গল্প:- লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০১)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
বাসর ঘরে ঢুকে দেখি বউ আমার লম্বা একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। দেখে মনটা আনন্দে বরে উটলো যাক বউয়ের পাশে গিয়ে বসলাম ঘোমটা সরাতে যাবো তখনি বউ আমায় বলে,,,,
সাবধান আমার শরীরে হাত তো দুরের কথা। ভুলে করে যদি টাচ করেননা তাহলে খুন করে ফেলবো। আর শুনেন আমি একজনের আমানাত, আমি এই বিয়েটা মানিনা, আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি আর ওকে আমি বিয়ে করতাম। যদিনা বাবা মা শর্ত দিতো তবে,,,
(এইরে সারছে মেয়েতো নয় যেনো সয়তানের নাতনি মনে মনে বললাম)
আমি: তবে কি?
বউ: কিছুনা,,,
আমি: কি বলেলেন আবার বলেন। শুনতে খুব ইচ্ছে করছে প্লিজ মেম বলেন?
বউ: এই আমি মেম নয়। আমার নাম মীম ইশরাক,, আর আমি যাকে ভালোবাসি তার নাম রাসেল আহমেদ। ওরা আমাদের মত বড়লোক।
আমি: তাহলে বিয়ে দেয়নি কেনো আপনাকে রাসেলের সাথে?
মীম: কারন মা তার বান্ধবীর সাথে ওয়াদা দিয়ে ছিলো,, যে তার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিবে। তাই তাদের ওয়াদা রাখতে গিয়ে আমার ভালোবাসার মূল্য দেয়নি।। আর আমি আমার ভালোবাসার সাথে আমাকে কুরবানি দিলাম।
আমি: আপনি নিজেকে কুরবানি দেন নাই,, কুরবানি তো আমি হলাম।
মীম: মানে আপনি কিভাবে কুরবানি হলেন মিস্টার,,,?
আমি: এই আমি মিস্টার নয় আমার একটা সুন্দর নাম আছে।
মীম: শুনি তো আপনার কি এমন সুন্দর নাম,,,,?
আমি:- আল মোহাম্মদ সৌরভ।
মীম: এইটা একটা সুন্দর নাম হলো বুড়ু মানুষের নাম। একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললো।
আমি: যাক মীম এখন তো পরিচয়টা জানা হলো।
মীম: তো তাতে কি হয়ছে,,,,,,,?
আমি: মানে আমরা তো এখন স্বামী স্ত্রী আর যেহেতু বিয়েটা হয়েছে আপনি মানেন আর না মানেন,,তাতে সমাজের বা আমার কিছু যাই আসেনা। সুতরাং আপনি আমার বউ।
মীম: ও বুজেছি আপনি কি চান? আপনি আমার দেহ পাবেন বাট মন কোনো দিন পাবেন না।
আমি: কি বললেন আপনি,,,?
মীম: যা বলছি ঠিকই বলছি শুনতে পান নাই, আপনি চাইলে এখনি আমার দেহ ভূক করতে পারেন,,,তবে জোর করে পাবেন আপসে পাবেন না।
আমি: আপনি আমাকে কি মনে করেন হ্যা? আমি পুশু যে আপনাকে জোর করে ভুক করবো? তবে একটা কথা আজ আপনি কান খুলে শুনে রাখুন।
মীম: হ্যা বলেন কি কথা!
আমি: আপনি জানেন যেদিন আমার মা আমাকে বলছে। কোন এক মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে রাখছে সেদিন থেকে আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলিনা। আরে কথা তো দুরে থাক কোনো মেয়ের মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত আমি সেইব রাখিনা, আমি চাইলে অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে পারতাম বুঝলেন মীম ইশরাক।
মীম: বুঝলাম তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা আপনার মত এমন হাবলার পেছনে মেয়েরা ঘুরতো একটু হাসি দিয়ে।
আমি: বিশ্বাস হয়না আপনার? তাহলে দেখবেন আপনার সামনে মেয়েদের সাথে প্রেম করে ঘুরবো।
মীম: তাই তাহলে তো ভালোই হবে। আপনি আপনার গ্রালফ্রেন্ড আর আমি আমার বয়ফ্রেন্ড নিয়া ঘুরবো কি বলেন?
আমি: ওকে মনে থাকে যেনো?
মীম: আচ্ছা একটা কথা বলবো?
আমি: হ্যা বলেন কি কথা?
মীম: আগে ওয়াদা করেন?
আমি: ওয়াদা দিলাম এবার বলেন?
মীম: আমি যাকে ভালোবাসি তার কাছে আমাকে যেতে দিবেন?
আমি: ওয়াদা দিলাম,,,আপনি যাকে মনথেকে ভালোবাসেন। তার কাছে আমি নিজে দিয়ে আসবো।
আচ্ছা মেম এখন আমি ঘুমাবো অনেক রাত হয়ে গেছে। তানা হলে সকালে উঠা যাবেনা এই বলে আমি শুয়ে পরলাম।
মীম: এই কি করছেন এখানে ঘুমাচ্ছেন কেনো?
আমি: কোথায় ঘুমাবো?
মীম: আমি কিছুই জানি না আপনি খাঠের উপড় ঘুমাতে পারবেন না। উঠেন বলছি তানা হলে কিন্ত খবর করে ছেরে দিবো।
আমি: আপনি কি করতে পারবেন তা আমি জানি। যা করার করেন আমি উঠছিনা আর আপনিও ঐ পাশে শুয়ে থাকেন।
মীম: উঠবেন না তো দাঁড়ান দেখাছি আপনাকে। এই বলে একটা চাকো বাহির করে সোজা আমার গলার মধ্যে ধরলো। আর বললো তারা তারি নিচে যাইয়া শুয়ে থাকেন তানা হলে কিন্ত গলা কেটে দেবো।
আমি: আগে চাকো সরান তারপর কথা বলেন।
মীম: ঠিক আছে যান।
আমি: আর কোন কথা না বলে সোজা নিছে শুয়ে পরলাম। আর মনে মনে জল্লাদি বউকে বদ দুয়া দিতে লাগলাম। আর তখনি বলে উঠে,,,,
মীম: এই ভালো হবেনা কিন্ত আমাকে বকা দিলে। খুন করে ফেলবো একেবারে।
আমি: আমার কি মাথা খারাপ হয়ছে যে আপনাকে বকা দেবো। আপনি কত ভালো মেয়ে।
মীম: বুঝেছি আর পাম দিতে হবেনা আমি জানি আপনি কি ভাবতেছেন।
আমি: (মনে মনে বললাম,,, আরে এই মেয়ে কি মনে মনে কথা বললে শুনে নাকি।) আচ্ছা মেম একটা কথা বলবো। যদি কিছু মনে না করেন?
মীম: মনে করলে বুঝি বলবেন না। ঠিক আছে বলেন কি কথা শুনি?
আমি: কোল বালিশটা আমার লাগবে। কারন কোল বালিশ ছারা আমার একদম ঘুম আসেনা।
মীম: জ্বি, না আমিও কোল বালিশ ছারা ঘুমাতে পারিনা।
আমি: আপনার তো টেডিবিয়ার আছে ঐটা নিয়া ঘুমান প্লিজ কোল বালিশটা দিয়ে দেন। বউ আমার কি জানি ভাবলো কোল বালিশটা দিয়ে দিলো। যাক যতটা নির্দয় ভাবছিলাম ততটা নির্দয়না একটু হলে দয়া আছে।
কোল বালিশটা ধরে ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম বাসর ঘর নিয়ে বন্ধুদের সাথে কত স্বপ্নের কথা বলছি। আর এখন বউ খাঠে আর আমি নিছে। দুর সালার কপালটা খারাপ এই ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বলতে পারিনা।
সকালে আজান শুনে ঘুম ভাংলো। নামায পড়ার জন্য তৈরি হলাম মসজিদে যাবো। তখন মীমের দিকে চোখ পরলো আরে এই মেয়ে তো অনেক সুন্দরি। ঠিক যেনো রাজকন্যার মত চোখগুলো বড় বড় ঠোটের নিছে একটা তিল আছে যা ওর সুন্দরয্য বারিয়ে তুলছে ওরে নামাযের কথা ভুলে গেছি। তারাতারি নামায পড়তে গেলাম নামায পড়ে বাসায় এসে দেখি। এখনো বাসার কেও ঘুম থেকে উঠেনি,, আসলে হঠাত করে সব হয়ে গেছে। ও ভালো কথা আমার পরিচয়টা তো ভালো করে দেওয়া হলোনা। এতক্ষনে জেনে গেছেন আমার নাম তাই আর বললাম না। তবে আমি অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি পাশাপাশি একটা চাকরি করি। আর ব্যাচেলর রুমে থাকতাম আমাদের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা। ঐখানে শুধু মা বাবা থাকে আর আমার একটা বড় আপু আছে। তার হাজবেন্টের সাথে ঢাকা উত্তরা থাকে ঐখানে দুলাভাইয়ের একটা শ্বরুম আছে। তারা সবাই আসছে আমার বিয়েতে তবে আমার শ্বশুড় বাড়ী কিন্ত ঢাকা,, ওদের গ্রামের বাড়ী যদিও কুমিল্লা তবে ওরা ঢাকাতে সব কিছু করে নিয়েছে। গাড়ি বাড়ী সবকিছু তাই ওরা কুমিল্লা জায়না বেশি একটা বললে চলে। আর মীমের সাথে আমার বিয়ে তো স্বপ্নেও হতনা যদিনা মায়ের বান্ধবী হত আর যদি ওয়াদা বদ্ধ না হত, আর মীম হচ্ছে ওনাদের একমাত্র মেয়ে ও ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।
হঠাত কারো কথার শব্দ শুনতে পেলাম মনে হচ্ছে আমার শ্বাশুড়ি মা উঠে গেছে। আর তখনি আমি রুমে চলে আসলাম এসে দেখি মীম এখনো ঘুমাচ্ছে। আমি মীমের মুখটা দেখছি কত সুন্দর চেহেরাটা যত দেখছি তত ভালো লাগছে হঠাত করে।
মীম: চোখ খুলে বলে এই আপনি এখানে কি করছেন?
আমি: কিছুনা দেখছি!
মীম: কি দেখছেন?
আমি: আপনাকে?
মীম: কেনো আর কোনো সময় কি মেয়ে মানুষ দেখেন নাই?
আমি: দেখছি কিন্ত আপনার মত না,,,,,, আর এত কাছ থেকে দেখিনাই তাইতো।
মীম: তাইতো কি? আর যদি এমন করে দেখেন`না চোখ তুলে ফেলবো। সাথে খুন করবো তো ১০০% একটু ভুল হবেনা বলে দিলাম। এই বলে মীম বাথরুমের দিকে রওনা হলো।
আমি: আচ্ছা আপনি কি এখন আর ঘুমাবেন?
মীম: কেনো,,,?এই বলে আমার কাছে এসে পাঞ্জাবীর কালার টেনে ধরলো। আর বললো বলছিনা কু নজর দিলে খুন করে ফেলবো।
আমি: আরে মেম কালার ছারুন। আমি তো বলতে ছিলাম আপনি যদি খাঠে না ঘুমান তাহলে আমি একটু ঘুমাতাম। কারন রাতে আমার ভালো করে ঘুম আসেনি তাই।
মীম: আচ্ছা ঠিক আছে ঘুমান তবে চোখ গুলোকে হেফাজতে রাখবেন। তানা হলে কিন্ত?
আমি: জানি খুন করে ফেলবেন!
মীম: ভালো ছেলে এই বলে বাথরুমে চলে গেলো। আর আমি খাটে শুয়ে পড়লাম আর কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বলতে পারিনি।
হঠাত কারো হাতের স্পর্শ আমার ঘুম ভাংলো। চোখ খুলে দেখি মীম আরে ওকে তো আরো সুন্দর লাগছে। কপালে নীল টিপ চোখে ঘারো করে কাজল ঠোটে হালকা লিপজেল। তাতে দারুন মানিয়েছে মনে হচ্ছে কল্পনার জগতে আছি। তখনি মীম বলে,,,
মীম:- কি হলো এমন করে কি দেখছেন? কখন ধরে ডাকতেছি উঠছেন`না আম্মু ডাকছে নাস্তা করতে চলেন?
আমি: আপনি যান আমি আসছি।
মীম: এই শুনুন আপনি আমাকে আপনি করে বলবেনা? আর বাড়ীর সবার সামনে আমার সাথে ভালো করে ব্যাবহার আর কথা বলবেন। মেম আপনি এইসব বলা একদম চলবেনা। আর আম্মু আব্বু যেনো বু্ঝতে পারে আপনার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। আর আমরা দুজন দুজনকে অনেকটা ভালোবাসি।
আমি: একটু থামেন মেম আমি তো আপনাকে ভালোবাসি। তবে আপনি কি আমায় ভালোবাসেন?
মীম: জ্বি,,না হাদারাম আমাদের দুজনকে স্বামী স্ত্রী অভিনয় করতে হবে। যাতে করে কারো মনে কোন রকম সন্দেহ তৈরি না হয় বুঝলেন।
আমি: কেনো অভিনয় করতে হবে কেনো? আর আপনি কি আমাকে আপনি করে বলবেন?
মীম: আমি বলছি তাই করবেন তানা হলে খুন করে ফেলবো। আর আমি আপনাকে তুমি করে বলবো বুঝলে হাদারাম।
আমি: ঠিক আছে তুমি জাও আমি আসছি।
মীম: ঠিক আছে তারা তারি আসো। তোমার আম্মু আব্বু ওরা সবাই চলে যাবে।
আমি: কি আজই চলে যাবে?
মীম: হুম বলছে তো তাই।
তারাতারি নাস্তার টেবিলে গেলাম দেখি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে মীমের পাশের চেয়ারটা শুধু খালি তাই বাধ্য হয়ে বসলাম। নাস্তা করতেছি তখনি মা বলে সৌরভ আমরা আজ চলে যাবো।
আমি: মা আর কয়েকটা দিন থাকলে হয়না?
মা: তুই তো জানিস বাড়ীতে কত কাজ পরে আছে। আর আমরা না থাকলে বাড়ীটা দেখা শুনা করবে কে?
শ্বাশুড়ি: আমিও বলছি আরো কয়টা দিন থেকে যেতে। কিন্ত তোমার মা বাবা কিছুতে রাজি হচ্ছেনা।
মা: দেখ মিনু তুই তো জানিস আর বাধা দিসনা? শ্বাশুমা তখন আর কিছু বললো না কারন বললে কিছু লাব হবেনা আর ওনি জানে ওনার বান্ধবী কেমন।
আপু: হ্যা সৌরভ আমরা ও চলে যাবো। তোর দুলা ভাইয়ের অনেক কাজ পরে আছে।
আমি: ঠিক আছে।
সবাই নাস্তা করলাম নাস্তা করে আমি মা বাবাকে বাসে তুলে দিলাম। আর আপুরা চলে গেছে ওদের বাসায়। তারপর আমি বাসায় আসলাম একটু নিছে বসে রুমে গেলাম, রুমে ঢুকে দেখি মহারানী তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেছে আমি কিছু না বলে। একা একা ছাদে চলে গেলাম একটু পর কাজের মেয়েটা ডাকতেছে ভাইয়া আপু আপনাকে ডাকছে, ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি। একটু পর রুমে এসে দেখি মীম অনেক সুন্দর করে সাজুগুজু করে আছে আমাকে দেখে বলে।
মীম: আমাকে কেমন লাগছে?
আমি: মানে কি বলছো মাথা ঠিক আছে?
মীম: সব ঠিক আছে বলনা আমায় কেমন লাগছে?
এই কথা শুনে আমি তো পুরাই অবাক আরে এই মেয়ে বলে কি দেখিতো, রুমের বাইরে কেও আছে কিনা।
না কেও তো নাই তাহলে এই কথা কেনো বললো আমায়? তখনি মীম বলে কি হলো বলোনা কেমন দেখাচ্ছে আমাকে?
আমি: অনেক সুন্দর আর খুব খুব ভালো লাগছে।
মীম: সত্যি বলছো?
আমি: হ্যা সত্যি আচ্ছা তুমি কি আমার জন্য এত সুন্দর করে সেজেছো? আর আমি কি মিথ্যা বলতে পারি?
মীম: কি বললে তুমি আমি তোমার জন্য সাজুগুজু করছি? হি হি হি না হেসে পারলামনা আমি তো সাজুগুজু করছি আমার জানের জন্য। আর তুমি ভাবলে তোমার জন্য আবার হাসি দিয়ে বললো মীম।
আমি: কি জান আরে তোমার জানটা আবার কে?
মীম: কেনো? আমি তো তোমাকে ওর নাম বাসর রাতে বলছি। এত তারা তারি ভুলে গেলে? আর তুমি কি বলছিলে মনে আছে তো, নাকি মনে করিয়ে দিতে হবে?
আমি: না থাক মনে আছে। তাহলে তুমি এখন রাসেলের সাথে দেখা করতে যাবে? তাই এত সুন্দর করে সাজুগুজু করছো?
মীম: হুম, এখন আমি রাসেলের সাথে দেখা করতে যাবো। এই বলে মীম রুম থেকে বেরহতে লাগলো,,,
আমি: আন্টি একটু শুনবেন? আর তখনি,,,
মীম: এই তুমি আম্মুকে ডাকছো কেনো?
আমি: আমার কাজ আছে তুমি যাওনা যাও।
আর তখনি আমার শ্বাশুরি মা এসে হাজির হয়ে গেলো
সৌরভ বাবা কি হয়ছে ডাকছো কেনো?
আমি: তেমন কিছুনা মীম মার্কেট যাচ্ছিলো শপিং করতে তাই আমি বললাম আমাকে সাথে নিয়া যেতে। আমারও কিছু কেনাকাটা আছে, কিন্তু মীম বলে আমার সাথে নাকি ও যাবেনা। আর আমি নাকি একা যেতাম এবার আপনি বলেন স্বামী স্ত্রী কি আলাদা আলাদা যাবো? তাহলে লোকেরা কি বলবে?
মীম: না আম্মু তুমি ওর কথা একদম বিশ্বাস করবেনা। আর আমার সাথে যাবে এইকথা বলেনি? তাছারা আমার আরো অনেক কাজ আছে। তাই আমি বলছি যে তুমি একা যাও।
শ্বাশুরি: মীম আমি কোন কথা শুনতে চায়না। তুমি সৌরভকে সাথে নিয়া যাও!
মীম: ঠিক আছে এই তুমি তারাতারি আসো। আমার দিকে চোখ গুলোকে বড় বড় করে তাকিয়ে বলছে।
আমি: দুই মিনিটের মধ্যে রেডিহয়ে আসছি। শ্বাশুরি মা চলে গেলো আর আমি (মনে মনে বলছি মেম আপনি নিজেকে বেশি চালাক মনে করেন তাইনা। এবার দেখবো আপনার রাসেল আহমেদ কত হ্যান্ডসাম) মীম নিছে চলে গেলো আমি নেবি ব্লু কালার সাট পড়ে বেরহলাম রুম থেকে। নিছে এসে দেখি মীম দাঁড়িয়ে আছে আমাকে দেখে তাকিয়ে আছে। আমি কাছে গিয়ে বলি কি দেখছো এমন করে নজর লেগে যাবে আমার।
মীম: আমার বয়ে গেছে তোমাকে নজর দেওয়ার জন্য?আর তুমি আম্মুকে ইচ্ছে করে মিথ্যা কথাগুলো বানিয়ে বলছো তাইনা? আর এত সেজেছো কেনো?
আমি: তুমি তো তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবে। দেখবো তোমার বয়ফ্রেন্ড কত সুন্দর, আর আমিও যেনো কাওকে পটাতে পারি তাই একটু সাজুগুজু করে নিলাম। আর হুম আমি ইচ্ছে করে মিথ্যা কথা বলছি।
মীম: হি হি হি তুমি মেয়ে পটাবে না হেসে পারলামনা। আর শুনো আমরা যে স্বামী স্ত্রী এইটা কাওকে ভুলকরে বলবেনা। আর রাসেলকে কখনো বলবেনা মনে থাকবে কথা গুলো?
আমি: ঠিক আছে কাওকে বলবোনা, তুমিও কাওকে বলবেনা আমি যে তোমার স্বামী। আর রাসেল যদি জিজ্ঞেসা করে, আমি তোমার কে তাহলে বলবে আমি তোমার খালাত ভাই মনে থাকবে?
মীম: মনে থাকবে চলো।
একঘন্টা পর একটা রেস্টুরেন্ট পাশে এসে গাড়িটা থামলো। গাড়ি থেকে নামলাম আমরা দুজনে মীম বললো চলো ভীতরে যাওয়া জাক।
আমি: মীম আমি তো কখনো এমন রেস্টুরেন্ট আসিনি? আর কিভাবে ঢুকে ভীতরে?
মীম: আমি জানি হাদারাম তুমি এমন রেস্টুরেন্ট কখনো আসোনি। বোকার মত কথা না বলে তারা তারি চলো এমনিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আমি: মীম তোমার যে বিয়ে হয়ছে এইকথা রাসেলকে বলোনি? আর ও কি জানেনা তোমার বিয়ের কথা?
মীম: না আমি কাওকে বলিনি আমার বিয়ের কথা। কারন তোমার মত একটা হাদারামের সাথে আমার বিয়ে হয়ছে। এইকথা শুনলে আমার বান্ধবীরা যে হাসাহাসি করবে, আর আমি রাসেলকে কি বলবো? এবার চলো
আমরা দুজনে রেস্টুরেন্ট ভীতরে গিয়ে দেখি সব জুড়া জুড়া বসে আছে, একটা টেবিলে একজন ছেলে বসে আছে। ঐ যে রাসেল বসে আছে মীম বললো আমি তো পুরাই অবাক আরে রাসেলতো অনেক হ্যান্ডসাম। দেখতে খুব সুন্দর আমরা ঐখানে গিয়ে বসলাম রাসেলের পাশে। তারপর মীম আমাকে রাসেলের সাথে তার খালাত ভাই বলে পরিচয় করিয়ে দিলো। (নিজের স্বামীকে খালাত ভাই বললো) একটু কথা বলার পর দেখি পাশের টেবিলে একটা মেয়ে একা বসে আছে। আমি ওকে একটু পর পর দেখতে লাগলাম মেয়েটা আমাকে দেখছে।
আমি: মীম তোমাদের কথা বলা শেষ হলে আমায় কল দিও?
মীম: কোথায় যাও তুমি?
আমি: এইতো এখানে তোমরা দুজনে কথা বলনা? আমি এখানে আছি। এই বলে পাশের টেবিলের মেয়েটার কাছে আসলাম।
আমি: বসতে পারি মিস?
মেয়েটা: হুম, বসেন চেয়ারটা খালি আছে।
আমি: আপনার সাথে একটু কথা বলতে পাড়ি? যদি কিছু মনে না করেন?
মেয়েটা: কিছু মনে করবোনা বলেন?
আমি: আপনি কি আপনার বয়ফ্রেন্ডের জন্যে অপেক্ষা করছেন?
মেয়েটা: আমার কোন বয়ফ্রেন্ড নাই আমি তো এখানে প্রায় আসি। আর আপনি কি আপনার গ্রালফ্রেন্ডের জন্য এখানে আসছেন?
আমি: আমি তো আমার খালাত বোনের সাথে আসছি। ওর বয়ফ্রেন্ড সাথে ও দেখা করতে আসছে।
আচ্ছা আপনার নাম কি মিস?
মেয়েটা: শ্যালো। আর আপনার নাম?
আমি: সৌরভ তাহলে আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ডস।
আমরা দুজন কথা বলছি আর মীম একটু পর পর আমাকে দেখে যাচ্ছে। আর আমি ও শ্যালোর সাথে আড্ডা মারতে থাকলাম। এমন সময় পেছন থেকে মীম ডাকছে আমি তাকলাম। মীম কাছে আসলো সাথে রাসেল আসছে।
মীম: সৌরভ চলো আমরা মার্কেট যাবো। আর তুমি নাকি কেনা কাটা করবে?
আমি: না থাক পড়ে কিনবো। তুমি রাসেলকে সাথে নিয়া যাও? আমি শ্যালোর সাথে কথা বলে পরে মার্কেটে যাবো।
মীম: শ্যালো কে?
আমি: এইতো শ্যালো। আর শ্যালো আমার খালাত বোন মীম। আচ্ছা মীম তুমি রাসেলের সাথে বাড়ীতে চলে যাও। আমি শ্যালোর সাথে আরেকটু সময় থাকি। তবে শ্যালো মীমের চেয়ে কোনদিকে কমনা শুধু একটু লম্বা কম হবে। তবে বেশিনা মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেমন জানি একটা চাওয়া। যা এর আগে আমি দেখিনি,,,
মীম: ঠিক আছে তাহলে তুমি থাকো আমরা বেরহলাম।
আমি: ওকে যাও এই বলে আমি শ্যালোর সাথে কথা বলছি আর দুজনের নাম্বার দুজন আদান প্রদান করলাম। আমি আবার শ্যালোর হাত ধরলাম দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মীম দেখতে পেলো। আমি শ্যালোর হাত ধরে রাখছি তা দেখে মীম চলে গেলো, আমি তখনি শ্যালোর হাত ছাড়তে চায়ছি কিন্তু শ্যালো আমার হাতটা ছাড়ছেনা! To be continue,,,,
!!
রি_পোস্ট
গল্প:- লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০১)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.