গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব(০৩)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
ঘুমের মাঝে হঠাত কারো হাতের স্পর্শ পেলাম সজাক হয়ে দেখি মীম ডাকছে কখন ধরে ডাকছি উঠতে সকাল হয়েছে তারা তারি উঠো।
আমি: সকাল হয়ে গেছে?
মীম: হ্যা।
আমি: বুঝতে পারিনি দুর আজ নামায পড়া হলো`না আজকের দিনটা আমার অনেক খারাপ যাবে নিশ্চয়।
মীম: আচ্ছা তোমার কি শরীর খারাপ করছে নাকি? তোমার শরীর তো অনেক গরম লাগছে।
আমি: আমি ঠিক আছি আমার শরীর সবসময় গরম থাকে। এখন আমাকে অফিসে যাইতে হবে আমি ফ্রেস হবো দেখি সরো।
মীম: কয় আগে তো কখনো দেখিনি তোমার শরীর এত গরম হতে?
আমি: কি করে যানবে তুমি? এর আগে কি আমার শরীরে টাচ্ করেছো নাকি সবসময় এক সাথে থাকছো? (কিছুটা চুপ থাকার পর বলে,,)
মীম: তোমার মনে নেই ঐদিন তোমার গলা টিপে ধরেছিলাম। আর সবচেয়ে বড় কথা একজন সু্স্থ মানুষ আর অসুস্থ মানুষের প্রার্থক বুঝা যায়।
আমি: তুমি কুচু বুঝতে পারো এবার যাওতো আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে?
মীম: কি আমি কুচু বুঝি ঠিক আছে পড়ে বুঝাবো? এখন তারা তারি আসো আম্মু নাস্তার জন্য ডাকছে আমাদের।
আমি: তুমি যাও আমি আসছি। মীম চলে গেলো আমি ফ্রেস হতে বাথরুমে ঢুকলাম। তারপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফ্রেস হয়লাম কিন্ত শরীরটা সত্যি কেমন কেমন করছে। একটু জ্বর জ্বর ভাব মনে হচ্ছে তবে বাসায় কাওকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা। জ্বরটা কেন আসছে বুঝতে পারছি কাল রাতে একটু ঠান্ডা পরে ছিলো আর এসিটা অন ছিলো তার ওপর শরীরে কিছু ছিলনা, তাই জ্বরটা আসছে মনে হয়। কিন্তু কি করার আজ অফিসে যাইতে হবে কারন পাঁচ দিনের ছুটি ছিলো আর সে যায়গায় ৭দিন হয়ে গেছে তাই আজ যেতে হবে। কিছুক্ষন পর রেডি হয়ে আজকে নেবি ব্লু সাট পড়ে বের হলাম রুম থেকে নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসলাম হঠাত দেখি মীম একটু পর পর আমাকে দেখছে।
আমি: কি দেখছো এমন করে নজর লেগে যাবে তো?
মীম: তোমাকে দেখছিনা।
আমি: ও তাহলেতো তোমার চোখ টেরা।
মীম: ভালো হবেনা কিন্ত!
শাশুরি: এই মীম কি বলছিস ফিস ফিস করে আগে নাস্তা কর পরে কথা বলিস।
মীম: না আম্মু তেমন কিছুনা এই বলে মীম নাস্তা করতে থাকে আজ আমার নাস্তা করা সবার আগে শেষ। আমি শ্বাশুরি মাকে বললাম আজ আসতে আমার দেরি হবে আপনারা চিন্তা করিয়েন না।
শ্বাশুরি: আচ্ছা বাবা যাও তাহলে। আচ্ছা যাই তাহলে এর মধ্যে মীম রেডি হয়ে আসছে কলেজে যাবে মনে হয়।
মীম: আম্মু আমি কলেজে যাচ্ছি আর গাড়িটা নিয়া গেলাম।
শ্বাশুরি: গাড়ি কিভাবে নিবি মতি মিয়া বাড়ীতে গেছে। আজ সকালে আর তুই তো গাড়ি চালাতে পারিসনা। আচ্ছা বাবা সৌরভ তুমি তো অফিসে যাবে একটু মীমকে কলেজে নামিয়ে দিবে?
