গল্প:-বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:- (৯)
লিখা:- Shohrab AL Islam
।
আল তোমাকে নিশি থাপ্পড় দিলো কেন? আর নিশি তুই আলের বুকের উপর বসে আছিস কেন? কি হলো তোমরা কিছু বলছো না কেন? (আন্টি)
আমি:- আসলে আন্টি তেমন কিছুই হয়নি! নিশি কেক খাওয়াতে চাইছে আমি খেতে চাচ্ছিলাম না। এতে দুষ্টমি করতে গিয়ে নিশির হাত লেগে গেছে। (তখনি নিশি আমার বুকের উপর থেকে নেমে গেছে)
আন্টি:- নিশি আল যা বলছে তা কি সত্যি?
নিশি:- (আমার দিকে তাকিয়ে বলছে) হ্যা আম্মু ওনি সত্যি বলছে। আম্মু আমি ঘুমাবো আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে আমি রুমে গেলাম।
আন্টি:- ঠিক আছে যা! আর বাবা আল তুমি কিছু মনে করোনা।
আমি:- ঠিক আছে আন্টি, আচ্ছা আন্টি সবাই চলে গেছে মেহমানরা?
আন্টি:- হ্যা চলে গেছে। ঠিক আছে অনেক রাত হয়ছে তুমি ঘুমিয়ে থাকো সকালে বাকী কথা হবো। ও ভালো কথা নিশির বিয়ে ১০ তারিখে হবার কথা ছিলো না?
আমি:- হ্যা কিন্তু কি হয়ছে?
আন্টি:- ওনারা লন্ডন তারা তারি যেতে হবে তাই বিয়েটা কমিয়ে নিয়ে এসেছি সামনে শুক্কুরবার বিয়ে।
আমি:- তা কি করে হয়? আর নিশি রাজি হয়ছে?
আন্টি:- নিশি তো আগে থেকে রাজি। তুমি কিন্তু বিয়ের সব কিছু নিজের হাতে করবে কেমন?
আমি:- ঠিক আছে তাই হবে, নিশির বিয়ে ওর ভালোবাসার মানুষের সাথে হবে। আন্টি চলে গেছে আমি দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বসে পড়েছি। কি করবো এখন মাত্র তো ৬ দিন বাকী। সকালে কিছু একটা করতে হবে। শুয়ে পড়েছি আর কিছু চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বাহিরে যেতেছি এমনি,,
নিহা:- ভাইয়া রাতে মিষ্টি তো ভালোই খেলেন।
আমি:- কিসের মিষ্টি?
নিহা:- আপু আপনাকে কিছু খাওয়াইনি?
আমি:- হ্যা কেক খায়িয়েছে।
নিহা:- তাহলে কিসটা কে করেছে?
আমি:- এই নিহা একটু পেছনে ঘুরে তাকাবে?
নিহা:- কেন?
আমি:- তুমি তাকাও আমি গেলাম। নিহা তাকিয়ে দেখে নিশি আর সাথে সাথে এক দুর আর নিশি ওকে ধরতে চাচ্ছে! যখনি চলে আসতোছি তখনি,,,
নিশি:- ঐ আপনি কোথায় যান?
আমি:- আমার কাজ আছে একটু বের হতে হবে। কেন কোন কাজ আছে নাকী?
নিশি:- না কোন কাজ নেই।
আমি:- ঠিক আছে। তবে কালকে মিষ্টি কম হয়ছে।
নিশি:- কিসের মাঝে তখনি বলে তবেরে বলে আমার দিকে এগিয়ে আসছিলো আমি দৌরে বাহিরে চলে এসেছি।
আমি:- যাক বাচা গেলো বাহিরে এসে জুয়েলকে ফোন করেছি। কিছুক্ষন পর জুয়েল এসেছে,,
জুয়েল:- বল তোর বাল্য কালের বউয়ের খবর কি?
আমি:- হ্যা ভালোই তবে নিশি মনে হয় আমাকে লাভ করতে শুরু করছে।
জুয়েল:- কি করে বুঝতে পারলি?
আমি:- বুঝতে পারছি কালকে রাতে ওকে কিস করেছি, এর পর একটা থাপ্পড় দিয়েছে তবে আন্টি দেখে ফেলে কিন্তু নিশি কিছুই বলেনি। তাহলে বুঝ কেন কিছু বলেনি?
জুয়েল:- হ্যা তা ঠিক। তা এখন নিশিকে বলে দে তুই ওর বাল্য কালের বর সোহরাব।
আমি:- হ্যা আজকে সময় করে বলে দিব। বল তোর খবর কি? জুয়েল আর আমি বসে অনেক কথা বলতেছি। হঠাত মোবাইল বেজে উঠেছে চেয়ে দেখি আন্টির নাম্বার রিসিব করতেই,,,
আন্টি:- আল তুমি যেখানে থাকোনা কেন তারা তারি করে ঢাকা মেডিকেল চলে আসো।
আমি:- আন্টি কি হয়ছে তখনি ফোনটা কেটে দিয়েছে। আমি তারা তারি করে ঢাকা মেডিকেল গেলাম। আমাকে দেখে নিহা দৌরে এসে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিয়েছে।
নিহা:- আপু এক্সিডেন্ট করছে সোহরাব ভাইয়ার সাথে বাইকে যাবার সময়।
আমি:- নিশি কোথায়? তখনি চেয়ে দেখি আঙ্কেল আন্টি ব্যাঞ্চে বসে কান্না করতেছে। পাশে বসে ওনাদের সাথে কথা বলেছি।
আঙ্কেল:- বাবা আল নিশি বাজবে তো?
আমি:- হ্যা বাজবে কিছুই হবেনা নিশির। কিন্তু সোহরাব কোথায়?
এই তো আমি (সোহরাব)
আমি:- আপনি তো সুস্থ তাহলে নিশির কি হয়ছে?
সোহরাব:- আসলে নিশি পেছনে বসে ছিলো আর ট্রাকটা পেছন দিয়ে যাবার সময় নিশির ওরনার সাথে লেগে রাস্তায় পড়ে যায়। আর মাথায় পচন্ড আগাত পায়।
আমি:- ওর মাথায় হ্যামলেট ছিলোনা? আর আপনি বা কি করছেন? ঠিক করে বাইক চালাতে পারেন না? বলে ওর কালার চেপে ধরেছি। আন্টি আমাকে ছারিয়ে নিয়েছে।
আন্টি:- আল ওকে ছারো ডাক্তার বের হয়ছে। ওকে ছেরে ডাক্তারের কাছে গেছি।
ডাক্তার:- দেখুন এখনি কিছু বলতে পারবোনা তবে মাথায় একটু বেশি আগাত পেয়েছে। ঘন্টা খানেক পর জ্ঞান ফিরবে তখন বলতে পারবো।
আঙ্কেল:- ডাক্তার প্লিজ আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে দেন। ওনি কিছু না বলে চলে গেছে। সবাই মিলে বসে আছি ঘন্টা খানেক পর নার্ছ এসে বলছে,,,
নার্ছ:- রুগির জ্ঞান ফিরছে। আমরা সবাই গেলাম কিন্তু নিশি কিছুই দেখতেছে না বলতেছে,,
নিশি:- সব কিছু অন্ধকার লাগছে কেন?
আন্টি:- কি বলিস? তখনি ডাক্তার বলে,,
ডাক্তার:- আমি যেইটা সন্ধেহ করেছি সেইটা হয়ছে ওর দুইটা চোখ ডেমারেজ হয়ে গেছে। ডাক্তারের কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেছে।
আঙ্কেল:- তাহলে কি আমার মেয়ে আর কোন দিন চোখে দেখতে পাবে না?
ডাক্তার:- হ্যা পাবে তবে যদি অন্য কোন চোখ অপেরেশন মাধ্যমে ওর চোখে লাগানো হয়।
আন্টি:- তাহলে চোখ পাবো কোথায়?
নিহা:- আম্মু আমার চোখ গুলা আপুকে দিয়ে দিব। আমি বড় হলে আবার নিয়ে নেব।
নিশি:- আমার চোখ লাগবেনা পাগলি আমি সব দেখেছি আর কিছুই দেখতে হবে না।
আমি:- আচ্ছা ডক্টর আমি নিশিকে আমার একটা চোখ দিতে চাই। এতে করে আমরা দুজনি দেখতে পাবো পড়ে চোখ পেলে আমরা লাগিয়ে নেব।
ডাক্তার:- হ্যা তা একদম কারেক্ট কথা বলছো! আচ্ছা তাহলে আপনারা সবাই আগামী কাল আসেন তখন অপেরেশন হবে। তবে ওনি আপনাদের রক্তের সম্পর্কে কেও হয়ত?
আন্টি:- হ্যা আমার মেয়ের জামাই হয়।
ডাক্তার:- মানে স্বামী স্ত্রী?
নিশি:- আম্মু আমার বর তো সোহরাব আল ভাইয়াকে কেন বলছো?
আন্টি:- না আল তোর আসল বর। বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আসলে তোমার বাবার উপর রাগ করে আমি নিশিকে তোমার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে দিতে চাইছিলাম। তবে বিশ্বাস করো আমি মনে মনে সিদ্দান্ত নিয়ে ছিলাম বিয়েটা তোমার সাথে দিব।
আঙ্কেল:- তাহলে তুমি আলকে তোমার মেয়ের স্বামী হিসাবে মেনে নিয়েছো?
আন্টি:- হ্যা মেনে নিয়েছি আর ওর নামি সোহরাব আল ইসলাম। তখনি নিশি শুয়া থেকে উঠে এসে সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
আঙ্কেল:- এই নিশি আর নাটক করতে হবে না। তুই তোর বাল্য কালের বর পেয়ে গেছিস। ধন্য বাদ ডক্টর আপনাকে আর বাবা রুবেল তোমাকেও ধন্যবাদ। (নকল সোহরাবের নাম রুবেল ছিলো)
আন্টি:- কি নাটক মানে?
আঙ্কেল:- হ্যা নাটক এসো বাড়ীতে যেতে যেতে সবটা বলছি।
নিশি:- সোহরাব নাও তোমার লকেট।
আমি:- এইটা তোমার কাছে গেছে কি করে?
নিশি:- দুর বোকা, আমি সকালে তোমার রুমে গেছি গিয়ে দেখি তোমার খাঠের উপর লকেট। এর পর তোমার ভাড়া করা ভাবি সব বলে দিছে আমি ভয় দেখানুর পড়ে। আব্বুর সাথে সেয়ার করেছি আব্বু বলছে আম্মু তোমার আব্বু অপমান করছে তাই আম্মু রাগ করে এই বিয়েটা ভেঙে দিতে চাইছে। এর পর আব্বু আমি আর রুবেল তিনজন মিলে প্লান করেছি। ডক্টর আঙ্কেল আমাদের সাহায্য করেছে।
আমি:- জানু আমার দম বন্ধ হয়ে গেছিলো তোমার এক্সিডেন্টের কথা শুনে।
আন্টি:- আমি না হয় মেনে নিলাম কিন্তু সোহরাব তোমার আব্বু কি মেনে নিবে?
আমি:- সেইটা আপনি আমার উপর ছেরে দেন আমি সব ঠিক করে দিব। চলো নিশি আজকেই তোমাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে যাবো।
আন্টি:- সোহরাব আমার মেয়ে যদি একটু কান্না করে তাহলে তার দ্বীগুন কান্না তোমার করতে হবে।
আমি:- কথা দিলাম নিশিকে সারা জীবন হাসি খুসি রাখবো। এই নিশি বাইকের পেছনে বসিয়ে নিলাম। দুজনে অনেক খুসি আমি ভাবতেও পারিনি এত তারা তারি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। নিশিকে নিয়ে বাড়ীর ভীতরে ঢুকতেছি তখনি প্রিয়া এসে দৌরে জড়িয়ে ধরে বলে,,
প্রিয়া:- জানু সোহরাব আজকে আমাদের দুজনের বাসর হবে। আঙ্কেল বাড়ীতে পার্টি দিয়েছে সন্ধায় আর রাতে তোমার আর আমার বাসর হবে।
আমি:- কিসের বাসর আর তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়ছে কবে?
আব্বু:- বিয়ে হয়ছে বলে তো বাসর হবে। প্রিয়া যেইটা বলছে ঐটাই সত্যি আজকে তোদের বাসর হবে। আমি নিশির দিকে চেয়ে দেখি নিশি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কাম সারছে এখন কি করবো?
।
চলবে,,,