#চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে
অন্তিম পর্ব
শেষ অর্ধাংশ
আশিকা জামান।
হঠাৎ ঘেন্নায় অনন্যার শরীর জ্বলে উঠল। ধাক্কা দিয়ে অঙ্কনকে সরিয়ে সে উঠে পড়ে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, ” এই জন্যই এসেছ! ওঁকে ফাইন, যা চাও পেয়েছ তো! এবার আমায় মুক্তি দাও প্লিজ! যাও এখান থেকে৷ সহ্য করতে পারছি না। “.
অঙ্কন বিস্ময়ভরা চোখে অনন্যার দিকে চেঁয়ে থেকে একবার কেবল ছুঁতে এসেছিল। অনন্যা পাথরের মত নিস্পৃহ চোখে চেয়ে বলে,
” ছুঁবে না! তোমার ছোঁয়ায় আমার ঘেন্না ধরে যায়।”.
অঙ্কন যেন টলছিল। দু’পা পিছিয়ে আসে। ভেবেছিল এখনি দুনিয়া অন্ধকার দেখবে। চারপাশে কেবল নিকষ আধার৷ কিন্তু না সজ্ঞাটা অনন্যা হারায়৷ অঙ্কন, অনন্যার নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জাপটে ধরে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার আগেই৷
ঘর ছেড়ে বের হতেই রিজভীর ক্ষোভে ভরা তীক্ষ্ণ কথার জালে জর্জরিত হয়েও অঙ্কনের আজ আর কোন কষ্ট হলোনা। ততক্ষণে রিজভীর কাছে খবর পেয়ে অনিক ফিরে এসেছে।
কেমন চোখমুখ শক্ত করে তাকিয়েছিল। অনিক পাশের ফ্ল্যাট থেকে তার এক ডাক্তার বন্ধুকে ডেকে নিয়ে আসে। উনি এসে অনন্যার সেন্স ফেরান। এরপর বলেন, ” গতকালই বলেছিলাম উনি প্রেগন্যান্ট৷ এখন কোনপ্রকার মানসিক চাপে উনাকে রাখা যাবে না। এটা কোন কথা হলো প্রতিদিন সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব হসপিটালে নিয়ে যাও কেমন!”
অঙ্কন আনন্দে তখন দিশোহারা। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যাই হয়ে যাক অনন্যাকে ছেড়ে এইমুহুর্তে সে যাচ্ছে না। ঠান্ডা মাথায় অনন্যাকে বুঝাতে হবে। এখন আর কিছু বলবে না।
রিজভী আর অনিক থমথমে মুখে চেয়েছিল। অনন্যা হতবাক সে কনসিভ করেছে এই খবরটা তাকে জানানো হয়নি গতকাল। অঙ্কনের বাচ্চার মা হতে যাচ্ছে এই ব্যপারটা তাকে আরও অস্থির করে তুললো। হঠাৎ পাগলের মতো ব্যবহার করতে লাগল সে। বিছানার বালিশ, বেডশিট সব ছুড়ে মারতে লাগল। ফ্লাওয়ার ভাস, রিমোর্ট, ফোন হাতের কাছে যাই পাচ্ছিল তাই ছুড়ে মারছিল৷ অঙ্কন, অনন্যাকে শান্ত করতে দু’হাত দিয়ে আকঁড়ে ধরে। শান্ত গলায় বলে, ” অনন্যা প্লিজ, একটু শান্ত হও। অন্তত আমাদের বাচ্চাটার কথা ভেবে একটু ধৈর্য্য ধরে আমার কথাগুলো শুনো।”
” কার বাচ্চা? কে বলল বাচ্চাটা তোমার।”
” আশ্চর্য অনন্যা!, বাচ্চাটা আমাদের, এটা জানার জন্য অন্য কাউকে প্রশ্ন করার কোন প্রয়োজন আছে বলে তো মনে হয় না।”
” কনফিডেন্স ভালো তবে ওভার কনফিডেন্স জিনিসটা খুব খারাপ।”
” ওয়াট? কী সব উলটা পালটা বকছ।”
” সে যা ইচ্ছে ভাবতে পার নাথিং অফ মাই হ্যাডেক। শুধু এটুকু জেনে রাখ আ’ম নট ক্যারিয়িং য়্যুর বেবি৷ প্লিজ লিভ মি এলোন।”
” মানে কী? মুখে কিছু আটকায় না। যা খুশি বলে দেয়া যায়।”
” বলেছি তো বাচ্চাটা তোমার নয়। সো এত কনসার্ন দেখানোর কিচ্ছু হয়নি। আমার তোমাকে অসহ্য লাগছে। যাবে নাকি! নাম টা শুনে যাবে? সহ্য করতে পারবে! ক্ষমতা আছে।”
অঙ্কন রক্তশূণ্য মুখে চেয়ে চেয়ে দেখে অনন্যার নির্লিপ্ততা। ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিটা কথার তীক্ষ্ণ বুলেটে। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ এতোটা যন্ত্রনাদায়ক কেন?
নিজের জীবনের চেয়েও যাকে বেশী ভালোবাসা হয় সে-ই বোধহয় সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় দেয় কথাটা যেন কে বলেছিল! অঙ্কন মনে করতে পারে না। ঝাপসা কাঁচের অন্তরালে সাজানো গুছানো পৃথিবীটা কেমন এক নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে! অঙ্কনের কিচ্ছু করার নেই! না কিচ্ছু করার নেই। কেবল দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া।
হঠাৎ অঙ্কনের শরীরটা কেমন দুলিয়ে উঠলো। মাথায় তীব্র যন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও সে উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে যায়। হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে। কাঁপা কাঁপা হাত দুটো অজান্তেই অনন্যার কোমড় জড়িয়ে ধরেছে কখন সে জানে না! বুকের রক্ত ছলকে উঠে দু’চোখ বেয়ে কখন অশ্রু হয়ে নেমেছে সে খেয়ালও নেই। শেষ বারের মত অনন্যাকে শান্ত করার চেষ্টায় অঙ্কন জড়িয়ে যাওয়া কন্ঠে বলে,
” অনন্যা, এভাবে কখনো কোনিদিন বেহায়ার মত অঙ্কন চৌধুরী কাউকে তোষামোদ করেনি। হয়তো এটাই প্রথম এবং শেষ। শুধু একটি কথাই বলব আপাতত আর কিছু বলার নেই। আমি চাইনা সাময়িক জেদের বশে তোমার মুখ থেকে এমন কোন বেফাঁস কথা শুনোট যা মানা আমার জন্য মৃত্যুসম। তুই যা-ই সিদ্ধান্ত নাও না কেন আমার যতই কষ্ট হোক আমি তোমায় বাঁধা দেব না। কেবল তুমি যা বলো শান্ত হয়ে বলো। আমার ভালোবাসা এতোটা ঠুঁনকো নয় যে তোমায় কোন সিদ্ধান্তে জোর খাটাবে!”
অঙ্কনকে অনন্যা থামিয়ে দেয়। চিৎকার করে বলে, ” কিসের ভালোবাসা কিসের জোর! এই প্লিজ নাটক বন্ধ কোরো। আমার মাথা ঠান্ডাই আছে। আমার বাচ্চার বাবার নাম শুনতে চা-ও তো!” কথাটা বলেই অনন্যা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রিজভীর দিকে তাঁকায়। ঐ চোখে কী ছিল রিজভী আজঁও ভাবতে পারে না। সটান দাঁড়িয়ে বলে, ” বাচ্চাটা আমার। এই বাচ্চা আমাদের।”
অঙ্কন ফ্যাঁলফ্যাঁল চোখে অনন্যার দিকে তাঁকায়। অনিক বিস্মিত হয়ে কেবল শুনেই যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
” এখনো ধরে আছ কেন? শুনলে না রিজভী কী বললো। আমরা রিলেশনশিপে আছি। কী ভেবেছ কী? তুমি যা খুশি করতে পার আমি পারি না! আমিও পারি।”
অঙ্কন তা্র চমকানো মুখটা বহাল রেখেই বলে,
” জেদ করে বলছ, আমি জানি। একবার স্বীকার করো মিথ্যে বলছ। প্লিজ বলনা সব মিথ্যে।”
” কিসের মিথ্যে! সব সত্যি। এই বাচ্চাটা রিজভীর তোমার নয়।” অনন্যা দ্বিগুণ উত্তেজিত হয়ে বলল।
অঙ্কন বজ্রাহতের ন্যায় অনন্যাকে ছেড়ে দেয়। মনে হচ্ছিলো পায়ের নিচের মাটি ক্রমশ সরে যাচ্ছে। আর দ্রুতই সে যেন শূন্যে ভাসছে।
অনন্যার ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাচ্ছিলো। আবার ক্রমশ উত্তেজিত হয়ে বলল, ” ভাইয়া দাঁড়িয়ে দেখছিস কী ওকে যেতে বল! আমার সহ্য হচ্ছেনা৷ রিজভী, ওকে যেতে বলো। বলছনা কেন?” কথাটা বলতে বলতে অনন্যা আবার সেন্সলেস,হয়ে যায়৷ অঙ্কন ছুটে যেতে চায় হঠাৎ তাঁকে সরিয়ে দিয়ে রিজভী অনন্যাকে কোলে তুলে নেয়।
অঙ্কন, তীর্যক চোখে তাকায়। তার অনন্যাকে ছোঁয়ার কোন অধিকার তার নেই। আজ সে বড় অনাহুত আগন্তুক।
অনিক এতক্ষন চুপ করে কেবল দেখেই গেল। কিছু বলল না। অঙ্কনের নিষ্পাপ চোখের দিকে তাঁকিয়ে হঠাৎ সত্য মিথ্যে কেমন গুলিয়ে উঠছে। কাছে এসে শান্ত গলায় বলল,
” অনন্যাকে একটু একা ছেড়ে দাও। ওঁ আসলে মেন্টালি আনস্ট্যাবল! কী করছে না করছে কিছুই বুঝতে পারছে না। ও একটু সুস্থ হোক আমি না-হয় ওর সাথে কথা বলব। তোমাদের দুজনকেই নিয়ে বসব। প্লিজ একটু ধৈর্য্য ধর কেমন!”
” তার আর প্রয়োজন নেই। অনন্যার যা খুশি সে করতে পারে অঙ্কন আর বাঁধা দেবেনা। যেখানে সে আমাকে বিশ্বাসই করতে পারেনা সেখানে আর বাকি সব বৃথা। আমি চলে যাচ্ছি রাতের ফ্লাইটেই । হয়তো আর ফিরব না। অনন্যাকে দেখে রাখবেন।”
অনিক সেদিন পিছু ডেকেও অভিমানী অঙ্কনকে ফেরাতে পারেনি। হয়তো আরেকটু চেষ্টা করলেই পারত৷ কেন করেনি সেই আফসোস আজঁও তার যায়নি। মাঝরাতে মনে পড়লে এখনো ঘুম উবে যায়।
অনন্যার সেন্স ফিরলে অনিক হঠাৎই রিজভীকে চলে যেতে বলে। এরপর অনন্যাকে ঠাণ্ডা মাথায় অনেক কিছু বুঝায় যেটা তার আরও আগেই করার কথা ছিল৷ যখন অনন্যা ভেবে নেয় অঙ্কনকে তার কথা বলার সুযোগ দেয়া উচিৎ!
সেই সুযোগটাই সেদিন অনন্যাকে বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়নি। সময় গেলে সাধন হয়না এই চিরন্তন বাক্যকে সত্যি প্রমাণ করে দিয়ে খবর আসে সেদিনের সেই প্লেন ভয়াবহ দূর্ঘটনায় কবলিত হয়। অধিকাংশ যাত্রী মারা যায় আর কিছুসংখ্যক যাত্রীর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনন্যার সারা পৃথিবী থমকে দাঁড়ায়। অঙ্কনকে আর শত চেষ্টাতেও খুঁজে পায়নি। হৃদয়পথে নীলচে মেঘ ছড়িয়ে চিরদিনের মতো সে চলে যায়। আর ফিরে আসেনি। হয়তো কেউ চলে গেলে আর ফিরে আসে না। হৃদয়পটে ভেসে উঠে নেপালে বলা একটি কথা, ” অনন্যা আমার মৃত্যু হবে তোমার অপ্রাপ্তিতে তুমি না হয় সেদিন সুখী হয়ো আমার সমাপ্তিতে।”
সত্যিই কী সে সুখী হয়েছে! কেন বলেছিল ঐ কথা! মানুষ চলে যায় রেখে যায় কিছু দুঃসহ বেদনাদায়ক স্মৃতি।
অনন্যা অঝর ধারায় কাঁদছে। হঠাৎ কান্নার শব্দ বেড়ে যায় হাতে ধরা অঙ্কনের ছবি। হঠাৎ মাথায় স্পর্শ অনুভব হয় চমকে উঠে অঙ্কনের স্পর্শ ভেবে। কিন্তু না সৌহাদ্র দাঁড়িয়ে আছে। কখন ঘুম থেকে উঠেছে সে জানে না!
” মাম্মা, কান্না করছ কেন? তুমি না বলো, বাবা তোমার কান্না সহ্য করতে পারে না। তাহলে যে কাঁদছ।”
” কোথায় কাঁদছি। এই দেখ আমি একটুও কাঁদছি না।” অনন্যা কান্না মুছে বলল।
” আমি জানি বাবার জন্য তোমার কষ্ট হয়। দেখো, বাবা ঠিক আসবে। আমি এই সুন্দর স্বপ্নটা আরেকটু আগেই দেখেছি। বাবা আমার দুই গালে পাপ্পি দিয়েছে। তাই-তো ঘুমটা ভেঙে গেল। তুমি না বলতে ভোর বেলার স্বপ্ন কখনো মিথ্যে হয় না।”
অনন্যা চমকে উঠে তাঁকায়। হঠাৎ অজানা আশায় তার দু’চোখ ভরে উঠছে কেন সে জানে না।
পুনশ্চঃ
পিয়ারসন এয়ারপোর্ট, কানাডা।
অনন্যা উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ছুটে বেড়াচ্ছে৷চোখে মুখে স্পষ্ট অস্থিরতা। সৌহাদ্রকে খুঁজে পাচ্ছে না। একটু আগেই হাত ধরেই ছিল। আচঁমকা কোথায় গেল! কিচ্ছু মাথায় ঢুকছে না। এদিক সেদিক ভীড়ের মাঝে খুঁজে হয়রান! এয়ারপোর্টের বাহিরে এসে অস্থির হয়ে হাঁপাতে লাগল। সুযোগ পেয়ে দু’চোখে ছন্নছাড়া জলেরা ঝাপিয়ে পড়ছে দুই গাল বেয়ে। সজোরে চিৎকার করার ঠিঁক আগ মুহুর্তে রাস্তার উপর সৌহাদ্রর আচঁমকা আগমন। অনন্যা ছুটে যায়। তীক্ষ্ণ ভাবে তাঁকায়৷ চিৎকার করে বাবা, বাবা ডাকছে! কেন ডাকছে সে? অনন্যা জানে না!”
দুই কাধ ধরে ঝাঁকুনি খায় সৌহাদ্র! অনন্যা প্রাণপণে চায় তাঁকে শান্ত করতে।
” মাম্মা ঐতো বাবা চলে যাচ্ছে। কথা শুনছে না। মাম্মা একবার ডাকো! প্লিজ ডাকো না! বাবা…”
সৌহাদ্র আঙ্গুল উচিঁয়ে ভীড়ের মাঝে গ্যাংস্টার হ্যাট পরা একজনকে দেখাচ্ছে। অনন্যার হঠাৎ কী হলো সে ও সৌহাদ্রকে ফেলে ছুটে যায়। হাপাঁতে হাপাঁতে লোকটার শার্ট খাঁমচে ধরে নিজের দিকে ঘুরায়। অনন্যার সমস্ত আশার মুখে ছাই মেখে দিয়ে লোকটা খ্যাঁক খ্যঁক করে উঠল,
” এনি প্রবলেম? ডু ইউ নো মি!’
” সরি। এক্সট্রেমলি সরি।” অস্ফুটস্বরে উচ্চারিত হয়।
এরপর কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে অনন্যা সৌহাদ্রকে কর্কশভাবে বলল,
” তোমার বাবা আসবে না! বুঝেছ! কক্ষনো আসবে না। আর কক্ষনো এই বিষয় একটা প্রশ্নও করবে না।”
” কিন্তু বাবা যে বলল, আমার সাথে শীঘ্রই দেখা করবে। এই দেখ আমার দুই গালে কিসসি দিয়েছে। এই দেখ আমাকে চকলেটও দিয়েছে।”
অনন্যা চমকে উঠে। সৌহাদ্রের হাতে অঙ্কনের ফেভারিট চকলেট! এটা কী করে সম্ভব! কে এসেছিল সৌহাদ্রের কাছে? কেন এসেছিল? সৌহাদ্রকে কী সব বুঝিয়ে গেছে অনন্যার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কী হতে চলেছে কানাডায় শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। সাত সাগর তেরো নদীর উপারে এসেও কী সে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না! তবে কী তার অজ্ঞাতবাসের খবর কেউ প্রতিনিয়ত রাখছে? কেন রাখছে? কী উদ্দেশ্য তার? কে সে?
সমাপ্তি।
Happy ending er asay cilam. Ato sundor golpotar eirokom ending valo laglo na.
Part2 deben pls.. onek complications ache seagulo bujhte chai
Pls part 2 din. Ankan er ki holo Janet chai
Ato shondor golpota arokom ending akdom aasha kori nai apu plz 2nd part den
Ato shondor golpota arokom ending thik bhalo laglo na please part 2 deben apu. Er ki holo jenta chai.
part 2 ta diben plz
Etto shundor golpo ta ja bole shesh kora jabe na.
Golpota end hoyeo holo na………. Ato jotil golpota happy ending asa kore chilam…. Onek question roye gelo….. Sob questioner answer pawar jonno S2 chai….. Amar golpota osadharon lageche….. Darun….. Thanks.
protita episode oshadharon lageche , prothome dojoner khunshuti , otopor dojoner kache asha , angkonr sacrifice , anonnar bok vora asha niye angkoner opekha kora ,totally fill korar moto chilo ,asha kori season two amader jonno ashche
Please nxt part khub soon diben plzzzzz
Wait krchi kintuuu
Onekdin por ekta golpo bhalo laglo.. jodio incomplete ending.. jani na second part dile seta koto dur tana possible.. first part e kichu episode bariye golpo ta complete hole aro bhalo lagto..
Onekdin por ekta golpo bhalo laglo.. khub bhalo lekha.. janina keno incomplete ending rakhle.. jani na second part dile seta ei golpo tar moto koto ta tan tan rakha possible hobe.. first part e kichu episode bariye golpo ta complete hole aro bhalo lagto..
Onekdin por ekta golpo bhalo laglo.. khub bhalo lekha.. janina keno incomplete ending rakhle.. jani na second part dile seta ei golpo tar moto koto ta tan tan rakha possible hobe.. first part e kichu episode bariye golpo ta complete hole aro bhalo lagto..
Onek onek shundor chilo golpo tah!! please 2nd part ta taratari diyen ❤️
plzzz…..nice akta ending din…..plz…plz…plz…
It’s really a nice story. Please give us session 2. plz! plz! plz!
সিজন ২ দেন আপু প্লীজ