আমি: ঠিক আছে মীম চলো।
মীম: আমি বাইকে যাবোনা আমি রিক্সসা করে চলে যাবো।
শ্বাশুরি: কেনো যাবিনা বাইকে সমস্যা কি যা বলছি দমক দিয়ে বলছে তখন মীম আর কোন কথা বলেনি সোজা আমাকে বলে চলো। তারপর আমরা দুজনে বাহিরে এসে বাইকে বসেছি আমি যখনি মীম পেছনে বসতেছে তখনি আমি বলি,,,
আমি: এই তুমি বাইকে বসতেছো নাকি আমার গাড়ে উঠছো?
মীম: তোমার ঘাড়ে উঠছি।
আমি: ঘাড়ে তো কবেই উঠছো? নাও হেমলেটটা মাথায় পড়ে নাও।
মীম: তা তো জানোই আবার বলার দরকার কি? আর হেমলেট আমি পড়বো কেন তুমি পড়ো কারন তুমি বাইক চালাবে।
আমি: জ্বি না মহারানি তুমি পড় আমার এমন সুন্দর বউটার সুন্দর চেহেরাটায় দুলাবালি দিয়ে ময়লা হতে কিরে দেয়।
মীম: এই তুমি আমায় বউ বললে কেনো তোমার কি মনে নাই আমি কি বলছি?
আমি: সরি ভুলে বলে ফেলছি। এবার হেমলেটটা পড়ে নাও আমি বাইক চালাই।
মীম: হ্যা পড়েছি এবার চালাও। প্রায় ৩০ মিনিট পরে মীমের কলেজের সামনে আসলাম।
মীম: একটা কথা বলবো?
আমি: হ্যা বলো কিছু লাগবে?
মীম: না কিছু লাগবেনা তবে তুমি সারাটা রাস্তা আসলে একটা ব্রেক ও মারোনি, আমি তো শুনেছি মেয়েরা বাইকে বসলে ছেলেরা শুধু ব্রেক মারে।
আমি: মারতাম যদি তুমি আমার গ্রালফ্রেন্ড বা বউ হতে আর তুমি তো আমার কিছু হওনা তাইনা। ওকে তুমি ভীতরে যাও আমি অফিসে যাই। এই বলে চলে আসলাম আমি দেখতে পেলাম মীমের মুখটা কালো করে ফেলছে। যাক অফিসে আসলাম বসের সাথে দেখা করে হাতের কাজগুলো করলাম। দেখি তিনটা বাজে আরে শ্যালোর সাথে তো আজ ৪টা দেখা করার কথা তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাইক নিয়া সোজা ঐ রেস্টুরেন্টে আসলাম ৪টা বাজার পাঁচ মিনিট বাকি। ভীতরে ঢুকে দেকি শ্যালো বসে আছে। আমি গিয়ে বসলাম চেয়ারে।
শ্যালো: কেমন আছেন?
আমি: ভালো, আপনি কেমন আছেন?
শ্যালো: ভালো, কি খাবেন বলেন?
আমি: একটা কোল্ড কফি, আর বলেন কি কথা বলার আছে?
শ্যালো: আমি এত ঘুরিয়ে কথা বলতে পারিনা যা বলি সরাসরি বলে ফেলি আমি তোমাকে ভালেবাসি।
আমি: আপনাকে আমার কিছু বলার আছে।
শ্যালো: এখন থেকে আপনি নয় তুমি করে সম্মদন করলে খুশি হবো আর বলেন কি কথা?
আমি: শ্যালোকে সবকিছু আমার ব্যাপারে বললাম। শ্যালো সবকিছু শুনে আমায় বলে ঠিক আছে আমি তোমাকে ৯ মাসের সময় দিলাম। তা না হলে আমি আমার আব্বুর পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলবো।
আমি: আচ্ছা আমার ফাইনাল পরীক্ষা আগামি ৫ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আর মীম তার আব্বু আম্মুকে সবকিছু বলে বুঝিয়ে নিবে।
শ্যালো: ঠিক আছে চলো এখন উঠা যাক রাত ৮টা বাজে।
আমি: হ্যা চলো। আমার তো বাইক আছে চলো তোমাকে বাসায় নামিয়ে দেবো?
শ্যালো: চলো।
আমরা দুজন বাইকে করে যাচ্ছি। আর শ্যালো আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে এই প্রথম কোন মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরছে পেছন থেকে। এক অন্য রকম অনুভূতি ফিল করলাম হঠাত করে বলে বাইক থামাও আমি নামবো আমার বাসা এইটাই। বাইক থামালাম শ্যালো বাইক থেকে নেমে একটা উম্মা মানে কিস করে চলে যেতে লাগলো।
আমি: এইটা কি হল?
শ্যালো: রোজ পাবে যদি আমাকে বাইকে করে বাসায় নামিয়ে দাও এই বলে চলে গেলো।
আমি: ঠিক আছে রোজ দিয়ে যাবো তোমায়। এই বলে চলে আসলাম বাসায় এসে দেখি খানার টেবিলে খানা রাখা। আর কাজের মেয়েটা আমায় দেখে বলে ভাইজান আপনি ফ্রেস হয়ে আসেন আমি খাবার বেরে দিতেছি। আমি রুমে এসে দেখি মীম তার বয়ফ্রেন্ড সাথে মোবাইলে কথা বলছে। আমি কোন কথা না বলে সোজা শাওয়ার নিতে ঢুকলাম ২০ মিনিট পরে ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম। তারপর খাবার খেয়ে রুমে এসে দেখি মীম কথা বলতে আছে। রাত ১১টা বাজে আমি শ্যালোকে ফোন দিলাম।
শ্যালো: বলো কি করছো?
আমি: কিছুনা তোমার কথা মনে পড়ছে তাই তোমাকে কল দিলাম।
শ্যালো: তাই ভালো করেছো আচ্ছা কাল কখন দেখা করবে?
আমি: ৬টা আর এখন রাখি বাই।
শ্যালো: ওকে বাই।
কথা বলে রুমে এসে দেখি মীম এখনো কথা বলছে রাসেলের সাথে আমি কোন কথা না বলে কোলবালিশ আর একটা চাদর নিয়ে নিছে শুয়ে পরলাম। আর তখনি মীম বলে,,
মীম: এই তুমি আজ সারাদিন কোথায় ছিলে? তোমার মোবাইল অফ ছিলো কেনো?
আমি: কোথায় আবার অফিসে আর মোবাইল অফ ছিলোনা।
মীম: মিথ্যাকথা বলবেনা একদম খুন করে ফেলবো। আমি দুপুরে কল করছি তখন তোমার মোবাইল অফ ছিলো।
আমি: দুপুরে নামায পড়তে মসজিদে গেছিলাম হয়তো তখন বন্ধ থাকতে পারে। আর তুমি আমায় কল করছো কেনো? তোমার তো রাসেল আছে?
মীম: দরকার ছিলো বিদায় কল করেছিলাম।
আমি: কি দরকার শুনি একটু?
মীম: না থাক যখন দরকার ছিলো তখন পেলাম না। আর এখন বলে কি হবে তুমি বললেনা বিকালে কোথায় ছিলে?
আমি: কেনো বলবো তোমায় তুমি কোথায় যাও কি কর এসবকিছু কি আমি কোন দিন জানতে চেয়েছি?
মীম: জানতে চাওনি আর ভুল করে ও কোনদিন জানতে চাইবেনা তাহলে এর পরিনাম একমদ ভালো হবেনা। এখন বলো কোথায় ছিলে তুমি অফিসের পড়ে?
আমি: শ্যালোর সাথে দেখা করতে গেছিলাম।
মীম: কি কার সাথে দেখা করতে গেছিলে?
আমি: বইড়া নাকি শ্যালোর সাথে।
মীম: তার মানে তুমি শ্যালকে ভালোবাসো। ঠিক আছে ভালোই হলো। আচ্ছা তোমার অফিস ছুটি হয় কয়টা?
আমি: সন্ধা ৬টা কিন্তু কেনো?
মীম: না এমনি জেনে রাখলাম যদি কখনো আম্মু আব্বু জিজ্ঞেস করে। তাহলে যেনো বলতে পারি তার জন্য।
আমি: ঠিক আছে মেম শুভরাত্রি। এই বলে আমি ফ্লোরে শুয়ে পরলাম আর মীম খাটে। আজও ঠান্ডা লাগছে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম ঠিক মনে নাই ফজরের আজান শুনে ঘুম থেকে উঠলাম মসজিদে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ার কারনে মনটা একে বারে ভালো হয়েগেছে বাসায় আসলাম দেখি এখনো মীম ঘুমিয়ে আছে। মুখের উপর চুলগুলো পড়ে আছে তাই ভালো করে মুখটা দেখা যাচ্ছেনা। আমি জানালার পর্দা সরালাম সকালের সোনালী রুদটা ঠিক মীমের মুখটার উপর পরলো। তা দেখে আমি চুলগুলকে সরিয়ে দিলাম। আর তাতে চেহেরাটা আরো সুন্দরয্য হয়ে গেছে। সত্যিই মীম অনেক সুন্দর আর ওর এই সুন্দরয্যটা আরো দ্বিগুণ করেছে ঠোটের নিছে তিলটা। ইচ্ছে করছে তিলটাকে একটু ছুয়ে দেখতে কিন্তু কি করার এই তিলের মালিকতো আমিনা। এই তিল অন্য কারো জন্য জতন করে রাখছে। মীম ঘুমিয়ে আছে আমি ফ্রেস হতে গেলাম উয়াশ রুমে। একটু পড়ে ওপাস থেকে আওয়াজ শুনতে পেলাম। এই তারা তারি বেরহও আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমি: আরো দশ মিনিট লাগবে আমার।
মীম: ভালো হবেনা কিন্তু তারা তারি বের হতে বলছি।
আমি: কি করবে শুনি? আর তোমার দেরি হলে অন্য উয়াশ রুমে যাওনা আমাকে কেনো বিরক্ত করছো?
মীম: কি বিরক্তি করছি তবে রে তারা তারি বেরহতে বলছি।
আমি: ঠিক আছে বের হচ্ছি। এই বলে আমি বের হলাম একে বারে রেডি হয়ে আমাকে দেখে মীম থ হয়ে দাড়িয়ে রইলো মীম কি দেখছো এমন করে কিছু বলবে? আর তোমার নাকি দেরি হয়ে যাচ্ছে তাহলে দাড়িয়ে অাছো কেনো তারা তারি যাও।
মীম: এতক্ষন লাগে ফ্রেস হতে? আর তোমাকে দেখবো কেনো তোমার থেকে রাসেল অনেক হ্যান্ডসাম। আর প্রতিদন তুমি এত সেজেগুজে অফিসে যাও কেনো?
আমি: জানি রাসেল আমার থেকে হ্যান্ডসাম। তবে আমার মত এত সুন্দর বডি কিন্ত নাই। আর তোমার কি আমি অফিসে সেজেগুজে গেলে। তাছাড়া শ্যালো বলছে আমি সবসময় সেজেগুজে ওর সাথে দেখা করি দেখি সরো আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
মীম: আমকে আজ কলেজে ছেরে দেবে তোমার বাইকে করে?
আমি: না পারবোনা শ্যালো দেখলে রাগ করবে বরং তুমি রিক্সসা করে চলে যাও। এই বলে আমি নিছে চলে আসলাম নাস্তা করতে আমার নাস্তা করা শেষ, কিন্তু এখনো মীম নিছে নামেনি।
আমি: আন্টি অফিসে যাচ্ছি আম তখনি মীম বলে
মীম: আম্মু আমি কলেজে যাচ্ছি।
শ্বাশুরি: মীম তুই নাস্তা করে যা।
মীম: না আমার দেরিহয়ে যাচ্ছে। এই বলে বেরিয়ে আসলো বাসা থেকে। আমি এসে দেখি মীম দাড়িয়ে আছে যখনি আমি বাইকে বসলাম ঠিক তখনি মীম এসে আমার পেছনে বসে পরলো।
আমি: কি হলো তুমি বাইকে বসলে কেনো?
মীম: তো আমি কি করবো? মতি কাকা তো এক সাপ্তাহ পরে আসবে। আর এই এক সাপ্তাহ তোমার বাইকে করে কলেজে যেতে হবে আমার। আর আমি একা গেলে রাস্তায় কতোগুলো খারাপ ছেলে আমাকে ডিসট্রাব করে।
আমি: তাতে আমার কি? তুমি একা যেতে ভয় পেলে রাসেলকে বলবে রোজ তোমাকে কলেজে নিয়া যেতে।
মীম: ঠিক আছে বলবো আজকে তো আমায় নিয়া যাও।তারপর আমার কাদের উপর হাত রেখে বসলো মীম প্রায় ৩০মিনিট পর মীমের কলেজের সামনে আসলাম
আমি: নামো তোমার কলেজের সামনে এসে গেছি। আচ্ছা তুমি একটু দাড়াও আমি আসছি এই বলে রাস্তার পাশে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে একটা চিকেন বার্গার কিনে নিয়া আসলাম।
মীম: কোথায় গেছিলে?
আমি: নাও ধরো।
মীম: কি এইটা?
আমি: কেন্টিনে বসে খেয়ে নিও এতে একটা চিকেন বার্গার আছে। এই বলে আমি চলে আসলাম, আর মীম দাড়িয়ে দেখছে আমাকে পেছন থেকে আমি সোজা চলে আসছি। তবে মীমকে যত দেখি ততই ভালো লাগে কিন্তু কি করার ওতো আমায় ভালোবাসেনা মীম তো ভালোবাসে রাসেলকে। এই কথাগুলো ভাবতেছি অফিসে বসে বসে। তখনি শ্বাশুরির নাম্বার থেকে কল আসলো আমি রিসিব করে সালাম দিলাম। আস্সালামু আলাইকুম আন্টি জ্বি বলেন।
শ্বাশুরি: ওলাইকুম আস্সালাম,,,,বাবা সৌরভ তুমি আজ একটু তারাতারি বাসায় আসতে পারবে?
আমি: কেনো আন্টি কিছু হয়ছে?
শ্বাশুরি: না বাবা তেমন কিছু হয়নি আমি আর তোমার আঙ্কেল একটু চট্রগ্রাম যায়তে হবে একটা জুরুরি কাজ পড়েছে।
আমি: ঠিক আছে আন্টি আমি তারাতারি আসবো আপনারা যান।
শ্বাশুরি: ঠিক আছে বাবা তবে তুমি দেরি করোনা কিন্ত? মীম একা বাসায় থাকবে আর ও একা থাকতে পারেনা ও কিন্তু ভীষন ভয়পায় একা থাকলে।
আমি: আপনারা নিশ্চিন্তেতে যান আমি তারাতারি বাসায় চলে আসবো।
শ্বাশুরি: ঠিক আছে বাবা। এখন তাহলে রাখি? এইবলে কলকেটে গেলো ৬টা বাজে হাতের কাজ গুলো শেষ করতেই শ্যালোর কল।
আমি: হ্যালো শ্যালো কেমন আছো?
শ্যাল: ভালো তুমি কেমন আছো? একটু হাতিরঝিলে আসতে পারবে?
আমি: ভালো, ঠিক আছে তুমি একটু বসো আমি আসছি এই বলে কল কেটে দিলাম ৪০মিনিট পরে হাতিরঝিলে গেলাম। সন্ধা ৭টা বাজে দেখি শ্যালো একা দাড়িয়ে আছে ব্রিজে। আমি বাইক থামিয়ে পাশে দ্বাড়ালাম।
শ্যালো: এসেছো চলো একটু কোথাও বসি?
আমি: চলো আমরা দুজন একটা যায়গায় বসলাম তারপর অনেক্ষন গল্প করলাম।
শ্যালো: সৌরভ তুমি আমায় সত্যিই ভালোবাসো?
আমি: সত্যিই আমি তোমাকে অনেক লাভ করি।
শ্যালো: আমি তোমাকে ছারা বাজবোনা যদি তুমি আমাকে ঠকাও। তখনি শ্যালোর মুখে হাত দিয়ে ধরে বলি
আমি: আর কোন সময় এমন কথা বলবেনা। আমি তোমাকে ভালোবাসি। চলো এবার উঠা যাক রাত ৮টা বাজে।
শ্যালো: হ্যা চলো তার আগে চলো আমরা কিছু খেয়ে নেই।
আমি: চলো আমরা দুজন একটা রেস্তরা ঢুকে কিছু খেয়ে নিলাম। তারপর শ্যালোকে বাড়ীতে ড্রপ করে দিলাম আর আমকে শ্যালো রোজ যে গিফট দেয় তা দিয়ে চলে গেলো। আমি শুধু ওর চলে যাওয়া দেখলাম।হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১০টা ৩০ বাজে।আর তখনি মনে পরলো আরে আজ না আমার তারা তারি বাসায় যাওয়ার কথা। দুর মীম বাসায় একা আছে না জানি মেয়েটা কত ভয় পায়তেছে। তারা তারি বাসায় আসলাম দেখি বাসার সব লাইট অফ বাড়ীতে বিদুৎ নাই নাকি?
আমি বাসার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল টিপলাম। কিন্তু কোন সারা শব্দ পেলামনা তাই মীমের নাম্বারে কল করলাম। সাথে সাথে রিসিব করে বলে তুমি কোথায় আছো? তুমি নাকি তারা তারি বাসায় আসো আসবে আম্মু বলে ছিলো।
আমি: দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি মহারানি একটু দরজাটা খুলবে।
মীম: আসছি এইবলে মীম একটু পর দরজাটা খুলে দিলো আর সাথে সাথে আমাকে জরিয়ে ধরেছে। তবে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরছে মনে হচ্ছে আমার কাছ থেকে পৃথিবীর কেও ওকে ছাড়িয়ে নিতে পারবেনা। আমার খুব ভালো লাগছে। ইচ্ছে করছে আমিও জড়িয়ে ধরি কিন্ত ধরলাম না।
আমি: মেম আমি কিন্ত রাসেল নয়?
মীম: জানি তুমি রাসেল নও তুমি আমার বর।
আমি: এই তুমি ঠিক আছো? কোন কথা বলছেনা আবার ডাকলাম তাও কিছু বললোনা। ওর গালে হাতদিয়ে দেখি ওর গায়ে অনেক জ্বর এসেগেছে। যার জন্য অজ্ঞান হয়েগেছে মীমকে কোলে করে রুমে নিয়ে এলাম এর মধ্যে বিদুৎ চলে আসছে সবগুলো লাইট জলে উঠছে।
আমি মীমকে খাটে শুয়ে দিলাম ও আমার সাটটা ধরে আছে মুখটা একদম ছোট হয়েগেছে। নিজের প্রতি খুব খারাপ লাগছে আমার আজ আমি যদি তারা তারি বাসায় আসতাম তাহলে মীমের শরীরটা খারাপ করতো না। ডাক্তারকে কল করলাম ডাক্তার আসছে ৪০ মিনিট পর এসে মীমকে দেখে বললো ভয়ের কিছুনাই। জ্বর আসছে সেরে যাবে পারলে মাথায় একটু পানি দিয়ও। আর কিছু ঔষুধ দিলাম এইগুলো খাইয়ে দিবে এই বলে চলে গেলো। ডাক্তারকে আমি দরজা অব্দদি এগিয়ে দিলাম।
তারপর মীমের পাশে বসে ওর কপালে পানি পট্রি দিচ্ছি। রাত ২টা বাজে দেখি জ্বরটা একটু কমছে আজ রাতে শ্যালোকে আর কল করেনি আর শ্যালো একবার করছিলো আমি অল্প কথা বলে রেখে দিয়েছি। মীমের জ্বরটা একটু কমছে, দেখছিলাম আর আমি কখন ঘুমিয়েছি মনে নাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মীম আমাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে। ওর মুখটা আমার মুখের সামনে ওর নিশ্বাষের সাথে আমার নিশ্বাষে মিশে যাচ্ছে। আমি ওকে দেখছি ইচ্ছে করে ওর কপালে একটা কিস করে দিলাম। এই প্রথম কোন মেয়েকে কিস করলাম। আজ কেন জানি ইচ্ছে করছে মীমকে আপন করে পেতে খুব ইচ্ছে করছে।
না এই সব ভাবলে হবেনা এখন উঠি আজ ফজরের নামায কাইজা পরতে হবে। কারন আজান শুনতে পাইনি। আমি মীমকে সরাতে যাবো তখনি মীম সজাগ হয়ছে। আর দেখলো আমকে জড়িয়ে ধরে আছে আর আমিও। তখনি নিজেকে এক জাটকাই সরিয়ে নিয়ে বলে,,,
মীম: তুমি খাঠের উপর কি করছো আর আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছো তোমাকে আমি এখন কি করবো? এই বলে ও একটা চাকো এনে আমার ঘলাই ধরলো।
আমি: এই তুমি কি করছে আমায় মেরে ফেলবে নাকি?
মীম: তুকে আজ সত্যিই মেরে ফেলবো? তোর সাহস হলো কি করে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবার। আর কি কি করেছোস সত্যি করে বল? তা না হলে কিন্তু গলা কেটে দেবো।
আমি: সত্যি মীম কিছু করিনি। তুমি কাল রাতে অজ্ঞান হয়ে গেছো আর ডাক্তার আঙ্কেল আসছিলো। যদি তোমার বিশ্বাষ না হয়, তাহলে তুমি ডাক্তার আঙ্কেলকে কল করতে পারো। আর আমি তো ফ্লোরে ঘুমাতাম কিন্তু তুমি তো আমাকে যেতে দাওনি?
মীম: কি আমি যেতে দেইনি শুধু জড়িয়ে ধরছো আর কিছু করো নাই তো?
আমি: হ্যা তুমি অজ্ঞান ছিলে হয় তো তাই। আর আমি অন্য কিছু করিনি।( মনে মনে বললাম একটা কপালে কিস করছি এইটা বললে সত্যি খুন করে ফেলবে তা আর বলা যাবেনা।)
মীম: ঠিক আছে আজকের মত ছেরে দিলাম। আর যদি কোনদিন ভূল করে জড়িয়ে ধরোনা তাহলে ঐদিন তোমার শেষদিন এই বলে বাথরুমে চলে যাচ্ছে ফ্রেস হতে। তখনি,,,
আমি: একটু কফি করে আনবে?
মীম: আমি রান্ন করতে পারিনা তুমি নিজে করে আনো যাাও?
আমি: বাহ আমি অনেক ভাগ্যবান কারন তুমি আমাকে বর হিসাবে মানোনা তাই। ঠিক আছে চা নাকি কফি?
মীম: সমস্যা নেই আমি রাসেলকে বলেছি রাসেল বলছে রান্না বান্না আমার করারা লাগবে না। এখন তুমি বানাবে তাহলে কফি।
আমি: কফি বানিয়ে রুমে আসলাম। তবে আজ কাজের মেয়েটা আসছেনা কেন জানিনা এই নাও তোমার কফি।
মীম: ধন্যবাদ, কফিতে চুমুক দিয়ে বলে তুমি তো দারুন কফি বানাতে পারো। এই সৌরভ এইরকম করে তুমি আমাকে সারা জীবন কফি বানিয়ে খাওয়াবে রোজ সকালে?
আমি: সারাজীবন তো পারবোনা কারন তুমি তো আরেক জনের সাথে জীবন কাটাবে।
মীম: একটু নিরব থেকে তা জানি তবে যতদিন আমরা এক সাথে আছি ততদিন তো পারবে?
আমি: হ্যা তা পারবো। আর কথা দিচ্ছি যতদিন আমরা একসাথে থাকবো ততদিন তোমাকে কফি করে খাওয়াবো। আর বাকী জবনটা শ্যালোকে কফি আর রান্নাকরে খাওয়াবো। শ্যালোর কথা শুনে মীম তার চেহেরাটা কেমন জানি কালো করে নিয়েছে। আর তখনি কফিটা রেখে তারা তারি করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
To be continue,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.