গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(১১,,শেষ)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
আপনার সাথে তো আমার বড় বোনের বিয়ে হবার কথা ছিলো। ভাগ্য ক্রমে আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়ছে। আমি এমন অনেক ছেলেদের দেখছি মায়ের কথা শুনে বউকে ডির্ভোস দিয়ে দিতে,,,, তাই তো আপনাকে আমি পরীক্ষা করে দেখছি,,, আমি ওদের দুই বোনের দিকে তাকিয়ে আছি একদম সেইম চেহারা সেইম ড্রেস পড়া,,,
আমি:- আচ্ছা তাহলে ওনার নাম তসিবা হলে তোমার নাম কি?
তসিবা:- সরি আমি ভূল বলছি আমার নাম তসিবা ইসলাম আর ওর নাম তুলি ইমলাম।
আমি:- তার মানে তোমরা সবাই মিলে আমার সাথে খেলা করেছো?
তুলি:- সৌরভ তুমি ভূল বুঝোনা আসলে আমি রাহাতকে অনেক ভালোবাসি ঐ দিন তুমি আমাকে দেখে আংটি পড়িয়ে যাবার পর রাহাদ আত্বহত্যা করতে গেছিলো তাই আমি রাহাতের সাথে পালিয়ে যাই। আব্বু তোমার আব্বুকে সব কিছু খুলে বলছে কিন্তু তোমার আব্বু আমার আব্বুকে বলে,,, ভাইজান প্লিজ আপনি আপনার ছোট মেয়েকে আমার ছেলে সৌরভের সাথে বিয়ে দেন। তা না হলে সংসারে কেও আমাকে সম্মান করবে না বিশেষ করে সৌরভের আম্মু সৌরভের জীবনটা তেজ পাতা করে নষ্ট করে দিবে,,,
আমি:- কিন্তু আম্মু কেনো আমার জীবনটা নষ্ট করতে চাইবে?
তসিবা:- কারন ওনি আপনার সৎ মা আর আপনার আপন মা আপনাকে অনেক ছোট রেখে মারা গেছে। আপনার আব্বু আপনার আপন মাকে বিয়ে করেছে এইটা কাওকে বলেনি। আপনার মা মারা যাবার পর আপনার আব্বু আপনাকে সৎ মায়ের কাছে নিয়ে যাই তখনি আপনাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চাইছে কিন্তু পারেনি আপনার আব্বু সব সম্পত্তি আপনার নামে লিখে দিছে আর বলছে যদি আপনাকে ওনি নিজের সন্তানের মত মানুষ না করে আর যদি আপনার কিছু হয় সব কিছু অনাত আস্রম আর মসজিদের নামে সব সম্পত্তি চলে যাবে।
আমি:- তসিবা তুমি কেনো মিথ্যা বলছো আমার মায়ের নামে?
তুলি:- সৌরভ কথা গুলি সব সত্য বলছে,,,, তোমার সাথে যা ব্যবহার করে সব তোমাকে দেখানোর জন্য।
আমি:- তোমরা দুই বোন আমার সাথে মিথ্যা কথা বলছো আমি এত দিনে কারো কাছে তো শুনতে পেতাম আমার মা না ওনি সৎ মা তখনি আব্বু সহ তসিবার বাবা এসেছে,,,,
তসিবা:- ঐ তো আপনার আব্বু এসেছে ওনাকে জিগেস করেন আপনি যাকে মা জানেন ওনি আপনার মা কি না?
আমি:- আব্বু আপনি এখানে? আর তুলি তসিবা যা বলছে সব কিছু কি সত্যি?
আব্বু:- সৌরভ ওরা যা বলছে সব সত্যি বলছে আসলে আমি তোকে কথা গুলি বলতে চায়ছি কিন্তু তুই কষ্ট পাবি বলে বলিনি।
আমি:- তাই বলে সবাই আমার সাথে অভিনয় করবেন। তাহলে এখন আমার বিয়েটা হয়ছে কার সাথে?
তসিবা:- বিয়ে তো আমার সাথে হয়ছে। আপু তো ঐ দিন রাতে আংটি আর চিঠি রেখে ভ্যানিস হয়ে গেছে।
আমি:- তাহলে আজকের পর থেকে তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ করবে না। জীবনে তোমার মত মেয়ে আমি কমই দেখছি,,,
তসিবা:- কি যোগাযোগ করবো না কেনো? তার মানে আপনি ঐ রিয়াকে বিয়ে করবেন নাকী?
আমি:- যাকে খুসি তাকে করবো তোমার মত মেয়ের সাথে সংসার করা যায় না। আমি তো এখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না আমি এতটা বোকা কি করে হলাম। নিজের প্রতি নিজের ঘৃনা চলে আসছে,,,,
আব্বু:- সৌরভ আমার কথাটা একটু বুঝার চেস্টা কর। আমি যা করেছি সব তোর ভালোর জন্য করেছি তসিবা সত্যি অনেক ভালো মেয়ে তুকে অনেক সূখে রাখবে।
আমি:- হ্যা কেমন ভালো তা তো দেখতে পারছি আসলে কি জানেন আব্বু আমার ভাগ্যটা খারাপ তা না হলে আমার সাথে কেনো এমনটা হবে?
আব্বু:- সৌরভ সব কিছু ভূলে তসিবাকে নিয়ে সংসার কর দেখবি তোরা অনেক সূখে থাকবি।
আমি:- তসিবার সাথে সংসার যেই মেয়ে বাসর ঘরে বলে আমি আপনার বউনা তার সাথে সংসার হয় না। আমার সামনে তুমি অন্য ছেলের হাত ধরে হেটে গেছো আর আমাকে তুমি ঘৃনা করো বলছো।
তুলি:- আরে বোকা সিটি শপিং মহলে আমি ছিলাম আর ঐদিন রাস্তায় আমি ছিলাম। আমি তোমাকে ইচ্ছে করে এমন করেছি কারন তসিবা বলে ছিলো তোমার সাথে দেখা হলে যাতে এমনটা করি,,, আর তোমার আব্বু তো জানে আমরা যে জমজ দুই বোন।
আব্বু:- হ্যা সৌরভ সব কিছু আমি জানি আর যা হয়ছে সব ভূলে তসিবাকে মেনে নিয়ে সুন্দর করে সংসার কর।
আমি:- না আমার পক্ষে সম্ভব না তসিবা তুমি ভালো থেকো আমি গেলাম। আজ থেকে তোমার প্রতি আমার আর কোনো অধিকার রইলো না। আমি রুম থেকে বেরিয়ে চলে আসতেছি কিছুক্ষণ পর কেও একজন পেছন থেকে দৌরে এসে আমার কাদে জড়িয়ে ধরে উঠেছে,,, আরে কে কি করছেন? চেয়ে দেখি তসিবা,,,
তসিবা:- অধিকার নেই মানে আপনি আমাকে কষ্ট দিতে পারবেন?
আমি:- হ্যা পারবো তোমার আর তোমার ভালোবাসা আমার কোনো প্রয়োজন নেই।
তসিবা:- বললে হলো আমার প্রয়োজন আছে আপনি জানেন বউ আর ভূত একবার ঘারে উপর উঠলে আর নামতে চায়না। এখন আমিও নামবো না আজ থেকে শুধু আপনাকে ভালোবাসবো। কতদিন আপনাকে আদর করিনা বলে ও আমার গালে কিস করতেছে,,,
আমি:- কি হয়ছে নামো তোমার ওজন অনেক বেরে গেছে তোমাকে নিয়ে হাটতে পারছি না।
তসিবা:- কি আমি মুটি হয়ে গেছি বলে কান্না শুরু করেছে,,,
আমি:- আরে কান্না করছো কেনো? ঠিক আছে আসো তোমাকে কুলে নেয়। তসিবাকে কুলে নিয়েছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
তসিবা:- আমাকে ছাড়া আপনি থাকতে পারবেন?
আমি:- কে বলছো পারবো না দুই দিন তো থেকেছি তোমাকে ছাড়া। তখনি আমার গাল টেনে ধরে বলে,,,,
তসিবা:- আজকের পর যদি আমাকে ছাড়া কোথাও যান তাহলে আমি নিজেকে নিজেই শেষ করে দিবো। আমি আপনাকে ছাড়া বাচতে পারবো না আমি আপনাকে আর কোনো কষ্ট দিবোনা।
আমি:- তাহলে এখন কোথায় যাবে?
তসিবা:- আপনার কুলে তো আছি যেখানে মন চায় নিয়ে চলেন।
আমি:- তাহলে আমাদের বাড়ীতে চলো আমি তসিবাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসেছি আমার সাথে আম্মু তসিবাকে দেখে রেগে মেগে আগুন হয়ে গেছে,,,
আম্মু:- সৌরভ তুই আবার এই মেয়েটাকে নিয়ে এসেছিস? তোর তো আজকে ওকে ডির্ডোস দেওয়ার কথা আর তুই ওকে নিয়ে এসেছিস?
আমি:- তসিবাকে আমি ডির্ভোস দিতে পারবো না। আমি বিয়ে একটা করেছি আর বিয়ে করবো না তসিবা আমার বউ আর এই বাড়ীর ছোট ছেলের বউ হয়ে থাকবে।
আম্মু:- তসিবাকে আমি বউ হিসাবে মানি না যদি ভালো চাস তাহলে তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে রিয়াকে বিয়ে করে নে।
আমি:- একটা কথা বলবো আম্মু?
আম্মু:- হ্যা বল কি কথা?
আমি:- আসলে আজ সত্যি মনে হচ্ছে আপন মা আর সৎ মায়ের পার্থক্যটা। আমি আজ সব কিছু যেনে গেছি ভাবিকে যখন ভাইয়া প্রেম করে বিয়ে করে আনছে তখন তো আপনি খুব সহজে মেনে নিয়েছেন। আর আমার বিয়েটা আপনাদের সবাইকে নিয়ে করেছি তাও কেনো আমার সাথে এমন করছেন?
আম্মু:- এই মেয়ে ভালোনা অন্য ছেলেদের সাথে ঘুরা ঘুরি করে তার প্রমান তো আমি তুকে দিয়েছি তাও কেনো তুই এমন করছিস। তখনি আব্বু এসেছে সাথে তসিবার বাবা আর তুলিকে নিয়ে,,,
আব্বু:- তসিবা কখনো কোনো ছেলের সাথে ঘুরা ঘুরি করেনি এই হচ্ছে তসিবার জমজ বোন তুলি,,, সবাই তুলিকে দেখে হা হয়ে চেয়ে আছে,,,
তুলি:- ঐদিন আপনাদের সাথে আমার দেখা হয়ছে,,, আসলে তসিবা অনেক ভালো মেয়ে ও আপনাদের বাড়ীর সম্মান কোনো সময় নষ্ট করবে না।
আম্মু:- তাও আমি তসিবাকে মেনে নিতে পারবো না সৌরভ আমি রিয়াকে তোর সাথে বিয়ে দিবো বলে এই বাড়ীতে এনেছি,,, তুই আমাকে কথা দিয়েছিস রিয়াকে বিয়ে করবি নে ডির্ভোসের কাগজে সাইন করে দিয়ে দে।
আমি:- কথা তো দিয়েছি তসিবাকেও আমি ওকে ছেড়ে কোনো দিন যাবো না তাহলে আজকে কেনো যাবো। আমি জানি কেনো তুমি কাগজে সাইন করাতে চাচ্ছো দাও সাইন করে দেয়।
আম্মু:- হ্যা নে,,, (আমি কাগজটা হাতে নিয়েছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি কলম নিয়ে সাইন করবো তখনি আম্মু কাগজটা টান মেরে নিয়ে গেছে)
আমি:- কি হলো আম্মু তুমি কাগজ নিয়েছো কেনো দাও আমি আমার সব সম্পত্তি তোমার নামে লিখে দেয়।( আম্মু চোখ দিয়ে পানি ফেলে দিয়ে কাগজ গুলি টেনে ছিড়ে ফেলছে আর বলছে,,,)
আম্মু:- সৌরভ আমি সত্যি তোর বিশ্বাস আর ভালোবাসার কাছে হেরে গেছি আমাকে তুই ক্ষমা করে দে। আজ থেকে আমি আর তোর কোনো ক্ষতি চায়না। তসিবা বউ মা আমার আয় বুকে আয় আমাকে তুই ক্ষমা করে দিস।
আমি:- আপন মা কেমন ছিলো তা তো আমি কোনো দিন দেখিনি আমি তো তোমাকে মা বলে জেনে এসেছি তাহলে তোমার কথার অবাধ্য কেনো হবো বলো?
আম্মু:- বাবা সৌরভ আমি তোর অনেক ক্ষতি করেছি তুই নিজেকে বার বার গুরে দাড় করিয়েছিস। আজ থেকে আমি তোর পাশে থাকবো আর তুই অনেক দূর এগিয়ে যাবি। আম্মু আমাকে আর তসিবাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছে,,,
আব্বু:- বেয়াই সাহেব বলে ছিলাম আমার সৌরভ সব কিছু ঠিক করে দিবে দেখছেন সব ঠিক হয়ে গেছে,,,,
শ্বশুড়:- তাহলে তসিবাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যাই জামাই বাবাজি সহ কিছু দিনন বেরিয়ে তারপর আসবে কেমন।
আম্মু:- না আজকে নয় কাল সকালে বউ মাকে নিয়ে যাবে। আর বড় বউ তুমি তোমার বোনকে কোথায় রাখবে পড়া শুনা করার জন্য এইটা চিন্তা করো।
ভাবি:- রিয়া তো সৌরভকে ভালোবাসে সে সৌরভকে ছাড়া বাজবে না।
রিয়া:- আপু আসলে আমি সৌরভকে ভালোবাসতাম ওর টাকার জন্য আন্টি বলছে তাই এখন থেকে আমি ওর পিছু আর কোনো দিন নিবো না। সৌরভের জন্য তসিবা একদম পার্ফেক্ট আমি কাল্কে বাড়ীতে চলে যাবো।
আমি:- রিয়া তোমার সাথে আসলে অন্যায় করা হয়ছে,, আসলে ওরা তোমাকে ভূল কিছু বুঝিয়েছে তুমি সব ভূলে নতুন করে শুরু করো।
তসিবা:- রিয়া দেখো তোমার জীবনে অনেক ভালো কেও আসবে যে তোমাকে খুব ভালোবাসবে। (সবাই রিয়াকে শান্তনা দিয়েছে রিয়া তার রুমে গেছে আর তুলি শ্বশুড় চলে গেছে,,,)
আম্মু:- সৌরভ যা তসিবাকে নিয়ে রুমে যা আর বড় বউ তুমি তসিবাকে ছোট বোনের মত দেখবে কথাটা যেনো মনে থাকে। আমি তসিবাকে নিয়ে রুমে এসেছি,,,
তসিবা:- একটা কথা বলবো?
আমি:- কি কথা?
তসিবা:- আমাদের বাসর কবে হবে?
আমি:- আগে তুমি কবুল বলো তারপর চিন্তা করে দেখবো?
তসিবা:- মানে আমি তো বাসর ঘরে মজা করে বলেছি কবুল বলিনি। আমি তো ঐ দিন কবুল বলেছি,,,
আমি:- বিশ্বাস হচ্ছে না দেখি সরো আমি ফ্রেস হতে যাবো। আর তুমি আমার নামে কি কি যেনো লটাবে তোমাকে স্পর্শ করলে?
তসিবা:- ছিঃ ছিঃ আপনি আমার অনেক ভালো বর আপনার নামে আমি এমন কথা বলতে পারি?
আমি:- এখন আর যত বাহানা করো আমি তোমাকে আদর টাদর কিছুই করবো না আমি ফ্রেস হতে গেলাম। আমি তসিবাকে রাগিয়ে সোজা শাওয়ার নিতে চলে আসছি সাথে তসিবা এসেছে,,, আরে তুমি কেনো এসেছো?
তসিবা:- আগে আমাকে পাঁচটা আদর কিস করেন তারপর যাবো বলে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে,,,
আমি: আরে কি করছো কে শুনে কার কথা করছি তো তসিবার কপালে নাকে গালে কিস করেছি আর ও আমাকে কিস করে চলে গেছে,,, কিছুক্ষণ পর ফ্রেস হয়ে বের হয়ছি তখনা তসিবা একদম নব বধূয়া সাজে সেজেছে,,,
তসিবা:- দেখেন তো আমাকে কেমন লাগছে?
আমি:- পেত্নির মত লাগছে,,
তসিবা:- কি আমি পেত্নি তবেরে দেখাচ্ছি বলে টান মেরে আমাকে নিয়ে সোজা খাঠের উপর ফেলে বুকের উপর বসেছে,,,
আমি:- তসিবা তুমি কি কোনো দিন বড় হবে না স্বামীর বুকের উপর মাথা রাখে কেও এমন ভাবে বসে?
তসিবা:- সরি সরি এই মাথা রেখেছি,, আজকে রাতটা একটু অন্য রকম গেছে তসিবার ভালোবাসা যেনো কোনো কমতি ছিলো না। দুজনে সকালে নাস্তা করেছি,,,
আমি:- আম্মু তসিবাকে কলেজে নামিয়ে দিবো আর দুপুরে ওকে নিয়ে ওদের বাড়ীতে যাবো কেমন।
আম্মু:- সাবধানে যাস আর শুন তসিবাকে বাইকে কোথাও নিয়ে গেলে হেমলেট পড়িয়ে নিবি কেমন।
আমি:- ঠিক আছে তসিবা আম্মুকে সালাম করে আমার সাথে চলে এসেছে ওকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসে গেছি অফিসের কাজ গুলো করেছি এমনি তসিবার ফোন রিসিব করতেই বলে,,,
তসিবা:- আজকে একটু তারা তারি আসবেন আপনাকে নিয়ে কিছু কেনা কাটা করবো কেমন।
আমি:- আচ্ছা ফোনটা রেখে আমি আবার কাজে মন দিলাম কাজ গুলি শেষ করে কলেজের সামনে গেছি। দেখি তসিবা সহ ওর সব বান্ধবীরা দাঁড়িয়ে আছে ওদের সাথে কথা বলে তসিবাকে নিয়ে শপিং করতে গেছি। তসিবার জন্য শপিং করে রাত ৯টার দিকে শ্বশুড় বাড়ী গেছি দেখি রাহাত আর তুলি আছে,,,,,
রাহাত:- সৌরভ কি তোমার বউ পেয়েছো তো?
আমি:- হ্যা পেয়েছি তবে আপনি সব জানতেন তাইনা?
রাহাত:- হ্যা সব জানতাম আর সব কিছু তসিবা করেছে,,, তবে তসিবা অনেক লাকী তোমার মত বর পেয়েছে,,
আমি:- হ্যা আমিও অনেক ভাগ্যবান তসিবাকে বউ হিসাবে পেয়ে,,সবার সাথে কথা বলে তসিবার রুমে গেছি। রাতের খাবার খেয়ে সবার সাথে বসে কিছু কথা বলছি তখনি,,,,
তসিবা:- সৌরভ চলো রুমে যাই অনেক রাত হয়ছে,,,,
তুলি:- বরকে তো চোখে হারাতে চাস না যাও সৌরভ তানা হলে তোমার বউ আবার রাগ করবে।
তসিবা:- হ্যা অনেক রাগ উঠতেছে তখনি তসিবাকে কুলে নিয়ে সোজা রুমের দিকে আর সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে। রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি,,, দরজা বন্ধ করছেন কেনো?
আমি:- এমনিতেই দরকার আছে বলে ওকে খাঠের উপর শুয়ে দিয়েছি তসিবা তখনি আমাকে টান মেরে আরো কাছে নিয়ে গেছে আজ আমাদের বাসর হয়ে গেলো। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে সোনালী রৌদে চেয়ে দেখি তসিবা পাশে নেই কিছুক্ষণ পর দেখি তসিবা বাথরুম থেকে বের হয়েছে,,, আমি শুয়া থেকে উঠে তসিবাকে কুলে নিয়েছি তখনি,,,,,,,
তসিবা:- আমি তুলি আমি তসিবা না সৌরভ আমাকে নামাও কেও দেখলে সর্বনাষ হয়ে যাবে।
আমি:- আমাকে বোকা বানাতে চাচ্ছো তাইনা?
তসিবা:- আরে বোকা সত্যি আমি তুলি আমাদের বাথরুমে সমস্যা হয়ছে তাই তোমাদের রুমে এসেছি,,, তুমি একটু পেছনে তাকাও আমি তাকিয়ে দেখি তসিবা রেগে মেগে আগুন হয়ে আছে,,,,
আমি:- মানে ত তসিবা তুমি বলে তুলিকে কুল থেকে ছেড়ে দিয়েছি আর তুলি ঠাস করে পড়েছে,,,,
তুলি:- আরে তুমি করছো আমার কমড়টা তো ভেংগে দিয়েছো? আমি বলেছি তসিবা না তাও আমার কমড়টা এখন কি হবে?
আমি:- সরি তুলি আপু আমি বুঝতে পারিনি তসিবা ওনাকে টেনে তুলছে,,, তসিবা সত্যি আমি মনে করেছি তুমি তাই তো কুলে নিয়েছি।
তসিবা:- এত দিনে তুমি আমাকে চিন্তে পারোনি? যাও তোমার সাথে কোনো কথায় নেই।
আমি:- আরে কই যাও বলে তসিবাকে টান দিয়ে কাছে নিয়ে এসেছি,,, তসিবাকে একদম আরো কাছে নিয়ে এসেছি তুলি আমাদের দৃশ্য দেখে দৌরে রুম থেকে বেরিয়ে গেছে সোজা ওর ঠোটে কিস করে দিয়েছি,,,,
তসিবা:- আজকের মত ক্ষমা করে দিয়েছি এর পর যদি দেখি তাহলে কিন্তু,,,
আমি:- আর কোনো দিন এমন ভূল হবে না বলে তসিবাকে কুলে নিয়ে ঘুরাতে শুরু করেছি তসিবা অনেক খুশি,,,,তসিবার আর আমার দুষ্টমিতে আর মিষ্টি ঝগড়াতে ভালোই চলছে আমাদের সংসার।
!!
গল্পটা কেমন হয়ছে সবাই জানিয়ে দিবেন আর নতুন গল্প নিয়ে হাজির হব খুব তারা তারি আপনাদের মাঝে। সবাইকে বাংলা নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
………………………………সমাপ্তি………………………………
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.
Romantic Otacar, ballo bivaho, nobobodu is the best golpo