গল্প:-নব বধূয়া পর্ব:-(০৯)

0
3919
গল্প:-নব বধূয়া পর্ব:-(০৯) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! বউ আমার সকালে কোন রূপ ধরে আল্লাহ ভালো যানে? সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার দুই হাত খাঠের পায়ার সাথে বাধা। আরে হাত গুলি কে বাধছে? আর তসিবা গেলো কোথায়? তখনি চেয়ে দেখি তসিবা একটা চাকো নিয়ে এসে আমার বুকের উপর বসে গলাই চাকো ধরেছে,,, আরে তসিবা কি করছো মরে যাবো তো? তসিবা:- না মরলে মেরে ফেলবো আগে আমাকে বলেন আপনি আমার রুমে কি করে এসেছেন? আমি:- আরে কাল তো তুমি ড্রিংক্স করে মাতলামো করেছিলে অনুষ্টানে ঐ খান থেকে তোমাকে আমি এখানে নিয়ে এসেছি। তসিবা:- মানে আমি ড্রিংক্স করেছি আর আপনি সেই সুযোগে আমাকে ছিঃ ছিঃ তসিবা তোর সব শেষ হয়ে গেছে,,, আমি:- তসিবা কি হয়ছে আমি তোমাকে কিছুই করিনি,,, তসিবা:- মরার ভয়ে মিথ্যা বলছেন তবে রে আমি আজকে আপনাকে সত্যি সত্যি খুন করে ফেলবো। আমি:- তসিবা তুমি আমার কথাটা শুনো সত্যি বলছি আমাদের তেমন কিছুই হয়নি আসলে রাতে তুমি অজ্ঞানের মত হয়ে ছিলে। তোমার সাবাবিক কোনো জ্ঞান ছিলো না, আমি তোমাকে আমার বাইকে করে এখানে নিয়ে এসেছি,,, তসিবা:- তাহলে আপনি আমার সাথে আমার রুমে তাও আবার এক সাথে জড়িয়ে ধরে খাঠের উপর ঘুমিয়ে ছিলেন কেনো? সত্যি করে বলেন কি কি করেছেন? আমি:- আমি তো চলে যেতে ছিলাম তুমি আমাকে জোর করে তোমার পাশে থাকতে বলছো। আর হ্যা তেমন কিছুই করিনি তুমি বলছো তাই তোমাকে কপালে আর গালে ৪ থেকে ৫ টা চুমু দিয়েছি,,, তসিবা:- সত্যি বলছেন আর কিছু করেন নাই? আমি:- সত্যি বলছি আর কিছুই করিনি,,
তসিবা:- তবে একটা শর্তে আমি আপনাকে ছাড়তে পারি। আর আপনাকে আমি খুব ভালোবাসবো অনেক অনেক ভালোবাসবো। আমি:- কি শর্ত? তসিবা:- এখন থেকে আপনি আমার সাথে আমাদের বাড়ীতে থাকবেন। আমি:- মানে ঘর জামাই থাকতে হবে? তসিবা:- হ্যা ঘর জামাই আমার ছোট থেকে স্বপ্ন আমি স্বামীর বাড়ীতে যাবো না বিয়ে করে আমি স্বামীকে আমাদের বাড়ীতে রেখে দিবো। এখন বলেন আপনি রাজি আছেন আমাদের বাড়ী থাকতে? আমি:- মরে গেলেও আমি ঘর জামাই থাকবো না। তার চাইতে ভালো আমাকে তুমি মেরে ফেলো। তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে আজকের পর আপনি আমার সাথে দেখা হলেও কথা বলবেন না। যান আজকের মত আপনাকে ছেড়ে দিলাম। (তসিবা আমার হাতের বাধন গুলি খুলে দিয়েছে,,) আমি:- কিন্তু একটা কথা বলার ছিলো? তসিবা:- আমি কোনো কথা শুনতে চায়না, আপনি ডির্ভোস পেপার পাঠিয়ে দিয়েন আমি সাইন করে দিবো। আমি:- দরকার হলে তুমি নিজেই পাঠিয়ে দিয়ো আমি পারবো না। তবে তসিবা আমি তোমাকে সত্যি অনেক সূখে রাখবো প্লিজ আমার সাথে বাড়ীতে চলো। অতীতের সব কিছু ভূলে নতুন করে আমরা শুরু করি প্লিজ চলো। তসিবা:- আপনাদের বাড়ীতে আমি আর যাবো না আপনি আমার সাথে আমাদের বাড়ীতে ঘর জামাই হিসাবে থাকবেন? আমি:- না আমি ঘর জামাই থাকতে পারবো না। আমার নিজের একটা আত্বমর্যাদা বোদ আছে,,, তসিবা:- তাহলে আমিও আপনাদের বাড়ীতে যেতে পারবো না। আর শুনেন আমি আপনাকে অনেক ঘৃনা করি,,, এখুনি আমাদের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যান তা না, হলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।
