গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৭)

0
3611
গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৭) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! আমার সামনে দিয়ে আমার বউ তসিবা অন্য একটা ছেলের হাত ধরে হেটে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি তবে আম্মু আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মন খারাপ করে আমি দাঁড়িয়ে আছি,,, আম্মু:- সৌরভ এর পরেও বলবি তসিবা ভালো মেয়ে আর ওর সাথে সংসার করবি? আমি বলি তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে তুই রিয়াকে বিয়ে করে নে দেখবি অনেক সূখে থাকবি তুই। আব্বু:- আমি তো ভাবতেও পারছি না তসিবা এমন একটা কাজ করবে! আমি এতদিন মেয়েটা পক্ষে কথা বলছি আর নয় আজকে ওর বাবা মাকে খবর দিয়ে এনে ওকে ওদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিবো। আমি:- তার আগে জানতে হবে কেনো তসিবা এমনটা করেছে। হয়ত ওর স্বপ্ন পুরুন হয়ে গেছে তাই আমাকে না চিনার বান করেছে। মনে মনে কথা গুলি ভাবছি,,, আম্মু তোমরা বাড়ীতে যাও আমি আসতেছি,,,, আম্মু:- না আমার সাথে এখুনি তুই বাড়ীতে যাবি চল আমাদের সাথে। আব্বু আম্মু আমাকে টেনে বাড়ীতে নিয়ে এসেছে বাড়ীতে ঢুকে বসে আছি মনটা খারাপ করে,,,, আব্বু তসিবার বাবা মাকে ফোন করে বলে দিয়েছে তারা তারি যেনো আমাদের বাড়ীতে আসে,,, ভাবি আম্মু আব্বু, আর আমি বসে আছি,,, তখনি রিয়া একা বাসায় এসেছে,,,, আমি:- রিয়া তসিবা কোথায়? রিয়া:- তসিবা আসতেছে ঐ তো তসিবা,,, তাকিয়ে দেখি তসিবা আসতেছে,,,, আমাকে দেখে তসিবা বলে,,, তসিবা:- আপনি আজকে এত তারা তারি বাসায় চলে এসেছেন? তাহলে আমাকে কলেজ থেকে নিয়ে আসতেন। আম্মু:- তুমি কলেজে থাকলে তো তোমাকে কলেজ থেকে আনবে। তসিবা:- মানে কি বলছেন তাহলে আমি কোথায় ছিলাম? রিয়া তুমি বলো আমি কোথায় ছিলাম। রিয়া:- তেমাকে তো আমি অনেক্ষন কলেজে দেখিনি তুমি কোথায় ছিলে? ( রিয়ার কথা শুনে তসিবা অভাক হয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,) তসিবা:- কি বলছো তুমি সারাক্ষন আজকে আমি তোমার সামনে ছিলাম। আব্বু:- তসিবা কেনো মিথ্যা কথা বলছো তুমি তো আজকে কলেজে ছিলে না। আজকে তুমি সিটি শপিং মহলে ছিলে। তোমার সাথে একটা ছেলে ছিলো তুমি আমাদের চোখের সামনে দিয়ে তুমি ছেলেটার হাত ধরে হেটে চলে গেছো। তসিবা:- আব্বাজান আপনিও আমাকে এমন কথা বলতেছেন। আমি সত্যি বলছি আজকে আমি কোথাও যায়নি,,, তখনি তসিবা আমার কাছে এসে বলে,,, আপনি কিছু বলছেন না কেনো? আমি:- কি বলবো বলো? আমি যে এখনো সেই দৃশ্যটা ভূলতে পারছি না, আমার চোখের সামনে তুমি ঐ ছেলেটার হাত ধরে হেটে চলে গেছো। আমি তোমার হাত ধরেছি তুমি হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেছো। তখনি তসিবা আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,, আর এর মাঝে তসিবার বাবা মা এসে গেছে,,, আব্বু:- বেয়াই সাহেব আসেন,,, যে কারনে আপনাদের এত তারা তারি ডাকা হয়ছে,,, আমরা আপনাদের মেয়ে তসিবাকে আর আমাদের বাড়ীতে রাখতে পারবো না। আপনার মেয়ে কলেজের নাম করে অন্য সব ছেলেদের সাথে ঘুরা ঘুরি করে আজকে শপিং মহলে যা করেছে তা বলার মত নয়। শ্বশুড়:- মানে কি? কি করেছে? আম্মু:- মানে হলো আপনার মেয়ে আমার ছেলেকে একটুও ভালোবাসে না। কলেজের নাম করে অন্য ছেলেদের সাথে টাংকি মারে,,, আমার ছেলে আপনার মেয়ের সাথে সংসার করতে