গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস পর্বঃ ০২

0
5417

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ০২

একদিন কালে আমাদের বাসায় আমার মামা আর মামি আসে। আমার কাছে ব্যাপারটা খটকা লাগে। কারন মামা মামি আমাদের বাসায় দীর্ঘ ২ বছর পর এল। ( আরেকটা কথা মিম খুব যেদি মেয়ে। কারন মামার একমাত্র মেয়ে যখন যা চেয়েছে তাই পেয়েছে।) আমি ভাবলাম মিম বোধহয় আসতে বলছে তাই আসছে। এইসব ভাবতেছিলাম তখন-
মামা- শ্রাবণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবিস.???
আমি- কিছু না মামা। তোমার কেমন আছ???
মামা- ভালো। তোর লেখাপড়া কেমন চলছে??
আমি- ভালো। এই ভাবে কিছু কথা বলে রুমে চলে আসলাম। কিছু সময় মোবাইল চালিয়ে দুপুরে একটা ঘুম দিলাম। বিকালে উঠে বাজারে গেলাম। কিছু সময় আড্ডা দিয়ে বাসায় এলাম। এসে দেখি সকলে ড্রইংরুমে বসে গল্প করছে। আমি যোগ হলাম। আরও কিছু সময় গল্প করে, ভাত খেয়ে রুমে গেলাম। মোবাইল চালাচ্ছি ঠিক তখন মিম আমার রুমে এল।
আমি- একি এত রাতে তুই আমার রুমে কেন??
মিম- আমি তোমাকে আজ একটা কথা বলব আর যদি তুমি না মান তাহলে তোমার সাথে খুবই খারাপ হবে।
আমি- হাহাহা আমি শুনব তোর কথা?? হ্যা তা কি কথা বল।
মিম- আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে আমায় ভালোবাসতে হবে।
আমি- না তা কোনদিনও সম্ভব নয়।
মিম- তোকে শেষ বারের মতো বলছি রাজি হয়ে যা। (হটাৎ তুমি থেকে তুই)
আমি- সম্ভব নয়। এরপর মিম যা করল সেটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার জীবন পাল্টে দেওয়া একটা ঘটনা। (আর আপনাদের একটা কথা বলি, নিজের যেদ বা স্বার্থের জন্য অন্যকে ব্যবহার করা বন্ধ করুন। এতে আপনার কিছু না হলেও অনেকের জীবন বদলে যেতে পারে।) মিম কিছু না বলে দরজা লাগিয়ে দিল।
আমি- মিম তুই দরজা বন্ধ করলি কেন??
মিম- তুই শুধু দেখ আমি তোর কি করি….
আমি- কিছু বলার আগেই মিম তার জামা টেনে টেনে ছিরে ফেলল। আর জোরে জোরে চিল্লাতে লাগল। বাড়ির সকলে আমার রুমের দরজায় চলে আসল।(মামা,মামি,আব্বু,আম্মু,ভাইয়া) এরপর মিম আমাকে বিছনায় ফেলে দিয়ে আমার উপরে শুয়ে পরল। এমন ভাবে শুয়ে পরল যে দেখে মনে হয় আমি জোর করে তাকে ধরে রেখেছি। ভাইয়া আর মামা কোন উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলল। এরপর সকলে রুমে এসে দেখে তাদের নিজের চোখে সব দেখল৷ মিম দৌরে গিয়ে মামির পিছে দারাল। দেখে মনে হচ্ছে ভয় পেয়েছে। এরপর আম্মু তার কাপর দিয়ে মিমকে ঢেকে দিল। আমি কিছুই বুঝে উঠার আগে ভাইয়া আমাকে এসে ঠাসসসসসস ঠাসসসস করে দুইটা চর দিল। (আসলে আপনারা ভাবছেন একজন পুরুষ হয়ে কি করে একটা মেয়ের সাথে পারলাম না। আসলে সব দেখতে দেখতে হয়ে গেছে কিছু বুঝে ওঠার আগে।) আমি কিছু বলছি না শুধু চুপ করে আছি। ——
আব্বু- শ্রাবণ তুই কিনা…. ছি
আমি- তোমরা বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নাই।
ভাইয়া- চুপ একদম চুপ তুই কিছু বলবি না।
আমি- আম্মু তুমি………আর কিছু বলতে না দিয়ে
আম্মু- চুপ একদম চুপ তোকে আমরা মানুষ করতে পারি নাই। তোর আব্বু ঠিক বলে আমার কারনে আজ তুই ছি ছি(কেদে দিয়ে)
আমি- চুপ….
মামা- ছি ছি ছি,,,,,,, আজ যদি আমরা এখানে না আসতাম তা হলে তো জানতেই পারতাম না যে আপনাদের ছেলে এই রকম…???অমানুষ কোথাকার। একে তো জেলে দেওয়া উচিত।
মামি- শ্রাবণ তোকে আমরা নিজের ছেলের মতো দেখতাম। আর তুই এই তার প্রতিদান দিলি।
আমি- চুপ(আজ আমি সত্যিই খুব অসহায়। কারন আমার কথা কেউ শুনবে না। কোন প্রমান নেই আমার কাছে তাই হয়তো)
আব্বু- আপনারা আমাকে মাপ করে দেন। আমি আমার ছোট ছেলেকে মানুষ করতে পারি নাই। (হাত জোর করে)
মামা- আপনি এখনো বলছেন যে কোন বিচার না করে ওকে মাপ করে দিতে..???
আব্বু- চুপ(মাথা নিচু করে)
ভাইয়া- মামা তুমি চিন্তা কর না, আমরা ওকে শাস্তি দিব। এমন শাস্তি দিব যে আর কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকাতে হলে দশবার ভাববে।
আব্বু- হ্যা তুই ঠিক বলছিস??
আমি- আব্বু
আব্বু- তুই অই মুখ দিয়ে আর কোন দিন আমাকে আব্বু ডাকবি না।
আমি- ???
আব্বু- আজ থেকে আমার ছেলে একটা। তুই আজ থেকে আমার ছেলে না।
আম্মু- হ্যা তুমি ঠিক বলছ। আজ থেকে তুই আমাদের কেউ না।??
আমি- আম্মু??
ভাইয়া- চুপ একদম চুপ?। তুই এখনই আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যা৷
আমি- ????
আব্বু- আর কোন দিন যদি আমাদের সামনে আসিস তাহলে তুই আমার মরা মুখ দেখবি। ?
আমি- ওকে। তোমরা ভালো থেকো?( হাসতে হাসতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম) আজ নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। আসার সময় আম্মুর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু আম্মু কিছু বলল না। যে আম্মু কখনো আমাকে বিকে পর্যন্ত নি। সেই আম্মু আমাকে তেজ্জপুত্র করল।(হায়রে দুনিয়া। তবে আমি আম্মুকে খারাপ বলছি না। পৃথিবীতে আম্মুর থেকে আপন আর কেউ নেই। শুধু গল্পের খাতিরে লিখলাম)আমি আর কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হলাম। (সময় বিকাল ৫টা)। আমার কাছে এখন আছে শুধু একটা মোবাইল,৫হাজারের মতো টাকা আর কিছুই নেই। তাই আমার শিমলার কথা মনে পরল। ওর কথা ভাবতেছি তখনই দেখি ও আমার সামনে। চোখ দুটো লাল। বোধহয় কেদেছে। কিন্তু কেন। আর কোন কথা না বলে আমি ওর কাছে গেলাম।
আমি- আমার তোমাকে কিছু বলার আছে??
শিমলা- কুত্তার বাচ্চা, না তুই পাপি তোর আব্বু তো আর পাপ করে নাই।
আমি- কি বলছ তুমি এইসব( গায়ে হাত দিয়ে)ওমনি ও আমাকে ঠাসসসস ঠাসসসস করে দুটি চর দিল।
শিমলা- আমি তোকে কত ভালোবাসতাম আর তুই কিনা এতটা নিচ।
আমি- তুমি আমার কথাটা তো শুনো।
শিমলা- চুপ। আমার শরির তো ছিল। তোর যদি এতই লোভ ছিল তাহলে আমাকে বলতি।
আমি- তুমি প্লিজ আমায় ভুল বুঝ না।
শিমলা- ভুল তো তোকে আমি আগে বুঝেছি। যা আমার সামনে থেকে চলে যা। আর কোন দিন আসবি না??
আমি- যাচ্ছি তবে মনে রেখ আমি কোন ভুল করি নাই। আর যেইদিন তুমি তোমার ভুল বুঝতে পারবে সেইদিন অনেক দেরি হয়ে যাবে।
আমি- মনে রেখ কথা গুলো। আমি তোমার কাছ থেকে এটা আশা করি নাই। যাবার আগে শুধু একটা কথা বলব I love u…. নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি তোমায়। ভালো থেকো। আলবিদা ???
শিমলা- ???
আমি আর কিছু না বলে চলে আসি। পিছনে ফিরে আর তাকাই নি। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে হাটতেছি। রাত হয়ে গেছে। তাই একটা বাসএস্টান্ডে বসে পরলাম আর ভাবতে থাকলাম———-
(আমি কি সেই শ্রাবণ যে কিনা আম্মু ছারা কিছু বুঝত না। আর আজ সেই আমি আম্মুর কাছ থেকে চির বিদায় পেলাম। যে শিমলা যাকে কিনা আমি আমার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসতাম। আর আজ সেই শিমলা। না আমারই ভুল। যে আম্মু,আব্বু,ভাইয়া আমায় ভুল বুঝে আর কোথায় শিমলা। এই সকল কিছু ভাবতে ভাবতে রাত ১ টার বেশি বেজে গেল। ( আপনারা হয়তো ভাবছেন এইটুকে কথায় রাত ১ টা বেজে গেল। আরে এইরকম অনেক কথা চিন্তা করছি তাই। যেগুলা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়) এইবার আসুন বাস্তবে——-
এরপর তো আপনারা সব জানেন।
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১ টা বেজে ৪৬ মিনিট। কি করব কিছুই বুজতেছি না। আপনারা হয়তো কিছুই বুজতেছি না। ঠিক তখনই………
ঠিক তখনই এক লোক এসে জিজ্ঞেস করল —–
লোকটি- বাবা তোমায় সেই সন্ধ্যা থেকে দেখতেছি এখানে বসে আছ। কোন সমস্যায় পরেছ??
আমি- হ্যা আংকেল। আমি বাস মিস করছি। আর কোন কিছু চিনি না। যাবার কোন জায়গা নেই তাই বসে আছি। ( মিথ্যা বললাম। কারন আমার আজ রাতটার জন্য হলেও একটা বাসস্থান দরকার)
লোকটি- (কিছু সময় ভেবে) বাবা তুমি আমার সাথে আস।
আমি- না আংকেল শুধু শুধু আপনি কেন আমার জন্য কষ্ট করবেন। ( একজন বললেই তো আর যাওয়া যায় না,, তাই একটু না করে দেখি)
লোকটি- বাবা তুমি আমার ছেলের মতো। তুমি আস আমার কোন সমস্যা হবে না। আমার এখানে একটা চায়ের দোকান আছে। সেখানে আমি থাকি।
তুমিও থাকতে পারবে কোন সমস্যা
হবে না।
আমি- আংকেল আপনাকে যে কি করে ধন্যবাদ দিব বুঝে পাচ্ছি না।
লোকটি- বাবা ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই। তুমি আস অনেক রাত হয়ে গেছে।
আমি- ওকে আংকেল চলুন।
দোকানে গিয়ে দেখি ছোটখাটো একটা টং দোকান। তবে ভিতরে দুইজন থাকা যাবে। আমি ভাবতে লাগলাম যে আমি এসি রুম ছারা ঘুমাই নাই। আর আজ সেই আমি কিনা। আসলে পরিস্থিতি মানুষকে সব শিখিয়ে দেয়।
আমি আংকেল কে জিজ্ঞেস করলাম
আমি- আংকেল আপনার ছেলে মেয়ে নেই??
আংকেল(লোকটি)- ছিল বাবা।
আমি- তারা কোথায়??
আংকেল- তারা সকলে আমায় রেখে উপরে চলে গেছে একটা রোড এক্সিডেন্টে।
আমি- সরি আংকেল। আমি বুঝতে পারি নি।
আংকেল- কোন ব্যাপার না।
আমি- আংকেল কাল ঢাকার বাস কয়টায়???
আংকেল- সকাল ৮ টায়।
আমি- টিকিট কত করে.???
আংকেল- ৫০০ টাকা।
আমি- ওকে আংকেল আপনি ঘুমান।
অনেক রাত হয়েছে। এরপর আমিও কিছু
কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে
পরলাম।
সকালবেলা আমার আগে ঘুম ভেঙে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে তাই না। যে আমি ৯ টা ১০ টা ছারা ঘুম থেকে
ঊঠতাম না। আর আজ
এত সকালে উঠে গেলাম কিভাবে। কারন মনে এত চিন্তা থাকলে আর ঘুম কি করে হবে। এরপর থেকে হয়তো আমাকে আর সকালে উঠতে হবে। কারন আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে সবাইকে। জানি সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু স্বপ্ন নিয়েই বেচে থাকে মানুষ।
এইসব ভাবতে ভাবতে বাইরে গিয়ে
টিউবওয়েল এর পানি দিয়ে
ফ্রেশ হয়ে আসলাম। এসে আংকেল এর দোকান থেকে এককাপ চা আর বিষ্কুট খেলাম। আংকেলকে অনেক বলে টাকাটা দিলাম। এরপর টিকিট কেটে ফেললাম। এরপর ফোন দিলাম বাপ্পি কে। স্কুল ফ্রেন্ড।
ও এখন ঢাকা থেকে লেখাপড়া করে। একটা দোকানে কাজ করে শুনেছিলাম। তাই ওকে কল দিলাম।
কিছুক্ষণ পরে রিং হয়ে রিসিব করে বলল ———
বাপ্পি- কি হারামি,,, কি খবর তোর??
আমি- বন্ধু খবর ভালো না।
বাপ্পি- কি হয়েছে বল??
আমি- দোস্ত তোকে একটা বিপদে পরে ফোন দিছি।
বাপ্পি- হুম বল
আমি- আমাকে বারি থেকে বের করে দিছে।
বাপ্পি- কেন?? কি করছিস। মেয়ে কেচ নাকি??
আমি- আমি সিরিয়াস
বাপ্পি- ভাই কি বলিস। আন্টি(আম্মু) কিছু বলে নাই??
আমি- দোস্ত ফোনে টাকা নাই। তোকে পরে বলবানি। তার আগে বল
তোর কাছে কি আমায় কিছুদিন থাকতে দিতে পারিস??
বাপ্পি- দোস্ত তুই এইভাবে বলিস কেন। আমি কি তোর পর কেউ? আমি তোর ভাই। ভাই হয়ে ভাইকে যদি সাহায্য না করি তো কিসের
ভাই আমি???
আমি- ভাই???
বাপ্পি- কাদিস না দোস্ত। টিকিট কাটছিস??
আমি- হুম। ৮ টায় রওনা দিব। বিকাল ৪ টার দিকে পৌছাব।
বাপ্পি- হুম ভাই। তুই আয় আমি বাসস্ট্যান্ডে তোর জন্য অপেক্ষা করবানি।
আমি- ওকে বায়।
বাপ্পি- ভালোভাবে আসিস কেমন। বায়।
এরপর ফোন কেটে
দিলাম। এখনো অনেক কাজ আছে। তাই একটা সিমের দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে নতুন একটা সিম কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে। এরপর পুরান সিমটা
খুলে ভাংতে যাব তখন
বাসার কথা মনে পরল যে কেউ
একবারও ফোন দিল না।
কোথায় আছি? কিভাবে
আছি?
আর কিছু না ভেবে সিমটা ভেঙে ফেলে দিলাম।
এরপর নতুন সিম ফোনে ভরে আমার সকল বন্ধুদেরকে জানিয়ে দিলাম যে আমি ঢাকা যাব বাপ্পির কাছে৷ সবাই ভুল বুজলেও ওরা কেউ আমায় ভুল বুঝে নাই। সবাই জানে আমি ফাজিল হলেও এতটা নিচু না যে কোন মেয়ের লাইফ শেষ করে দিব। তাই সকলে বলে বন্ধু ছারা লাইফ ইম্পসিবল। আমি আজ বুঝলাম। আর সকলকে বলে দিলাম কেউ আমার খোজ
করলে যেন ওরা কিছু
না বলে। এরপর হিসাব করতে লাগলাম আমার কাছে আর মাত্র ৪,১৫০ টাকা আছে। এবং আমার আরেকটি কথা মনে পরে গেল যে আমার
বিকাশ একাউন্টে
১৫ হাজার টাকা আছে। আমি
ভাবলাম সময় অসময় লাগতে পারে
তাই আর উঠালাম না।
মোবাইলে তাকিয়ে দেখি ৭ টা বেজে গেছে। তাই আমি দ্রুত করে আমার সেই চিরচেনা কলেজে গেলাম। আর কলেজটা এখান থেকে কাছে। কলেজের গেট দিয়ে ঢুকার সময় সকলে আমার দিকে কেমন ভাবে তাকাছিল। মানে কিছু স্টুডেন্ট সকালে কসিং করে তারা। আমরা বুঝতে বাকি রইল না। যে সবাই জেনে গেছে। কারন আব্বু একজন ভালো ব্যবসায়ী তাই। আমি আর কিছু না ভেবে সোজা প্রিন্সিপাল এর রুমে গেলাম।
আমি পারমিশন নিয়ে
ভিতরে গিয়ে টিছি চাইলাম স্যারের কাছে।
স্যার- টিছি তো তোমায় আমি এমনিই দিতাম। তার আগে তোমায় আমি কিছু কথা বলতে চাই।
আমি- জ্বী স্যার বলেন।
স্যার- আমি আগে থেকেই জানতাম
তুমি একটা বাজে ছেলে।
কিন্তু তুমি যে এতটা নিচ তা আমি
জানতাম না।
তোমার লেখাপড়া আমি
চিরদিনের জন্য শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু তা আমি করি নাই। কারন তুমি শুধুমাত্র শফিক সাহেবের(আব্বু) ছেলে দেখে তোমায় আমি মাপ করে দিলাম। এই নাও তোমার টিছি।
আমি- স্যার ধন্যবাদ। আমি আপনারা কথা কোন দিন ভুলব না। পারলে মাপ করে দিয়েন। বলেই
বের হয়ে আসলাম মুখ লুকিয়ে।
বাস ছারতে আরমাত্র ২ মিনিট বাকি। আমি বাসে বসে রয়েছি আর ভাবতেছি আর মাত্র কিছু সময় পরে রওনা দিব অচেনা শহরের দিকে।
যেখানে আমায় কেউ চিনবে না।
থাকবে না শিমলার মতো বিশ্বাসঘাতক
থাকবে না মিমের মত বেইমান।
এই সব ভাবতে ভাবতে বাস
ছেরে দিল। এরপর…..

চলবে..?????.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে