#চন্দ্ররঙা_প্রেম_২
#পর্বঃ৪
#আর্শিয়া_সেহের
-“রুশান,আমি বুঝতে পারছি না তুমি কেন পুনমকে এড়িয়ে চলছো? ওর কল রিসিভ করছো না,কথা বলছো না। কেন? পুনম তোমাকে অনেক ভালোবাসে । ওকে এভাবে কাঁদাচ্ছো কেন?”
রুশান খাবার চিবুতে চিবুতে মেঘার উদ্দেশ্যে বললো,
-“দাঁড়াও ভাবি। খাবারটা শেষ করে নেই।তারপর সব প্রশ্নের উত্তর দিবো।”
মেঘা ভেঙচি কেটে বললো,
-“দাঁড়িয়েই তো আছি।”
-“কিরে রুশান? তোর কাজ ঠিকঠাক চলছে?”
রুমেল সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে প্রশ্ন করলো।
রুশান মাংসের টুকরোটা মুখের মধ্যে পুরে গমগমে কন্ঠে বললো,
-“হুম ভাইয়া চলছে।”
রুমেল টেবিলের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
-“তোর খাবার কেউ নিয়ে যাচ্ছে না। ধীরে সুস্থে খা। ”
তাহমিদ চেয়ারে বেঁয়ে উঠে বসলো। দু’হাত টেবিলে রেখে তার উপর গাল ভর দিয়ে বললো,
-“আস্তে আস্তে খাও, চাচ্চু। তোমার খাবার আমি খেয়ে ফেলবো না।”
রুশান তাহমিদের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো,
-“তুই ও বাপ মা’র মতো হইস না,বাপ। তোর দাঁতে পোকা এটা জেনেও আমিই তোরে চকোলেট কিনে দেই,ওরা কিন্তু দেয় না।”
তাহমিদ একবার আড়চোখে তার বাবা-মায়ের দিকে তাকালো। মুহূর্তের মাঝে রুপ পাল্টিয়ে মেঘার দিকে চেয়ে বললো,
-“এ্যাই আম্মু,চাচ্চুকে আরেকটু মাংস দাও। আমার টুকুও দিয়ে দাও।”
মেঘা,রুমেল,রুশান তিনজনই শব্দ করে হেঁসে উঠলো। এটুকু ছেলেও কত পেঁকে গেছে।
রুশান খাওয়া শেষ করে উঠে গেলে মেঘাও তার পিছু পিছু গেলো। পিছন থেকে ডেকে বললো,
-“রুশান, উত্তর দিলে না তো।”
রুশান পিছনে তাকিয়ে বললো,
-“ওহ সরি ভাবি। আসলে আমি পুনমকে পাঁচ-ছয় দিন এড়িয়ে চলছি এর একটা কারন আছে।”
মেঘা এগিয়ে এসে বললো,
-“আমিও জানি কারন আছে। কিন্তু কি কারন? সেটা জানতে চাই তোমার কাছে।”
রুশান ঠোঁটে ঠোঁট চেপে কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। মাথা উঁচু করে মেঘার দিকে তাকিয়ে বললো,
-“ভাবি ,ও মনে করে যে আমি ওর জীবন। আমি না থাকলে ও প্রশ্বাস নিতে পারবে না। আমার সাথে কথা না হলে ও মরে যাবে। আমি ওকে ছেড়ে গেলে ও একদম শেষ হয়ে যাবে।
এসব কথা শুনতে কার ভালো লাগে বলো? মেয়েটা অতিরিক্ত ইমোশনাল, ভাবি। ওকে শুধু এটুকুই বোঝালাম যে, কারো জন্য কেউ মরে না। আমার সাথে কথা না হলেও ও বেঁচে থাকবে।”
মেঘা কিছু সময় ধরে রুশানের দিকে তাকিয়ে রইলো। এই ছেলেটা ভীষণ প্রাকটিক্যাল। পুনমকে এতো ভালোবেসেও শুধুমাত্র তাকে বোঝানোর জন্য কথা বলা বন্ধ করে দিলো। কথা বন্ধ করায় পুনমের কান্না,তার কষ্ট সবাই দেখলেও রুশানের কষ্ট টা কেউ দেখেনি। কিন্তু মেঘা জানে,এই ছেলেটাও খুব কষ্ট পেয়েছে কথা না বলতে পেরে।
মেঘা মুচকি হেঁসে বললো,
-“তা আর কতদিন কথা না বলে থাকবেন?সে তো প্রতিদিন কল করে কান্নাকাটি করে।”
রুশান মাথা চুলকে বললো,
-“আজকেই শেষ ভাবি। কাল থেকে ঠিক করে নিবো সব।”
মেঘা রুশানের বাম বাহুতে আস্তে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললো,
-“মনে থাকে যেন। বাঘিনীকে প্রেমে ফেলে বিল্লি বানিয়েছো। এখন বিল্লির কান্নাকাটি আমার শুনতে হয়।”
রুশান হা হা করে হেঁসে উঠলো। মেঘাও তাল মেলালো সে হাঁসিতে। রুশান হাঁসি থামিয়ে বললো,
-“বাবা খেয়েছে ভাবি?”
-“এই রে। ভুলেই গেছি। থাকো তুমি । আমি বাবার খাবার দিয়ে আসি।”
-“আমার কাছে দাও। আমি দিয়ে আসি আর বাবার সাথে দেখাও করে আসি।”
-“আচ্ছা। দাঁড়াও, গুছিয়ে দিচ্ছি।”
মেঘা খাবার গুছিয়ে রুশানের হাতে দিলো। রুশান খাবার নিয়ে রেজাউল সাহেবের রুমে গেলো।
-“বাবা,আসবো?”
রেজাউল সাহেব বিছানায় উঠে বসতে বসতে বললেন,
-“আরে আয়,আয়। বাবার রুমে আসতে আবার অনুমতি নেওয়া লাগে নাকি?”
রুশান ভেতরে ঢুকলো। খাবারটা সাইডে রেখে রেজাউল সাহেবের পাশে বসে বললো,
-“শরীর কেমন আছে তোমার? ঔষধ ঠিকঠাক খেয়েছো?”
রেজাউল সাহেব হেঁসে বললেন,
-“খেয়েছি রে বাবা। না খেলে কি আর তোর ভাবি আমাকে ছেড়েছে? মেয়েটা সব দিকে খেয়াল রাখে।”
রুশান চুপ হয়ে গেলো। মেঘা সবার খেয়াল রাখলেও মেঘার খেয়াল কয়জন রেখেছে? মেয়েটার চোখ ধাঁধানো রুপ চাপা পড়েছে সংসারের আড়ালে। স্বামী,সন্তান, সংসার, শ্বশুর সবাইকে একহাতে সামলেছে। রুমেল ব্যাবসার দায়িত্ব নেওয়ার পর তারও বউকে দেওয়ার মতো তেমন সময় হয় না। তবে সে যতটুকু পারে ততটুকু সময় মেঘাকে দেয়। আর মেঘা যেন এতেই আকাশচুম্বী খুশি পেয়ে যায়।
রুশানে চুপ থাকতে দেখে রেজাউল সাহেব বললেন,
-“ও বাড়ির সবাই কেমন আছে রে রুশান? আমার ঝুম,সাঁঝ,শান ওরা সবাই ভালো আছে তো?”
-“সবাই ভালো আছে, বাবা। তুমি খেয়ে নাও। আমি পরে আসবো।”
-“আচ্ছা, ঠিক আছে।”
রুশান ধীর গতিতে বেরিয়ে এলো তার বাবার রুম ছেড়ে। নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে বিছানায় বসে পড়লো। হঠাৎ করেই তার মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। এখন ঘুমের প্রয়োজন। রুশান বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমেরা এসে ধরা দিলো তার চোখে।
…
-“আরে সুন্দরী, তোমার বয়ফ্রেন্ডের তো কিছু দিন ধরে পাত্তা নেই। তো তুমি কি করতেছো এই ভার্সিটিতে? নতুন ধরছো নাকি?”
পুনমের গা জ্বলে উঠলো মুন্নার কথায়। সারাক্ষণ গাছতলায় বসে মেয়েদের টিজ করাই যেন এই ছেলের একমাত্র কাজ। পুনম এগিয়ে গেলো মুন্নার দিকে। চেঁচিয়ে বললো,
-“আমি কি তোর বোনের মতো নাকি? তোর বোনের স্বভাব থাকতে পারে একটা ছেড়ে একটা ধরা , কিন্তু আমার সে স্বভাব নেই।”
পুনমের কথায় মুন্না ক্ষেপে উঠলো। গর্জে উঠে বললো,
-“আমার বোনের সম্পর্কে এসব বলার সাহস কি করে হয় তোর?”
পুনম মুন্নার চোখের দিকে ক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
-“তোর কিভাবে সাহস হয় আমাকে এসব বলার? বেয়াদব ছেলে। গিয়ে দেখ ,তোর বোনকেও হয়তো কেউ এভাবেই বলতেছে।”
পুনম মুন্নার সামনে একদলা থুথু ফেলে হাঁটা দিলো রুশানের ডিপার্টমেন্টের দিকে। ডিপার্টমেন্টের নিচতলার বারান্দার পিলারের পেছন দিয়ে বেরিয়ে এলো ইয়াদ। পুনমের সামনে হঠাৎ হাজির হওয়ায় সে কিছুটা ভড়কে গেলো। ইয়াদ শুকনো ঢোক গিলে বললো,
-” তোমার সাথে মুন্নার অসভ্যতামির কথা রুশানকে বইলো না বইন। তাহলে তোমাকে আসতে বলার অপরাধে আমারই গর্দান যাবে।”
পুনম ভেঙচি কেটে বললো,
-“সামনে থেকে সরুন তো ভীতু ভাইয়া। রুশান কই সেটা বলুন।”
ইয়াদ আঙুল দিয়ে ডিপার্টমেন্টের এক সাইডে দেখালো। পুনম গটগট করে হেঁটে গেলো সেদিকে।
-“এদিক ওদিক কি দেখছো? আমি পেছনে।”
চিরপরিচিত কন্ঠে পেছনে তাকালো পুনম। তার চোখদুটোর কত কালের তৃষ্ণা মিটেছে সেটা সে নিজেও জানে না। রুশান পুনমের চোখের সামনে হাত নাড়িয়ে বললো,
-“হ্যালোওও… কথা কানে যাচ্ছে? তোমার এখন মেডিকেলে থাকার কথা। তুমি এখানে কি করছো? ক্লাস নেই তোমার?”
পুনম আমতা আমতা করা শুরু করলে। তোতলাতে তোতলাতে বললো,
-“হ.. হ্যাঁ। আছে তো ক্লাস। ত..তুমি আগে বলো, আমার কল রিসিভ করো নি কেন?”
রুশান সঙ্গে সঙ্গে বললো,
-“মরে গেছো?”
পুনম চকিতে মাথা তুলে তাকালো। প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো রুশানের দিকে। রুশান হেঁসে বললো,
-“বুঝোনি?”
পুনম ডানে বামে মাথা নাড়লো। মানে সে বুঝে নি।
রুশান বোঝানোর ভঙ্গিতে বললো,
-“মানে আমি যে তোমার কল রিসিভ করিনি,তাতে কি তুমি মরে গেছো? দম বন্ধ হয়ে গেছে?”
পুনমের চোখ ছলছল করে উঠলো রুশানের কথায়। পুনম এখন বুঝেছে রুশানের এমন করার কারন। ইয়াদ আবিরের কানে কানে বললো,
-“বাঘিনী এখানে শান্ত । একটু আগেই মুন্নাকে ধুয়ে দিয়ে আসলো। আর এখন দ্যাখ। কি নিষ্পাপ দেখা যাচ্ছে।”
আবির ইয়াদকে ধমক দিয়ে বললো,
-“তুই চুপ কর। এটাই ভালোবাসা ,বুঝলি?”
ইয়াদ ঠোঁট বাঁকালো।
আবির রুশানকে বললো,
-“তোরা থাক। আমরা ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছি।”
রুশান ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো আবিরের দিকে। আবির শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বেচারার খিদে পেয়েছে খুব। রুশান বললো,
-“আচ্ছা যা। আমি আসছি একটু পরে।”
আবির ইয়াদকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।
আবিররা চলে যাওয়ার পর রুশান পুনমের দিকে তাকালো। পুনম মুখ নিচু করে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। রুশান মুচকি হেঁসে পুনমের মুখটা উঁচু করে চোখের পানি মুছে দিলো। দু’হাতে পুনমের মুখ আগলে নিয়ে বললো,
-“তুমি কাঁদলে তোমাকে একদম পেত্নীর মতো লাগে এটা জেনেও কাঁদো কেনো?”
পুনম কাঁদতে কাঁদতেই হেঁসে দিলো। রুশানকে জড়িয়ে ধরে বললো,
-“আমার থেকে আর দূরে যাবা না। আমার ভালো লাগে না।”
রুশান পুনমের মাথায় হাত বুলালো। এই মেয়েটাকে সে ভীষণ ভালোবাসে। এই মেয়েটার কান্না তার কলিজায় আঘাত করে।
রুশান পুনমের মাথায় চুমু খেয়ে বললো,
-“তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো পাগলী? সৃষ্টিকর্তা না চাইলে আমি কোথাও যাবো না। তোমার সাথেই থাকবো।”
পুনম মিষ্টি করে হাসলো। রুশান পুনমকে নিজের থেকে আলাদা করে বললো,
-“এটা ভার্সিটি, পুনম। কন্ট্রোল ইউরসেলফ। যেখানে সেখানে জড়িয়ে ধরা অভ্যাস ত্যাগ করো।”
পুনম খিলখিল করে হেঁসে রুশানের পিঠে থাপ্পড় কিল ঘুষি মেরে বললো,
-“আচ্ছা তাই ? তুমি যে সায় দিলে তার কি হবে?”
রুশান হেঁসে এক হাতে পুনমকে জড়িয়ে রেখে ক্যান্টিনের দিকে গেলো।
…
-“মিস পিহু, কাজ ঠিকঠাক পারছেন তো?”
শানের কথা শুনে পিহু দরজার দিকে তাকালো। শানকে দেখে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে বললো,
-“আসুন স্যার। আমার সমস্যা হচ্ছে না। আমি সব বুঝে নিয়েছি।”
শান হেঁসে বললো,
-“গুড। সমস্যা হলে বলবেন। আর শুনেন,অফিসের বাইরে আপনি আমার ছোট বোনের মতো। যেকোনো সমস্যায় আমাকে বলবেন।”
পিহু মাথা নিচু করে হাসলো। পৃথিবীতে সব মানুষ খারাপ হয় না। কিছু মানুষ খুব ভালো হয়। বিনা স্বার্থে সবার উপকার করে।
পিহু মাথা নিচু করেই বললো,
-“জ্বি স্যার বলবো।”
-“আজ আপনার প্রথম দিন। আপনি সাড়ে বারোটায় চলে যেতে পারেন।”
পিহু মাথা উঁচু করে দীপ্তিময় হাঁসি দিয়ে বললো,
-“সত্যি স্যার?”
শান কিছু না বলে মুচকি হেঁসে চলে গেলো। পিহু কাজে মন দিলো।
সাড়ে বারোটায় পিহু অফিস থেকে বের হলো। গেটের কাছে গিয়েই দেখলো আরিয়ান বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে সাথেই পুনম গেটের পাশে বাউন্ডারির আড়ালে লুকিয়ে পড়লো। বুক কাঁপছে ভয়ে। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। একবার ভাবলো শান কে ডাকবে কিন্তু শান এখন কাজ করছে। হঠাৎ করেই তনিমের কথা মাথায় এলো। গতকাল তনিম নাম্বার দিয়ে গিয়েছিলো।
পিহু কললিস্টে ঢুকেই তনিমের নাম্বার পেলো। কাঁপা হাতে কল করলো তনিমকে।
দু’বার বাজতেই তনিম রিসিভ করলো।
-“হ্যালো মিস পিহু। কেমন আছেন?”
-“ও..ওই আরিয়ান গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি আসুন প্লিজ।”
তনিম পিহুর ভয় মিশ্রিত কন্ঠ শুনে পিহুর সাথে কলে থেকেই শানের অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো।
-“দেখুন,ভয় পাবেন না। তার সমস্ত টাকা পরিশোধ করা হয়ে গেছে গতকালই। এখন সে আপনার উপর জোর খাটাতে পারবে না।”
পিহু কেঁদে উঠলো। কেঁদে কেঁদে বললো,
-“ও আমাকে মেরে ফেলবে। ও খুব খারাপ লোক।”
তনিমের বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো পিহুর কথা শুনে। এক দিনেই মেয়েটার প্রতি টান জন্মেছে তনিমের।
তনিম পিহুকে অফিসের মধ্যেই থাকতে বললো। পিহু ফোন কান থেকে নামিয়ে দেয়াল ঘেঁষে বসে পড়লো। দারোয়ান বাইরে থাকায় সে পিহুকে দেখলো না। আরিয়ান ভেতরে আসার জন্য দারোয়ানের সাথে জোর জবরদস্তি করছে। সবটাই পিহুর কানে আসছে। পিহু ভয়ে জড়সড় হয়ে দেয়ালের সাথে লেগে বসে রইলো।
প্রায় বিশ মিনিট পর তনিম এলো। তখনও আরিয়ান গেটের বাইরে দাঁড়ানো। তনিম বাইক রেখে দারোয়ানের কাছে এসে কিছু বললো। দারোয়ান গেট খুলে তনিমকে ঢুকতে দিলো।
তনিম ভেতরে ঢুকে আশে পাশে তাকালো। বাউন্ডারি ঘেঁষেই গোলাপি রঙের জামা পড়া একটি মেয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।
তনিম বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে গেলো পিহুর দিকে।
পিহু সামনে কারো উপস্থিতি টের পেলো। ধীরে ধীরে মাথা তুলে তনিমকে দেখে ঝট করে দাঁড়িয়ে পড়লো। চোখের পানি মুছে বললো,
-“আপনি এসেছেন? ওই শয়তানটা এখনো বাইরে আছে? ও আমার পেছনে পড়ে আছে কেন? আর কত জ্বালাবে আমাকে?”
পিহুর প্রতিটি কথায় তনিমের খারাপ লাগলো। মেয়েটার কতশত অভিযোগ কিন্তু শোনার কেউ নেই।
তনিম পিহুর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
-“চলুন। আপনাকে পৌঁছে দিবো।”
পিহু ভয়ার্ত কন্ঠে বললো,
-“কিন্তু ওই শয়তানটা ?”
তনিম আশ্বাস দিয়ে বললো,
-“আমি দেখে নিবো। আপনি চলুন।”
পিহু আশ্বস্ত হয়ে তনিমের পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলো।
চলবে……
(রি-চেক দেওয়া হয়নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)