“গানের ওপারে তুমি”
পর্ব- ১৪
(নূর নাফিসা)
.
.
“কি বলবে তুমি? ওটা ইয়ানাত না, আর তুমি ইয়ানাত? এটাই বলতে চাও?”
বিস্ময়করভাবে চোখ তুলে মিহিরের দিকে তাকায় রিপ্তি। সে তো সবই জানে! তবে এতো কিছু কি…! সকল বিস্ময় জমেছে তার চোখের ভেজা রাশিতে। মিহির যেন ক্রোধে ফেটে যাচ্ছে ওদিকে। শক্ত গলায় বলে,
“আমাকে কি ভাবো তুমি? খেলার পুতুল? জোকার? ফান করার মতো কোনো ম্যাটারিয়াল?”
মিহিরের ক্ষোভের স্পষ্টতা উপলব্ধিতে ধাক্কা খেতেই রিপ্তির কান্না পাচ্ছে ভীষণ। লোকটাকে বোধহয় বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলেছে এভাবে! ওই শক্ত কথার পিঠে ঠোঁট কামড়ে মাথা নাড়ে রিপ্তি৷ সে তেমন কিছুই ভাবে না তাকে। মিহির কয়েক কদম সামনে এসে দাঁড়ায়। গলার স্বর আরও নিচু করে৷ কণ্ঠ বড়ই কঠিন! হৃদয়ের কষ্ট যেন কণ্ঠে প্রকাশ পাচ্ছে কঠিনতরভাবে!
“নতুন করে কি জানাতে চাও, বলো না কেন? জানাও, আমি প্রস্তুত সব শুনতে। জানাও আমাকে, তুমিই ইয়ানাত। জানাও আমাকে, সেদিন হারিয়ে যাওয়ার তামাশা করে এরপর রিপ্তি সেজে মজা নিতে এসেছো আমার জীবনে। জানাও, তুমিই ঘরে নাট্যমঞ্চ তৈরি করে আবার বাইরে থেকে এতো বড় কেক পাঠিয়ে সারপ্রাইজ করতে চেয়েছো বার্থডে তে। কি? অস্বীকার করবে? ওই ফোনে রিপ্তির আইডি থেকে দেওয়া কেকের অর্ডার মিথ্যে? আমি বুঝি না? বুঝি না কোনো আনাড়ি হাতের গিটার ধরা এবং দক্ষ হাতের গিটার ধরার পার্থক্য? আনতে পারি না সন্দেহ? বুঝি না প্রতিনিয়ত আমার কানের কাছে বাজতে থাকা কণ্ঠের মিল? মেলাতে পারি না ওই হাতের আকৃতি? এতো যাচাই আমাকে কেন করতে হলো, বলো তো?”
রিপ্তি কান্নাজড়িত গলায় বললো,
“ভুল বুঝছো আমাকে। আমি বলেই দিতাম শীঘ্রই। তোমার বার্থডেতেই বলবো ভেবে রেখেছিলাম। এরইমধ্যে ইয়ানাতের নতুন নিউজ নিয়ে তুমি চলে আসো। গোলযোগে পড়ে যাই আমি। সুযোগই পেলাম না বলতে।”
“সুযোগ? সুযোগ খুঁজছিলে? তুমি আজ নতুন এসেছো তো আমার ঘরে। তাই না? এতোদিনেও তোমার সুযোগ হয়নি বলার? জীবনের তুচ্ছতা তোমার কাছে কিছুই না। সেখানে বার্থডে চমকিত করতে ইয়ানাত সামনে নিয়ে আসার কথা ভেবেছো তুমি? দারুণ!”
ওই হৃদয়ের ব্যাথা নিংড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টায় রিপ্তির ভেজা গলায় উচ্চারিত হয়,
“স্যরি!”
“স্যরি কেন? বার্থডে ছাড়াই আজও খুব সারপ্রাইজড তো আমি। সুপারহিট সারপ্রাইজ! এমন সারপ্রাইজড আমি আর কখনোই হইনি। ট্রাস্ট মি সিরিয়াসলি! তোমার মতো অভিনেত্রী দুয়েকটা খুঁজে পাওয়া মুশকিল!”
“ভীষণ রাগ হচ্ছে না আমার উপর? একটু এক্সপ্ল্যানেইশনের সুযোগ দিবে আমাকে?”
“এসব ঢং বাদ দাও। আর মানাচ্ছে না।”
“মিহির, এটাই আমি। রিপ্তিটাই প্রকৃত আমি। ইয়ানাত কিছুই না। একটা ছদ্মরূপ মাত্র।”
“আমার কাছে কেউই এখন কিছুই না। আমি নিজেকেই তো মানুষ বলে আখ্যায়িত করতে পারছি না!”
রিপ্তি অনুনয়ের গলায় কৈফিয়ত দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠলো তবুও।
“প্লিজ। অনলাইনে কি অফলাইনের চিত্রটা ভেসে আসে ঠিকঠাক? আমি তো চাইলেই পারতাম তোমার অনুভূতির গানে সাড়া দিতে। কিন্তু আমার আচার-আচরণ, রূপ সম্পর্কে কি তুমি অবগত ছিলে? একটু হেল্প করার সুবাদেই একটা অনুভূতি হয়তো জেগেছিলো আমাদের মধ্যকার সম্পর্কে। এর বাইরে তো তুমি আমাকে চিনোনি। হ্যাঁ, আমি সেই সুযোগটাও দেইনি। কারণ তুমি পছন্দের সূত্রটা কৃতজ্ঞতা থেকে টেনেছো। এই একটা সূত্র ধরে তো দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে পারি না আমি। তুমি কি একবারও ভাবতে পেরেছিলে, সবে স্কুল শেষ করা একটা মেয়ে তোমাকে সফলতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দিয়েছে? পারোনি ভাবতে। তোমার রিপ্লাই দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি তুমি খুব ম্যাচিউর পর্যায়ে ভেবে রেখেছো আমাকে। অথচ আমার রেগুলার এক্টিভিটি তো এমন নয়। এই মুঠোফোনের সূচকে এক প্রান্তে অবস্থান করে অপরপ্রান্তের মানুষ চেনা যায় না মিহির। চেনা যায় না মনুষ্যত্বকেও। তুমি একরকম জেনে অভ্যস্ত হয়ে অন্যরকম আমিকে দেখলে বিতৃষ্ণা এসে যাবে আমার প্রতি। বিতৃষ্ণা নিয়ে সম্পর্ক টিকবে? সেটা তো আমার প্রত্যাশিত নয়। কি দরকার ক্ষণিকের সম্পর্ক গড়ে তোলার? আমি তোমার প্রোফাইল দেখে শুরুতেই মুখটা চিনতে পেরেছি। আমাদের এলাকায়ই দেখেছি এই মুখটা। তারউপর তোমার প্রচেষ্টার দিকে লক্ষ্য করে হঠাৎই আমার গানের টিচার রশীদ স্যারকে মনে পড়লো। একটু কথা বললাম, ভালো কোনো পর্যায়ে সংযুক্ত হওয়ার উপায় নিয়ে। তিনি তো আমাকে স্বপ্ন দেখাতেন, একটু চেষ্টা করলে আমি ভালো কিছু করতে পারবো। ভালো পজিশনে যাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করে দিতে পারবেন। তোমার প্রচেষ্টা দেখে আমার একটু পাগলামো চললো স্যারের সাথে। নাছোড়বান্দা হয়ে উঠেছিলাম। স্যার তোমার অনলাইনে প্রকাশ করা রেকর্ডিং শুনে করে দিলো সেই সুযোগ। তোমার সফলতা ইয়ানাতেরও ভালো লাগলো। পড়াশোনার ভারি ব্যস্ততায় মাঝে মাঝে অনলাইনে এসে তোমার অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে, জানতে উৎসুক হতো। কিন্তু যখনই বুঝা হলো পছন্দ সম্পর্কে, বিবেক মানলো না। মনে হলো, একটা ফোনের উপর নির্ভর করে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না। একটু কৃতজ্ঞতার উপর নির্ভর করে সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না। তুমি ভেবেছো হয়তো ইয়ানাত ক্ষমতাবান বিশেষ কিছু। না, ইয়ানাতের কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে৷ তার ভেতরকার রূপটা অতি সাধারণ, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। অনলাইন কি সেসব স্পষ্ট করেছে তোমার কাছে? একদমই না। যেখানে আমার ছবি পর্যন্ত দেখতে পাওনি, সেখানে সম্পর্ক স্থাপনের কিসের এতো ইচ্ছা? চোখের দেখায় পছন্দ তো না-ও হতে পারে। তাছাড়া চেহারা দেখেও তো মানুষ চেনা যায় না। মানুষ চিনতে হয় আচারব্যবহারের ভিত্তিতে। আমার প্রকৃত ব্যক্তিত্ব তোমার পছন্দ না-ও হতে পারে। তোমার বর্তমান অবস্থা আমার পারিবারিক অবস্থার সাথে খাপ না-ও খেতে পারে। ভিত্তিহীন সম্পর্কে এগিয়ে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। তবে কেন সরিয়ে ফেলবো না ইয়ানাতকে? প্রকৃত আমিকে প্রকৃত ভাবে ধরা দিলাম তো তোমার কাছে। বিরক্ত করতে প্রায়ই ছুটে এলাম তোমার সামনে। স্থির করলাম, প্রত্যক্ষ রূপে যদি পছন্দটা গড়ে উঠে তবেই আমি তোমার হবো। আর যদি না হয়…”
কিঞ্চিৎ বিরতি নেয় রিপ্তি।
“যদি নাও হতো, তবে এইটুকু ব্যাথা নিয়ে জীবনের পছন্দটা অন্যদিকে স্থির করতাম। যেদিকে ভাগ্যটা স্থির রয়ে গেছে, সেদিকেই। সত্যি বলছি, এই রিপ্তিটাই আমি।”
মিহির কঠিন চোখে অভিমান বেঁধে রেখেই শান্ত গলায় বললো,
“আমাদের বিয়ে হয়েছে কতদিন?”
রিপ্তি অপরাধী বেশে আবারও চুপ করে রইলো। মিহির পুনরায় জানতে চায়,
“কতদিন, বলো? আগের কথা বাদই দিলাম৷ বিয়ের পরও কি ছদ্মরূপের পরিচয়টা দিতে পারলে না? ইয়ানাতের গল্প শুনালাম যে, তখনও তো বলতে পারতে। আমার আবেগের প্রতি দয়া করেই নাহয় স্বেচ্ছায় প্রকাশ করতে কিছু। তোমার এক্টিভিটিসে সন্দেহ এনে কেন যাচাইয়ে সময় নষ্ট করতে হলো আমাকে? চুপ রয়েছিলে যখন, সবদিক থেকে সারাজীবন চুপই থেকে যেতে। আমি চাইনি তো ইয়ানাত প্রকাশ হয়ে আসুক আমার সামনে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাথে সাথেই ইয়ানাতের প্রত্যাশা আমি চিরতরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। একটা নতুন সম্পর্ক গড়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকার সাধ জাগিয়েছিলাম। কি প্রয়োজন ছিলো ইয়ানাত প্রকাশ হওয়ার? প্রয়োজন থাকলে সেটা সেদিন কেন হলো না? মজা নিয়েছো আমার সাথে? এতোটাই মজার পাত্র আমি? দারুণ দারুণ কি ভয়ার্ত কান্নার নাটকও সাজিয়ে বসেছিলে উল্টো! ভুলে গেছো? ওহ্, না! তুমি ভুলবে কেন? ভুল তো আমি বুঝি। রিপ্তির বাচ্চামোপনার মায়ায় পড়েই সবচেয়ে বড় ভুলটা বুঝেছি এবং করেছি। না রিপ্তি আসতো, আর না ইয়ানাত আসে আজ আমাকে নিয়ে খেলতে।”
“আমি খেলতে চাইনি তোমায় নিয়ে৷ আর নাটক কেন হবে? মনের ভয় প্রকাশ করা নাটক হয় না। আমার সত্যিই ভয় হয় প্রিয় জিনিস হারিয়ে ফেলার। তুমি আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। ইয়ানাতের এক্সাম্পলে শুধু ইয়ানাতই নয়, হারিয়ে ফেলার ভয়ে অন্যের বিষয়টিই প্রকাশ করেছি মিহির।”
“আর কথা বলো না তুমি। যা করেছো আমার সাথে, ভালোই করেছো। সেদিনও ভালো করেছো, আজও ভালো করেছো। এতো ভালো হজম হচ্ছে না আমার। দূর হও চোখের সামনে থেকে।”
বুঝাতে ব্যর্থ হলো যেন রিপ্তি। সেদিনের প্রকাশ না করার ব্যাপারটায় অপরাধবোধ হলো বড্ড। সত্যিই এটা তার অপরাধ হয়েছে। হ্যাঁ, সে একটা বিশেষ সুযোগ খুঁজছিলো কিন্তু সেদিনও ভালো একটা সুযোগ ছিলো। আরও অনেক সুযোগই ছিলো। নিজ থেকে বলে দিলে হয়তো এই মন খারাপটা হতো না মিহিরের। কেন পারলো না সেদিন? হৃদয় থেকে ওই ভয়যুক্ত কান্নাটা এসেই যেন আরও প্রকাশের ইচ্ছেটাকে গুলিয়ে দিয়েছিলো। একটু সুবর্ণ সুযোগ খুঁজতে গিয়ে যেন আজ বড্ড বোকা বনে গেলো। কারো নুড়ি পরিমাণ কষ্টকে পাহাড়সম করে তুললো। বিবর্ণ অপরাধটুকু নিয়ে সে রুম হতে প্রস্থান করলো সাথে সাথেই। মিহিরের চোখ সম্মুখ হতে তাড়িয়ে দেওয়া হৃদয় কাঁপিয়ে তুলছে বারবার। চোখের স্রোত মানেই না আর। রুম হতে বেরিয়ে ডাইনিং টেবিলের পাশে এসে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে ছিলো মিনিট দু-তিন। ভাবনা ফেলে চেয়ারে নজর পড়তেই খেয়াল হয় সে যে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। প্লেটে চোখ পড়তেই মাথায় নাড়া দেয়, শ্বাশুড়ি মা ভাত খেতে বলেছিলেন তখনই। ফিরে এসে যদি দেখেন, ভাত খায়নি তিনিও না রেগে যান উল্টো! রুমে আর গেলো না রিপ্তি। হাতমুখ ধুয়ে নিলো বেসিনে। পুনরায় টেবিলের কাছে ফিরতেই দেখলো মেইন দরজা খুলে হনহনিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে মিহির! বেদনাক্রান্ত রিপ্তি তাকিয়ে রইলো তার যাওয়ার দিকে। ভীষণ রেগে আছেন যে তিনি! মলিন মুখে সে চেয়ারে বসে প্লেট টেনে নেয় সামনে। অল্প কিছু ভাত তুলে মুখে দেওয়ার জন্য। গলা দিয়ে নামবে তো দূর, হাতের লোকমা মুখ পর্যন্তই উঠছে না। মন ভীষণ রকমের খারাপ হলে খাওয়া হয় নাকি আবার? সাদা ভাতে কেবল নাড়াচাড়াই চলছে তার। ভাবছে মন খারাপ নিয়েই। হঠাৎ দরজা ঠেলে জিনিয়া তাবাসসুম ঘরে প্রবেশ করলেই তার ধ্যান ভাঙে।
“বসেছো মা খেতে? খাও। জিতুর মা সুন্দর একটা কাঁথা বানাচ্ছে। ওটা দেখতেই দেরি হয়ে গেলো। আজ যেন তাড়াতাড়ি ফিরলে?”
“সব ক্লাস করা হয়নি।”
“ও, আচ্ছা।”
এতোক্ষণে প্লেটে তরকারি তুলে নেয় রিপ্তি। মুখে তুলে খাবারও। জিনিয়া তাবাসসুম ওদিকে জিতুর মায়ের গুনগানই গাইছেন কিছুটা। রিপ্তির খেয়াল বসে নেই ওদিকে। যোহরের আজান পড়ছে। রিপ্তি প্লেটের ভাতটুকু শেষ করে উঠে যায়। ওযু করে নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়। তারপর আবারও বসে থাকা, মনে মালিন্যতা পোষা! ম্যাওছানা কয়েকবার এসে ঘুরে গেলো তার ধারে, একবারও আদরের হাত উঠেনি রিপ্তির। এই মনে হলো মিহির ফিরবে বাড়ি। তবে এই রুমে কি করছে সে? মিহির তো চোখের সামনে থেকেই দূর হতে বলে গেলো! রিপ্তির আবারও কান্না পেলো। ইচ্ছে করছে মায়ের কাছে গিয়ে মুছে আসুক এই মালিন্যতা। নিজেকে শান্ত করে কিছুটা সময় পর সে শ্বাশুড়ি মায়ের কাছে যায় অনুমতি পেতে।
“মা, একটু ওবাড়ি যাই? আম্মুর সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করছে খুব।”
“মুখটা এমন কেন? শরীর খারাপ লাগছে?”
“জানি না। ভালো লাগছে না।”
“নিষেধ করেছিলাম, অসুস্থ শরীরে ক্লাসে যাওয়ার দরকার নেই। শুনলে না তো কথা। বসো, মাথায় তেল দিয়ে দেই।”
“আম্মুর কাছে গিয়ে দিয়ে নিবো। যাই একটু? খুব মন খারাপ হচ্ছে আম্মুর জন্য।”
“ঠিক আছে। যাও। আমি তারিকুলকে বলে দেই, দিয়ে আসবে।”
“এইটুকুর জন্য গাড়ি বের করতে হবে না। রিকশা নিয়েই চলে যাই।”
“সাবধানে উঠো। আর গেলে তাড়াতাড়ি যাও। আবার না বৃষ্টি নেমে যায়।”
“হুম।”
রিপ্তি তৈরি হয়ে গেলে জিনিয়া তাবাসসুম রাস্তা পর্যন্ত এলেন এগিয়ে দিতে। ড্রাইভারকে বললে তিনিই রিকশা ডেকে দিলেন। রিপ্তিকে তুলে দিয়েই ফিরেছেন ঘরে।
চলবে