রাজি নয়। শ্বাশুড়ি:- ২০ দিন হয়ছে মাত্র বিয়ে এখনি সংসার করতে রাজি নয় বললে হলো। আমার মেয়ের কি দোষ আছে যে সংসার করবে না। কলেজে পড়লে মেয়েদের ছেলে বন্ধু থাকে তার জন্য বিয়ে ভাঙ্গার কোনো মানে হয় না। তসিবা:- আচ্ছা মিস্টার সৌরভ আপনি কি আপনার বাবা মার সাথে একমত। আপনি কি তাহলে আমার সাথে সংসার করতে চান না? আম্মু:- ও কি বলবে আমি যা বলি তাই হবে সৌরভ তোমাকে ডির্ভোস দিয়ে দিবে। তুমি আজকে বাড়ী ছেড়ে চলে যাবে যাও তোমার বাবা মার সাথে। রাহাদের আব্বা তোমাকে আমি আগে বলেছি এই বিয়েটা না করাতে তাও করিয়ে আমার ছেলেটার জীবনটা নষ্ট করেছো। শ্বাশুড়ি:- আমরা এর শেষ দেখে ছারবো আমার মেয়ের জীবন নিয়ে চিনি মিনি খেলা আমরা কিছুতেই মেনে নিবো না।
আম্মু:- আমরা বসে থাকবো যান যা করার করেন,,, সৌরভ তুই চিন্তা করিস না আমি তোর সাথে রিয়াকে বিয়ে দিবো রিয়া তুকে অনেক সূখে রাখবে। তসিবা:- ধন্যবাদ মিস্টার সৌরভ আমি আগে বুঝতে পারছি আপনি মা ভক্ত হবেন। তবে আপনি জীবনে অনেক বড় ভূল করেছেন,,, ( তসিবাকে আমি কিছুই বলিনি তসিবা আমাকে আরো কিছু কথা বলেছে,,) আব্বু আম্মু তোমরা একটু অপেক্ষা করো আমি আমার ব্যাগটা নিয়ে আসতেছি,, তসিবা রুমে গেছে ব্যাগ আনতে। গেছে তো গেছেই আসার কোনো নাম গন্ধ নেই,, আম্মু:- সৌরভ গিয়ে দেখ তো তসিবা রুমে কি করছে? আমি:- হ্যা যাচ্ছি বলে রুমে গেলাম দেখি ব্যাগ উপর থেকে নামানোর ব্যর্থ চেস্টা করছে,,, আরে কি করছো পরে যাবে তো? তসিবা:- পরে গেলে আপনার কি? আমি মরে গেলে বা আপনার কি? আপনি আমার নামে এত বড় একটা মিথ্যা অপবাদ দিতে পারলেন? আমি:- কিসের মিথ্যা অপবাদ তোমাকে আমি নিজের চোখে দেখেছি,,, আচ্ছা তসিবা তোমার কি কোনো জমজ বোন আছে,,, তখনি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,, তসিবা:- আপনাকে আমার চেনা হয়ে গেছে এখন কষ্ট করে আমার ব্যাগটা নামিয়ে দেন। আম্মু আব্বু আমার জন্য অপেক্ষা করছে,,, আমি:- তোমাকে আমি কিছু একটা জিগেস করেছি তো নাকী? তসিবা:- আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে বাধ্য নয়। এখন ব্যাগটা যত তারা তারি নামাবেন তত তারা তারি আমি আপনার জীবন থেকে যেতে পারবো। আমি:- কথা না গুড়িয়ে যেইটা জিগেস করছি সেইটা বললে কি তোমার সমস্যা হয়? তসিবা:- হ্যা আমার সমস্যা হয় আপনার সাথে আমি আর এক মূহূর্ত থাকতে চায়না। আমি:- আমার সাথে থাকবে কেনো তুমি তো তোমার স্বপ্নের মানুষ পেয়ে গেছো,, আমি এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি তুমি কেনো বিয়ের দিন কবুল বলোনি। এই নাও তোমার ব্যাগ যাও আজকের পর আর কোনো দিন আমার সাথে যোগাযোগ করতে চায়বে না। তসিবা:- আমি তো কোনো দিন যোগাযোগ করবো না বরং আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইবেন। ঠিক আছে ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ,,, আমি:- রাস্তায় দেখা হলেও আমি তোমার সাথে কথা বলবো না দেখো,,, কিছু দিন পর রিয়াকে বিয়ে করে সূখের সংসার করবো। তখনি তসিবা ব্যাগ রেখে আমার দিকে ঘুরে ধাক্কা মেরে খাঠের উপর ফেলে বুকের উপর উঠে বসেছে,,,, তসিবা:- কাকে বিয়ে করবেন? আমি:- আম্মুর পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো আর রিয়া হচ্ছে আম্মুর পছন্দের মেয়ে,,,
তসিবা:- করাচ্ছি বিয়ে বলে,,, আমার গালে কপালে কিস করতে লাগলো তসিবার কান্ড দেখে আমি নিজেই অভাক হয়ে গেছি,,,,, শুনেন এই কিস গুলি করে গেলাম যতদিন আমি দূরে থাকবো ততদিন এই গুলি নিয়ে থাকবেন। যদি রিয়ার দিকে চোখ তুলে তাকান তাহলে চোখ তুলে ফেলবো আর হ্যা আমাকে ডির্ভোস দেওয়ার পর অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকাবেন। তার আগে কোনো মেয়েকে বিয়ে করার কথা বললে খুন করে ফেলবো,,,, আমি:- অল্প কিছু দিনের মধ্যে তোমাকে ডির্ভোস দিয়ে দিবো আর রিয়াকে বিয়ে করে নেবো,,,, তসিবা:- এই ছিলো আপনার মনে ছিঃ আপনার এত ধর্য্য কম আমার জানা ছিলো না। ঠিক আছে বিয়ে করেন আমার কি? ( তসিবা মন খারাপ করে চলে গেছে আমি ওর পিছু পিছু এসেছি,,,) শ্বশুড়:- সৌরভ ভালো থেকো তোমাকে যেনো আমার বাড়ীর আশে পাশে কোথাও না দেখি। তুমি জীবনে অনেক বড় ভূল করেছো আরে তসিবারা তো,,, তখনি তসিবা ওর আব্বুকে থামিয়ে বলে,,,, তসিবা:- আব্বু থাক কোনো দরকার নেই চলো ( কি হলো তসিবা ওনাকে থামিয়ে দিলো কেনো? তার মানে নিশ্চয় কোনো একটা কিন্তু আছে,,, তখনি আমি জুড়ে জুড়ে বলতেছি,,,,) আমি:- রিয়া এখন থেকে তোমাকে আমি রোজ সকালে অফিসে যাওয়ার সময় কলেজে নামিয়ে দিবো। আর রোজ দুজনে বসে ছাদে আড্ডা মারবো কেমন,,, তখনি তসিবা দাঁড়িয়ে গেছে,,, তসিবা:- একদিন যদি বাইকে করে রিয়াকে নিয়ে কলজে যান তাহলে দেখবেন আপনার কি অবস্থা করি। আর রাতে বাসায় এসে সুন্দর করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন আর হ্যা আমাকে শুনিয়ে লাভ নেই আমার কোনো সমস্যা হবে না,,, কথা গুলি বলে তসিবা চলে গেছে ওর বাবা মার সাথে আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি,,,,, ভাবি:- যাক তাহলে অল্প সময়ে তসিবা বিদায় হয়ে গেছে রিয়া এখন থেকে তুই সৌরভের সাথে একটু বেশি সময় দিস কেমন। আমি:- আম্মু আমাদের কোথাও একটা ভূল হচ্ছে দেখো। তসিবা আর যাই হোক আমার সাথে এমনটা করতে পারতো না,,,, আম্মুকে কথা গুলি বলে আমি সোজা রুমে চলে এসেছি রুমটা তসিবাকে ছাড়া একদম শূন্য লাগছে মন খারাপ করে সুফায় বসে আছি তখনি মোবাইলটা বেজে উঠেছে হাতে নিয়ে দেখি অচেনা নাম্বার রিসিব করতেই বলে,,,, মিস্টার সৌরভ কেমন আছেন? (একটা মেয়েলি কন্ঠ) আমি:- হ্যা ভালো কিন্তু আপনি কে? তসিবার বান্ধবী সাহেদা যার বিয়েটা আপনি আর তসিব মিলে দিয়েছেন। কাল আমাদের বিয়ে উপলক্ষে একটা অনুষ্টান আছে আপনি আসলে অনেক খুশি হবো। আমি:- কিন্তু আমার নাম্বার কোথায় পায়ছেন? সাহেদা:- তসিবার কাছ থেকে নিয়ে ছিলাম। আসবেন কিন্তু আপনি আর যদি না আসেন তাহলে কিন্তু আমরা অনেক কষ্ট পাবো।
আমি:- ঠিক আছে আসবো,,, ফোনটা কেটে দিয়েছি সুফায় আজকে ঘুমিয়ে গেছি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ছে,,, তসিবার কথা গুলি অনেক মনে পড়ছে তসিবা থাকলে কত দুষ্টমি করতো। অফিসে আসার জন্য বের হয়েছি তখনি,,,, আম্মু:- সৌরভ নাস্তা করে রিয়াকে সাথে নিয়ে যা। আমি:- নাস্তা বাহিরে করবো আর রিয়াকে কোথাও নিয়ে যাবো না,,,, আম্মু তাকিয়ে আছে আমি অফিসে চলে এসেছি,,, অফিসের কাজ গুলি করতেছি তবে মনটা তসিবার কাছে গিয়ে আছে,,, রাত থেকে মেয়েটা একটা ফোন করেনি আমিও করিনি,,, কাজ গুলি শেষ করে সন্ধায় বের হয়েছি তরি ঘরি করে রাত ৮টার দিকে অনুষ্টানে গেলাম,,, অনুষ্টানে ঢুকে দেখি তসিবা প্রীতি সহ সবাই দুষ্টমি করছে আর নাঁছতেছে আমি সামনে এগিয়ে গেছি সাহেদা তসিবাকে জুড়ে ধাক্কা দিয়েছে ইচ্ছে করে আর তসিবা এসে আমার বুকের মাঝে,,, To be continue,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে