গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৯:-শেষ)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
রেল গাড়িটা চলছে তার নিজ গতিতে আমি বাহিরের দৃশ্য গুলো দেখছি। ভালোই লাগছে মীমের কথা আজ খুব মনে পড়ছে মীমকে বাইকে নিয়া যাইতে ভালোই লাগতো। আজ তো মীমের বিয়ে হবার কথা মনে হয় এতক্ষনে হয়ে গেছে। মীম রাসেলের সাথে অনেক সূখে থাকবে। কথা গুলো ভাবতেছি আর বুকের বাম পাশে কেমন একটা ব্যথা অনুবব করতে লাগলাম।
যা হওয়ার ছিলো তাই হচ্ছে তাতে কষ্ট পাওয়ার কি আছে? নিজেকে নিজে বললাম আজ মোবাইলের আগের সিমটা ভেঙ্গে ফেলছি। এইটা একে বারে নতুন নাম্বার শুধু আম্মুকে আর আপুকে নাম্বারটা দিয়েছি। একটু ঘুম পাচ্ছে আর কখন ঘুমিয়ে পরলাম ট্রেনের সিটে বসে ঠিক মনে নাই। রাতে ওঠছি ট্রেনে আর এখন সকাল হয়ে গেছে, যাক চট্রগ্রাম আসলাম এসে আমার এক চাচার বাসায় উঠলাম। আজ আমি ওনাদের বাসায় উঠছি আগের চাকরিটা ছেরে দিয়েছি অনেক দিন আগে।
চাচা চাচি আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়ছে ওনাদের সাথে কথা বললাম। তারপর চাচা আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেলো। দুপুরে একটা কম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়ে আসলাম। এখানের পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। অবশেষে চাকরিটা পেয়ে গেলাম দেখতে দেখতে আজ দুইটা মাস পেরিয়ে গেছে। এখন আর আগের মত মীমকে মনে পড়েনা। কাজে নিজেকে অনেকটা ব্যস্থ রাখার চেষ্টা করি। কারন অবসর থাকলে মীমের কথা মনে পড়ে। এভাবে এক বছর পেরিয়ে গেছে মীমের কথা এখন আর মনে পড়েনা। আর শ্যালো তো এখন বিয়ে করেছে এক ডাক্তারকে শ্যালো অনেক সূখে আছে ডাক্তার আঙ্কেলের কাছে জানতে পারছি।তবে এখন আমি ঠিক আগের মত হয়ে গেছি আজ আম্মু কল করছে রিসিব করে জিগেস করেছি আম্মু কেমন আছেন?
আম্মু: ভালো তবে তুকে বাড়ীতে আসতে হবে?
আমি: কেনো কি হয়ছে?
আম্মু: আমি তোর জন্য বিয়ে ঠিক করছি আগামী মাসের ১৫ তারিখে। আর তুই যদি রাজি না হস তাহলে আমি তোর সাথে আর কোনদিন কথা বলবোনা।
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে।
আম্মু: তোর ডির্ভোস হয়ছে প্রাই দের বছর হয়ে গেছে। তাহলে কেনো তুই কষ্ট করবি? আর শুন আসার আগে তোর আপুকে নিয়ে আছিস ঢাকা থেকে এক সাথে বাড়ীতে?
আমি: আচ্ছা নিয়া আসবো?
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে পরছে। অফিস থেকে ছুটি নিয়লাম ১৫ দিনের বিয়ের কথা বলে। রাতের ট্রেনে ঢাকা আসলাম আজ দের বছর পর ঢাকাতে পা রাখলাম। তখনি মীমের কথা মনে পড়ে গেলো। আপুর বাসায় অাসলাম এসে এক ঘুম। রাতের ঘুমটা পুশিয়ে নিলাম বিকালে আপু বলছে,,,
আপু: সৌরভ চল তোর বিয়ের কেনা কাটা এখান থেকে করে নেই?
আমি: হ্যা চলেন করে নেই। আমরা মার্কেটে আসলাম মেয়েদের এত কিছু লাগে। ওরা এতো কিছু ব্যবহার করে কিভাবে?
আপু: আমি কিন্তু একটা মেয়ে।
আমি: সরি আপু।
আপু: ঠিক আছে যা তোর কি লাগবে তুই কিনে নে? আমি এদিকে কিনতেছি।
আমি: অাচ্ছা বের হয়ে আসলাম। যখনি ছেলেদের শপিংয়ে ঢুকবো, তখনি দেখি মীম একটা বাচ্ছা কোলে নিয়া দাড়িয়ে আছে। কিন্তু এই মীম আর আগের মীমের মধ্যে আকাশ পাতাল বেশকম হবে আমার মনে হয়।
একবার মীমের সাথে দেখা করবো নাকি? তখনি থাপ্পড়টার কথা মনে পড়ে গেলো। থাক দরকার নাই মনে হয় মীমের একটা বাচ্চা হয়ছে। হঠাত মীমের চোখে আমার চোখ পড়ে গেলো। আমি সাথে সাথে চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেলছি। আর ঐখান থেকে চলে আসতেছি তখনি,,,
মীম: সৌরভ এই সৌরভ শুনো একটু দ্বাড়াও প্লিজ।
আমি: মীমের দিকে না তাকিয়ে সোজা হাটতেছি তখনি, মীম আমার সামনে এসে দাড়ালো।
মীম: কি হলো ডাকতেছি যে তোমাকে শুনতে পাওনি?
আমি:- আপনি কে আর আমার নাম জানলেন কি করে?
মীম:- সৌরভ তুমি আমাকে চিন্তে পারছোনা আমি তোমার বউ মীম ইশরাক। সৌরভ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে প্লিজ আমার কথাটা শুনবে?
আমি:- সরি মিস আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে আমি একজন রাস্তার ছেলে আর রাস্তার ছেলের সাথে আপনাদের মত মানুষের কোনো কথা থাকতে পারেনা। দেখি সরেন আমার বিয়ের কেনা কাটা করতে হবে এমিতেই আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
মীম:- সৌরভ তুমি এতটা বদলে গেছো আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা তুমি আমাকে চিন্তে পারোনি।
আমি:- দেখুন আমাকে যেতে দিন আপু যদি আপনার সাথে আমাকে দেখে তাহলে আপু আম্মুকে বলে দিবে আর আম্মু অনেক কষ্ট পাবে। মীমকে রেখে আমি শপিংয়ে চলে গেছি মীম দাঁড়িয়ে আছে আমি কিছু কেনা কাটা করে বের হবো দেখি মীম বাচ্ছা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে চলে আসতেছি তখনি মীম আবার ডাকতে শুরু করেছে,,,
মীম: সৌরভ এই সৌরভ প্লিজ এমন ভাবে চলে যেয়োনা আমি মরে যাবো প্লিজ আমার কথাটা শুনো। (মীমের মরে যাওয়ার কথাটা শুনে থমকে গেলাম পা গুলা চলা বন্ধ হয়ে গেছে নিজের মাঝে কেমন একটা কাজ করতে লাগলো। একটু দাঁড়িয়েছি মীম দৌরে এসেছে সামনে কোলে বাচ্ছাটা এখনো কোলে আছে) এই তোমাকে ডাকতেছি তুমি শুনছোনা?
আমি: না শুনতে পায়নি।
মীম: কেনো তুমি বইরা হয়ে গেলে নাকী?
আমি: বলো কেনো ডাকছো কি কথা বলবে?
মীম: কেমন আছো?
আমি: হ্যা অনেক ভালো অাছি। তুমি কেমন আছো?
মীম: ভালো, তোমার বউ কোথায়?
আমি: মানে বউ পাবো কোথায় আর আমি নতুন বিয়ে করিনি এখনো। তবে ১৫ তারিখে আমার বিয়ে গ্রামের একটা মেয়ের সাথে।
মীম: কেনো শ্যালোকে বিয়ে করোনি?
আমি: না শ্যালো অন্য যায়গায় বিয়ে হয়ছে।
মীম: কেনো তোমাকে বিয়ে করেনি কেনো?
আমি: বাদ দাও আমার কথা এখন বলো রাসেল কেমন আছে? তোমাদের সংসার কেমন চলছে?
মীম: হ্যা খুব ভালো চলছে (তখনি মীম ভির ভির করে কি যেনো বলছে মনে মনে। কিন্তু আমি কিছু জিজ্ঞেসা করিনি।)
আমি: তোমার মেয়ে এইটা নামকি ওর?
