#চন্দ্ররঙা_প্রেম
#পর্বঃ২১
#আর্শিয়া_সেহের
প্রায় তিনদিন হয়ে গেছে সেদিনের পর। রুশান এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে। রুমেলও আগের মতো মাথা নিচু করে থাকে না। সবার দিকে তাকায়,সবার কথা শোনে। সে হাঁসতে চায়। কিন্তু পারে না। কতদিন হয়ে গেছে হাঁসির সাথে তার সাক্ষাৎ নেই।
তবে রুমেল কথা বলে না। গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হয় না। এটা নিয়ে অবশ্য কেউ এখনো তাকে জোর করেনি। ডাক্তার বলেছে সে ধীরে ধীরে একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর কথা বলবে।
রুমঝুমের বাবাকে সেদিন রাতেই শান সবটা বলেছিলো। রেজাউল সাহেব হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন সবটা শুনে। যাকে একটা পরিবার সাজানোর জন্য এনেছিলেন সেই তার অগোচরে তার পরিবার ভেঙে খানখান করে দিয়েছিলো।
শান রেজাউল সাহেবকে রুমেলের আশেপাশে বেশি বেশি আনে। রুমেল প্রথম কয়েকবার চোখ ফিরিয়ে নিতো। তবে রেজাউল সাহেবের আলিঙ্গন ধীরে ধীরে তার সাথে রুমেলকে কিছুটা স্বাভাবিক করেছে।
এই তিনদিনে কেউই রুমঝুমদের বাড়িতে যায়নি। শানের পরিবার আর মেহেদীর পরিবারও দু’দিন আগেই চলে এসেছে। সবাই এখন রাফিনের বাড়িতে আছে। তাহমিনা বেগমের খোঁজও আর কেউ করেনি। কাজের মেয়েটা বার কয়েক ফোন করে বলেছে যে তাহমিনা বেগম রুম থেকে বের হয়নি সেদিনের পর। তার রুম থেকে নাকি উদ্ভট গন্ধ বের হয়।
রেজাউল সাহেব কাজের মেয়েকে একবাক্যে বলে দিয়েছেন,
-“ও ঘরের আশেপাশে যাবি না। ও যা খুশি করুক।”
আজ তিনদিন পর দুই ছেলে, এক মেয়ে আর মেয়ে জামাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করছেন রেজাউল সাহেব। শান তার ছেলের চেয়ে অধিক প্রিয় হয়ে উঠেছে এই কয়দিনে। নিঃস্বার্থভাবে কত কি করছে তাদের জন্য।
ডাক্তার এসে রেজাউল সাহেবকে ডাকলেন।শানও গেল রেজাউল সাহেবের পিছু পিছু। মেঘা ,রুমঝুম,সিন্থিয়া আর মাহেরা খাতুন রুমেলের কেবিনে বসে আছে। শাফিয়া আক্তার শিরীনকে নিয়ে রাফিনের বাড়িতে গিয়েছেন ওদের সবার জন্য খাবার রান্না করার উদ্দেশ্যে। শাফিয়া আক্তার রুমেল আর রুশানকে খুব পছন্দ করে ফেলেছেন। শুধু তিনি নয়, প্রত্যেকটা মানুষই ওদের দুই ভাইকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে এই তিনদিনে। এমন সোনার টুকরো ছেলে ক’জনার হয় ? যারা এদের কদর করতে পারেনি তারা মহাবোকা।
-“আপনার ছেলে মানে রুমেলকে আপনি বাড়ি নিতে চাচ্ছেন একা ঠিক আছে তবে তার উন্নতির ব্যাপারটাতে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। গত তিনদিনে আপনি তার অবস্থা দেখেছেন। তাকে যখন তখন ড্রাগস দেওয়া হতো তাই সে প্রায় সময় পাগলামি করে। এটা থেকে রিকভারি করতে বেশ সময় লাগবে ।”
ডাক্তারের কথায় রেজাউল সাহেব কিছুটা চিন্তিত হলেন। শানও ভাবনায় পরে গেলো।
রেজাউল সাহেব বললেন,
-“আপনি আসলে কি বলতে চাইছেন? বুঝিয়ে বলুন তো ।”
ডাক্তার এবার ঝেড়ে কাঁশলেন। বললেন,
-“দেখুন আপনার ছেলের অবস্থা তো দেখেছেনই। তার এখন সার্বক্ষণিক একটা সঙ্গী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একজন মা ই সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আপনাদের থেকে সবটা শোনার পর বুঝলাম রুমেলের ক্ষেত্রে এই মানুষটি সঠিক না। তো সেকেন্ড..”
-“আপনি কি কোনোভাবে রুমেলকে বিয়ে করানোর কথা বলতে চাচ্ছেন?”
ডাক্তারের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে শান প্রশ্ন ছুড়লো ডাক্তারের দিকে।
মধ্যবয়স্ক ডাক্তারটি মাথা দোলালেন। মানে তিনি এটাই বলতে চেয়েছেন। শান ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? রুমেলকে এই অবস্থায় কোন মেয়ে বিয়ে করবে? কেউ জেনেশুনে তো নিজের ক্ষতি করতে চাইবে না।”
রেজাউল সাহেব অনেকক্ষণ ভাবলেন। তারপর ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-“একজন ভালো সেবিকা কি আমার ছেলেকে ঠিক করতে পারবে না? যত টাকা প্রয়োজন আমি তাকে দিবো।”
ডাক্তারটি হতাশ হয়ে বললেন,
-“টাকা দিয়ে এটা আপনি করতেই পারবেন তবে আপনার ছেলের সুস্থতার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারবো না। একজন মা আর একজন স্ত্রী অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অসুস্থ ছেলে বা স্বামীর সেবা করে। সেই সেবার সাথে দুনিয়ার কোনো সেবাকেই তুলনা করা যায় না।”
শানের হঠাৎ মেঘার কথা মনে হলো। ও যদি ভুল না হয় তাহলে মেঘা রুমেলের প্রতি দূর্বল।আর এটা সে শতভাগ নিশ্চিত। এই ব্যাপারে মেঘার সাথে কথা বলা প্রয়োজন।
রেজাউল সাহেব চিন্তিত মুখে ডাক্তারের কেবিন থেকে বের হলেন। শান উনির পিছু পিছু বের হচ্ছিল তখনই প্রান্তর কল এলো। শান এক সাইডে গিয়ে কল রিসিভ করলো।
-“এই ব্যাটারে আর বাঁচায় রাখা সম্ভব না। যা করবি জলদি কর। এরে নিজের টাকায় খাবার গেলাইতেও আমার অসহ্য লাগে বাল।”
প্রান্তের কথায় শান হাঁসলো। বললো,
-“আর কিছুক্ষণ বাঁচায় রাখ। আজ বিকেলেই ওর জারিজুরি শেষ করে দিবো।”
প্রান্ত একটা বড়সড় হাই তুলে বললো,
-“আচ্ছা। জলদি আসিস। শালা এটার জন্য আমি আমার জানেমান টারেও একটু দেখতে পারতেছি না।”
-“চুপ কর বেয়াদব। তোর জানেমান পালাচ্ছে না। তুই ভালো করে ওইটারে পাহাড়া দে।”
প্রান্ত ব্যাঙ্গ করে হেঁসে বললো,
-“তোর দায়িত্বে রেখেছি তো এজন্যই যাতে পালাতে না পারে।”
-“এ তোর ফালতু প্যাঁচাল সাইডে রাখ। আমি সন্ধ্যার আগে চলে আসবো। এখন রাখতেছি।”
-“ওকে বস।”
শান ফোন কেটে রুমেলের কেবিনের দিকে এগিয়ে গেলো। মেহেদী আর তিহান খাবার নিয়ে এসে গেছে।
রুমেল ঘুমিয়ে আছে। রুমেলের পাশে রুশানের জন্যও বেড দেওয়া হয়েছে। গতকাল থেকে সে ভাইয়ের পাশেই থাকে। রুশান বেডে বসে রুমেলের দিকে তাকিয়ে আছে।
পাশে সবাই চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে। রেজাউল সাহেব রুমেলের বেডে মাথা নিচু করে বসে আছেন।রুমঝুম আর সিন্থিয়া মাহেরা খাতুনের বসে থাকা চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেঘা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শান বুঝতে পারলো রেজাউল সাহেব সবটা বলেছেন এখানে এসে। তাই সবাই নিরবতা পালন করছে।
নিরবতা ভেঙে মেঘাই প্রথম কথা বললো। নতমুখে ধীর কন্ঠে বললো,
-“তোমাদের আপত্তি না থাকলে আমি রুমেলকে বিয়ে করতে চাই। তাকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিতে চাই।”
মাহেরা খাতুন চকিতে মাথা তুলে তাকালেন। পাগল হয়ে গেলো নাকি মেয়ে? মেহেদীও বোনের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
-“বিয়ে ছেলে খেলা না ,মেঘা। তাছাড়া রুমেল অসুস্থ। এমন ছেলের সাথে তোকে জড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবতেই পারি না আমরা।”
-“আমি যদি তার সাথে থাকতে পারি তবে তোমাদের কেন আপত্তি,ভাইয়া?”
-“চুপ কর তুই। নিজের ভালো মন্দ বোঝার মতো বয়স এখনো তোর হয়নি।”
রেজাউল সাহেব সহ বাকি সবাই কাঠের পুতুলের মতো বসে আছে। মেঘার এমন ডিসাশনে শান ব্যাতীত সবাই কিছুটা চমকেছে। তবে মেহেদী নিজের জায়গায় ঠিক। জেনেশুনে বোনকে কেউ এমন একটা ছেলের হাতে তুলে দিবে না।
শান বুকে হাত গুঁজে এগিয়ে এলো মেঘার দিকে। মেঘার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
-“তুমি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছো?”
মেঘা নতমুখেই বললো,
-“হ্যাঁ ভাইয়া। এই ছেলেটার এতো কষ্ট আমার সহ্য হয় না। ওর কিছু কষ্ট কমাতে পারলে আমারই ভালো লাগবে।”
মেহেদী গর্জে উঠে বললো,
-“কারো কষ্ট কমানোর দায়ভার নিতে বলেনি কেউ তোকে। এতো মানবসেবার প্রয়োজন নেই।”
মাহেরা খাতুন চুপচাপ শুনছেন। সে মেয়ের মতামতকে ছুড়ে ফেলতে পারছে না আবার একটা অনিশ্চয়তায় ও ভুগছেন।
শান মেহেদীর কাছে গিয়ে ওর কাঁধে হাত রাখলো। শান্ত কন্ঠে বললো,
-“রিল্যাক্স ভাইয়া। আপনাকে আমরা সম্মান করি। আপনি যেটা বলছেন একজন ভাই হিসেবে যে কোনো ছেলে সেটা বলবে আমি জানি। আজ আমার বোন মেঘার জায়গায় থাকলে আমিও বলতাম। কিন্তু মেঘার দিকটা ভাবুন একবার। ও কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? শুধুমাত্র মায়ায় পড়ে বা তার সেবা করার জন্য না বরং তাকে ভালোবেসে। মেঘা প্রথম দিন থেকেই রুমেলের প্রতি দুর্বল। হয়তো আপনাদের চোখে সেটা পড়েনি।
যাই হোক ,এবার আসুন রুমেলের কথায়। ছোট থেকেই অনেক কষ্ট পেয়ে বড় হয়েছে সে। পড়াশোনা করার সুযোগ তেমন হয়নি ওর তবে মাধ্যমিক পাশ করেছে। এটুকু আপনার আমার কাছে যথেষ্ট নয় আমি জানি। কিন্তু তার বাবার ব্যবসার হাল সে ধরলে আপনার বোনের ভরনপোষন খুব ভালো ভাবেই চালাতে পারবে।
তাছাড়া ছোট থেকে কষ্ট পেয়ে বড় হওয়া ছেলেটি হঠাৎ কারো থেকে এক বিন্দু ভালোবাসা পেলে তাকে কতটা ফিরিয়ে দিবে এটা ভাবতে পারছেন? মেঘাকে তো রানী করে রাখবে। শুধুমাত্র ওর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা। আর আল্লাহ চাইলে সেটা হতেও খুব বেশি সময় লাগবে না।
এবার আপনি ভেবে দেখুন ভাইয়া।”
মেহেদী কে রেখে শান মাহেরা খাতুনের দিকে গেলো। মাহেরা খাতুন শানের কিছু বলার আগেই মুচকি হেঁসে বললো,
-“আমার মেয়ের সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমার আপত্তি নেই।”
শান মুচকি হেঁসে বললো,
-“আলহামদুলিল্লাহ।”
সবাই বেশ খুশি হলো। মেঘা মুখ তুলে সবার খুশি খুশি মুখ দেখে কান্না ভরা চোখেই হেঁসে ফেললো। সে হাঁসি দেখে মেহেদী চোখ ফেরাতে পারলো না। বোনের হাসি দেখে নিজের অজান্তেই হাঁসলো মেহেদী। রুমের সবার দিকে চোখ বুলিয়ে বললো,
-“আমার কোনো আপত্তি নেই। আপনারা সবকিছু ঠিকঠাক করুন।”
মেঘা অবাক হয়ে মেহেদীর দিকে তাকালো। মেহেদী মেঘার কাছে গিয়ে বললো,
-“এবার খুশি তো তুই?”
মেঘা মেহেদী কে জড়িয়ে ধরে বললো,
-“ভীষণ খুশি ভাইয়া।”
মেহেদী তৃপ্তির হাঁসি হাসলো। হাঁসিতে ভরে উঠলো হসপিটালের একটি কেবিন।
….
পিটপিট করে চোখ খুললো আরমান। কিছুদিন ধরে কখন চোখ খোলে,কখন বুঁজে সে খবর নেই তার। সারাদিন রাত চেয়ারেই বাঁধা পড়ে থাকে সে।
আরমান এদিক সেদিক চেয়ে হালকা আলো দেখতে পেলো। আলো দছখে মনে হচ্ছে সকাল ছয়টা-সাতটা বা বিকেল পাঁচটার মতো বাজে। তবে সঠিক আন্দাজ করতে পারলো না। সারাজীবন মানুষকে কষ্ট দিয়ে আজ নিজে কষ্ট পাচ্ছে। এখন বুঝতে পারলেও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।সে বুঝতে পারছে তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। রুমঝুমের কথা গুলোই সত্যি হতে চলেছে।
সেদিন মেহেদীর সামনেই তার সহযোগী নাঈমকে হত্যা করেছে শান। কিন্তু তার গায়ে ফুলের টোকাও দেয়নি। এর কারন সে বুঝতে পারেনি। তার পুরোনো গোডাউনেই বেঁধে রেখেছে তাকে।এখানে কত মানুষকে মেরেছে ,কত মেয়ের ইজ্জত নিয়েছে,কত মেয়েকে পাচার করেছে এখান থেকে তার ইয়ত্তা নেই।আজ সেখানেই বাঁধা পড়ে আছে নিজে। প্রকৃতির প্রতিশোধ হয়তো এমনই হয়। আজকাল সে বেশিক্ষন চোখ মেলে রাখতে পারে না। চোখ বন্ধ হয়ে আসে কেন জানি।
দরজায় খটখট শব্দ শুনে হালকা মেলে রাখা চোখে তাকালো সেদিকে। অল্প আলোতে তিন-চারটা অবয়ব দেখতে পেলো । তার ঝাপসা দৃষ্টি আস্তে আস্তে পরিষ্কার হলো। হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্রথমে এলো রুশান। তার পেছনে প্রান্ত আর রাফিন । একদম শেষে শান এলো রুমেলকে নিয়ে। রুমেলের চোখ বাঁধা। রুমেল কে একটা চেয়ারে বসিয়ে ওর চোখ খুলে দিলো শান। মৃদু হেঁসে বললো,
-“লেটস্ এনজয়।
আরমান রুমেলকে দেখে কিছুক্ষণ অপলক তাকিয়ে রইলো। হ্যাংলা ছেলেটা তিনদিনেই কতটা পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক নয় বছর আগের সেই ফর্সা, স্বাস্থ্যবান, আদুরে ছেলেটার মুখ ভেসে উঠলো আরমানের চোখের সামনে।
মূহুর্তেই বিকট চিৎকার করলো আরমান। চোখের পাতা থেকে রুমেলের ছবি সরে গিয়ে জমা হলো একরাশ ভয় আর ব্যাথার। হাঁটুটা বোধহয় ভেঙেচুরে গেছে। আরমান বহু কষ্টে চোখ মেললো। ঠিক সেই রকম এক ক্রিকেট ব্যাট হাতে রুশান দাঁড়িয়ে আছে। মুখে লেগে আছে তৃপ্তিময় হাঁসি। এই তিনদিনের মধ্যে এটাই তাকে করা প্রথম আঘাত যেটা রুশান করলো।
প্রান্ত শিস বাজাতে বাজাতে এগিয়ে এসে বললো,
-“এবার বুঝেছিস ,তোকে এতো আপ্যায়ন করে বাঁচিয়ে রাখার কারন?”
আরমান প্রান্তর কথা শুনলো না। সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুমেলের দিকে। রুমেল হাঁসছে। হ্যাঁ, সত্যিই হাঁসছে। দীর্ঘ নয়টি বছর পর হেঁসেছে সে।
চলবে…..
(অতি দ্রুত লিখে রি-চেক ছাড়া পোস্ট করে দিলাম।
ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)