চারুর_সংসার
পর্ব_১০
#Written_by_Nowshin_Noor
.
?
.
নীলিমা শ্যুট করতে নিলেই কেউ একজন এসে নীলিমার হাত ধরে ফেলে এবং গান টান মেরে হাত থেকে নিয়ে নেয়!!!সে আর কেউ নয় চারুর পাস্টের একমাত্র ভিলেন রকি।রকি গান টান মেরে নিয়ে বলে–
রকিঃঅহহহ, নীলিমা তুমি মেরে ফেলবে ওকে?আমি যে ওকে ভালোবাসি।তুমি এককাজ করো চারুকে আমার হাতে তুলে দিয়ে আনাফকে নিয়ে নাও।
নীলিমাঃবেশ!!
চারুঃকে আপনি?(রেগে)
রকিঃআমি রকি চারু? মানে ১ বছরেই আমাকে ভুলে গেলে!
চারুঃনা চিনিনা আমি। নীলিমা প্লিজ্জজ আমাকে ছেড়ে দাও আমাকে আনাফের কাছে নিয়ে যাও প্লিজ!
রকিঃএইতো সুযোগ এই ফাকে আহানের কাছে চারুকে নিয়ে গিয়ে ওর কাছে ভালো হয়ে যাবো।(মনে মনে)
রকিঃনীলিমা এদিকে আসো তো।
দুজন আড়ালে গিয়ে কী যেনো কানাকানি করে।দুজনে হাইফাইভ করে।এরপর ফিরে আসে।এসে দেখে চারু অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।আসলে চারু ভয়ে,চিন্তায় অজ্ঞান হয়ে যায়।তারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় চারুকে।
???
অন্যদিকে,শবনমরা চারুকে আশেপাশে না পেয়ে খুজতে থাকে। অনেক খুজে কিন্তু কোথাও পায় না।আনাফ কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে যে চারু কী আনাফের কাছে?আনাফ না করে দেয়।তারা অনেক চিন্তায় পড়ে যায়, আনাফ কে কিভাবেই বা বলবে যে চারুকে খুজে পাচ্ছে না।শেষমেশ নীলিমাকে ফোন দেয় নীলিমা বানিয়ে বানিয়ে বলে যে সে এদিকেই আসছিলো আর হঠাৎ দেখে চারু অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। হয়তো কড়া রোদের জন্য এমন হয়েছে।হাসপাতালে আছে ও।হাসপাতালের নাম বলে নীলিমা।শবনমরা যায় সেখানে দ্রুত।
ডক্টরঃউনি তো আগেও একবার মাথায় আঘাত পেয়েছেন এখন আবার বড় সড় কিছু হতে পারে! সাবধানে রাখবেন উনাকে।
মাঃওকে।
(শবনমরা আসার আগেই রকি কিন্তু চলে যায়)
শবনম ও মাকে নীলমা একটু রুম থেকে বের হতে বলে।উনারা বের হতেই নীলিমা দৌড়ে চারুর কাছে যায়।
নীলিমাঃচারু প্লিজজজজজজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি বুজতে পারছি এখন তুমিই আনাফের জন্য বেস্ট প্লিজজজজজ ক্ষমস করে দাও।মানুষ মাত্রই ভুল! আমিও একটিভুল করেছি ক্ষমা করে দাও আমাকে!
চারুঃহুমমমম!
নীলিমাঃক্ষমা করে দিয়েছো?
চারুঃহ্যা!
নীলিমা এসে চারুকে জড়িয়ে ধরে।চারু অবাক হয়ে যায়।তবুও বিশ্বাস করে!!!
হস্পিটাল থেকে চারুকে হোটেলে আনা হলো। চারু সুস্থ ই প্রায়।আনাফ এতক্ষনে জেনে গেছেই প্রায়। এরপর তো চারুকে অনেক বকেছে যে কেনো সাবধানে ছিলো না।একা একা গেলো কেনো এই সেই।
নীলিমা তার সাথে যা যা করেছে এই ব্যাপারে কাউকেই চারু কিছু বলল না এবং মাথা থেকে সেই ব্যাপার ঝেড়ে ফেলল!
রাতে……..
আনাফ ও চারু শুয়ে আছে পাশাপাশি।কারও চোখেই ঘুম নেই। দুদিনপরই চারুর জন্মদিন।চারুকে কী সারপ্রাইজ দিবে সেটা ভাবছে আনাফ। তখনি নীরবতা ভেংগে চারু বলে…….
চারুঃএই বাইরে যাবেন?
আনাফঃনায়ায়ায়ায়া!
চারুঃনা আমি যাবো আমাকে নিয়ে চলেন!
আনাফঃনা।
চারুঃআমি যাবো! আমি জানিনা।
আনাফঃচারু এমনিতেই তোমার শরীর খারাপ এখন বাইরে যাওয়ার কোনো দরকার নেই! চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো!
চারুঃনা আমি যাবো।
অবশেষে চারুর জেদের ঠেলায় আনাফ চারুকে নিয়ে গেলো।চারু অবশ্য আনাফকে ধরে ধরে নিয়ে গেছে!
দুজন একটি দুলনায় বসে আছে।হঠাৎ চারু আনাফের বুকে নিজের মাথা রাখলো। আনাফ কিছুই বললো না সে শুধু চারুর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।তখনি আনাফ চারুকে বললো!
_ভালোবাসো কাউকে?
_হুম!
_কাকে????(অবাক হয়ে)
_আপিনাকে বলতে যাবো কেনো?
_হুহহহহহহ!
_আচ্ছা আপনি কী কাউকে ভালোবাসেন??
_হ্যাঃ)
_অহহহহ(মন খারাপ করে)
এরপর দুজন গল্প করলো!কিছুক্ষন হাটলো। তারপএর রুমে চলে গেলো।
আনাফ ভাবে কক্সবাজারেই চারুর জন্মদিন সেলিব্রেট করবে।এবং সে সব প্লান করে রাখে।চারুকে কিছুই জানায় না।সে চারুকে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ দিবে!!
এভাবে দুইদিন চলে যায়,,,,,,দেখতে দেখতে সেইদিন চলে আসে।এতদিন নীলিমা চারুর সাথে অনেক ভালো আচরণ করে।একদম নিজের আপন বোনের মতো।চারুও মনেকরে হয়তো ভালো হয়ে গেছে নীলিমা!!
চলবে……..
ভাবছেন চারুকে মারার সুযোগ পেয়েও নীলিমা চারুকে মারলো না?উল্টো বাচিয়ে দিলো?ভালো ব্যাবহার করলো!ক্ষমা চাইলো?পরবর্তী পর্বে সব বুঝতে পারবেন!রকিকে খুব ভালো ভাবে চিনতে পারবেন।রকি আসলে কে সে কী করেছে সব!
(রাতে বড় করে দিবো।পরের পার্টে রহস্য-প্যাচ খুলতে পারে!!!)