মীম: (আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে) ও আমার মেয়ে নয়।
আমি: মানে তাহলে মেয়েটা কার? তখনি একজন মহিলা বলে আমার মেয়ে আমি ওনার কোলে দিয়ে উয়াশ রুমে গেছিলাম সরি মীম। মহিলা বাচ্ছটা কোলে নিয়ে বলে,,,
মহিলা: মীম তোর বরটা অনেক সুন্দর আছে একদম রাজপুত্রের মত। তোর সাথে একদম মানিয়েছে তোদের দুজনকে।
আমি:- আপনার ভুল হয়ছে আমি মীমের বর নয় মীমের বর অন্য কেও আর আগামী ১৫ তারিখ আমার বিয়ে। তখনি মীম চেহারাটা কালো করে নিয়ে বলে,,,
মীম: ঠিক আছে এখন আপনি যান আর সৌরভ তোমাকে একটা কথা বলবো?
আমি: বলো কি কথা?
মীম: আমাকে একটু বাড়ীতে দিয়ে আসবে? আজও একা একা রাস্তায় চলা চল করতে বা কোথাও যায়তে অনেক ভয় পায়। যদি আবার এক্সিডেন্ট করি তাহলে তো মরে যাবো।
আমি: এত মরে যাবো মরে যাবো বলো কেনো? আর তোমার বর রাসেলকে কল করো ও এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।
মীম: রাসেলের কাছে এতো সময় নেই যে আমাকে এসে নিয়া যাবে প্লিজ তুমি একটু আমায় বাসায় ছেরে দাওনা।
আমি: তোমাকে আমি বাসায় নিয়ে যাবো আমার পক্ষে সম্ভব না তুমি গাড়ি আনোনি?
মীম:- আনছিলাম কিন্তু আম্মু ফোন করে ডাইভারকে গাড়ি নিয়ে যেতে বলছে প্লিজ তুমি আমাকে একটু বাড়ীতে নামিয়ে দাও।
আমি:- সরি মীম আমি আর তোমাদের বাড়ীতে যেতে পারবেনা তোমার বাবা মা আমার বাবা মাকে অনেক অপমান করছে আমার পক্ষে সম্ভব না প্লিজ তুমি একা চলে যাও।
মীম:- যদি তুমি না নিয়ে যাও তাহলে বুঝবো তুমি আমাকে এখনো ভালোবাসো আর আমাকে বউ হিসাবে মানো।
আমি: তোমাকে তো ভালোবাসিনা ঠিক আছে চলো তোমাকে বাড়ীতে নামিয়ে দিবো। তবে আমি আপুকে বলি যদি রাজি হয় তাহলে আমি তোমাকে নিয়ে যাবো। তারপর আমি আপুকে গিয়ে বলি। আর আপু এক কথায় রাজি হয়ে গেলো। আর বলছে,,,
আপু: আমি পরে বাসায় আসবো তুই চলে যাস?
আমি: ঠিক আছে, বলে চলে আসলাম মীমের কাছে। তারপর মীমকে বললাম। চলো মীম তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি?
মীম: জানো সৌরভ তুমি ঠিক আগের মত আছো আমি কিছু বললে না করোনা।
আমি: তুমি একটু বদলে গেছো আর কথা এখন অনেকটা গুচিয়ে বলো একটা রিক্সসা করে মীমকে নিয়ে আসতেছি। একটু পর পর মীম আমাকে দেখছে।
মীম: আচ্ছা সৌরভ এখন কি আমার কথা মনে তোমার পড়েনা?
আমি: না এখন আর মনে পড়েনা।
মীম: আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ছিলাম তাইনা সৌরভ?
আমি: না এইটা আমার ভাগ্যতে ছিলো। আর এখন বাদ দাও এসব কথা তোমাদের বাড়ীর সামনে চলে আসছি তুমি যাও।
মীম: শেষ বারের মত একটা কথা বলবো রাখবে?
আমি: কি কথা বলো?
মীম: একবার আমাকে জড়িয়ে ধরবে প্লিজ শুধু একবার জড়িয়ে ধরতে দাও।
আমি: তুমি রাস্তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে চাও কেনো?
মীম: এমন করে বলোনা প্লিজ একবার জড়িয়ে ধরতে দাও এই বলে আমাকে জড়িয়ে ধরছে মীম।
আমি: কি করছো মীম কেও দেখলে অনেক খারাপ বলবে আর রাসেল জানতে পারলে তোমাকে ভুল বুঝবে?
মীম: আমি আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরছি তাতে কার কি?
আমি: কি জাতা বলছো আমি তোমার স্বামী হবো কেনো তোমার স্বামী তো রাসেল আমাকে তো ডির্ভোস দিয়ে দিয়েছো?
মীম:- রাসেল আমার স্বামী হতে যাবে কেনো আমি তো রাসেলকে বিয়ে করিনি আর তোমাকে ডির্ভোস দেয়নি।
আমি:- মানে?
মীম: মানে আমি যা বলছি তাই তুমি কি ভাবছো আমি কিছু জানতে পারবোনা? শ্যালো আমাকে সব বলে দিয়েছে তুমি আমাকে এতো ভালোবাসলে আর একবার বলতে পারোনি?
আমি: কি বলছো আর শুনো তোমাকে আমি ভালোবাসিনা। আর শ্যালো তোমাকে কি বলছে?
মীম: তুমি আমাকে চোখ দিয়েছো এইটা বলে দিয়েছে। আর তুমি আমাকে ভালোবাসো জানো সৌরভ আমি তোমাকে কত যায়গায় খুজেছি কিন্ত কোথাও কোনো খুজ পাইনি। তারপর তোমার আম্মুর কাছে প্রতিদিন কল করতাম তোমার নাম্বারটার জন্য। কিন্তু দেইনি বরং অনেক কথা শুনিয়ে দিতো। আর তোমার নাম্বারটা বন্ধ ছিলো দিনে হাজার বার ট্রায় করতাম। যদি একবার তোমার নাম্বারটা খুলা পায়। কিন্তু পাইনি এখন যদি তুমি আমাকে তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দাও। তাহলে আমি মরে যাবো। আমাকে আর একবার সুযোগ দাও। তুমি আমাকে ভালোবাসতে হবেনা তুমি আমাকে তোমার সাথে একখাঠে থাকতে দিয়ো তাহলে হবে। আর তোমার কোলবালিশ করে রাখলে চলবে।
আমি: এখন ছারো আমাকে আমার কেমন জানি লাগছে।
মীম: লাগুক ছারবোনা আগে বলো তুমি আমাকে তোমার কোলবালিশ করে রাখবে?
আমি: না রাখবো না।
মীম: তাহলে আমিও ছারবোনা।
আমি: ঠিক আছে আগে ছারো আর তুমি তো আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দিয়েছো?
মীম: আমি কখন তোমাকে ডির্ভোস দিলাম?
আমি: তাহলে রাসেলকে বিয়ে করতে গেছিলে কি করে? আর তা না হলে তোমার আম্মু আমার আম্মুকে ফোন করে বলছে কেনো যে আমাদের ডির্ভোস হয়ে গেছে।
মীম: আমি ভাবছি তুমি সাইন করে দিয়েছিলে। কিন্তু শ্যালো যখন আমাকে এই কথা গুলো বলছে তখন আমি কাগজ গুলে বের করে দেখি তুমি সাইন করোনি। তখনি আমার মনে হলো এইটা আমি কি করলাম। তারপর মনে হলো তুমি আমাকে অনেকটা লাভ করো। আর একদিন তুমি আমার জীবনে ফিরে আসবে। আর দেখো তা আজ সত্যি হলো তুমি আমার কাছে এসেছো।
আমি: কিন্তু আম্মু আমার জন্য গ্রামে বিয়ে ঠিক করে রাখছে। যদি আমি ঐ বিয়েটা না করি তাহলে আম্মু গ্রামের মাঝে অসম্মানিত হবে। আর আমি আমার মা বাবাকে অসম্মানিত হতে দিতে পারবোনা।
মীম: ঠিক আছে তুমি তোমার আম্মুর পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করো। তবে তোমার মা যাকে পছন্দ করছে তাকে জীবনে মেনে নিবে কিন্তু।
আমি: হ্যা নেবো। ঠিক আছে তুমি বাসার ভীতরে যাও। আর তখনি দেখি মীমদের বাসা থেকে আব্বু আম্মু আর শ্বশুর শ্বাশুরি সবাই বের হচ্ছে। আর সবাই আমাদের দিকে এগিয়ে আসতেছে আর হাসতেছে।
আম্মু: সৌরভ তুই মনে করেছিস তুই চালাক।
আমি: কি চালাকি করলাম?
আম্মু: হয়ছে এখন। তবে মীমকে তুই তোর জীবনে মেনে নে বাবা আর আমি চাই মীমকে তুই তোর বউ হিসাবে মেনে নে।
আমি: সবাই ইচ্ছে করে আমাকে ঢাকা আনছো?
আম্মু: হ্যা মীমের আম্মু আমাকে সবকিছু বলছে তারপর আমি চিন্তা করে দেখলাম যে তুই মীমকে অনেক ভালোবাসিস তাই তুকে ঢাকা আসতে বলছি আর মীমকে ঐ মার্কেটে পাঠায়ছি।
আমি: কিন্তু আম্মু মীম যদি আবার আমার সাথে এমন করে আর তোমাদের সাথে থাকতে না চাই তখন কি করবো?
মীম:- কি করবো আমি তোমাকে খুন করবো আমাকে ডির্ভোস দিবে?
আমি: দেখছেন আপনাদের সামনে মীম কেমন করে তখনি মীম আমাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে বলে
মীম: আমি তেমার বউ হয়ে না তোমার জীবন সাথী হিসাবে সারাক্ষন তোমার আশে পাশে থাকবো। তুমি যা বলবে আমি তাই করবো তাও আমাকে তোমার বুকে একটু যায়গা দাও প্লিজ।
আম্মু: সৌরভ মীমকে আরেকটা সুযোগ দিয়ে দে দেখবি মীম তুকে এখন অনেক সূখে রাখবে।
আমি: ঠিক আছে তখনি সবাই খুশি হয়েছে সকাল গরিয়ে সন্ধা হয়ে গেছে আমি আর মীম ছাদে দুজনে বসে গল্প করতেছি আমি মীমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি রাত প্রায় ১১টা বাজে এমনি আপু এসে বলে,,,
আপু: সৌরভ তোদের নিছে ডাকছে চল আপুর সাথে মীম সহ নিছে এসেছি এমনি আপু আমাদের নিয়ে রুমে ঢুকিয়ে বাহির দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে,,
আমি: আরে আপু দরজা বন্ধ করিস কেনো? কোনো কথা নেই আপু তো চলে গেছে তখনি মীম আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,
মীম: আজ কথা কম হবে কাজ বেশি হবে।
আমি: মানে কি কাজ করতে হবে?
মীম: কিছুনা বলে আমাকে কিস করে দিয়েছে।
আমি: আমাকে টাচ্ করবেনা খুন করে ফেলবো?
মীম: কি আমার কথা আমাকে বলছো? দেখাচ্ছি তোমায় এই বলে আমার বুকের উপর জাপিয়ে পরলো।
অবশেষে আমাদের দুজনের ভালোবাসার পূর্ণতা পেলো। তবে এখন মীম আমাকে নিজের চেয়ে বেশি কেয়ার করে। আর রোজ ওকে বাইকে করে ওর কলেজে নিয়ে যেতে হয়। আর আমি অফিসে বা কোথাও থাকলে পাঁচ মিনিট পর পর কল করতে থাকে। দেখতে দেখতে মীম মা হতে চলছে। এখন ওকে আমি নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দেয়। আর আমি ওর অনেক কেয়ার করি, ওকে অনেক সময় দেয়। ওর সাথে দুষ্টমি করি, আর মীম আমাকে একটু চোখের আরাল হতে দেয়না। আমাদের সূখের সংসার সুন্দর ভাবে চলছে। তবে শ্যালোর সাথে একবার দেখা হয়ছিল শ্যালো এখন অনেক ভালোই আছে। কিন্তু রাসেলের খবর আর জানিনা। আর জানতেও চাইনা, মীম আমাকে এখন এতটা কেয়ার করে। ওতটা আমিও ওকে করতে পারিনা। এভাবে আমাদের ভালোবাসা চলছে আমাদের দুজনের সংসার। তবে মীম এখন আগের মত ঝগড়া করেনা খুব ভালোবাসে। দেখতে দেখতে আজ আমাদের একটা কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে দেখতে ঠিক আমার মত হয়েছে। আমি মীম আর আমাদের মেয়েকে নিয়ে এখন সুন্দর আর সূখে চলছে আমাদের সংসার।
!!
গল্পটা কেমন হয়ছে সবাই একটু জানাবেন। আগামীকাল থেকে নতুন কোনো গল্প নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে এতদিন আমার জন্য সবাই দুয়া করবেন আর আপনাদের সবাইকে আল্লাহ তালা অনেক ভালো রাখুক আমিন।
………………………………সমাপ্ত………………………………..
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.
Kub sundor hoyeche golpo ta.onk smy valobashar manus k kache pete hle tar kach teke dure jete hoy.tobei se manus tar mullo buje