#চন্দ্ররঙা_প্রেম
#পর্বঃ১৮
#আর্শিয়া_সেহের
রুমঝুমের যখন হুঁশ ফিরলো তখন মধ্যরাত। বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড় থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ভেসে আসছে। দূরে কোথাও থেকে হালকা আলো ভেসে আসছে।
ঘরের দক্ষিণ দিকের জানালাটা খোলা। ফুরফুরে হাওয়া ঢুকছে ভেতরে। ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে রুমঝুমের।
চোখ মেলে বেশ কিছু সময় ধরে মনে করলো তার কি হয়েছিলো। রুশানের কথা মনে পড়তেই উঠে বসলো সে। পাশে শান একহাতের উপর মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই ঘুমিয়েছে হয়তো।
রুমঝুম চোখ ফিরিয়ে নিলো।
ধীর পায়ে বিছানা থেকে নেমে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। বাইরে বেশ আলো ছড়ানো। হয়তো জোৎস্না আছে আজকে। জানালাটা হালকাভাবে টেনে দিলো রুমঝুম। পেছনে শানের দিকে একবার তাকিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
আকাশের দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছে রুমঝুম। রুশান চাঁদ,তারা, আকাশ ভীষণ ভালোবাসতো। কতশত রাত দুই ভাইবোন ছাদে বসে আকাশ দেখেছে। রুশান বলেছিলো, ও যখন আল্লাহর কাছে চলে যাবে তখন চাঁদের সবচেয়ে কাছের তারাটি ও হবে। সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলতা থাকবে ওর। রুমঝুম যেন ওই তারাটির দিকে তাকিয়ে ওকে খোঁজে।
রুমঝুম এলোমেলো দৃষ্টি খুঁজে চললো সেই তারাকে। কিন্তু কই? কোথাও তো এমন তারা নেই। সব তারাই তো একইরকম ভাবে জ্বলজ্বল করছে আকাশে।
হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো রুমঝুম। মুখ চেপে ধরে কেঁদে উঠলো। চাঁপাকন্ঠে বললো,
-“আমার ভাই। কোথায় চলে গেলি আমাকে রেখে? একটাবার ফিরে আয় রে ভাই। একটাবার আয়।
তোকে আগলে রাখবো আমি। আমি জানি তুই মরিসনি। আয় না ভাই,ফিরে আয়।”
রুমঝুম কাঁদতে কাঁদতে গড়িয়ে পড়লো ছাদের উপর।
রুমঝুমের হঠাৎই মনে হলো ওকে কেউ দেখছে। হামাগুড়ি দিয়ে রেলিংয়ের ধারে চলে গেলো। দুহাতে চোখ মুছে বাড়ির পেছনদিকের বাগানে নজর দিলো।
নাহ! কোথাও তো কেউ নেই। হয়তো ওর মনের ভুল।
রেলিংয়ে মাথা লাগিয়ে সেভাবেই বসে রইলো রুমঝুম। রুশান ওর জন্যই মরে গেছে। শুধুমাত্র ওর জন্য। কে বলেছিলো ছেলেটাকে ওকে এতো ভালোবাসতে? রুমঝুম আবারও ঠোঁট কামড়ে ধরে কেঁদে উঠলো। নিজের দাঁতেই কেটে গেলো ঠোঁট। সেদিকে খেয়াল নেই রুমঝুমের। ওর মনটা পড়ে আছে ওর ভাইয়ের কাছে। অস্ফুট স্বরে বললো,
-“কোথায় আছিস ভাই? আয় না ফিরে। একটাবার আয় । আমার কলিজাটা ঠান্ডা করে দে।”
আচমকা রুমঝুমের মুখ রুমাল দিয়ে কেউ একজন চেপে ধরলো পেছন থেকে। রুমঝুম কিছু বুঝে ওঠার আগেই নেতিয়ে পড়লো ফ্লোরে। সম্পূর্ণ অজ্ঞান হওয়ার আগে শুনতে পেলো কেউ ফিসফিস করে ওর কানের কাছে বলছে,
-“মরা মানুষ কখনো ফিরে আসে না। কখনো না। তোর ভাইও ফির…”
রুমঝুম ততক্ষণে পুরোপুরি সেন্স হারিয়েছে।
..
