চন্দ্রকুঠি পর্ব-০১

0
1969

#চন্দ্রকুঠি
সূচনা পর্ব
#নুশরাত জাহান মিষ্টি

” স্যার আট নাম্বার সেলের আসামীর লেভার পেইন উঠেছে।”
হাঁপাতে হাঁপাতে কথাটি বললো রহিমা। রহিমার কথাটি শুনে রাফি এবং আপু দুজনেই থেমে গেলো। রাফি চিন্তিতসুরে বললো, ” ওনাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করো।”
” সেটাই তো সম্ভব হচ্ছে না স্যার।”
” মানে? কেন সমস্যা কোথায়?”
” মহিলাটি কিছুতেই জেল থেকে বেড়োতে চাইছে না, পেইন নিয়েই সে আমাদের হুমকি দিচ্ছে তাকে ওখান থেকে বের করলে সে কিছু একটা করে বসবে।”
রহিমার মুখের এই ধরনের কথা শুনে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লো রাফি। সে এই ধরনের কিছু একটাই আন্দাজ করেছিলো৷ কারাগারে অনেক অপরাধী আছে কিন্তু এই অপরাধীটি বেশ অভূত। রাফিকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে আপু বললো, ” আচ্ছা ব্যপারটা আমাকে একটু পরিষ্কার করে বলবে?”
” মাধুরি আসলে হয়েছি কি, এই মহিলাটি বেশ অভূত। ইনি কারো কথা শুনার মতো নন। শুনলেই তো লেভার পেইন ওঠার পরো কি বলছে….”
রাফি পুরো কথাটি শেষ করার আগেই লেভার পেইন ওঠা মেয়েটির গগনবিদারী চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো। চিৎকার শুনে আপু আর এক মূহুর্তে না দাঁড়িয়ে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো যেদিক থেকে চিৎকারের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো। আপুর পিছু পিছু রাফি এবং আমিও ছুটে গেলাম। ব্যাথায় ছটফট করছিলো মহিলাটি তাও একই কথা বলে চলেছে, ” আমি এখান থেকে যাবো না। কোথাও যাবো না। আমাকে কেউ ছুবে না।”

আপু ধীরে তার কাছে গেলো এবং খুব শান্তকন্ঠে বললো, ” মা ডাক শুনতে চান না আপনি?”
মহিলাটি মুখের উচ্চারিত কথাগুলো থামিয়ে আপুর দিকে তাকালো। এক পলক তাকিয়ে বললো, ” চাই তো।”
” তাহলে তো আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে..”
” না না আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না। আমার বাচ্চা এখানেই জন্ম নিবে……”
মহিলাটি এবার আরো অশান্ত হয়ে গেলো। কিছুতেই এখান থেকে বেড়োতে চাচ্ছে না। অতঃপর কোন উপায় না পেয়ে আপু দুজন মহিলা কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে এখানেই বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ব্যবস্থা করছিলো। আপু একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট, তাই তার জন্য এই কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না। মাধুরিকে দায়িত্ব নিতে দেখে রাফি কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। যাক আশা করা যায় বাচ্চাটি সুস্থভাবেই জন্মাবে। রাফি ভাইয়া ওখান থেকে কিছুটা আড়ালে গেলো। বাচ্চাটি পৃথিবীতে আশার অপেক্ষার পাশাপাশি চলুন কিছু কথা জেনে নেই, যাতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয় এখানে কি হচ্ছিলো।

রাফি ভাইয়া এবং মাধুরি( আমার আপু) রিলেশনশীপে আছে। তো আজ আমার সাথে রাফি ভাইয়ার দেখা করাবে বলে আপু আমাকে নিয়ে একটা পার্কে এসেছিলো। কিন্তু রাফি ভাইয়া কাজে পড়ে যাওয়ায় ব্যপারটা মাথা থেকে বেড়িয়ে যায়। যাতে আমার আপুর মাথাটা গরম হয়ে যায় এবং তিনি নাচতে নাচতে ঝগড়া করতে রাফি ভাইয়ার কাজের স্থানে অর্থাৎ এই পুলিশ স্টেশনে চলে আসে। শুধু একা এসেছে তা নয় সাথে আমাকেও নিয়ে এসেছে। যাই হোক তাদের দুজনের ঝগড়ার মাঝে হঠাৎ এই মহিলার লেভার পেইন উঠে তারপর বাকিটা….।

অনেকক্ষন পর একটা বাচ্চার কান্নার শব্দে ধ্যান ভাঙে আমার। এতক্ষন সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো কিন্তু এই বাচ্চার কান্না আমাকে অস্বাভাবিক করে তুললো। আমার বুকের ভিতর ঝড় বয়তে শুরু করলো। কিছু মূহুর্তের জন্য মনে হলো বাচ্চাটির স্থানে আমি কান্না করছি। কেন এমন মনে হলো জানি না! তবে এই কারাগার, এই গর্ভবতী মহিলা, এই বাচ্চা সবকিছুর মাঝে নিজেকে অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার হাত-পা অস্বাভাবিকভাবে কাঁপতে শুরু করলো, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবো তার আগেই রাফি ভাইয়া আমাকে ধরে ফেললো।

চার ঘন্টা পর,,,
চোখ খুলে নিজেকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করে খুব গাবড়ে গেলাম। চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করলাম, কি হয়েছে আমার সাথে!
” আমি তো মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলাম তখন…..”
অসমাপ্ত কথাটি আপু শেষ করলো, ” তখন রাফি তোকে ধরে ফেলে, তারপর আমি তোকে বাড়ি নিয়ে আসি।”
মুখ তুলে একবার আপুর দিকে তাকালাম৷ তারপর খুব শান্তভাবে বললাম, ” ঐ মহিলা আর বাচ্চাটি কেমন আছে?”
” খুব ভালো। তারা দুজনেই সুস্থ আছে। কিন্তু তোর কি হয়েছিলো?”
” আমার?”
” হ্যাঁ। তখন ওভাবে অজ্ঞান হয়ে গেলি কিভাবে?”
” জানি না।”
” যতদূর আমার মনে হচ্ছে তোর মাথা অধিক চাপ পড়ার জন্য এমনটা হয়েছিলো। কিন্তু তুই তো স্বাভাবিক ছিলে তাহলে হঠাৎ কি এমন হলো যেটা নিয়ে তুই চিন্তিত হয়ে পড়লি?”
” জানি না। হঠাৎ…”
চুপ করে গেলাম। ভেবে পাচ্ছি না কি বলবো! যদি বলি বাচ্চাটার স্থানে নিজেকে অনুভব করছিলাম, তবে আপু কি ভাববে আমার ব্যপারে।
” কি হলো থেমে গেলি কেন? হঠাৎ কি হয়েছে?”
” কিছু না। খাওয়া হয়নি ঠিকমতো তাই বোধহয় এমন হয়েছে।”
” আমি কে জানিস তুই?”
” তুই মাধু আপু। এই তুই এমন উদ্ভাট প্রশ্ন করলি কেন? আচ্ছা তুই সত্যি মাধু আপু তো নাকি তার রুপ ধরে থাকা কোন ভুত?”
কথাটি বলে হেঁসে দিলাম। কিন্তু মাধুরি আপু হাসলো না। সে খুব কঠিন গলায় বললো, ” আমি এখন মজা করার মুডে নেই মুন। আমি তোর আপু। আমি তোকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি মুন, তাই চুপচাপ বল কি নিয়ে ভাবছিলে তুই?”
” তেমন কিছু না৷”
” যেমনি হোক সেটাই বল।”

তারপর আর কি আপুকে সব বলে দিলাম৷ এমনিতেও আপুর থেকে কিছু লুকিয়ে বাঁচতে পারবো না জানি। তাই বৃথা চেষ্টা না করে বলে দিলাম।
” তুই সত্যি বলছিস?”
” হ্যাঁ আপু সত্যি।”
” এজন্য অজ্ঞান হয়ে যেতে হয়। ধুর পাগলি। আসলে তুই খুব আবেগী তো তাই রেবেকার কষ্ট দেখে সহ্য করতে পারিস নি। তুই ভাবছিলি ঐ বাচ্চাটির স্থানে তুই থাকলে তোর কেমন অনুভূতি হতো। এটা নিয়ে আর ভাবিস না। যার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।”
” তাই হবে হয়তো।”
” এটাই হয়েছে পাগলি বোন আমার।”
” হ্যাঁ। তা তোর আর রাফি ভাইয়ার ঝগড়া মিটলো?”
” তোর জন্য ঝগড়া করতে পারলাম কখন? ভেবেছিলাম আজ ইচ্ছেমতো ঝগড়া করবো কিন্তু তুই অজ্ঞান হয়ে সব মাটি করে দিলি।” অভিমানী কন্ঠে
” তারমানে এখনো রাগ আছে?”
” আমি ওর সাথে আর কথাই বলবো না।”
” এটা কিন্তু ঠিক না আপু। রাফি ভাইয়া যে পেশায় আছে সেখানে দাঁড়িয়ে সে একটু ব্যস্ত থাকবেই। তার ব্যস্ততার কথা জেনেই তো তুই তার সাথে সম্পর্কটা এগিয়েছিলি।”
” যতই ব্যস্ততা থাক, প্রিয় মানুষ হলে তার জন্য ঠিক সময় বের করে নেওয়া যায়। তবে প্রিয় মানুষটা শুধু মুখে নয় মনেও প্রিয় হতে হবে।”
আমি সাথে সাথে কপালে হাত দিলাম। আমার হাত দেওয়া দেখে আপু জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো। আমিও অবুঝের মতো বলে উঠলাম, ” তোদের মতো আমি কবে প্রেমে পড়বো আর কবেই বা এত মান অভিমানের ডায়লগ বলবো। আমার কপালে কি এমন দিন আসবে কখনো, এটা ভেবেই তো আমি আবার অজ্ঞান হয়ে যাবো। ”
আমার বলার ভঙ্গিমা দেখে আপু হেঁসে দিলো। আপু এসে আমাকে আলিঙ্গন করলো। তারপর মিষ্টি করে বললো,” আসবে আসবে খুব শীঘ্রই কেউ আসবে। আমার এই ছোট্ট বোনটার মন দখল করতে।”
আমিও মিষ্টি হেঁসে আপুকে আলিঙ্গন করলাম।

__________
রাত দশটা বাবা অফিস থেকে চলে এসেছে। কলিংবেলের শব্দ পেয়েই আমি আর আপু ছুটে গিয়ে দরজা খুললাম। আমাদের মাঝে এটা একটা প্রতিযোগিতা, প্রতিদিন কে আগে দরজা খুলতে পারে। আমাদের মাঝে যে আগে দরজা খুলবে বাবা তাকে আলিঙ্গন করে দুটো চকলেট দিবে। আর যে শেষে খুলবে তাকে একটা। পরে অবশ্য লুকিয়ে গিয়ে তাকে আরো একটা চকলেট দিবে। এগুলো আমরা দুজনেই জানি, তবুও ছোটবেলা থেকে এই কাজটা করে চলেছিলি। যাই হোক আজকে প্রথমে দরজার কাছে এসেছি আমি। দরজা খুলে বাবাকে আলিঙ্গন করলাম। বাবা মিষ্টি হেঁসে পকেট থেকে দুটো চকলেট বের করে আমাকে দিলো। আমি চকলেট হাতে আপুকে ভেঙিয়ে বললাম, ” আজ আমি দুটো চকলেট খাবো, কেউ জানো নজর না দেয়।”

আপু আমাকে উল্টো ভেঙিয়ে বললো, ” একজন দুটো চকলেট খাক সমস্যা নেই। আবার দেখা যাবে চকলেট না পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো তখন তো আমাকেই সেবা করতে হবে।”
কথাটি বলা আমি আপুর দিকে রাগী চোখে তাকালাম। অজ্ঞান শব্দটি শুনে বাবা বললেন, ” কে অজ্ঞান হয়ে যাবে আর কেন?”
দ্বিগুন ভাব নিয়ে আপু আবার বললো, ” কে আবার তোমার ছোট মেয়ে মুনতাহা। তার তো আজকাল যেখানে সেখানে অজ্ঞান হওয়ার রোগ হয়েছে।”
” মানে? কি হয়েছে? মুন অজ্ঞান হলো কখন?”
” সে এক ইন্টারেস্টিং গল্প বাবা। শুনলে তুমি হাসি আটকাতে পারবে না। তোমার মেয়ে আজকাল বাচ্চাদের যায়গায় নিজেকে খুঁজে পায়।”
কথাটি বলতে বলতে আপু হেঁসে দিলো। এ যে সে হাসি নয়। একে বলে ব্যঙ্গত্নক হাঁসি। ঠিক এই কারনেই আমি আপুকে বলতে চাচ্ছিলাম না৷ বাবা আপুকে পুরো ঘটনা জিজ্ঞেস করলো। আপুও হাসতে হাসতে গড়গড়িয়ে সব বলে দিলো। আশ্চর্য-জনক বিষয় হলো বাবা এই কথাটি শুনে হাঁসা তো দূর, উল্টো ঘরে ডোকার সময় মুখে লেগে থাকা মুচকি হাসিটাও উবে গেলো। বাবাকে দেখে মনে হলো বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। বাবার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আপু থেমে গেলো এবং বললো, ” কি হলো বাবা চুপ হয়ে গেলে কেন?”
” মুন তুমি আর কখনো পুলিশ স্টেশন যাবে না।” কিছুটা উচ্চশব্দে
” আরে বাবা আপু একটু বেশি বানিয়ে বলছে, তেমন কিছু না। আমি তো জাস্ট…..”
আমাকে কথাটি সমাপ্ত করতে না দিয়ে বাবা বেশ ধমক দিয়ে বললো, ” যাই হোক তুমি আর কখনো পুলিশ স্টেশন যাবে না।”
এবার আমি কিছুটা ভয় পেলাম। বাবা এতটা রেগে আমাদের সাথে কখনো কথা বলেনি। আপুকে দেখে মনে হলো সেও একটু ভয় পেয়েছে। বাবা এবার কিছুটা আদেশের সুরে বললেন, ” হাত-মুখ ধুয়ে খাবার খেতে এসো।”
কথাটি বলে বাবা চলে গেলেন। আমি আর আপু একে-অপরের মুখের দিকে তাকালাম। আমি বেশ ভাবনার সুরে বললাম, ” বাবা এতটা রেগে গেলো কেন?”
” হয়তো তুই অসুস্থ হয়ে পড়েছিস শুনে কষ্ট পেয়েছে। আমাদের বাবা খুব ভালোবাসে তো তাই আমাদের নিয়ে চিন্তিত।”
আপু আশ্বাস দিয়ে বললো। আমিও ভাবলাম হয়তো তাই। তবে জোরালো ভাবে মনে সেই ভাবনাটা আসছে না। মনের কোথাও না কোথাও গিয়ে ঠিক একটি প্রশ্ন থেকেই যায়।

____
রাত তখন ২.৩০,
চোখে ঘুম নেই। চোখ বন্ধ করলেই শুধু কারাগার, জেল, বাচ্চার কান্নার শব্দ শুধু চোখে ভেসে ওঠে। মস্তিষ্ক থেকে যতই বের করতে চাচ্ছি ততই ঐ বাচ্চার কান্নার শব্দ আমাকে অতিষ্ট করে তুলছে। ঘুমের মাঝে এরকম বাচ্চার কান্নার শব্দ আগেও শুনেছি আমি, তবে তখন নিজেকে সামলে নিয়েছি। কিন্তু আজ চেয়েও সামলাতে পারছি না। বিরক্ত হয়ে বিছানা থেকে উঠে বসলাম। পাশে ঘুমন্ত আপুর মুখটা দেখে ভালোই লাগলো। আপু জেগে না যায় তাই চুপিচুপি পা টিপে টিপে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। ভাবলাম ছাদে গিয়ে একটু ঘুরে আসি। ছাঁদের দরজা খুলতে যাবো এমন সময় মনে হলো দরজাটা আগে থেকেই খোলা। আস্তে করে দরজাটা ধাক্কা দিতেই খুলে গেলো। দরজা খোলার পর যা দেখলাম তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এতগুলো বছরে প্রথমবার বাবার হাতে সিগারেট দেখলাম। বাবা সিগারেট খাচ্ছে। হ্যাঁ। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। হঠাৎ কানে ভেসে এলো বাবার বলা কিছু বাক্য, ” চাঁদ, চন্দ্র, মুন সব এক। সবাই বিলীন হয়ে যায় দিনের আলোয়। না না। আমি মুনকে বিলীন হতে দেবো, না মাধুরিকে। ওরা দুজনেই সারাজীবন আমার কাছে থাকবে। আমি ওদের কোথায় যেতে দেবো না।”

কথাগুলো বলছিলো আর কান্না করছিলো বাবা। বাবার কান্না আমাকে আরো ভাবিয়ে তুললো। আমার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আর বাবার পুলিশ স্টেশন না যেতে বলা এখন আর আমার স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ঘটনাটা স্বাভাবিক হলেও এরমাঝে অস্বাভাবিক কিছু আছে। হ্যাঁ অস্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক কি লুকিয়ে আছে? সেটাই আমাকে খুঁজে বের করতে হবে। তার জন্য আমাকে পুলিশ স্টেশন যেতে হবে।

মুন কি পারবে রহস্য অব্দি পৌছাতে নাকি পৌছানোর আগেই বিলীন হয়ে যাবে।

চলবে।
-~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে