গল্প:- নব_বধুয়া পর্ব:-(০১)
লেখা_AL Mohammad_Sourav
বাসর ঘরে ঢুকতেই বউ বলে,, কবুল না বললে কি বিয়ে হয়? বাসর ঘরে নতুন বউয়ের এমন প্রশ্নে শুনে কিছুটা না অনেকটা অবাক হয়ে গেছি। কবুল না বললে কি করে বিয়ে হবে?
যদি কবুল না বললে বিয়ে না হয় তাহলে আমি আপনার বউ না আর আপনি আমার স্বামী নন।
কেনো আপনি আমার বউ না কোনো?
কারন কবুলটা আমি বলিনি।
কবুলটা কে বলছে তাহলে?
কে বলছে কবুল তা আমি কি করে বলবো? আর যেহেতু আমি কবুল বলিনি তাহলে আপনি আমার বর নন আর আমিও আপনার বউ না।
আরে আজিব তো? তা কি করে হয়? তাহলে কি আমার বিয়েটা আপনার সাথে হয়নি?
হ্যা এমনি তো মনে হচ্ছে বিয়ে আমার সাথে এখনো পুরাপুরি ভাবে সম্পন্ন হয়নি।
মৌলভী সাহেব যখন কবুল বলতে বলছে তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
কোথায় আবার ঐ খানে বসা ছিলাম।
তাহলে কবুল বলছেন না কেনো? আর যদি আপনি কবুল না বলেন তাহলে মৌলভী সাহেব কি মিথ্যা কথা বলছে?
মৌলভী সাহেব কেনো মিথ্যা কথা বলবে? অনেক ভাবিরা আর বান্ধবীরা ছিলো এনাদের মাঝে কেও একজন কবুল বলে দিছে।
আমি:- আচ্ছা কাবিন নামাই কে সাইন করছে?
বউ:- আমি করেছি তবে কবুলটা আমি বলিনি সুতুরাং আমাদের বিয়েটা এখনো শরিয়ত মোতাবেক হয়নি।
প্রিয় পাঠক আমাদের গল্প পোকা ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটিতে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে একটিভ থাকুন। আর আপনাদের ভালোবাসার গল্প গুলো আমাদের কাছে লিখে পাঠান। আমরা আপনাদের গল্প গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব। ধন্যবাদ
আমি:- সমাজ আর সবাই তো জানে আপনি আমার বউ সুতুরাং আপনি কবুল না বললে কিছু হবে না। আর যেসেব মেয়েরা বোবা তারা তো কবুল বলেনা তাদের হয়ে কেও একজন বলে দেয় কবুল। সুতুরাং কাবিনে সাইন করলে হবে।
বউ:- মানেটা কি আপনি তো বলছেন কবুল না বললে বিয়ে হয়না। এখন আবার বলছেন কবুল বলতে হয় না। বলছি তো আমি কবুল বলিনি ঐ সময় তখন কেও একজন কবুল বলছে,,
আমি:- আর মৌলভী মেনে নিয়েছে? আমাকে বোকা পায়ছেন দেখেন অনেক ফালতু কথা বলছেন। আপনি মানেন আর না মানেন আজকে আমাদের বাসর হবে।
বউ:- বাসর হবে মানে বিয়ে ছাড়া বাসর এইটা তো শরিয়ত বিরোধী কাজ হবে। দেখেন আপনি আমার সাথে এমনটা করবেন না।
আমি:- দেখুন এত শরিয়ত শরিয়ত করতেছেন কেনো শুনি? আপনি আমার বউ এইটা সবাই জেনে গেছে। আচ্ছা আপনি কবুল বলেন নাই কেনো?
বউ:- ইচ্ছে হয়নি তাই আপনাকে আমার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। বিয়েটা তো করেছি আব্বুর মুখের দিকে তাকিয়ে। আমার অনেক বড় একটা স্বপ্ন আছে আগে সেইটা পুরুন করবো তারপরে বিয়ে করবো ভাবছিলাম। কিন্তু আব্বুর মুখের দিকে তাকিয়ে আজকে আমার বিয়েটা করতে হলো।
আমি:- আজকাল মেয়েদের কি হয়ছে কে জানে নাটক গল্প পড়ে সারাদিন মাথাটা নষ্ট করে রাখে। আর বিয়ের পর বাসর ঘরে বলে কবুল বলিনি, আপনাকে বর হিসাবে মানি না, আমার স্বপ্ন পুরুন করতে হবে।
বউ:- এই মেয়েদের নামে কোনো খারাপ কথা বলবেন না। আপনারা ছেলেরা কম কিসের? একটা নতুন মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ীতে এনে বাছ সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, মাকে মা বলতে হবে, বাবাকে বাবা বলতে হবে, আর সকালে ঘুম থেকে সবার চা রেডি করে দিতে হবে বাসর ঘরে এমন হাজারো কথা বলে দেন।
আমি:- আচ্ছা মেম যদি আমাকে বিয়ে করতে আপনার এতটা আপত্তি ছিলো তাহলে বিয়েটা করেছেন কেনো?
বউ:- আমার সুন্দর একটা নাম আছে সুতুরাং আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন মেম মিস আর আজে বাজে নাম ধরে ডাকবেন না বলে দিলাম।
আমি:- তা আপনার সুন্দর নামটা কি জানতে পারি?
বউ:- আমার নাম হলো তসিবা ইসলাম আমার নামটা অনেক সুন্দর তাইনা।
আমি:- কুচু সুন্দর আপনার থেকে আমার নামটা অনেক সুন্দর।
তসিবা:- শুনি তো আপনার নামটা কেমন সুন্দর।
আমি:- আল মুহাম্মদ সৌরভ।
তসিবা:- বাচ্ছা ছেলেদের নাম থাকে সৌরভ আমার খালত ভাইয়ের নাম সৌরভ হি হি হি।
আমি:- হাসি রাখেন এখন ঘুমটা উঠান।
তসিবা:- ঘুমটা উঠাবো তার আগে আমার কিছু শর্ত আর কথা আছে।
আমি:- মানে কিসের শর্ত আর কি কথা?
তসিবা:- কথা হলো এখন থেকে আপনি আমার নাম ধরে ডাকবেন। আর কান খুলে ভালো করে শুনেন যতদিন আমাদের পুরা পুরি সম্পন্ন বিয়েটা না হচ্ছে ততদিন আপনি আমাকে ভূল করে স্পর্শ করবেন না। আর যদি ভূল করে আমাকে স্পর্শ করেন তাহলে কিন্তু আমি আপনার নামে লটিয়ে দিবো?
আমি:- মানে কি লটিয়ে দিবেন?
তসিবা:- ঐ আপনি পারেন না (তসিবার কথাটা প্রথমে বুঝতে কষ্ট হলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারছি।)
আমি:- ছিঃ আপনি এমন আমার ভাতেও ঘৃনা করছে আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়ছে। আল্লাহ যা করে ভালোই করে তার জন্য তো আপনার সাথে আমার পুরা পুরি বিয়েটা হয়নি।
তসিবা:- আরে আপনার নয় আমার ভাগ্য ভালো আপনার সাথে আমার অর্ধেক বিয়ে হয়ছে। এত কথা না বলে আপনি আমাকে স্পর্শ করবেন না বাছ আর সবার সামনে আমার সাথে মিষ্টি করে কথা বলবেন ওগু শুনছো বিশেষ করে বাড়ী মধ্যে।
আমি:- লও ঠেলা মার গুরি বিয়ে করেছি কি তাহলে সুকেজে সাজিয়ে রাখার জন্য?
তসিবা:- আগে আমার কথা গুলি বলতে দেন।
আমি:- কান খুলা আছে আপনি বলেন,,,
তসিবা:- রোজ সকালে অফিসে যাওয়ার সময় আমাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যাবেন। রোজ রাতে আপনি ফ্লোরে ঘুমাবেন আর আপনার পরিবারের সাবার সামনে আমার সাথে সুন্দর করে কথা বলবেন। এবার শর্ত গুলি শুনেন,,
(১) রুমে কোনো রকম মাদক জিনিস যেমন সিগেরেট বিড়ি এসব খাওয়া বা আনা নিষেধ।
(২) অফিস থেকে রুমে এসে নিজের কাপড় আর জুতা গুলি জায়গা মত রেখে দিতে হবে। রুমে আমার উপর কোনো রকম জোর জবস্থি আর হুকোম চলবে না।
(৩) যদিও আপনার অতীতের কোনো কিছু জানা আমার দরকার নেই তাও আমাকে সব বলতে হবে। কোথায় কোন সময় কোন মেয়ের হাত ধরে রাস্তায় হাটছেন। কোন কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার দাবার খায়ছেন।
(৪) রাত ৯:৩০ মিনিটের আগে বাসায় চলে আসতে হবে।
আমি:- আমার বাড়ী আমার রুম আমাকে শর্ত দিতেছেন আপনি ভাবলেন কি করে আমি আপনার শর্ত গুলি মানবো।
তসিবা:- আরেকটা কথা আমাকে তুমি করে বলবেন সবার সামনে। তবে আপনি মানবেন কি মানবেন না সেইটা পরে দেখা যাবে এখন যান আমি ঘুমাবো আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।
আমি:- তুমি করে বলবো কি বলবো না সেইটা পরে দেখবো। এখন কে নিছে যাবে আমি? মাথা ঠিক আছে না গেছে আপনি গিয়ে নিছে ঘুমান। আপনার মত পেত্নির সাথে আমি জীবনেও থাকবো না।
তসিবা:- আমাকে পেত্নি বলতেছেন কেনো আমি অনেক সুন্দর আর আপনার মত বাচ্ছা মার্কা হাবা বোবা ছেলের সাথে আমি থাকবো নাকী। ভালোই ভালোই বলছি নিছে গিয়ে ঘুমান।
আমি:- আমার খাঠের উপর আমি ঘুমাবো আপনি নিছে গিয়ে ঘুমান। তা না হলে খবর আছে কিন্তু বলে দিলাম। আমার এখন ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো বলে শুয়ে পরেছি (তখনি তসিবা একটা বালিশ নিয়ে আমার নাকে মুখে চাপা দিয়ে ধর বলছে,,,)
তসিবা:- নিছে গিয়ে ঘুমাবি নাকী বালিশ চাপা দিয়ে বাসর ঘরে জামাই মেরে ইতিহাস তৈরি করবো। ( কোনো রকম কষ্ট করে বালিশটা সরিয়ে কাঁশতে শুরু করেছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেছে,,,)
আমি:- আপনি মানুষ নাকী অন্য কিছু হ্যা একটুর জন্য আমি বেচে গেলাম। যান আপনার মত মেয়ের সাথে সংসার করার কোনো ইচ্ছে নেই। বালিশটা নিয়ে গিয়ে সুফায় শুয়ে পরেছি,,, তসিবা মন খারাপ করে খাঠের উপর বসে আছে,,, দূর শালা বিয়েটা করাটা আমার ভূল হয়ছে তার চাইতে ভালো হয়ত বিয়ে না করলে। ঘুম আসতেছেনা কি যে করি আচ্ছা একটু ছোট করে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেয় আমি একটা কম্পানিতে চাকরি করি। আব্বু নিজের ব্যবসা আর বড় ভাই একটা কম্পানিতে চাকরি করে। আপু তার হাজবেন্টের সাথে চট্রগ্রাম থাকে আর আমরা সবাই ঢাকা থাকি। অনেক ঘুম পাচ্ছে এখন ঘুমায় সকালে বাকী কথা বলবো। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে কারো হাতের চুরির শব্দে,,, চেয়ে দেখি তসিবা সাজু গুজু করছে আমি চেয়ে দেখি সোনালী রৌদে তসিবা লম্বা চুল গুলো সোনালী আকার ধারন করছে,,,
তসিবা:- রাতে এত নাক ডাকেন কেনো আপনি?
আমি:- মিথ্যা কথা বলছো কেনো কখন আমি নাক ডাকছি?
তসিবা:- যারা ডাকে তারা শুনতে পায়না তার জন্য মোবাইলে আমি ভিডিও করে রাখছি,,, এই দেখেন সেই ভিডিও এভার বিশ্বাস হয়ছে? তসিবা প্রমান ছাড়া কোনো কথা বলে না তখনি,,,
ভাবি:- সৌরভ উঠো সবাই নাস্তার টেবিলে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে,,
আমি:- হ্যা ভাবি খুলতেছি বলে উঠে দরজাটা খুলে দিয়েছি।
ভাবি:- সৌরভ তসিবাকে নিয়ে নিছে আয় সবাই নাস্তার টেবিলে বসে আছে।
আমি:- ঠিক আছে আসতেছি,,,, ভাবি চলে গেছে আমি ফ্রেস হয়ে নিছে গেছি সাথে তসিবা এসেছে,,,
আব্বু:- সৌরভ তোরা হানি মুনে কবে যাবি? আমার আগে তসিবা বলে,,,,
তসিবা:- আব্বাজান আমি বলিকি এখন হানিমুনে না গেলে হয়না মানে আমার তো ফাইনাল পরীক্ষা ৩ মাস পর গেলে কোনো সমস্যা হবে।
আম্মু:- বিয়ে হয়ে গেছে এখন আর পড়ার কি দরকার? এখন বিয়ে হয়ছে স্বামী আর সংসার নিয়ে থাকো। আর আমাদের সংসারের বউরা বেশী লেখা পড়া করে না। তোমরা কালকে হানিমুনে যাবে।
তসিবা:- কিন্তু আমাকে তো বলছে বিয়ের পর পড়া লেখা করতে দিবে। আর মাত্র ৩ মাস পরে আমার ফাইনাল পরীক্ষা আমার এত বছরের স্বপ্ন আমি নষ্ট করতে পারবো না।
আম্মু:- এই বাড়ীতে থাকতে হলে পারতে হবে আর তোমাকে বউ করে আনছি বাড়ীর কাজ করতে আর সংসার করতে। কলেজে গিয়ে অন্য ছেলেদেড় সাথে হাত ধরে উঠা বসা করতে নয়। (আম্মুর কথা শুনে তসিবা চেহেরাটা কালো করে নিয়েছে অল্প কিছু খেয়ে তসিবা উঠে রুমে চলে গেছে,,,)
আব্বু:- সাহেদের মা তুমি নতুন বউকে এমন ভাবে কথা গুলি না বললে পারতে।
আম্মু:- তুমি চুপ থাকো তোমার মত হলে দুনিয়া চলবে না। সৌরভ তুই সব কিছু গুচিয়ে নে কালকে হানিমুনে যাবি।
আমি:- ঠিক আছে, নাস্তা শেষ করে রুমে গিয়ে দেখি তসিবা ব্যাগ গুচিয়ে নিতেছে,,, কি হলো ব্যাগ গুচানো শুরু করেছো এত তারা তারি? (তসিবা কোনো কথা বলছে না চুপ চাপ হয়ে ব্যাগ গুচিয়ে নিয়ে চলে যেতেছে আমি হাত ধরেছি আমার হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চাইছে তখনি টান মেরে বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি,,)
তসিবা:- আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন আপনার সাহোস হলো কি করে? ছাড়েন বলছি তানা হলে কিন্তু ভালো হবে না বলে জোর করে তসিবা নিজেকে ছাড়িয়ে আমাকে এক থাপ্পড় দিয়েছে। তখনি ভাবি আমাদের রুমে ঢুকেছে আর তসিবা একদম বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,,,To be continue,,,,,
!!
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.