জানালের ফাঁকা দিয়ে সূর্যের রশ্মি সরাসরি এসে শানের মুখে পড়লো। শান ভ্রু কুঁচকে মুখ ফিরিয়ে নিলো সেদিক থেকে। আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখলো ভালোই আলো ছড়িয়েছে চার পাশে। পাশ ফিরে রুমঝুমকে দেখতে পেলো না বিছানায়। দরজা চাপানো তবে লক করা না। ভাবলো ,রুমঝুম হয়তো বাইরে গেছে।
শান শোয়া থেকে উঠে বসলো। রুমঝুমের ঘরের দেয়াল ঘড়িটা নষ্ট। শান বিছানা হাতিয়ে ফোন খুঁজে বের করলো। অন করে দেখলো নয়টা চৌদ্দ বাজে।
অবাক করা বিষয় হলো আটচল্লিশটা মিসড কল ভেসে আছে স্ক্রীনে।
শান তাড়াতাড়ি ফোন আনলক করে দেখলো তিহান আর প্রান্ত এতোগুলো কল করেছে। সে অনতিবিলম্বে কল ব্যাক করলো তিহানের নাম্বারে।
একবার বাজতেই তিহান রিসিভ করলো। রাগী কন্ঠে বললো,
-“এতো কিভাবে ঘুমোচ্ছিস তুই? কখন থেকে কল করছি সে খেয়াল আছে?”
শান একহাতে চোখ ,কপাল ডলে বললো,
-“আমি মাঝরাতের দিকে ঘুমিয়েছিলাম ইয়ার। এজন্য উঠতে পারিনি।”
তিহান সিরিয়াস কন্ঠে বললো,
-“দেখ রুশানের ব্যাপার,ওই ছবি ,চিঠি এগুলো কিন্তু কেউ জানেনা। আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি । রুশানকে ও মারুক বা না মারুক ওকে ছাড়া যাবে না। ও একটা বিষাক্ত কীট।”
কথাগুলো বলতে বলতে তিহান তেতে উঠলো।
শান আস্তে নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
-“রুমঝুমকে একটু পাঠিয়ে দে। রুমঝুমের হাতেই শাস্তি পাবে ওই শয়তান। ওকে আগে বুঝাতে হবে।”
তিহান ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“রুমঝুমকে পাঠাবো মানে? ও তো এখনো বাইরে বের হয়নি। ঘরেই আছে দেখ।”
শান চকিতে বিছানা ছেড়ে নেমে দাঁড়ালো। বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। শানের বুক কেঁপে উঠলো। কম্পমান কন্ঠে বললো,
-“ও ঘরে নেই তিহান। ও কোথায় গেলো?”
তিহান অবাক হয়ে বললো ,
-“ঘরে থাকবে না তো কোথায় যাবে? আরে ভালো করে দেখ।”
শান একটু ভেবে বললো,
-“ছাদে আয় তো।”
বলেই ফোন বিছানায় ফেলে ছাদের উদ্দেশ্যে দৌড় দিলো। তিহানও বিনা বাক্য ব্যয়ে ছাদে এলো।
সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতেই শানের চোখে পড়লো রুমঝুমের স্যান্ডেল। জোড়া নয় ,একটা। শানের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে বহুগুণ। ছাদের দরজায় পড়ে আছে আরেকটা জুতো। পুরো ছাদের কোথাও রুমঝুম নেই।
তিহান ততক্ষণে চলে এসেছে। প্রান্তও তিহানের পিছু পিছু এসেছে। শান দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। রুমঝুম এখানে এসেছিলো আর ওর সাথে কিছু একটা হয়েছে সেটা ওরা বুঝে গেছে।
তিহান মেঘাকে ফোন করে পুরো বাড়িতে রুমঝুমকে খুঁজতে বললো।
শান দু’হাতে মাথা চেপে ধরে বসে পড়লো খোলা আকাশের নিচে। দম বন্ধ হয়ে গেছে ওর । প্রান্ত দৌড়ে এসে শানের পাশে বসলো। শান প্রান্তর স্পর্শে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
মেঘা হাঁফাতে হাঁফাতে ছাদে উঠে এলো। শানকে এভাবে কাঁদতে দেখে থমকে দাঁড়ালো দরজাতেই। কতখানি ভালোবাসলে একটা ছেলে একটা মেয়ের জন্য এভাবে কাঁদতে পারে।
তিহান মেঘার কাছে গিয়ে বললো,
-“সবজায়গাতে দেখেছো?”
মেঘা কান্নাভেজা চোখে চেয়ে বললো,
-“ও কোথাও নেই। ও এই বাড়িতেই নেই। ওর চুলে আটকানো কাঁটাটা বাড়ির বাইরে গেটের কাছে পড়ে ছিলো।”
শান কান্না থামিয়ে উঠে এসে মেঘার হাত থেকে কাঁটাটা নিয়ে নিলো। একনজর তাকিয়ে বললো,
-“এটা ওর মাথায় ছিলো রাতে।”
চারটা মানুষই ভয় পাচ্ছে রুমঝুমের কি অবস্থা সেটা ভেবে। তিহান তড়িঘড়ি করে বললো,
-“আমাদের দেরি করা উচিৎ হবে না। এখনি আরমানের দ্বিতীয় গোডাউনের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। বেশি দেরি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মেঘা প্রান্ত আর তিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“বাড়িতে জানাবো একবার?”
শান তড়িৎ গতিতে বললো,
-“একদম না। এই কথা যেন কেউ না জানে। এসব জানলে রুমঝুমের দিকে আঙুল তুলবে মানুষ। এগুলো শুধু আমাদের মধ্যেই থাকবে।”
বাকি তিনজন সম্মতি দিলো সে কথায়। সবাই কালবিলম্ব না করেই সাতক্ষীরায় যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলো।
তাহমিনা বেগম কাল রাতে দরজা আটকেছেন তারপর আর খোলেননি। মেঘা কয়েকবার ডেকেও কোনো সাড়া পাননি। রুমঝুমের বাবা মাথা নিচু করে সোফায় বসে আছে। শান এসে তার সামনে দাঁড়ালো। রেজাউল সাহেব মাথা উঁচু করে শানের দিকে একবার তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে নিলেন। ধীর কন্ঠে বললেন,
-“আমার সংসারটা এমন ছিলো না। এমন হতোও না যদি ওই নাগিনকে এই সংসারে আনতাম।”
একটু থেমে চোখ মুছলেন রেজাউল সাহেব। শানের হাত দুটো ধরে বললেন,
-“আমার ছেলে-মেয়েদুটোকে এনে দিবে বাবা? আমি আর কত সহ্য করবো হারানোর ব্যাথা? এক সন্তানকে বহু আগে হারিয়েছি ,আর কাউকে হারাতে পারবো না।”
তিহান একবার হারানো সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলো না। এখন এসব জিজ্ঞেস করার উপযুক্ত সময় না।
শান রেজাউল সাহেবকে আশ্বস্ত করে বললো,
-“আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনার মে.. ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। আপনি দোয়া করবেন শুধু। ”
শান,মেঘা, প্রান্ত, তিহান হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে। রেজাউল সাহেব তাদের পিছু পিছু এসে দাঁড়ালেন গাড়ির কাছে। গাড়ি স্টার্ট করার আগে বললেন,
-“তোমাদের কথায় আমি পুলিশ ইনফর্ম করিনি। তোমরা সাবধানে যা করবা কইরো। ”
শান তাঁকে চোখের ইশারায় আশ্বস্ত করে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
মেঘা অবাক হয়ে শান, প্রান্ত আর তিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“আপনার পুলিশকে ইনফর্ম করতে দেননি কেন ভাইয়া? প্ল্যান কি আপনাদের?”
প্রান্ত বললো,
-“শান বারন করেছে পুলিশকে ইনফর্ম করতে। আর প্ল্যান টাও বলেনি।”
শান ড্রাইভিং করতে করতে একবার ওদের তিনজনের দিকে লাল রঙা ফোলা চোখ মেলে তাকালো। তারপর রহস্যময় এক হাঁসি দিলো।
প্রান্ত সেদিকে কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকালো। শানের এই রুপ তাদের কাছে একদম নতুন। তিহান পেছনের সিট থেকে সামনে ঝুঁকে বললো,
-“শান ,তুই কি করতে চাইছিস প্লিজ বল আমাদে। এখন কিন্তু খুব টেনশন হচ্ছে ইয়ার।”
শান একই ভঙ্গিতে আবারও হাসলো। তবে সেই হাঁসির আড়ালে একরাশ ভয় আর চিন্তাও রয়েছে তার।
গম্ভীর কন্ঠে শান বললো,
-“চিন্তা করিস না। আমি পুলিশকে ইনফর্ম করেছি। আর আপাতত আমি রুমঝুমের কাছে পৌঁছাতে চাই। আর কিছু না।”
তিনজনই হতাশ হলো। তারা জানে শান অন্য কিছু ভাবছে তবে সেটা বলছে না। শান নিজে যতক্ষণ না কিছু বলবে ততক্ষণ কিছুই জানা সম্ভব না।
…
রুমঝুম পিটপিট করে চোখ মেললো। চোখ খুলেই আঁতকে উঠলো রুমঝুম। অন্ধ হয়ে গেছে নাকি সে? অন্ধকার ছাড়া কিছুই মিলছে না চোখে। চারপাশে শুধুই অন্ধকার। কোথায় আছে,কয়টা বাজে,এটা দিন নাকি রাত? অনুমান করতে পারছে না সে কিছুই । তার হাত দুটো পিছমোড়া করে বাঁধা। মুখও বাঁধা। আস্তে আস্তে গতরাতের কথা মনে পড়লো তার। কে ওকে তুলে আনলো এখানে? রুমঝুমের বুক কেঁপে উঠলো।
বেশ কিছু সময় নিজের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেও হাত ছাড়াতে ব্যার্থ হলো রুমঝুম।
একসময় চুপসে পড়ে রইলো সেই জায়গাতেই। হঠাৎ চোখে একঝাঁক আলো এসে পড়লো। চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেললো রুমঝুম। ধীর ধীরে চোখ মেলে দেখলো সামনে সেই জানোয়ার দাঁড়ানো। সাথে সাথেই চোখ ফিরিয়ে নিলো। ঘৃনা লাগছে ওই পশুর দিকে তাকাতে তার।
রুমঝুম আশেপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলো এতক্ষণ একটা গ্যারেজের মধ্যে গাড়ির ডিকিতে ছিলো সে।
আরমান রুমঝুমকে পাঁজাকোলা করে তুলে গোডাউনের ভেতর ঢুকে পড়লো। রুমঝুমের গা গুলিয়ে উঠলো আরমানের ছোঁয়ায়। তবে এখন তার হাত-পা বাঁধা। কিছু করার নেই।
একটা পুরোনো কাঠের চেয়ারে বসিয়ে দিলো রুমঝুমকে। হাত -মুখ মুক্ত করে দিলো। হাত খোলার সাথে সাথে রুমঝুম ক্ষ্যাপা বাঘিনীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো আরমানের উপর। আরমান জানতো এমন হবে। রুমঝুমের এমন রুপে সে বিন্দুমাত্র বিচলিত হলো না। রুমঝুম একেরপর এক আঘাত করছে যেভাবে পারছে আর আরমান উচ্চস্বরে হেঁসে সেগুলো গ্রহন করছে। একসময় রুমঝুম থেমে গেলো। কাল বিকেল থেকে না খেয়ে থাকায় সে এখন বেশ ক্লান্ত। রুমঝুম মেঝেতে বসে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলো।
আরমান এগিয়ে এলো রুমঝুমের দিকে। রুমঝুমের পুরো শরীরে চোখ বুলিয়ে বললো,
-” তোমার বিনিময়ে গুনে গুনে পনেরো লক্ষ টাকা দিয়েছি তোমার মা কে। আই মিন সৎ মা। এতো সহজে তোমাকে ছেড়ে দেবো? তোমাকে কাজে লাগিয়ে আমি কত টাকা ইনকাম করতে পারবো জানো? ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া?”
রুমঝুম ঘৃনা ভরা দৃষ্টিতে তাকালো আরমানের দিকে। ঘৃনা হলো তার সৎ মায়ের প্রতিও। মানুষ কিভাবে এমন হয়?
আরমান রুমঝুমের দৃষ্টি উপেক্ষা করে বললো,
-“খাবার পাঠাচ্ছি। খেয়ে নাও। আর দেখে নাও তোমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনি কে।”
আরমান একটু উচ্চ কন্ঠে ডাকলো,
-“রুমেল। খাবার নিয়ে আয় ।”
রুমঝুম কেঁপে উঠলো।ঝনঝন করে উঠলো পুরো শরীর। এই নাম? এই নাম তো..
রুমঝুম দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাখলো সেই ব্যাক্তির আসার পথে। সে পথেই এক মিনিটের মতো ব্যয় করে ধীর পায়ে মাথা নিচু করে বেরিয়ে এলো এক যুবক। চব্বিশ-পঁচিশ বছর বয়সী এক যুবক।
রুমঝুমের সামনে তার চেহারা স্পষ্ট হলো বেশ কাছে আসার পর। তাকে দেখেই থমকে গেলো রুমঝুম। বুকের পাঁজরে কেউ কামড়ে ধরে রেখেছে যেন । খুব কষ্টে টেনে উঠালো একটা শ্বাস। জড়ানো গলায় বললো,
-“ভ.. ভাইয়া।”
চলবে…….
(রি-চেক দিতে পারিনি।
ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)