আমি:- থাক তার আর দরকার হবে না, তোমার কথা গুলি আমার মনে থাকবে। তবে তসিবা তোমার যদি আমার কোনো সময় প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে স্বরন করিও। আমি তোমার স্বরনে হাজির হবো আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবে। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি রুম থেকে বেড়িয়ে চলে এসেছি। নিছে দেখি সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে আমাকে দেখে শ্বাশুড়ি বলে,,, শ্বাশুড়ি:- সৌরভ আসো নাস্তা করবে? তখনি তসিবা এসে বলে,,, তসিবা:- কে নাস্তা করবে? ওনার কোনো অধিকার নেই এই বাড়ীর কিছু খাওয়ার। আবার দাঁড়িয়ে আছেন যাবেন নাকী দাড়োয়ান ডাক দিবো? আমি:- যাচ্ছি মিস তসিবা ইসলাম বলে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে মনটা খারাপ করে বাইকটা নিয়ে বাড়ীতে এসেছি আমাকে দেখে রিয়া বলে,,, রিয়া:- সৌরভ রাতে তুমি কোথায় ছিলে আর তোমার ফোন বন্ধ কেনো? আমি:- তোমার কাছে বলতে হবে কোথায় ছিলাম? আর তুমি কে? আম্মু:- সৌরভ রিয়ার সাথে এমন করে কথা বলছিস কেনো? আমি:- তাহলে কি করে বলবো? আমাকে আমার মত থাকতে দেন এত যন্ত্রনা আমার সহ্য হয় না। কথা গুলি বলে আমি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে অফিসে চলে এসেছি,,, অফিসে কাজ করতেছি নিজের মত করে সারা দিন তসিবার কথা গুলি কানে বাজতে ছিলো। অফিস ছুটি হয়ে গেছে তাও বসে আছি এমনি মেম এসে বলে,,, মেম:- সৌরভ তোমার কি আজ মন খারাপ? আমি:- না তেমন কিছু না। মেম:- তাহলে আজকে এখনো বাড়ীতে যাচ্ছো না কেনো? তুমি তো অফিস ছুটির আগে বের হয়ে যেতে আর আজবে এখনো যাওনি কেনো? আমি:- যাবো এখুনি? মেম:- আমার সাথে যাবে আজকে আমার একটা পার্টিতে দাওয়াত আছে। আমি:- আপনার হাজবেন্ট কোথায় ওনাকে সাথে নিয়ে যান। মেম:- আরে বোকা ওনার কলিকের পার্টি তুমি চাইলে যেতে পারো তোমার মন ভালো হয়ে যাবে। আমি:- নাহ আপনি যান আমি বাড়ীতে যাবো। মেমকে বাই বলে চলে এসেছি বাড়ীতে,,, কারো সাথে কোনো কথা না বলে সোজা রুমে এসেছি মোবাইলটা বের করে তসিবাকে ফোন করলাম কিন্তু রিসিব হয়নি দুই বার করেছি কোনো রেন্সপন্স পায়নি। মনটা খারাপ করে নিছে গিয়ে ভালো করে খাবার খায়ছি একদম মনের জুড়ে খাবার খেয়েছি,,, আম্মু:- সৌরভ এভাবে আর কতদিন যাবে তসিবার কথা ভূলে রিয়াকে বিয়েটা করে নে।
আমি:- আমার পক্ষে আর সম্বভ না বিয়ে করা। আম্মু আমাকে আরো কিছুটা সময় দাও আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে। আব্বু:- সৌরভ তুই যা সিদ্যান্ত নিবি তা একটু ভেবে চিন্তে নিস কেমন। আমি:- ঠিক আছে, তাই হবে আচ্ছা আমি রুমে যাই রুমে এসে খাঠের উপর শুয়ে পড়লাম অনেক্ষন পর্যন্ত ছটফট করেছি তাও ঘুম আসেনা। তাও চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে অফিসে যাবার জন্য বের হয়েছি তখনি,,, আম্মু:- সৌরভ রিয়াকে সাথে নিয়ে যা ওকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে তুই অফিসে যাব। আমি:- ঠিক আছে রিয়া অনেক খুশি হয়েছে আমি বাইক চালাচ্ছি রিয়া কাদে হাত রেখে বসে আছে,,, রাস্তায় সিঙ্গনাল পড়েছে বাইক থামিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তখনি দেখি তসিবা শপিং মহলের ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে আমার সামনের বাইকে। বাইক থেকে নেমে তসিবার সামনে গেছি আমাকে দেখেও মনে হচ্ছে চিনে না এমন ভাব করছে,,, ছিঃ ছিঃ তসিবা তুমি এতটা খারাপ এই জন্য বলি তুমি কেনো আমাকে ঘর জামাই রাখতে চাইছো। তসিবা:- ঐ আপনার মাথায় গন্ডগুল আছে নাকী আমি কেনো আপনাকে ঘর জামাই থাকতে বলবো? আমি:- কি তুমি বলোনি তুমি এত বড় মিথ্যা বাদী আমার জানা ছিলো না। তোমাকে আমি আজকে ডির্ভোস দিয়ে রিয়াকে বিয়ে করবো। তসিবা:- কিসের ডির্ভোস আর কিসের বিয়ে? আপনি যাকে খুশি তাকে বিয়ে করেন তাতে আমার কি হ্যা আমার কি? আমি:- তোমার কিছু না তো? আর আপনি কেমন পুরুষ বিবাহিতা মেয়ে নিয়ে ঘুরা ঘুরি করেন? আপনার তো মিয়া লজ্জা থাকা উচিত? তখনি ছেলেটা বলে,,, ছেলে:- আপনার কি মাথায় গন্ডগুল আছে কাকে কি বলছেন? আমি:- সত্যি বলছি ওনি আমার বউ তখনি মোবাইলটা বের করে আমাদের বিয়ের ছবিটা ওনাকে দেখিয়েছি ওনি দেখে তো পুরাই অভাক হয়ে গেছে,,,, ছেলে:- ছিঃ ছিঃ তুমি এত খারাপ অন্যের বউ হয়ে আমার সাথে প্রেম করতে তোমার লজ্জা করছে না। নামো তুমি আমার বাইক থেকে তোমার মত মেয়েদের জন্য আজকাল ভালো মেয়েদের মূল্য নেই। তসিবা:- রাহাদ তুমি বিশ্বাস করো আমি ওকে চিনি না এই ছবিটা মনে কম্পিউটার গ্রাফিক্স করা। আমাকে তো তুমি এত দিন ধরে চিনো আমি কি করে ওকে বিয়ে করবো? আমি:- কি করে বিয়ে করবে আজকে বাড়ীতে এসো তোমার কু কৃর্তির কথা তোমার বাবা মাকে জানিয়ে আসবো। তখনি সিঙ্গনাল ছেড়ে দিয়েছে আর রিয়া আমাকে টেনে বাইকে বসিয়ে দিয়েছে,,, আমি রিয়াকে নিয়ে কলেজের রাস্তার দিকে তসিবারা অন্য রাস্তা দিয়ে চলে গেছে,,,,, রিয়া:- সৌরভ আজ তোমার বিশ্বাস হলো তো? আমি:- হ্যা হয়েছে আজকে আমি ওর আব্বা আম্মাকে এই ছবি গুলি দেখাবো তুমি নামো কলেজ এসে গেছি। রিয়া:- আজকে আমাকে নিয়ে একটু শপিং মহলে যাাবে আমার কিছু কেনা কাটা করতে হবে। আমি:- ঠিক আছে ট্রাই করবো তুমি যাও। রিয়া চলে গেছে আমি বাইকটা রেখে দোকান থেকে এক বোতল পানি কিনে খেতেছি তখনি কেও একজন এসে কালার চেপে ধরছে চেয়ে দেখি তসিবা,,, তুমি আমার কালার ধরেছো কেনো? তসিবা:- ঐ তুই রিয়াকে বাইকে করে নিয়ে এসেছিস কেনো? আমি:- আমাকে তুই করে বলছো কেনো? তসিবা:- আরে এখন তো তুই বলছি আরো অনেক কিছু বলবো আর করবো আগে বল রিয়াকে বাইকে বসিয়েছিস কেনো? আমি:- তুমি অন্য ছেলের সাথে বাইকে বসে জড়িয়ে ধরে ঘুরতে পারো আর আমি আনলে দোষ? তসিবা:- মিথ্যা অপবাদ দিবি না বলে দিলাম। আমি কখন কোন ছেলের বাইকে বসেছি? আমি তো রিক্সা করে কলেজে আসছি। আমাকে বাড়ী থেকে বের করে এখন রিয়াকে নিয়ে ঘুরা ঘুরি হচ্ছে? তখনি আমি তসিবার দিকে ভালো করে তাকিয়েছি আরে তসিবা তো চুড়িদার পড়া আর বাইকে বসা মেয়েটা তো জিন্স আর টি সার্ট পড়া ছিলো। আমি:- তোমার জিন্স আর টি সার্ট চেন্জ করে ফেলছো? তসিবা:- ঐ আমি কি জিন্স পড়ি? কেনো আমার নামে মিথ্যা অপবাদ কেনো দিচ্ছেন? আমি:- আমি কিছু বললে তো তোমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়। তুমি যা করো তাই ভালো আর আমি যা করি তা সব ভূল। তুমি তো বলছো আমাকে ঘৃনা করো তাহলে আমি রিয়াকে ভালোবাসি না বিয়ে করে তাতে তোমার কি? তুমি আমাকে আর আমি তোমাকে আর কোনো দিন দেখা হলে কথা বলবো না দেখি সরো বলে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে চলে আসবো তখনি তসিবা জুড়ে সৌরভ বলে ডাক দিয়েছি আমি পেছনে না তাকিয়ে বাইকে বসেছি তখনি চেয়ে দেখি তসিবা নিছে পড়ে আছে আর মুখ দিয়ে রক্ত পড়তেছে,,,,To be continue,,,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে