গল্প:#চেয়েছিলাম_তো_তোমাকেই
লেখিকা:#সুরভী_আক্তার
#পর্ব:০৮
নাহার আপুর কথায় অনেক রাগ হলো আমার।নিরবকে ভাই ডাকতাম ঠিক কিন্তু ভাই মানতাম না এইটা তো ও ভালোমত জানে।
আর এখন কিনা এই মেয়ে আসে আমার জামাইকে ভাই বানাতে।
এর কি লজ্জা নেই? প্রথমে প্রেমের নাটক করে তারপর আবার নিজের বিয়েতে সেই ছেলেকে দাওয়াত দেয় আবার এখন খোঁজ খবর নিতে আসে।
আমি তবুও বললাম”তোমার কি লজ্জা নেই? তুমি কি অবস্থা করেছ তার তা তো তুমি জানো এখন আবার তার খোঁজ খবর নিতে আসো কেন?”
“খোঁজ খবর তো নেওয়াই লাগে, তাকে বিশেষ ভাবে দাওয়াত করেছি কিনা!সে যদি না আসে আমার তো খারাপ লাগবে”
আমি মুচকি হেসে বললাম”চিন্তা করো না,সে আসবে আর তোমার জন্য সারপ্রাইজ নিয়ে আসবে।এখন যাই আচ্ছা?”
“কেমন সারপ্রাইজ?”চিন্তার সাথে জবাব দিল নাহার আপু
“তোমাদের কল রেকর্ডস!”বলেই একটা হাসি দিয়ে চলে আসলাম
_________
আমার ঘরের বেলকনিতে বসে আছি।পেন্টিংটার মত যদি সত্যি নিরব আমার সব বিপদে ধরে ফেলত!
পেন্টিংটায় মূলত আমি আমার জন্মদিনের দিনকার কিছু মূহূর্ত এঁকেছি।
সেখানে সবার সাথে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে নাহার আপু পড়ে যাওয়া ধরলেই নিরব ধরে ফেলেছিল কারণ সে আপুর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল।
সবাই তখন এটা দেখে তালি দিয়েছিল।বিষয়টা নিরব নাহার আপুকে ধরেছে তাই বলে নয় কারণ ওরা যে রিলেশনে আছে সেইটা হয়ত আমিই জানতাম।বিষয়টা অনেকটা সিনেমেটিক বলে সবাই তালি দিয়েছিল।
এখন সেই জায়গায় নাহার আপুকে না আমি নিজেকে এঁকেছি। হোক কল্পনায়, তবুও ভালো লাগে।
আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে দুপুরের দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বাসায় এসে গোসল সেরেই নীল শাড়ি পরলাম। মেকআপ বরাবরই পছন্দ না আমার।
ভেজা চুলগুলোকে হালকা ডিজাইন করলাম।
চুড়ি যদিও পছন্দ না তবুও পরলাম।
কানের দুল গুলো চেন্জ করছিলাম তখনই মনে হলো পেছনে কে যেন আসল।
আমি পিছন ফিরে দেখলাম নিরব দরজার পাশে এসেছে।এখনও জুতা খোলায় ব্যাস্ত সে। আমাকে খেয়াল করেনি হয়ত।
আমি গিয়ে তার সামনে দাঁড়ালাম।সেও উপরে তাকিয়েই”থ”
নিরবের কাছে মনে হচ্ছে তার স্বপ্নে দেখা সেই পরী মনে হয় তার সামনে এসেছে।
যাকে সে কল্পনা করত আজ সে বাস্তবে দাঁড়িয়ে।নীল শাড়ি,নীল কাঁচের চুড়ি, খোলা চুল।মুখে কোন কৃত্রিমতা নেই যা আছে সবটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কিন্তু অথৈ এসব জানল কিভাবে?
“কি হলো? ওভাবে কি দেখ?”
অথৈ এর কথায় নিরব ভাবনা ছেড়ে বাস্তবে এসে বলল”খুব সুন্দর লাগছে তোকে”
অথৈ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না।এইটা কি নিরব বলল?
“কি বললে আবার বলো”
এখন নিরবের মনে হচ্ছে কথাগুলো বলে সে ভুল করেছে।এখন অথৈ তার মাথা খাবে। তবুও সে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে বলল”বললাম যে নীল শাড়ি আর নীল চুড়ি আমার ভীষণ পছন্দ তাই এগুলো ভালো লাগছে”
নিরবের কথা শুনে অথৈ মুখটা অন্ধকার করে বলল”ওহ!ফ্রেশ হয়ে নাও”
অথৈ এর কথা শুনে নিরব আর দেরি না করে চলে গেল।নিরব যাওয়ার পর অথৈ হালকা হাসলো। এটা ভেবে যে, ইনডাইরেক্টলি সে তাকেই সুন্দর বলেছে।
তারপর ওয়াশরুমের দিকে একনজর চেয়ে সে নিরবের ডায়েরিটা হাতে নিল।
এটা সে বাসর রাতে যখন সম্পুর্ণ ঘর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তখন নিরবের ড্রয়ার থেকে পেয়েছিল।
ডায়েরিটাও নীল রঙের। নিরবের প্রায় সবকিছু আকাশি বা নীল রঙ(জিনিসের ক্ষেত্রে)এর থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় নীল রঙটা নিরবের পছন্দের।
একজন ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট হওয়ায় নোটস আর ডায়েরি থাকাটা খুব সাধারণ ব্যাপার।
তবে বেশিরভাগ নোটস যেগুলো কাজের সেগুলো হয়ত বইয়ের সেলফ এ আছে নয়ত টেবিলের উপর।
কিন্তু এইটাই ড্রয়ারে রাখা,তাও আবার যত্ন সহকারে।প্রেম কাহিনী তো নিরব লিখবে না কারণ যারা নিজের মনের ভাব কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না কিংবা একতরফা ভালোবাসা হয় তারাই বেশীরভাগ ডায়েরি লিখে বলে অথৈ মনে করে।
কিন্তু ডায়েরিতে লিখেও কি? কোন লাভ তো হয় না।সে যাই হোক,যদি এটা প্রেমের না হয় তাহলে কি নিয়ে এখানে লেখা আছে সেটা জানার প্রবল আগ্রহ জাগে তার মনে আর তখনই ধীরে ধীরে জানতে পারে নিরবের কাল্পনিক সেই মেয়ের কথা। সেখানে কিন্তু ও কারো নাম উল্লেখ করে নি।
তাই নীল ড্রেসই পরে বাছাই করে দুজনের জন্য আর আজও সেভাবেই সেজেছে।
অন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পায়নি সে ডায়েরির মধ্যে।যা আছে তা হচ্ছে নিরবের কয়েকটা ইচ্ছা।
যা সে তার কাল্পনিক সঙ্গিনীকে কল্পনা করে লিখেছে।তাই অথৈ আর সেদিক পড়ে নি।
সে চায় নিরব নিজ থেকে তাকে নিয়ে সে ইচ্ছাগুলো পূরণ করুক আর অথৈ বরাবরের মতই মুগ্ধ হয়ে তা উপভোগ করুক।
তার মনে হচ্ছে দিনটি বেশি দূরে নয়।
ডায়েরিটা আবার আগের জায়গায় রেখে অথৈ চুপটি করে বসল।
নিরব এখনই শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসবে হয়ত।
অথৈ বেলকনিতে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।তার মিনিট দুয়েক পরেই নিরব বেরিয়ে আসল।
পরনে রয়েছে নীল পাঞ্জাবির উপর দিয়ে লাল কোটি আর সাদা পাজামা।
চুলে হাত বুলাতে বুলাতে নিরব এগিয়ে আসল অথৈ এর দিকে।
নিরবকে এক নজর দেখে অথৈ মুগ্ধ হলো।যতটা ভেবেছিল তার চেয়েও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে।
নিরব ভ্রু উঁচিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে অথচ তার খেয়াল ই নেই।
নিরব জিজ্ঞেস করল”কি দেখিস ওভাবে?”
“তোমাকে”আনমনে উত্তর দিল অথৈ
নিরব মুচকি হেসে এগিয়ে গেল তারদিকে তারপর গ্রিলে হেলান দিয়ে বুকে দুই হাত গুজে জিজ্ঞেস করল”তাই?”
নিরবের এমন নেশাক্ত কন্ঠস্বর শুনে অথৈ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল তারপর নিরবের দিকে চেয়ে দেখল সে এখনো আগের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে আর ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি বিদ্যামান রয়েছে।
এতেই যেন অথৈ ঘায়েল হয়ে পড়ছে তাই চট করে সে অন্যদিকে ফিরে বলল”এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? অনুষ্ঠান শেষ করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি?”
বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসল আর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
আরেকটু পর নিরব ঘর থেকে বেরিয়ে আসল। চুলগুলো সেট করে এসেছে সে।
দুজনে মিসেস হিয়ার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
ঠিকানা অনুযায়ী নাহারের বাসা বেশি দূরে নয় বলে দুজনে একটা রিকশা নিল।
পাশাপাশি দুজনে রিক্সায় বসে আছে।কারো মুখে কোন কথা নেই।
অথৈ এর পিঠ পর্যন্ত ছাড়ানো কেশ গুলো বারংবার নিরবের মুখ স্পর্শ করছে।
এতে নিরবের বিরক্ত লাগছে না বরং ভালোই লাগছে।
শ্যাম্পু অথবা চুলের ঘ্রাণ যেটাই হোক নিরবের কাছে ভালো লাগছে।
অথৈ এর মুখের সামনে বারবার চুল চলে আসায় সে সরাতে সরাতে বিরক্ত হয়ে গেছে।
হয়ত চুল ছেড়ে আসতেই হত না।এই ধারণা ওর মনে রিপিট হচ্ছে।
তখনই তার ঘাড়ে সে শীতল স্পর্শ অনুভব করে।চট করে বামদিকে ফিরে দেখে নিরব ওর দুইপাশের চুলগুলো সব পিছনে আনছে তারপর হাত দিয়ে সবগুলোকে ধরে রেখে মৃদু হেসে অথৈ এর উদ্দেশ্য বলল”আর বিরক্ত করবে না,আমি এইটা ধরছি তুই তোর শাড়ি সামলা”
বলেই সামনে দিকে চোখ রাখল নিরব।
অথৈ তার আঁচলের দিকে তাকিয়ে দেখল অনেকটাই পায়ের দিকে চলে গেছে।
চুলের দিকে খেয়াল করতে গিয়ে আঁচলের দিকে খেয়ালই করে নি সে।
সেও মুচকি হেসে আঁচলটা দুই হাতে চেপে বসল।
এখন মনে হচ্ছে চুল ছেড়ে এসে ভুল করে নি সে। খোলা চুলে না আসলে এই ছোট্ট কেয়ারটা মিস করত সে।
নিরবের এই অল্প কেয়ারই হয়ত বাস্তবে অনেক রূপ ধারণ করবে।
______________
পাক্কা ১০মিনিট বাদে নিরবদের রিকশা একটা বাড়ির সামনে থামল।
হরেক রকম ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে গেট আর চার তলা বাসাটাতে লাইট ঝুলানো রয়েছে হয়ত রাতের জন্য।
রিকশা ভাড়া মিটিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে গেল তারা।
এত এত মানুষ এখানে।থাকারই কথা,সরকারি চাকরিজীবীর বিয়ে বলে কথা।
যার টাকা আছে তার আত্নীয়ের আর লোক দেখানো ভালোবাসার অভাব নেই।
যেমন ভালোবাসা দেখাচ্ছে নাহার।
ভিড়ের মাঝে বারবার লোকজনের ধাক্কা খাচ্ছে অথৈ।তাই না পেরে সে নিরবকে বলল”একা একা এগিয়ে না গিয়ে আমাকে সঙ্গে নিলে কি তোমার ক্ষতি হবে?ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি তো!”
নিরব ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল অথৈ তার দিকে চেয়ে আছে আর মাঝেমধ্যে মানুষের দিকে বিরক্তিকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে।
সে অথৈ এর দিকে এগিয়ে গিয়ে তার হাত ধরে বলল”আস্ত বাচ্চাকে বিয়ে করেছি আমি, পুলিশ না ধরলেই হয়”
এই কথা অথৈ শুনতেই বলে উঠল “বাচ্চাদের মত কি দেখলে?এত মানুষের মাঝে ধাক্কা খাচ্ছি বলে তোমাকে ডাকলাম নাহলে অজানা জায়গায় হারিয়ে গেলে তোমাকেও খুঁজে পাব না বাড়ির রাস্তাও খুঁজে পাব না”
“সেটাই তো বাচ্চাদের কাজ।অজানা জায়গায় তারা হারিয়ে যায়, সেইজন্য একটা বড় মানুষ পাশে থাকা দরকার আর এই মূহূর্তে সে বড় মানুষটা আমি।”
“কিন্তু আমি….”
“আমার চেয়ে তুই ছোট,এইটাই শেষ কথা এবার চুপটি করে এখানে বস”একটা চেয়ার দেখিয়ে বলল নিরব।
অথৈ ওখানে বসে চারিদিকে চোখ ঘুরিয়ে সবটা দেখতে লাগল।
সামনেই নাহার তার বরের সাথে মহাখুশির সাথে কথা বলছে।
নিরবের সাথে কথা বলছিল বলে সে ওদের খেয়াল করে নি।
হঠাৎ তার মাথায় কালকের কথাটা আসতেই সে চট করে হালকা চিল্লিয়ে বলল”নাহার আপু!”
নিজের নাম শুনে নাহার চারিদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখল তার সামনে কিছুটা দূরে অথৈ রয়েছে।
তার পাশেই নিরব রয়েছে।অথৈকে দেখে তার চোখ আপনাআপনি ছোট হয়ে গেল।সে তো নিরবকে দাওয়াত করেছিল তাহলে অথৈ এখানে কেন?
সে কি নিরবের সাথে এসেছে?
এই প্রশ্ন ভাবা বাদ দিয়ে সে এখন সকালের বলা অথৈ এর কথাটা নিয়ে ভাবছে।
সত্যি কি নিরবের কাছে তার আর নাহারের বলা কল রেকর্ডিংস আছে?
থাকলে তো ভারি চিন্তার বিষয়। ভেবেই নাহারের চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিল।
যদিও কখনো অশ্লীল কথাবার্তা হয়নি তাদের মাঝে তবুও যাও হয়েছে তাও কি এভাবে সকলের সামনে ফাঁস হয়ে যাবে?
তাহলে তো তার ফ্যামিলির সম্মান ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সাথে সে হারাবে সোনার ডিম পাড়া মুরগি অর্থাৎ যার সাথে তার বিয়ে হচ্ছে।
নাহারের এত্ত ভাবনার মাঝেই অথৈ তার সামনে চলে এসেছে সে খেয়াল ই করে নি।
অথৈ এসেই বলল”কি গো আপু? ভুলে গেলে নাকি। তোমাকে দুইতিনবার ডাক দিলাম তুমি শুনলেই না। তোমার সারপ্রাইজ গিফট নিয়ে এসেছি সেটাই বলতে এলাম,এখন যাই আচ্ছা?”
অথৈ যেতে নিতেই নাহার তাকে থামিয়ে ভয়ার্ত মুখে বলল”তুমি কি সত্যিই রেকর্ডিংস নিয়ে এসেছ?”
নাহারের এহেন কথা শুনে অথৈ এর বেশ লাগছে তারপরও সে বলল”সবাই তো তোমার মত না।যাই হোক,সেইটা তো গিফট করার মত বিষয় না তাই যা গিফট করা যায় তা নিয়ে এসেছি আর ওইযে যে মেয়েটা গিফট রিসিভ করছে কি যেন নাম তাকে দিয়ে এসেছি আর সারপ্রাইজ তো আমি! আমাকে দেখে অবাক হওনি?”
নাহারের ভয় কিছুটা হলেও দূর হলো অথৈ এর কথা শুনে। কিন্তু অবাক তো সে হয়েছে, কেন অথৈ এখানে এ প্রশ্নের উত্তর তো সে জানে না যেহেতু সামনে থেকেই উত্তর আসছে তাহলে ক্ষতি কি শুনতে?তাই সে বলল”অনেক হয়েছি, সত্যি করে বলোতো তুমি এখানে কেন?”
অথৈ কিছুটা লজ্জাভাব মুখে এনে বলল”জামাই যেখানে থাকবে বৌ তো সেখানেই থাকবে তাই না?”
এতক্ষণ নাহারের ভ্রু কুঁচকানো থাকলেও মুখে একটা অবাক ভাব এসেছে।আজ যে সে কত অবাক হবে!
নাহারের মুখ দিয়ে আপনাআপনি বের হলো”কখন!”
“ধরো দুই দিন হয়েই গেল”বলেই আর না দাঁড়িয়ে সে চলে গেল।
নাহার ভেবেছিল তার যাওয়ার পর নিরবের হাসি খুশি সব গায়ের হয়ে যাবে কিন্তু উল্টো সে বিয়ে করে বসে আছে।সে অথৈ এর দিকে তাকিয়ে দেখল সে নিরবের কাছে গিয়ে দাড়াতেই নিরব ওকে কোনো কারণে বকাঝকা করছে আর অথৈ হাসছে অর্থাৎ নিরব ওকে শাসন করছে।এতটা অধিকারবোধ সে নাহারের প্রতিও দেখায় নি।বিষয়টা অজান্তেই নাহারের খারাপ লাগল।
এই মূহূর্তে কেন জানি নাহারের এই বিয়ে ছেড়ে ছুড়ে নিরবের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে তবে সেটা সম্ভব না। নাহার দৃষ্টি সরিয়ে তার হবু বরের দিকে তাকালো তবুও দৃষ্টি বারবার ওদের দিকেই যাচ্ছে।
চেয়েছিল ছ্যাকা দিয়ে শান্তিতে বিয়ে করবে কিন্তু এখন নিজেই সেই ছ্যাকার ব্যাথা অনুভব করছে।
চলবে……