চোখের আড়ালে পর্ব-০২

0
978

#চোখের আড়ালে
#Maishara_Jahan
part………. 2

খাবারটা সাইডে রেখে দিয়, আরাব আসলে এক সাথে খাবো তাই। আরাবকে দেখার জন্য রুম থেকে বের হয়ে উপর থেকে নিচে দেখতেই ভয়ে আবার রুমে চলে আসি।

কারন একে তো বাড়ি অনেক বড়ো। তার উপর নিচের সব লাইট অফ, কেও নেয় একদম নিরিবিলি। আমি অন্ধকারে অনেক ভয় পায়। মনে মনে রাগ হলো, এতো কি কাজ আছে যে নতুন বউ রেখে উনি কোথাও চলে গেছে।

আমি মা বাবার সাথে ফোনে কথা বলে, শুয়ে আরাবের অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানি না।

সকালে আরাব আসে। রুমে প্রবেশ করে দেখে তৃষা ঘুমিয়ে আছে। চুলগুলো এলো মেলো হয়ে মুখের উপরে এসে পড়েছে। আরাব তৃষার সামনে গিয়ে চুল গুলো ঠিক করতে গিয়ে থেমে যায়। তার হাত এগিয়ে গেলেও তৃষাকে স্পর্শ করার আগেই থেমে গেছে।

মায়া ভরা দৃষ্টি মুহূর্তেই রাগে পরিনত হয়। আরাব তার হাত সরিয়ে সোজা ওয়াশ রুমে চলে যায়।

একটু পর তৃষা উঠে যায়। ঘুমের নেশায় বিছায় বসে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে আছে। ওয়াশ রুমের দরজা খুলার আওয়াজ শুনে আমি ঐদিকে তাকিয়ে দেখি,আরাব গোসল করে একটা তোয়ালে পড়ে, আরেকটা তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছে।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। আরাব আমার দিকে তাকাতেই আমি বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলি _আরাব আপনি আমার রুমে এই অবস্থায় কি করেন। কিভাবে আসলেন, কেও দেখলে কি ভাববে। বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে।

আরাব একনজর আমাকে দেখলো তারপর মাথা মুছার তোয়ালেটা আমার মুখের উপর ছুঁড়ে মেরে আলমারির সামনে যায়।

তোয়ালেটা আমার মুখ থেকে সরিয়ে কিছু বলতে যাবো তখনি আশেপাশে তাকিয়ে মনে পড়লো এটা আমার রুম না। আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে।

আমাকে চুপ থাকতে দেখে আরাব শার্ট পড়তে পড়তে বললো_ কি মনে পড়েছে কিছু।

আমি মাথা নিচু করে আস্তে করে হুম বললাম। আরাব আমার একটু কাছে এসে বললো _রাতের খাবারটা খাওনি কেনো। এভাবেই কেনো রেখে দিয়েছো।

আমি একটু রাগে বলি_ভেবেছিলাম এক সাথে খাবো। কিন্তু কে যানে আপনি ঘরে নতুন বউ ফেলে অন্য জায়গায় আপনার রাত কাটাবেন।

আরাব আমার চোখে চোখ রেখে বললো_ আমার জন্য কখনো অপেক্ষা করবে না। এটা করতে গেলে এমন অনেক রাত আর দিন আসবে যেদিন তোমার না খেয়েই কাটাতে হবে।

আমিও আরাবের চোখে চোখ রেখে বলি_ না খেয়ে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নেয়। যদি তুমি আমাকে না খায়িয়ে থাকতে পারো।

আরাব কিছু না বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আরাবের ব্যবহার আমি কিছু বুঝতে পারছি না। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি দুটো মেয়ে এসেছে। যারা আরাবের সাথে অনেক হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। একজন তো হাগ করছে।

আমি তাড়াতাড়ি নিচে নেমে,টেবিল থেকে খুন্তিটা নিলাম। আজ তো খবর আছে। তখনি একটি মেয়ে আমাকে দেখে বললো _ ভাইয়া এটাই কি ভাবি নাকি।

ভাইয়া ডাকটা শুনে আস্তে করে খুন্তিটা রেখে দিলাম যেনো কেও দেখতে না পায়। আরাব হ্যাঁ বলতেই দুইজন এসে আমাকে হাগ করছে। আমি আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম_ তোমরা কে, আরাবের কি হও।

একটি মেয়ে বললো_ ভাবী আমি রিমি। রিমানকে তো চিনেন, আমি তারি ছোট বোন। বলতে গেলে আরাব ভাইয়ার ও ছোট বোন।

আমি মুচকি হেঁসে অন্য জনকে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো_ আমি মাহুয়া, রিমির ছোট্ট বেলার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর বলতে গেলে আরাব আমারো ভাইয়া হয়।

আমি বসে সবার সাথে পরিচিত হলাম। একটু পর দেখি রিমান চর ফারহান ভাইয়াও এসে হাজির। ওদের দেখে রিমি বলে _ আমরা তো শয়তানের নাম ও নেয়নি তাও শয়তান এসে হাজির।

ফারহান রিমানের দিকে তাকাতেই রিমান বলে_ আমাকে না তোকে বলেছে।

ফারহান ও একটা হাসি দিয়ে রিমিকে বলে_ যে যেমন তার চোখে সবাই ঠিক সেই রকমি লাগে।

মাহুয়া উঠে রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে _ হাই সিনিয়র, কতো দিন পর দেখা হলো আমাদের।

রিমান হাল্কা হেঁসে বলে _হাই।

মাহুয়া কোমর ধরে বলে_ শুধু হাই।

রিমান _ তো হাই এর সাথে কি তোমাকে চাটনি ও দিবো নাকি৷

মাহুয়া_ একটা হাগ তো দিতেই পারতে। কতো মিস করেছি তোমাকে আর তুমি একটা ফোন ও করোনি। আমি ফোন করলে হাই হ্যালো বলে রেখে দিতে।

রিমান _রিমি তোর ফ্রেন্ডকে সামলা। দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে।

মাহুয়া একটা হাসি দিয়ে বলে _জাস্ট ফর ইউ।

রিমি_ থাম মাহুয়া, তোদের প্রেম কাহিনি আমরা অন্য সময় দেখে নিবো। এখানে আমরা ভাবিকে দেখতে এসেছি।

রিমি তৃষাকে উদ্দেশ্য করে বলে_ ভাবি কিছু মনে করো না। এখানে সবাই পাগল শুধু আমি ছাড়া।

ফারহান অন্য দিকে তাকিয়ে বলে_ উনি তো পাগলের রানী।

রিমি_ নিজের চর্কায় তেল দিন।

রিমান_ তেলের দাম বেড়ে গেছে, চুপ থাক তোরা।

আরাব ধমক দিকে বলে_ তোরা সবাই চুপ থাক। সকাল সকাল মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। সবাই নাস্তা করতে বস।

সবাই বলে তারা নাস্তা করে এসেছে। শুধু রিমান ছাড়া। সে কাওকে জিজ্ঞেস ও করে না। আগেই খেতে বসে গেছে। খেতে খেতে বলে_তৃষা প্রথম শশুর বাড়ি এসে নাস্তা বানিয়েছে। না খেয়ে গেলে কেমন দেখায়।

তৃষা একটু নরম গলায় বলে_ ভাইয়া আমি বানায়নি।

রিমান একটু তৃষার দিকে তাকিয়ে বলে_তো কি হয়েছে। খাবার তো খাবারি, এটা খাওয়ার জিনিস ফেলে দেওয়ার তো আর না।

রিমি _ খাদক কোথাকার।এতো খায় তাও মোটা হয় না।

ফারহান _ নজর লাগাবে না। নিজে তো ডায়েট এর চক্করে কিছু খেতে পারে না, আসছে অন্য জনের খাবারের দিকে নজর দিতে।

রিমান খেতে খেতে বলে_ কে বলে রিমি খেতে পারে না। ও আমার থেকে বেশি খায় তাও হরিণ এর হাড়ের মতো দেখতে।

রিমি _ সেট আপ। আমি এখন ভার্সিটিতে চলে গেলাম। লেইট হয়ে যাচ্ছে। আমি বরং ভাবির সাথে পরে এসে দেখা করবো। চল মাহুয়া।

মাহুয়া _ আজ তো আমি যেতে পারবো না। আমার বাসায় একটু কাজ আছে। তুই চলে যা।

রিমি মন খারাপ করে বলে_ আজ আমাকে একা একা যেতে হবে।

রিমান _ফারহান রিমিকে ছেড়ে দিয়ে আয়৷

ফারহান _ তোর বোন তুই দিয়ে আয়।

মাহুয়া_ সিনিয়র তো আমাকে দিয়ে আসতে যাবে।

রিমান _ মানে, আমার কাজ আছে আমি পারবো না।

মাহুয়া _ সিনিয়র আপনি কি আমাকে এতো দূর একা একা যেতে বলছেন। একা একটা মেয়ে যদি কোনো বিপদ হয়ে যায়।

রিমি_বিপদ ও তোরে দেখলে ভয় পায়। যাই হোক, তাও ভাইয়া মাহুয়াকে দিয়ে আসো। ও যেই এলাকায় থাকে ঐ এলাকাটা ভালো না। আর আমি তো একায় যেতে পারবো।

রিমান _ কোনো দরকার নেয়। ফারহান দিয়ে আয় রিমিকে। এখানে আর কোনো কথা হবে না।

ফারহান _ ওকে, আসেন মেম।

রিমি একটা মুখ বেঞ্চি দিয়ে বাহিরে চলে যায়। সাথে সাথে ফারহান ও যায়। রিমি বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বলে_ এই দুই মাস ছিলেন না অনেক শান্তিতে ছিলাম।

ফারহান রিমির অনেকটা কাছে এসে চোখে চোখ রেখে বলে_ আমি একদম শান্তিতে ছিলাম না। তোর সাথে দেখা করার জন্য ছটফট করছিলাম।

রিমি আস্তে করে বলে_কেনো।

_কারন আমি না থাকলে তুই অনেক শান্তিতে থাকিস। আর তোকে শান্তিতে দেখলে আমার ভালো লাগে না।

বলে ফারহান বাইকে উঠে স্টাট দেয়। রিমিও উঠে বসে বলে_ বাইক কিন্তু আস্তে চালাবেন।

ফারহান ওকে বলে সেই জোরে বাইক চালায়। রিমি জোরে বলে_আস্তে চালান।

ফারহান আবারো ওকে বলে আরো জোরে চালাতে থাকে। রিমি ফারহানের কাঁধ শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করে চিৎকার করতে থাকে। ফারহান একিঁয়ে বেঁকিয়ে বাইক চালিয়ে ভার্সিটির সামনে থামায়।

আমি তাড়াতাড়ি বাইক থেকে নেমে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকি। ফারহান হাসতে হাসতে বলছে_ তুই অনেক লাকি যে আমার বাইকের পিছনে বসেছিস। অনেক মেয়েরা লাইন লাগিয়ে বসে থাকে আমার বাইকে বসার জন্য।

আমি চোখে হাল্কা পানি এনে কান্না ভরা কন্ঠে বলি _এভাবে কাওকে ভয় দেখানো ঠিক না। আপনার সাথে আমার প্রায় ঝগড়া হয় বলে এমন করবেন। এভাবে প্রতিশোধ নিবেন।

ফারহান আমার কাছে এসে আমার কাঁধে তার এক হাত রেখে বলে _ তোর কি বেশি ভয় লেগেছে। আমি বুঝতে পারিনি, আম সরি।

_হোয়াট

_আম সরি, আর করবো না।

তখন আমি একটা লাফ দিয়ে বলি _ইয়েস, এটাই আমি শুনতে চেয়েছিলাম। আমার মন অনেক বড় যান আমি আপনাকে মাফ করলাম।

ফারহান কনফিউজড হয়ে বলে_ মানে।

_মানে এটাই এই রিমি কোনো কিছুতে ভয় পায় না হুহ।সব কিছুর জন্য আজকে আপনার কাজ থেকে সরি বলালাম। বাইইই

এটা বলেই দৌড় দেয়। ফারহান পিছন থেকে বলছে_ এর প্রতিশোধ আমি অবশ্যই নিবো। আর কে ভয় পায় না পায় সেটা দেখে নিবো।

রিমি তো চলে যায়। ফারহান ও রাগে ফুস ফুস করতে করতে চলে যায়।
_____

রিমান ও মাহুয়াকে গাড়িতে বসায়। মাহুয়া ঠোঁটে হাসি নিয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান গাড়ি চালাচ্ছে আর বার বার মাহুয়ার দিকে খেয়াল করছে।

কিছু ক্ষন পর রিমান গাড়ি থামিয়ে মাহুয়ার দিকে ফিরে বলে _ এভাবে কেনো তাকিয়ে আছো। এভাবে তাকিয়ে থাকলে কি গাড়ি চালানো যায়।

_ কতো দিন পর দেখছি, একটু ভালো করে দেখতে দিন।

_আমি কোনো আয়না না যে সারদিন তাকিয়ে থাকতে হবে। সামনের দিকে তাকাও।

_সিনিয়র আপনি রাগ করছেন কেনো।

_আমার নাম রিমান। রিমান বলেই ডাকো।

মাহুয়া একটু ডং করে বলে_ ওকে রিমাননন।

রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলে_তোমার বড় তাই আগে পিছনে ভাইয়া লাগাতে ভুলে গেলে নাকি।

আমি রিমানের মুখের সামনে হাত ধরে, তাকে থামিয়ে বলি_ শুনেন আমি আগে পিছনে ভাইয়া লাগাতে পারবো না।

রিমান আমার হাতটা নামিয়ে বললো_ সাইডে লাগাও

_ আমি আগে পিছনে সাইডে ডানে বামে কোথাও ভাইয়া লাগাতে পারবো না। তুমি চাইলে সাইয়া লাগাতে পারি।

_ কোনো দরকার নেয়, সিনিয়র ঠিক আছে। এখন চুপচাপ সামনের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আর না হলে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিবো।

_ এমন কেনো আপনি।

_ এমন বলতে।

_ হট এন্ড সেক্সি।

রিমান কিছু বলার আগেই মাহুয়া রিমানকে থামিয়ে বলে_ আপনি কি ভাবলেন আমি এমন কিছু বলবো। মোটেও না, এমন বলতে রুঢ়।

_ তুমি আগেই অনেক ভালো ছিলে। রিমির সাথে থেকে থেকে ওর মতো হয়ে যাচ্ছো৷ আর এটা কোন ধরনের ড্রেস পড়েছো।

_সুন্দর না, অনলাইন থেকে অর্ডার করেছি।

_ মোটেও সুন্দর না, বেশ অনেকটা পিঠ দেখা যায়। বাসায় গিয়ে চেঞ্জ করে নিবে। আর এটা পড়ে বাসা থেকে বের হবে না।

_ কোথায় পিঠ দেখা যায়। আমি তো দেখেছি বেশি বড় না৷

_যেটা বলেছি সেটা করো।

_ আমার পিঠের দিকে তো আপনার বেশ ভালো নজর। ব্যপার কি হুম।

_এতোটা বের করে রাখলে নজর তো যাবেই। আর কারো নজর যেনো না পড়ে তাই বলছি।

_ কেনো কারো নজর পড়লে আপনার জেলাস ফিল হবে বুঝি৷

_ রিমির দিকে কেও খারাপ নজরে তাকালে আমার যেমন খারাপ লাগবে, ঠিক তেমনি তুমি তো রিমির মতোই আমার বো,,,,

আর কিছু বলার আগেই আমি চিৎকার করে আঙুল দেখিয়ে বললাম _এই খবরদার আমাকে রিমির সাথে তুলনা করলে, আর বোন বললে তো জিহ্বা কেটে রেখে দিবো বলে দিলাম।

রিমান শক হয়ে তাকিয়ে আছে৷ আমি তাড়াতাড়ি নিজের আঙুল সরিয়ে হাসি দিবে বললাম_ সরি, একটু বেশি বলে ফেললাম।

রিমান শক খেয়ে আস্তে করে বললো_ তোমার বাসা এসে গেছে, পিল্জ গেট আওট।

আমি গাড়ি থেকে বের হয়ে সুন্দর করে বাই বলতে না বলতেই রিমান গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।
______

আরাব রেডি হয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হতে নেয় তখনি তৃষা জিজ্ঞেস করে _ আজকে অফিসে যাওয়া কি খুব জরুরি।

আরাব একটু বিরক্তি নিয়ে বললো_ অফিসে না গেলে টাকা আসবে কোথা থেকে।

_ এতো টাকা দিয়ে কি করবে৷

_টাকা না থাকলে তোমার মতো মেয়েরাও থাকবে না।

আমি রাগে বললাম_ মানে কি বলতে চাও। আমি টাকার জন্য তোমাকে বিয়ে করেছি।

আরাব আমার মুখের সামনে এসে তার এক আঙুল দিয়ে আমার থুতনিতে ধরে বলে_ এক হিসাবে আমি তোমাকে কিনে নিয়ে এসেছি।

এবার আমার রাগ অনেক উঠে যায়। আমি আরাবের আঙুল ছুঁড়ে মেরে বলি_ আমি কি কোনো জিনিস নাকি যে আমাকে কিনে নিয়ে আসবে।

আরাব একটা তুচ্ছ হাসি দিয়ে বলে_ তুমি আমার জন্য একটা জিনিসের মতোই। আর কোনো জিনিস তর্ক করে না। সো চুপচাপ কোনো সো পিজ এর মতো বসে থাকো। তাহলে ভাববো আমার টাকা বিফলে যায়নি।

এটা বলে আরাব যেতে থাকে। আমি পিছন থেকে আরাবকে এর মানে বার বার জিজ্ঞেস করছি। কিন্তু সে আমার কথা না শুনার মতো বান করে চলে গেলো৷ আমি মাটিতে বসে পড়ি।

কান্না যেনো থামছে না। বিয়ের পরের দিন তার স্বামী তাকে এমন কথা বলবে এমন হয়তো কোনো মেয়ে ভাবেও না৷ আরাব আমার সাথে এমন কেনো করছে সেটা আমার জ্ঞান এর বাহিরে। তার চোখে ভালোবাসার ছিটে ফোটাও নেয়৷

চলবে_______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে