গল্প: বাল্য কালের বউ সিজন_২ পর্ব:–(৩)
লিখা:- সোহরাব আল ইসলাম
।
এই মেয়ে আমার স্বামীকে তুই আমার
সামনে কালার ধরে নিজের মাথার সাথে
ওর মাথায় টুকা দিয়েছিস? তাও আবার
বাড়ীতে এসে সবার সামনে। এত সাহোস
হলো কি করে? (নিশি)
মেয়ে:- আমার সাহোসের কি দেখছেন?
আমার মাথায় শিং গজালে না আপনার
স্বামিকে বুঝাতাম কত ধানে কত চাল। যাক
এখন আমার ঝগড়া করার কোন মুড নেই কারন
আজকে আমি আমার বাল্য কালের বরের
সাথে দেখা করবো।
আমি:- মানে কার সাথে দেখা করবেন?
মেয়ে:- আপনি বয়ড়া নাকি কানে কম শুনেন
বুঝি?
আমি:- ঠিক তানা আমিও তো বাল্য কালে
বিয়ে করেছি তাই আর কি? আচ্ছা আপনার
বরের নাম কি?
মেয়ে:- তা জেনে আপনি কি করবেন? জুয়েল
ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ। তানা হলে
আজকে রাতে আমার মাথায় শিং
গজাতো। ঠিক আছে তাহলে আমি আসি আর
মিস্টার ঘরে এত সুন্দর বউ থাকতে অন্য
মেয়েদের সাথে ধাক্কা খাওয়া লাগে?
আমি:- আরে আমি কি ইচ্ছে করে ধাক্কা
খেয়েছি নাকী?
মেয়ে:- হয়ছে আর ওজুহাত দেখাতে হবে না।
তবে আমি কিন্তু আপনার বউ থেকে সুন্দর।
আমাকে যে দেখে সেই ধাক্কা খেতে চাই।
আসলে আমি অনেক সুন্দর তো তাই।
আমি:- হ্যা কেমন সুন্দর দেখে তো মনে
হচ্ছে বাংলার পাঁচ। তখনি চেহারাটা
কালো করে বেরিয়ে গেছে।
জুয়েল:- নিশি সত্যি অনেক ভালো ছোট
বেলা ওর বিয়ে দিয়ে দিছে।
আমি:- ওর নাম কি?
জুয়েল:- নিগার নিশি। তখনি আমি আম্মুর
দিকে তাকিয়েছি আম্মু নিচের দিকে
তাকিয়ে নিয়েছে।
আমি:- শালা তুই আমাকে আগে বলিস নি
কেন?
জুয়েল:- কেন কি হয়ছে?
আমি:- দোস্ত তারা তারি চল তানা হলে
আমার ১৩ বছরের সাধনা শেষ হয়ে যাবে।
আর আপনাদের সবাইকে আমি দেখে নেব।
আমার সাথে জালিয়াতি করার পরিনাম
কি হতে পারে। এই মেয়ে তুমি নিশি
তাইনা আজকে তুমি বাড়ী ছেরে চলে যাবে
আমি আমার সত্যি কারের নিশিকে পেয়ে
গেছি। তখনি,,,
আম্মু:- সোহরাব কোথায় যাচ্ছিস?
আমি:- আমার বাল্য কালের বউ এর কাছে।
আম্মু তুমিও এমনটা করতে পারলে? ঠিক
আছে আমার বউকে আমি নিজেই নিয়ে
আসবো। জুয়েল চল দুজনে বেরিয়ে সোজা
নিসির পিছু পিছু হাটতে লাগলাম। কিছু দূর
যাওয়ার পর দেখি নিশি একটা ছেলের
সাথে হ্যান্ডশীপ করছে জুয়েল:- বাহা
নিশির বাল্য কালের বরটা
অনেক সুন্দর দেখতে।
আমি:- শালা ঐ ছেলেটা ওর বর নই আমি
হলাম ওর বর।
জুয়েল:- তাহলে তোর বাড়ীতে যেই নিশি
সেইটা কে?
আমি:- আরে ওর নাম নিশি নই ওর নাম
প্রিয়া আমার পরিবারের সবাই মিলে
আমার সাথে বেঈমানি করছে। আরে
নিশিকে বাইকে উঠাচ্ছে ঐ ছেলেটা চল
বাধা দেয়।
জুয়েল:- বাইকে উঠালে তোর কি? আর
এমনিতেই নিশির কথার আগে হাত চলে
যদিও রেহেঙা পড়তে বেশি পছন্দ করে
কিন্তু দুষ্টমির জন্য এক নাম্বার।
আমি:- হ্যা তা ঠিক আছে কিন্তু তুই এত কিছু
জানিস কি করে?
জুয়েল:- ওদের বাড়ীতে ভাড়া ছিলাম এক
মাস। তখনি সব জানতে পারছি।
আমি:- তার মানে ওদের বাড়ীতে রুম খালি
আছে?
জুয়েল:- হ্যা আছে তবে ব্যাচলর এখন ভাড়া
দিবে না।
আমি:- সমস্যা নেই বউ পেয়ে যাবো, চল
আজকেই একটা নাটকের মেয়ে ভাড়া করে
নেব। মাত্র একদিনের জন্য হলে হইবে।
জুয়েল:- পরে কি করবি?
আমি:- তোর মত মাথা মোটা না, এখন চল
কাছে গিয়ে নিশিকে আটকায়। আরে
নিশিরা তো চলে গেছে। শালা তোর জন্য
সব হয়ছে এখন চল জুয়েলকে সাথে করে যারা
মঞ্চ নাটক করে তাদের কাছে গিয়ে বলছি
এক মাস অভিনয় করতে হবে। একজনের বউ
হয়ে থাকতে হবে এমন একটা মেয়ে লাগবে।
না এমন কাওকে পাবেন না।
আমি:- আচ্ছা আপনাদের মাঝে স্বামী
স্ত্রী আছে, যারা এক সাথে অভিনয় করে।
আমার বড় ভাই আর ভাবি হয়ে অভিনয়
করবেন মাত্র ১ মাস করলে হবে।
হ্যা যেতে পারি তবে খাওয়া দাওয়া সব
আপনার উপর আর আমাদের ৪০ হাজার টাকা
দিতে হবে। চেয়ে দেখি একজন মাঝ বয়সি
মহিলা।
আমি:- ঠিক আছে, আপনার নাম আর আপনার
বরের নাম সব কিছু বলেন।
মহিলা:- আমার নাম নাজমা আর বরের নাম
নাজিম হোসেন। এক এক করে সব কিছু
আমাকে বলছে আমিও সব কিছু ওনাদের
বুঝিয়ে দিলাম। জুয়েলকে নিয়ে নিশিদের
বাড়ীতে গেলাম। মমতা আন্টিকে দেখেই
আমার চোখে পানি চলে আসছে। জুয়েলের
মাধ্যমে ভাড়া নিতে পারলাম। আমরা দু
তলা আর নিশিরা নিচ তলা তবে বাড়ীটা দু
তলাই।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমরা আগামী
কাল আসবো। ওনাদের বলেছি সকালে চলে
আসতে ওনাদের বিদায় করে দিয়ে রাতে
বাড়ীতে এসেছি।
আম্মু:- কিরে কোথায় ছিলি?
আমি:- আমার টাকা লাগবে এক লাখ, আর
এখুনি তানা হলে আমি বাড়ী ছেরে চলে
যাবো।
আব্বু:- হঠাত এত টাকা দিয়ে তুই কি করবি?
আমি:- লাগবে আমি নতুন একটা বাইক
কিনবো, আর এই পুরাতন বাইকটা বেচে
দিয়েছি।
আব্বু:- ঠিক আছে সকালে অফিসে দেখা
করে চেক নিয়ে যাস।
আমি:- আম্মু টাকাটা আমার রাতে লাগবে
ক্যাশ কারন বাইকের টাকা দিতে হবে।
আম্মু:- ঠিক আছে দিয়ে দেন টাকাটা, আব্বু
আমাকে টাকা দিয়েছে। আমি রুমে
যেতেছি তখনি প্রিয়া এসে আমাকে পেছন
থেকে জড়িয়ে ধরছে।
প্রিয়া:- আমাকে আদর করতে তোমার মন
চাইনা?
আমি:- দেখ প্রিয়া আমি এখন তোমার
সাথে এমন কিছুই করতে চাইনা?
প্রিয়া:- আমাকে তো তুমি নিশি বলে
ডাকো তাহলে আজ হঠাত প্রিয়া ডাকছো
কেন?
আমি:- ( আপাদত ওকে তেমন কিছু বুঝতে
দেওয়া যাবেনা।) আসলে প্রিয়া নামটাই
অনেক সুন্দর তাই প্রিয়া বলে ডাকবো।
প্রিয়া:- ঠিক আছে, তাই ডাকো।
আমি:- ঠিক আছে এখন ছারু প্রিয়াকে
ছারিয়ে আমি রুমে ঢুকে গেলাম। ফ্রেস হয়ে
আমার ব্যাগটা গুচিয়ে নিয়েছি। রাতটা ছট
ফট করে কাটিয়ে সকালে আম্মুকে বলছি
কলেজে যেতেছি আসতে দেরি হবে।
প্রিয়া:- আমাকে নিয়ে তুমি ঘুরতে যাবে
কখন?
আমি:- যাবো তো আগে কলেজ থেকে আসি।
প্রিয়া:- আজকে তো বন্ধ কলেজ তাহলে কেন
যাচ্ছো?
আমি:- আমার প্রাইভেট আছে, কোন মতে
পাস কাটিয়ে বেরিয়ে এলাম। এসে ভাড়া
করা ভাই ভাবিকে নিয়ে নিশিদের
বাড়ীতে ভাড়া ওঠে গেছি। আমার রুমটা
ঠিক ছাদে ওঠা শিড়ির সাথেই রাখছি।
সারা সকাল রুম গুচাতেই চলে গেছে। দুপুরে
আমি ফ্রেস হয়ে নিচে নামছি তখনি,,,,,
ঐ তুই এখানে কেন আমাদের বাড়ীতে
আসলি কি করে?
আমি:- আরে এই পিচ্চিটা এখানে আসছে
কোথায় থেকে?
কিরে বল তুই এখানে আসলি কেন? আবার
আমার গাল টিপ দিতে আসছিস তাইনা।
দ্বাড়া এখুনি আমি আমার বড় আপুকে ডেকে
আনতেছি।
আমি:- এইটা তাহলে নিশির বোন নিহা
আরে এইটা কোথায় থেকে এলো আজকে তো
আমি গেছি। আসলে একদন কলেজ থেকে
আসার সময় রাস্তায় নিহার গাল ধরে ওলি
বাবারে বলেছি তখন যা কাহিনি হয়ছে।
কান্না করে আমার থেকে দশটা চকলেট
আইসক্রিম নিয়েছে। আর আমি বুঝতেও
পারিনি এইটা নিশির ছোট বোন নিহা।
এমনি দু বোন মিলি এসেছে নিশি আমাকে
দেখেই এমন ভাব নিয়েছে মনে হয় জীবনেও
আমাকে কোথাও দেখেনি।
নিশি:- এই আপনি কে?
আমি:- আরে বলে কি আমাকে চিনেনা
নাকি মনে মনে ভাবছি ঠিক আছে তাহলে
আমিও না চিনার বান করি। মেম আমি
আপনাদের বাড়ীতে দু তলাই ভাড়া এসেছি।
নিশি:- মানে তোমাকে ভাড়া কে দিছে?
আন্টি:- আমি দিয়েছি, ও আর ওর ভাই
ভাবি। তখনি আমার ভাড়া করা ভাই ভাবি
নেমে এসেছে।
নিশি:- তা আপনার বউ কোথায়?
আমি:- আমার বউ মানে আমি তো বিয়ে
করিনি।
নিশি:- কি এত বড় মিথ্যা কথা, আম্মু
তোমাকে ও বোকা বানাচ্ছে আসলে ও
বিবাহিত আর ওর বউ আছে।
ভাড়া করা ভাই:- আরে কি বলেন আমার
ভাই তো চাকরি করে। আর ওর জন্য মেয়ে
দেখতেছি বিয়ে করাবো বলে। বাহা
আপনার মেয়েটা তো অনেক সুন্দর আমার
ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিবেন।
আন্টি:- আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে
বাল্য কালে। আর ছেলের নাম সোহরাব আল
ইসলাম। ওরা সবাই লন্ডন থাকে ১৩ বছর পর
দেশে আসছে নিশির সাথে দেখা করতে।
আমি:- তা কবে যাবে লন্ডন ওনারা?
নিহা:- আমার আপুদের আবার বিয়ে হবে
অক্টোবর ১০ তারিখে।
আমি:- কেন আবার বিয়ে হবে কেন একবার
তো বিয়ে হয়ছে বাল্য কালে।
আন্টি:- এত কিছু তুমি বুঝবে না।
নিশি:- আম্মু তুমি ওদের কথা বিশ্বাস
করবে না। আমি বলছি তো ও একজনি আমার
সাথে কলেজে পড়ে। নিশ্চয় কোন মতলবে
এখানে এসেছে।
আমি:- আমি কলেজে পড়ি তা কি করে হয়।
আমি তো চাকরি করি। আমার মনে হয়
আমার মত দেখতে কেও হবে। আন্টি জানেন
পৃথিবীতে একি রকম দেখতে ৭ জন হয়।
আন্টি:- হ্যা আমিও কোথায় একবার
পড়েছিলাম। যাক এত কিছু জানার দরকার
নেই। ভাড়া এসেছো ভাড়া থাকবে
আমাদের সাথে কোন রকম কথা বা দেখা
করার কোন চেষ্টা করবে না। আমাদের
ফ্লাটে আসবে না শিড়ি দিয়ে নেমে
সোজা চলে যাবে ভূল করেও তাকাবে না।
আমি:- ঠিক আছে, আন্টি একটা কথা বলি?
আন্টি:- হ্যা বলো কি বলবে এইটা শেষ
কথা?
আমি:- আপনাকে দেখে মনে হয়না আপনার
বিয়ে হয়ছে, আপনি যদি এখনো সেজে
রাস্তায় বের হোন তাহলে এলাকার সব
ছেলেরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
আপনি কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর আর
নিশিকে যে আপনার মেয়ে তা একদম বুঝা
যায়না। মনে হয় আপনার বোন। আরো কিছু
পাম টাম দিয়ে প্রশংসা করেছি। তখনি
চেয়ে দেখি আন্টি খুসিতে বাব্বা কুম
করছে।
আন্টি:- বাবা তোমার নাম কি জানি?
আমি:- আল ইসলাম।
আন্টি:- আল তুমি যখন মন চাইবে তখন
আসবে। যদি কেও কিছু বলে তাহলে আমাকে
বলবে। এই নিশি সর দেখি বাবা আসো
ভীতরে আসো। আন্টি আমার হাত ধরে
বসার রুমে নিয়ে এসেছে।
আঙ্কেল:- কাকে নিয়ে এসেছো?
নিশি:- আব্বু চুপ থাকেন তানা হলে
আপনাকে বের করে দিবে। কারন ছেলেটা
আম্মুর প্রশংসা করেছে।
আঙ্কেল:- বুঝতে পারছি আজকে আমার
কপালে খারাপি আছে। চল আমরা যার যার
রুমে চলে যাই।
নিহা:- আপু ছেলেটা দেখতে কিন্তু হেব্বি
তুই যা আমি একটু লাইন মারি।
নিশি:- তুইও আম্মুর সাথে সাথে সুরু
করেছিস।
আমি:- আন্টি আপনাদের নিচ তলাটা একটু
ঘুরে দেখতে পারি।
আন্টি:- হ্যা দেখো না, তখনি আমি
নিহাকে ডাক দিয়ে কাছে আনছি।
নিহা:- ভাইয়া আপনি অনেক চালাক আম্মু
আপনার উপর আর রাগ করবে না। আজ থেকে
আম্মু আপনাকে অনেক ভালোবাসবে।
আমি:- নিহা নিশির রুম কোনটা?
নিহা:- ঐ তো ঐটা আপনি নিশি আপুর রুম,
আচ্ছা আপনি আপুর রুম খুচ্ছেন কেন?
আমি:- দরকার আছে নাও চকলেট, নিহাকে
বিদায় করে একটু পর নিশির রুমের দিকে
গেছি। রুমে নিশি নেই মনে হয় বাথরুমে
ফ্রেস হচ্ছে। আমি ঢুকে সারা রুম ঘুরতেছি
ঠিক তখনি নিশি বের হওয়ার আয়াজ
শুনেছি। আমি পর্দার আরালে লুকিয়ে
গেছি নিশি একটা টাওয়াল পরে বের হয়ে
নাচতেছে। আমি মোবাইল বের করে ভিডিও
করতেছি। হঠাত টাওয়াল খুলে গেছে আর
ধরতে গিয়ে পরে যেতে ছিলো ঠিক তখনি
আমি গিয়ে জড়িয়ে ধরে গেছে। সাথে
সাথে নিশিকে নিয়ে নিচে পরে গেছি।
আমি নিচে নিশি উপরে তবে ওর
টাওয়ালের অবস্থা ভালোনা উঠতে গেলে
খুলে পরে যাবে। আবার এদিকে আমার
বুকের হার্ট বিট বেরে গেছে। নিশি ঠোট
আর আমার ঠোট একদম কাছা কাছি। ওর চোখ
গুলা বন্ধ করে রাখছে। চোখ খুলেই বলে,,,
নিশি:- তুমি আমার রুমে কেন বলে এক
চিৎকার দিতেছিল আর ঠিক তখনি ওর ঠোটে
আমি কিস করে ধরে রেখেছি,,,,
।
চলবে,,,