, তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে ফারহান?

ফারহান _ আমি তো আগেই বলে ছিলাম। তুমিই বিশ্বাস করোনি।

আমি ফারহানের হাত ধরে নাতাশার দিকে তাকিয়ে বলি_ দেখো আপি, আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালো বাসি৷ একটা কারনের জন্য আমরা বাসায় বলতে পারছি না৷ কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই বলে দিবো। আমরা দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচবো না।

আমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলি_ তুমি আমাকে ভালোবাসো জান?

ফারহান ও আমার হাত ধরে বলে_অনেক ভালোবাসি। মরার আগ পর্যন্ত ভালোবাসবো আর মরার পরেও আমি আল্লাহর কাছে তোমাকেই চাইবো।

ফারহানের কথা শুনে আমার অদ্ভুত একটা ফিলিংস কাজ করে মনে। নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলি_নাতাশা এখনো কি তুমি ফারহানকে বিয়ে করতে চাও?

নাতাশা_ আমি তো খোঁজ নিয়ে দেখেছি ফারাহানের কোনো গার্লফ্রেন্ড নেয়।

আমি একটু অভার এক্টিং করে বলি_ আল্লাহ কি বলো আপি। এই এলাকার সব রেস্টুরেন্ট জানে আমাদের ভালোবাসার কথা। আমাদের ভার্সিটির বড়ো লাইব্রেরির সব চিপা চাপা জানে আমাদের ভালোবাসার কথা। এখানের সব গুলো পার্কের গলি জানে আমাদের ভালোবাসার কথা আর আপনি জানেন না? এটা কি করে সম্ভব।

ফারহান আমার কানের কাছে এসে বলে _একটু ওভার হয়ে যাচ্ছে।
আমি হাতের কনোই দিয়ে ফারহানের পেটে দেয় গুতা।

নাতাশা উঠে চলে যেতে নেয়, ফারহান বলে_ আরে কিছু খেয়ে যাও।

নাতাশা বলে_ কিছু খাওয়ার ইচ্ছে নেয় আমার।

বলে চলে যায়। আমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলি_ অনেক খাওয়ানোর ইচ্ছে আছে দেখা যায়।

ফারহান হেঁসে বলে_কেনো জেলেসি হচ্ছে। সত্যি সত্যি নিজেকে আমার গার্লফ্রেন্ড ভাবছিস নাকি।

_ হুহহহ, আমি আর আপনার গার্লফ্রেন্ড হতেই পারে না।

_কেনো সোজা আমার বউ হওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি।
কথাটা শুনে আমার মনে একটা মোচর দিয়ে উঠলো। আমি বললাম_আপনার স্বপ্নে।
ফারহান আবার হেঁসে বললো_আর কি বলছিলি সব চিপা চাপা আমাদের প্রেমের কথা জানে। কেনো চিপাচাপায় কি করতাম গিয়ে?

_এটা আমি এমনিই বলেছি।
_বুঝেছি কিন্তু তুই কি মিন করে এটা বলেছিস সেটা জিজ্ঞেস করছি।

আমি লজ্জায় লাল হয়ে বললাম _কিছু না।
আমি সোজা উঠে চলে যায়।
____
আমি রিমানকে খুজতে খুঁজতে কেন্টিনে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি, রিমান অনেক গুলো মেয়ের সাথে বসে আছে। বাহহহ কি হেসে হেঁসে কথা বলছে। দেখেই আমার রাগে মাথা গরম হয়ে যায়৷

আমি রিমানের সামনে দিয়েই হেঁটে যায়। রিমান ও আমাকে দেখে। মনে করেছে আবার কিছু আবদার নিয়ে তার কাছে এসেছি। আমি তাকে ভুল প্রমান করে দিয়ে জিসান এর কাছে যায়। জিসান আমার বাসার পাশেই থাকে। আমরা এক ক্লাসেই পড়ি। আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমি তার কাছে গিয়ে বলি_জিসান আমি তোমাকেই খুঁজছিলাম।

জিসান_সত্যি কিন্তু কেনো?

_আমি বাসায় যাচ্ছি, তুমি কি আমার সাথে যাবে কিনা জিজ্ঞেস করতে এসেছি।

_অবশ্যই যাবো। আমিও তো এখনি বাসায় যাওয়ার জন্য বের হতেই নিয়েছিলাম।

দুজনে বের হতে নেয়, রিমান সামনে এসে বলে_ কোথায় যাচ্ছো?

আমি একটু অন্যদিকে তাকিয়ে বলি_বাসায় যাচ্ছি, সবাই তো আর বাসায় না গিয়ে বসে বসে আড্ডা দেয় না।

রিমান _হুম বুঝলাম। তো রিমি কোথায়?

_ফারহান ভাইয়া নিয়ে গেছে। জরুরি কাজ আছে তাই।

রিমন _ চলো আমি তোমায় বাসায় দিয়ে আসছি।

_ আপনাকে কষ্ট করার কোনো দরকার নেয়। আমি জিসান এর সাথে যাচ্ছি।
_বেশি কথা বলার কোনো দরকার নেয়। চলো আমি দিয়ে আসছি।
_অবশ্যই দরকার আছে। আপনি আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে গিয়ে আড্ডা দেন। জিসান আমাকে সেফলি পৌঁছে দিবে। তাই না জিসান?

জিসান_একদম। চলো তাহলে। আসি সিনিয়র।

রিমান একটু রাগে বললো_ডোন্ট কল মি ড্যাট। ভাইয়া ইজ বেটার।

জিসান_ ওকে রিমান ভাই_য়া।

আমরা চলে আসি সেখান থেকে। রিমানের চেহেরায় যেটা দেখলাম সেটা কি জেলাসি ছিলো। আরে বাহহহ তাহলে তো ভালোই। আমাকে জিসান পৌঁছে দেয়। সারা রাস্তায় শুধু ও বকবক করেছে আমি শুধু হুম হুম করেছি।

বাসায় পৌঁছানোর একটু পরেই রিমান কল দেয়৷ আমি রিসিভ করে বলেন_হুম বলেন।

_ বাসায় পৌঁছেছো?
_হুম একটু আগেই।
_ একটু আগেই মানে। এতো ক্ষন কোথায় ছিলে?

আমি একটু মজা নেওয়ার জন্য বলি_আশেপাশেই একটু ঘুরেছি। জিসান অনেক ফানি কথা বলে, তাই সময় যে কিভাবে গেলো বুঝতেই পারি নি।

রিমান _আচ্ছা ফানি কথা তো আমিও বলি।
_আমার সাথে আর কোথায় বলেন। আপনার মেয়ে ফ্রেন্ডের কি আর অভাব আছে। আচ্ছা যাই হোক আমার কাজ আছে রাখি এখন।

রিমান কিছু বলার আগেই কল কেটে দেয়। রিমান রাগে ফোন ফেলে দিতে নিয়ে আবার পকেটে রেখে দিয়ে বলে_অনেক গুলো টাকা দিয়ে কিনেছে। অন্য কিছু ভাঙবো কিন্তু পরে।

চলবে_____

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে